14182
Points
Questions
3
Answers
7076
বর্তমান যুগে বেশীর ভাগ পুরুষের মধ্যে একটা সমস্যা বেশ প্রকট হয়ে উঠছে৷ দিন যত যাচ্ছে পুরুষের মধ্যে নৃপুংসকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের যৌন ইচ্ছা ক্রমশঃ কমে যাচ্ছে সেই সাথে দেখা দিচ্ছে পুরুষাঙ্গের উত্থান ও সাইজ জনিত যতসব সমস্যা৷ কাজেই আপনার যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার ও অনান্য সমস্যা দেখা দেওয়ার আগেই আপনি সচেতন হয়ে যান৷
কেবল নিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন ও ব্যায়াম করাই নয়, একজন সুস্থ ও সক্ষম পুরুষ হতে চাইলে লক্ষ্য রাখতে হবে খাবারের দিকেও। আসুন, জেনে নেই এমন কিছু খাবারের কথা যেগুলো একজন পুরুষকে রাখে সুস্থ ও সক্ষম।
১. টমেটো :
পুরুষের সুস্থতা এবং দক্ষতা বজায় রাখতে টমেটো একটি বেশ উপকারী খাবার কেননা এতে বেশ কিছু গুণাগুণ রয়েছেন টমেটোতে থাকা লাইকোপেন কোলোরেক্টাল ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সার, হার্টের বিভিন্ন অসুখ এবং অতিরিক্ত কোলেস্টরেল নির্মূল করে ফেলে ফলে পুরুষেরা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকে।
২. শস্যদানা :
বিভিন্ন ধরনের শস্য দানাতে ভিটামিন, মিনারেল এবং ফাইবার রয়েছে যেগুলো একজন পুরুষের দেহের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করে থাকে। বাদামি ভাতে রয়েছে ভিটামিন বি, যা শরীরে এনার্জি উৎপাদনে সহায়তা করে থাকে। ফলে এই খাবারটি পুরুষের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
৩. রসুন :
পুরুষের শারীরিক শক্তি বৃদ্ধিতে রসুন বেশ কার্যকর ভূমিকা রাখে। কেননা এতে থাকা বিভিন্ন উপাদান শরীরের অতিরিক্ত কোলেস্টরল কমিয়ে আনতে সহায়তা করে।
৪. স্যামন মাছ :
প্রোটিন এবং ওমেগা ৩-ফ্যাটি অ্যাসিড এর উৎকৃষ্ট উৎস হল এই স্যামন মাছ যেটি রক্তে কোলেস্টরেল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এছাড়া এটি হার্টের বিভিন্ন সমস্যা, কোলোরেক্টাল ক্যান্সার, প্রোস্টেট ক্যান্সার এবং বিভিন্ন ধরনের মানসিক অস্থিরতা দূর করতে সহায়তা করে এই স্যামন মাছ। তাই প্রতিটি পুরুষের শারীরিক এবং মানসিক বিকাশে এই মাছটি অবশ্যই খাওয়া প্রয়োজন।
৫ পেঁয়াজ :
কাম-উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসাবে পেঁয়াজ বহুদিন থেকেই ব্যবহূত হয়ে আসছে৷ কিন্তু এটি কিভাবে এই বিষয়ে কার্যকরী তা এখন পর্যন্ত সঠিক ভাবে জানা যায় নি৷ সাদা পেঁয়াজ পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর সঙ্গে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়৷ কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, এটি খাওয়ার আগে ঘণ্টা দুয়েক সময় আপনার পেট খালি রাখবেন৷ এইভাবে প্রতিদিন খেলে স্খলন, শীঘ্রপতন বা ঘুমের মধ্যে অতিরিক্ত ধাতুপতন (যাকে এক কথায় spermatorrhea বা স্বপ্নদোষ বলা হয়) ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব৷ এছাড়া পেঁয়াজের রসের সঙ্গে কালো খোসা সমেত বিউলির ডালের গুঁড়ো সাত দিন পর্যন্ত ভিজিয়ে রেখে তাকে শুকিয়ে নিন৷ এইটির নিয়মিত ব্যবহার আপনার কাম-উত্তেজনা বজায় রাখবে এবং শারীরিক মিলনকালীন সুদৃঢ়তা বজায় রাখবে৷
৬. ডিম :
ডিমে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং আয়রন আছে যা একজন পুরুষের দেহের শারীরিক বিকাশে সহায়তা করে থাকে। অনেক পুরুষ রয়েছে যাদের অল্প বয়সে অতিরিক্ত চুল পড়ে যায়। এই অস্বাভাবিক চুল পড়া রোধে ডিম বেশ কার্যকরী খাদ্য।
৭. গাজর :
150গ্রাম গাজর কুঁচি এক টেবিল চামচ মধু এবং হাফ-বয়েল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে দুমাস খেলে আপনার শারীরিক ও যৌন অক্ষমতা কম হতে পারে৷ কাজেই এখন আর দুশ্চিন্তা করবেন না৷ সমস্যার একেবারে প্রথম ধাপে আপনি বাড়িতে এই পদ্ধতি গুলি মেনে চলে দেখুন হয়ত প্রাথমিক ধাপে এই সমস্যার সমাধান হতে পারে৷ তাই আপনার খাদ্য তালিকায় উপরিউক্ত খাবার গুলো রাখুন এবং নিয়মিত গ্রহণ করুন।
- 771 views
- 1 answers
- 0 votes
শারীরিক দুর্বলতা কাজের উৎসাহ একেবারে নষ্ট করে দেয়। কিন্ত এই ধরণের শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে প্রয়োজন আমাদের একটু সতর্কতা।
সকালের সূর্যের আলো গ্রহন করুন
সকাল ৮-৯ টায় সূর্যের আলোর মধ্যে যাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে করে দেহে ভিটামিন ডি পৌছায় যা আমাদের দেহের হাড়ের গঠন সুগঠিত করার পাশাপাশি আমাদের শারীরিক দুর্বলতা কাটাতে সহায়তা করে। মাথা ঘোরানো কিংবা শরীরে শক্তি না পাওয়ার সমস্যা সমাধান করে।
চা/কফি পান কমিয়ে দিন
চা/কফির ক্যাফেইন আমাদের শারীরিকভাবে দুর্বল করে তোলে। চা/কফি চা করলে তাৎক্ষণিকভাবে দেহে চাঙা ভাব এলেও এটি আমাদের দেহ পানিশূন্য করে ফেলে যার ফলে আমাদের দেহে পানির চাহিদা বৃদ্ধি পায় ও আমরা দুর্বলতা অনুভব করি। তাই চা/কফি পানের মাত্রা কমিয়ে দিন।
কাজের ফাঁকে খানিকক্ষণ বিশ্রাম গ্রহন করুন
কাজের ফাঁকে খানিকটা সময় পাওয়ার ন্যাপ অর্থাৎ মাত্র ১০ মিনিটের ঘুম দেহের কোষগুলোকে তরতাজা কর তোলে ফলে আমরা কাজের মাধ্যমে যে শক্তি হারাই এবং দুর্বলতা অনুভব করি তা পুনরায় ফিরে আসে। এবং আমাদের শারীরিক দুর্বলতা কেটে যায়।
পর্যাপ্ত পানি পান করুন
আমাদের দেহ পানিশূন্য হলে আমরা শারীরিকভাবে প্রচণ্ড দুর্বল হয়ে পরি। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিৎ সকলের। দেহ হাইড্রাইট থাকলে শারীরিক দুর্বলতার সমস্যা কেটে যায় একেবারে।
এনার্জি সমৃদ্ধ কিছু খাবার রাখুন হাতের কাছে
যখনই শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বেন তখন তাৎক্ষণিক ভাবে এমন কিছু খাওয়া উচিৎ যা দেহে শক্তি ফিরিয়ে দেবে। বাদাম, কমলা এবং মিষ্টি জাতীয় খাবার হাতের কাছে রাখবেন সব সময়। এতে করে শারীরিক দুর্বলতাকে কাটিয়ে উঠা সম্ভব।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান
ঘুমের পরিমাণ কম হলেও আমরা শারীরিকভাবে দুর্বল হয়ে পরি। কারণ ঘুমের মাধ্যমে আমাদের দেহের ও মস্তিষ্কের কোষ নতুন করে শক্তি অর্জন করে। যখন ঘুম কম হয় তখন মাথা ঘোরানো এবং দুর্বলতা অনুভব করার পরিমাণ বেড়ে যায়। তাই পর্যাপ্ত ঘুমই দূর করতে পারবে শারীরিক দুর্বলতা।
শারীরিক দুর্বলতা, অরুচি এবং ক্ষুধাহীনতার সমস্যা। যদি অন্য আর কোনো সমস্যা থেকে না থাকে তাহলে কয়েকটি আয়ুর্বেদিক ঔষধের নাম জেনে নিতে পারেন। এগুলো সাধনা ঔষধালয়ের যে কোনো শাখা থেকেই কিনতে পারবেন। অরুচি, ক্ষুধাহীনতা এবং একই সাথে শারীরিক দুর্বলতা সব এক সাথে পালাবে।
1. আমলকি রসায়ন ।
2. রহিতকারিস্ট ।
3. ভাস্কর লবন।
4. বজ্রক্ষার (বদ হজমের সমস্যা থাকলে) ।যেভাবে খাবেন :
• ০১ এবং ০২ নম্বর প্রতিটা থেকে চার চামচ করে নিয়ে চার চামচ পানিতে মিশিয়ে দিন দুই বার খাওয়ার পর।
• ০৩ নম্বর পাউডার প্রকৃতির তাই যেকোন একটা বোতলে পুরুটা মিশিয়ে ফেলতে হয়।
• ০৪ নম্বর বদ হজমের সমস্যা থাকলে “বজ্রক্ষার” যেকোন একটা বোতলে মিশিয়ে ফেলতে হয়। আপনি আপাতত ১,২,৩ নম্বর কন্টিনিউ করেন যদি বদ হজমের সমস্যা না থাকে।যদিও এভাবে ট্রিটমেন্ট দেয়া অনুচিত কিন্তু যেহেতু এগুলো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াহীন এবং ০১ ও ০২ নম্বর ঔষধ শারীরিক দুর্বলতা, অরুচি এবং ক্ষুধাহীনতার জন্য যেকেউ খেতে পারেন।
- 1142 views
- 1 answers
- 0 votes
কিডনির পাথর হলে অপারেশন ছাড়া বিকল্প এবং সুন্দর চিকিত্সা হলো ঔষধের মাধ্যমে পাথরগুলিকে গলিয়ে প্রস্রাবের সাথে বের করে ফেলা। যুগ যুগ ধরে কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা বিজ্ঞান অত্যন্ত সফলতার সাথেই বিষয়টির সুরাহা করে আসছে। অথচ উপযুক্ত প্রচার এবং প্রসারের অভাবে এই বাস্তব সত্যটা অনেক মানুষ জানেন না বললেই চলে। কিডনির পাথর নির্মূলে ব্যয়বহুল অপারেশনে না গিয়ে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ামুক্ত, অধিকতর কার্যকরী এবং সফল হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা নেয়াটাই যুক্তিযুক্ত কারণ এটা অপারেশনের মত ব্যয়বহুল এবং ঝুকিপূর্ণ নয়।
- 801 views
- 1 answers
- 0 votes
যৌন আসক্তি হল একপ্রকার অনিয়ন্ত্রিত যৌন কর্মকান্ড যা না করে থাকাটা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। একজন যৌন আসক্ত ব্যক্তি প্রায়শঃ যৌনকর্মে লিপ্ত হবার জন্য জোর প্রয়োগ করে থাকে। যৌন আক্রোশের ফলশ্রুতিতে আসক্ত ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত এবং কর্মজীবনে এমনকি সামাজিক জীবনেও সমস্যার সৃষ্টি করেন। এরা অনেক সময় যৌনতাকে পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং কাজের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
কিভাবে যৌনতা আসক্তির পর্যায়ে চলে যায় :
মদ এবং নিষিদ্ধ মাদক যেভাবে আসক্তির দিকে যায় – যৌন অভ্যাসও একইভাবে আসাক্তির পর্যায়ে চলে যেতে পারে। যৌনক্রিয়ার সময় আমাদের শরীর অনেকগুলো রাসায়নিক পদার্থের ককটেইল নিষ্কৃত করে যা একপ্রকার প্রবল সুখবোধ জন্ম দেয়। কিছু মানুষ সেই সকল রাসায়নিক পদার্থের আসক্তিতে মজে যান এবং মোহিত হয়ে পরবর্তী যৌন অনুভূতির জন্য উন্মত্ত হয়ে উঠেন। অন্যন্য আসক্তির মত শরীর যৌনক্রিয়াকালীন নিঃসরিত রাসায়নিক পদার্থের ব্যাপারেও অভ্যস্ত হয়ে যায়, তাই ভুক্তভুগি অতিরিক্ত অনুভূতি অর্জনের লক্ষ্যে যৌনমিলনের মাত্রা ক্রমশঃ বাড়াতে থাকেন।
অনেক যৌন আসক্ত ব্যক্তি বলেন তাদের অস্বাস্থ্যকর যৌন অভ্যাস ক্রমশ আসক্তিতে রূপ নিয়েছে। তাদের যৌন আসক্তি হয়তো শুরু হয়েছে হস্তমৈথুনে আসক্তি, পর্নো ছবি দেখে কিংবা কোন অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক থেকে যা পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমিক ভয়াবহ আচরণে পরিবর্তিত হয়েছে।
যৌন পিপাসা কম থাকাকালীন যৌন আসক্ত ব্যক্তি লজ্জিত বোধ করেন, পাপের জন্য অনুতপ্ত হন, তীব্র অনুশোচনা বোধ করেন এবং উদ্ভিগ্ন হন। যৌন আসক্তরা অনেক সময় একা, নিঃসঙ্গ এবং শক্তিহীনতায় ভোগেন এবং অভ্যাস পরিবর্তন করতে চান। আবার তারা প্রায়শঃ এ সকল কঠিন চিন্তা থেকে মুক্ত হবার উদ্দেশ্যে পুনরায় যৌনাচারে লিপ্ত হয়ে পড়েন। বিষয়টি অনেকটা জালের মত তাদের পেঁচিয়ে ধরে।
যৌন আসক্তির রূপ/আচরণসমুহ :
– অতিরিক্ত হারে পর্নো ভিডিও দেখা
– বাধ্যগত হস্তমৈথুন করা
– বিলসন কাম (অঙ্গের অশোভনীয় অনাবৃত অবস্থা)
– ঝুঁকিপূর্ণ যৌনমিলন
– ফোন সেক্স
– পতিতাবৃত্তি
– নেট সেক্স
– অনেক জনের সাথে সম্পর্ক করা
– বেনামী যৌন সম্মুখীন হত্তয়া
– যৌন হয়রানী করা
– খুব বেশী ব্যক্তিগত বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ডেটিং।যৌন আসক্তির পরিসংখ্যান :
যৌন আসক্তদের মাঝে পরিচালিত এক জরিপে প্রাপ্ত তথ্য মতে তাদের পরিসংখ্যান হলো :
– ৭০% আসক্ত ব্যক্তি কঠিন সাংসারিক সমস্যায় পতিত হন।
– ৪০% তাদের সঙ্গীর সাথে সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটান।
– ২৭% তাদের চাকুরী হারিয়েছেন।
– ৪০% অনাকাঙ্খিত গর্ভধারণ/গর্ভপাতের অভিজ্ঞতা প্রাপ্ত হয়েছেন।
– ৭২% আত্মহত্যার প্ররোচক মানসিক বিষন্নতায় ভুগছেন।
– ১৭% একাধিকবার অত্মহননের চেষ্টা করেছেন।
– ৬৮% এসটিডি তথা কোন না কোন যৌনবাহীত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।যৌন আসক্তির ভয়াবহতার একটি প্রথমিক ধারণা নিশ্চয় এই লেখায় পেয়েছেন। একজন ধূমপায়ী ব্যক্তি যত সহজে গাঁজা কিংবা হিরোইনে আসক্ত হতে পারে – অধূমপায়ী ততটা সহজে অন্য মাদকে আসক্ত হয়না। ঠিক তেমনি যারা হস্তমৈথুন কিংবা পর্নো ছবি দেখেন তারা সহজে যৌন পাপাচারে লিপ্ত হয়ে যেতে পারেন – সেটা অন্যদের ক্ষেত্রে ততটা প্রকটতা পায়না।
হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা :
আসক্ত ব্যক্তির শারীরিক এবং মানসিক সবগুলি লক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে উপযুক্ত ট্রিটমেন্ট দিলে অল্প কিছু দিনের মধ্যেই স্বাভাবিক হয়ে যায়। এক্ষেত্রে হোমিও চিকিৎসা অনেক ভালো ফলাফল দিতে পারে।
- 573 views
- 1 answers
- 0 votes
নারীদের প্রস্রাবে প্রদাহ হলে কার্যকর এবং পূর্ণরূপে নিরাময়যোগ্য চিকিত্সা রয়েছে। তার আগে আসুন সমস্যাটার কারণ এবং লক্ষণ সম্পর্কে কিছুটা জেনে নেই।
কারণ :
দেখা গেছে, অপরিচ্ছন্নতা, দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকা, পায়ুনালী, ঘন ঘন কৃমি কর্তৃক সংক্রমণ, সহবাসের কারণে মূত্রনালীতে জীবাণু প্রবেশ করতে পারে। পায়ুনালী থেকে ই-কোলাই নামক জীবাণু কর্তৃক শতকরা ৭০-৮০ ভাগ প্রস্রাবের প্রদাহ হয়ে থাকে। অন্যান্য জীবাণুর মধ্যে প্রোটিয়াস, কেবসিয়েলা ও সিওডোমনাসের নাম উল্লেখযোগ্য। সম্প্রতি স্টেফাইলোকক্সাস স্কোরোফাইটিকাস নামক জীবাণু মেয়েদের ১৫ থেকে ৩০ ভাগ প্রস্রাবের কারণ।
লক্ষণ :
মূত্রথলির প্রদাহের উপসর্গ হচ্ছে, বারবার প্রস্রাবের বেগ হওয়া, প্রস্রাব করার সময় জ্বালা অনুভূত হওয়া, মাঝে মধ্যে তলপেটে ব্যথা হওয়া, কখনো কখনো পরিমাণে কমে গিয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় প্রস্রাব হওয়া। এ অবস্থা সৃষ্টি হলে প্রস্রাবের রঙ ধোয়াটে ও দুর্গন্ধযুক্ত হতে পারে। তবে একটি ব্যাপার খুবই লক্ষণীয়, তা হলো প্রস্রাব করে আসার পরপরই আবার প্রস্রাবের বেগ অনুভব করা।
এই প্রদাহ ক্রমেই কিডনিকেও আক্রান্ত করতে পারে। এ অবস্থায় নাভির দু’দিক থেকে পেছন পর্যন্ত ব্যথা ছড়াতে পারে। কেঁপে কেঁপে জ্বর আসতে পারে। প্রস্রাবের রঙ রক্তবর্ণও হতে পারে। খাওয়ায় অরুচি, মাথা ঘোরানো, বমি বমি ভাব, সমস্ত শরীর ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে।
চিকিৎসা :
নারীদের প্রস্রাবে প্রদাহ, জরায়ু সংক্রান্ত ব্যাধি এবং অন্যান্য স্ত্রীরোগসমূহের আধুনিক, সফল এবং সর্বাধিক কার্যকরী চিকিত্সা রয়েছে হোমিওপ্যাথিতে যার কারণে কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই লাখ লাখ নারীরা কষ্টকর ব্যাধিসমূহ থেকে মুক্তি পেয়ে স্বাভাবিক এবং স্বাস্থ্যময় জীবন লাভ করে আসছেন যুগ যুগ ধরে। স্ত্রীরোগসমূহকে পরিপূর্ণ আরোগ্য করার সফলতায় এখন পর্যন্ত হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা বিজ্ঞানই সবচাইতে এগিয়ে। যেখানে অন্যান্য চিকিত্সা পদ্ধতি নানা প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সমস্যা নিয়ে নিজেরাই চিন্তিত সেখানে প্রয়োজনবোধে দরকারী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথরা চিকিত্সা দিয়ে কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই রোগিনীদের পূরিপূর্ণ সুস্থ করে তুলছেন।
- 1159 views
- 1 answers
- 0 votes
যা যা করনীয় :
– পরিমিত ঘুমানোর অভ্যাস। অন্তত সাত-আট ঘণ্টা ঘুমাতে হবে।
– ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় এমন ওষুধ পরিহার করতে হবে।
– পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশুদ্ধ পানি পান করুন। তবে রাতে ঘুমানোর আগে বেশি পানি খাওয়া অনুচিত।
– চোখ কচলানো একেবারে বাদ দিন। চোখে ঠান্ডা সেক দিতে পারেন।
– মাথার নিচে অতিরিক্ত বালিশ ব্যবহার করতে পারেন। এটি অনেক সময় চোখের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে।
– প্রচুর সবুজ মৌসুমি শাকসবজি আর ফলমূল খান।
– ধূমপান থেকে বিরত থাকুন।
– দুশ্চিন্তা আর মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন।
– রোদে বাইরে বের হলে রোদ চশমা ব্যবহার করতে পারেন।এছাড়া ঘরে বসে সহজেই আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে চোখের নিচের কালি দূর করতে পারেন। এর জন্য যা যা করবেন :
– পাতলা করে কাটা শসা চোখে দিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট চোখ বন্ধ রাখুন।
– ব্যবহূত টি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে সকালে ১০ থেকে ১৫ মিনিট চোখে রাখুন।
– পাতলা করে কাটা আলুর টুকরা ফ্রিজে রেখে চোখে রাখুন।
– আলু ও শসা সমপরিমাণে মিশিয়ে চোখের চারপাশে ক্রিম হিসেবে লাগাতে পারেন।
– টমেটোর রস অনেক ক্ষেত্রে উপকারী।কখন চিকিৎসককে দেখানো জরুরি :
চোখের কালো দাগ এবং ফোলা যদি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে এবং দৃষ্টিতে ব্যাঘাত ঘটে। এক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে। অযথা বাজারের বাহারি ক্রিমে আকৃষ্ট হবেন না। এতে উল্টো হিতে বিপরীত হতে পারে।
- 609 views
- 1 answers
- 0 votes
প্রতিদিন একটি করে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তবে অনেকের ধারণা যারা একটু ফ্যাটি ধরনের তাদের ডিম খাওয়া একেবারে হারাম। কারণ ডিমের ফ্যাট অংশ তাদের স্বাস্থ্যকে অস্বাভাবিক করে তুলতে পারে। কিন্তু এটা একেবারেই ভুল ধারণা। কেননা মানব শরীরে প্রতিদিন কিছু প্রোটিনের চাহিদা থাকে যা ডিম পূরণ করতে পারে। এক্ষেত্রে শোটা ব্যক্তিদের যা করতে হবে তা হল ডিম খাওয়ার পাশাপাশি শারীরিক ব্যায়ামের চর্চাটি চালিয়ে যেতে হবে। তবে যারা একটু কম স্বাস্থ্যের অধিকারীরা দিনে ২ টা করেও ডিম খেতে পারেন।
- 970 views
- 1 answers
- 0 votes
মানুষের সৌন্দর্যের অলংকার তার চুল। তাই চুল ঝরে পড়তে থাকলে যে কেউ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। অতিরিক্ত চুল পড়তে থাকলে বা মাথা টাক হতে শুরু করলে আতংকিত হয়ে পড়াটাই স্বাভাবিক। টাক মাথা কেই বা পছন্দ করে? কিন্তু জানেন কি, প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে চুল পড়ে যাওয়াটা শরীরের স্বাভাবিক একটা প্রক্রিয়া? দেহের প্রতিটি কোষের মতো চুলেরও রয়েছে নির্দিষ্ট আয়ু। একটি চুলের আয়ু সাধারণত দুই থেকে ছয় বছর পর্যন্ত হয়। তারপর এটা নিজে থেকেই ঝরে যায়। তাই প্রতিদিন অন্তত ১০০টি চুল পড়ে যাওয়া স্বাভাবিক।
চিকিৎসা :
অতিরিক্ত চুল পড়লে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন। অতিরিক্ত চুল পড়ারও রয়েছে চিকিত্সা। তবে এসব চিকিত্সায় কিছুটা উন্নতি হলেও চুল একেবারে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয় না। নিয়মিত ওষুধ সেবন করে বা মিনস্কিডিল ব্যবহার করে উপকার পাওয়া যায়। আজকাল চুল প্রতিস্থাপন করা যায়, তবে তা বেশ ব্যয়বহুল।
চুল পড়া প্রতিরোধে :
প্রকৃতিগতভাবে চুল পড়াকে প্রতিরোধ করা সব সময় সম্ভব নয়। তবে চুলের নিয়মিত যত্ন নিলে চুল পড়ার হার অনেকাংশেই কমিয়ে আনা সম্ভব। করতে পারেন এই কাজগুলো –
খেতে হবে সঠিক খাবার :
চুল পড়া প্রতিরোধের প্রথম ধাপ হলো সঠিক খাবার গ্রহণ। আপনার শরীর যদি সঠিক পুষ্টি না পায় তাহলে চুলও হবে দুর্বল ও ভঙ্গুর, যার ফলে চুল যাবে ঝরে। খাদ্যতালিকায় রাখুন ভিটামিন ই ও আয়রন যুক্ত খাবার। আয়রন মাথার ত্বকে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং ভিটামিন ই রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে ও চুলের গোড়া মজবুত করে। ভেজিটেবল প্রোটিনও চুলের জন্য দরকারি, কারণ এতে আছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা চুল পড়া রোধে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। তাই নিয়মিত মাছ এবং প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খান। ভিটামিন সি একই ভাবে কাজ করে। এছাড়া খান ভিটামিন বি৬ ও জিংক সমৃদ্ধ খাবার। এ দুটোর অভাবে চুল সহজেই খুশকি দ্বারা আক্রান্ত হয়, যা চুল পড়ার অন্যতম কারণ।
পানিতেই চুলের যত্ন :
অস্বাস্থ্যকর খাবার ও দূষণ শরীরের ভেতর যে টক্সিন তৈরি করে তা চুল ও ত্বক উভয়েই জন্যেই ক্ষতি বয়ে আনে। পানি শরীরের ভেতরটা ধুয়ে-মুছে এসব ক্ষতিকর জিনিস শরীর থেকে বর্জ্য আকারে বের করে দেয়। যা চুলের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকে, যা চুলকেও সতেজ ও মজবুত রাখে।
করুন চুলের মাসাজ :
প্রতিদিন কমপক্ষে ১০-১৫ মিনিট চুলের মাসাজ করলে মাথার ত্বকে রক্ত সরবরাহ বৃদ্ধি পায়। যার ফলে চুল পড়া রোধ এবং নতুন চুল গজানোর সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। অলিভ অয়েল অথবা এলমন্ড অয়েল দিয়ে চুলে মাসাজ করলে চুল পড়া রোধ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে খুশকি দূর হবে এবং চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও ঝলমলে হয়ে উঠবে।
চুলের যত্নে ভেষজ :
অ্যালোভেরার গুণের কথা কে না জানে! অ্যালোভেরার নির্যাস মাথার ত্বকে প্রয়োগ করুন। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে চুল পড়া প্রতিরোধ করে। চুল পড়া রোধে মেহেদি সবচেয়ে বহুল ব্যবহৃত একটা ভেষজ। এটি চুলকে করে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও মজবুত। মেথিও চুল পড়া রোধে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এছাড়া মাঝে মাঝে চুলে ডিম, ভিটামিন ই ক্যাপসুল মাখলেও উপকার পাওয়া যায়।
নিয়মিত চুল পরিষ্কার :
চুল সুস্থ ও মজবুত রাখতে চাইলে নিয়মিত চুল পরিষ্কার খুবই জরুরি। তাই নিয়মিত চুল পরিষ্কার করুন। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন চুলে শ্যাম্পু করুন। তবে অবশ্যই চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু করবেন। নতুবা এই ভুল শ্যাম্পুর ব্যবহারই আপনার চুল পড়ার কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
চুল আঁচড়ান প্রতিদিন :
দিনে অন্তত ২-৩ বার চুল আঁচড়ান। বিশেষ করে রাতে ঘুমুতে যাবার আগে চুল আঁচড়ান। এতে মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পেয়ে চুলের গোড়া মজবুত হয়। চুল জোরে না আঁচড়িয়ে বরং আস্তে আঁচড়ান। ভেজা চুল বেশি আঁচড়াবেন না। চুল নরম থাকতে ঠিক করে ফেলুন। চুল আঁচড়াতে ব্রাশের পরিবর্তে দাঁতওয়ালা চিরুনি ব্যবহার করা বেশি ভালো। চুল কখনোই টেনে, শক্ত করে বাঁধবেন না। এতে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে পড়ে।
- 700 views
- 1 answers
- 0 votes
আপনাদের সম্পর্কের মধ্যেই সমস্যা রয়েছে বোধকরি। দুজনেই রোমান্টিক থাকুন সবসময়। হেসে-খেলে কথা বলতে শিখুন। পরিপূর্ন চাহিদা তৈরি করে বিছানায় যাবেন। ঘনঘন বিছানায় যাবেন না। সঙ্গীনিকে প্রচুর উত্তেজিত করে সহবাস করবেন। প্রয়েজনে বাজারে কিছু ঔষুধ পাওয়া যায়, খেয়ে দেখতে পারেন। SASTON নামে একটা ঔষুধ স্থানভেদে দাম কম-বেশি হতে পারে, খেয়ে সহবাস করে দেখতে পারেন। আশাকরি ভালো ফল পাবেন।
- 811 views
- 1 answers
- 0 votes
শিতকালে আদ্রতা বেশি হয় তাই। বেশি বেশি ঠোট এর যত্ন নিতে হবে। লিপজেল ব্যাবহার করতে হবে ভাল মানের।
- 1263 views
- 1 answers
- 0 votes