14182
Points
Questions
3
Answers
7076
বিভিন্ন কারণে বাম পাজরে ব্যথা হতে পারে, গ্যাসের কারণে, হার্টের সমস্যার কারণে, ব্যথা পাওয়া থেকে ইত্যাদি। সবচেয়ে ভালো হয় দেরি না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া। তাকে বিষয়টি খুলে বলুন এবং সুচিকিৎসা নিন।
- 933 views
- 1 answers
- 0 votes
মাসিকের সময়ে শারীরিক মিলন করলে গর্ভধারনের সম্ভাবনা থাকে না, তবে এই সময়ে শারীরিক মিলন থেকে বিরত থাকাই ভালো। বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে জানা যায় মাসিক হওয়ার ৭ দিন আগে ও পরের সময়ে শারীরিক মিলন করলে গর্ভ ধারণের সম্ভাবনা কম থাকে এবং এর মাঝামাঝি সময়গুলোতে গর্ভ ধারণের সমূহ সম্ভাবনা থাকে।
- 939 views
- 2 answers
- 0 votes
যাদের হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমা রয়েছে তাদের পুরো বছরই বেশ সচেতন থাকতে হয়। ধুলোবালি এবং অন্যান্য জিনিস যা অ্যাজমার প্রকোপ বাড়ায় সেগুলো থেকে দূরে থাকলে হাঁপানি রোগীরা বেশ সুস্থই থাকেন। কিন্তু শীতের শুরুর দিকে বিশেষ সর্তকতার প্রয়োজন পড়ে। কারণ। এই সময়ে আবহাওয়া বেশ শুষ্ক হয়ে যায় এবং ধুলোবালি বেশি হয়। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক শীতের শুরুতে হাঁপানি প্রতিরোধে করতে যে কাজগুলো করা জরুরী।
১) ঘরোয়া জীবাণু মাইট কমানোর চেষ্টা করুন। নিয়মিত কাপড় চোপড় ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিন। এখনই রোদে কাঁথা কম্বল, লেপ, তোষক দিয়ে নিন। এবং সপ্তাহে অন্তত একবার বিছানার চাদর, বালিশের কাভারও রোদে দিন।
২) শোয়ার সময় বালিশ ঢেকে রাখুন পরিষ্কার নরম কাপড় দিয়ে।
৩) ঘরের কার্পেট, ম্যাট সরিয়ে ফেলুন। নতুবা এগুলোতে ধুলো আটকে থাকবে।
৪) ঘন ঘন হালকা গরম পানি বা স্বাভাবিক পানি পান করুন। এতে শ্বাসনালীতে তৈরি হওয়া কফ পাতলা থাকবে। এতে করে কাশি কমবে, শ্বাসকষ্ট কমবে।
৫) সম্ভব হলে পুরো ঘর সপ্তাহে অন্তত ১ বার ভ্যাক্যুয়াম ক্লিন করুন।
৬) দরজা জানালার পর্দা, মশারি এগুলোও নিয়মিত ধোবেন এবং কড়া রোদে শুকিয়ে নেবেন।
৭) এলার্জি স্কিন টেস্টের মাধ্যমে জেনে নিন কোন কোন কারণে আপনার দেহে অ্যালার্জেন ঘটে এবং সেসকল জিনিস থেকে দূরে থাকুন।
৮) বাইরে চলাচলের সময় মাস্ক ব্যবহার করুন।
৯) নিজে সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকুন। এবং বাড়িঘরের অ্যালার্জেন ও হাঁপানির প্রকোপ বাড়ায় এমন জিনিস দূর করুন। ঘর দোরের ধুলো-বালি ঝেড়ে মুছে পরিস্কার রাখুন।
১০) চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ঔষধ খান।
- 516 views
- 1 answers
- 0 votes
কৈশোর থেকে যখন কোনো মেয়ে নারীত্বে পদার্পণ করে তখন কিছু শারীরিক-মানসিক পরিবর্তন ঘটতে থাকে। আর এর পেছনে রয়েছে পিটুইটারি গ্রন্থি। এ গ্রন্থি থেকে নিঃসৃত রস অন্যান্য গ্রন্থিগুলোকে সক্রিয় ও নিয়ন্ত্রিত করে। তাই কৈশোরের শেষে পিটুইটারির পরিচালনায় থাইরয়েড, ওভারি গ্রন্থিগুলোর কার্যকলাপ শুরু হয়। ওভারির অপরিণত ডিম্বকোষগুলো এ সময় পরিণত হয়ে ওঠে এবং তারা ইসট্রোজেন নামে এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত করে। এ হরমোনের প্রভাবে মেয়েদের মধ্যে নারীসুলভ লাবণ্য লক্ষণীয় হয়ে ওঠে এবং মেয়েদের যৌন অঙ্গাদি ঠিকভাবে গঠিত হয়।
যৌবনের শুরুতে পিটুইটারির নিয়ন্ত্রণে মাসে একবার করে একটি পরিণত ডিম্বকোষ ওভারি থেকে বেরিয়ে পড়ে। এটি ঘটে ঋতুচক্রের ১০/১৫ দিনের মধ্যে। অতঃপর গর্ভনালী বেয়ে ডিম্বকোষটি চলে যায় জরায়ুতে।
ডিম্বকোষটি বেরিয়ে যাওয়ায় ওভারিতে সৃষ্টি হয় একটি হলুদ রঙের তরল পদার্থ। এ থেকেই ‘প্রজেসটেরোন’ নামে এক প্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়ে জরায়ুর বৃদ্ধি ও নিয়মিত মাসিকের সূত্রপাত ঘটায়।
জরায়ুর ভেতরের গায়ে শ্লেষ্মা ঝিল্লির আবরণে ‘ইসট্রোজেন’ ও ‘প্রজেসটেরোনের’ সম্মিলিত ক্রিয়া শুরু হয়। সেই ঝিল্লির বিবর্তনের ফল ঋতুস্রাব। ইসট্রোজেন ও প্রজেসটেরোনের প্রভাবেই ২৮ দিন অন্তর চক্রাকারে পরিবর্তনের ফলে হয় নিয়মিত মাসিক ঋতুস্রাব।
তবে সন্তান সম্ভবা মেয়েদের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম ঘটে। যৌন মিলনের পর পুরুষের শুক্রাণু ডিম্বকোষটির সঙ্গে মিলিত হলে ডিম্বকোষের সে অবস্থাকে বলা হয় ‘উর্বর ডিম্ব’। সাধারণত শুক্রকীট ও ডিম্বের মিলন ঘটে ফেলোপিয়ান টিউবের মধ্যে এবং সেখান থেকে উর্বর ডিম্বটি চলে যায় জরায়ুতে এবং ২৮০ দিন থাকার পর সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। এ সময়ের মধ্যে ডিম্বাশয়ে আর ডিম্ব প্রস্ত্তত হয় না। ফলে ঋতুস্রাব বন্ধ থাকে এবং সন্তান সৃষ্টির কাজ চলতে থাকে।
- 557 views
- 1 answers
- 0 votes
তরুণ প্রজন্ম বর্তমানে পর্ণগ্রাফি আসক্তির ভয়াল নেশায় মত্ত হয়ে আছে। টিন এজার থেকে শুরু করে অনেক মধ্য বয়সী পুরুষও পর্ণগ্রাফি আসক্তিতে ভুগছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা তাদের গবেষণায় পর্ণগ্রাফি আসক্তিকে তেমন ক্ষতিকর নয় ব্যাখ্যা দিলেও এর আছে দীর্ঘমেয়াদি বিরূপ প্রভাব। নিয়মিত পর্ণ ছবি দেখার মাধ্যমে নিজের অজান্তেই নিজের ক্ষতির করে ফেলছেন অসংখ্য পুরুষ। আসুন জেনে নেয়া যাক পর্ণ আসক্তির কারণে যে ৭টি ক্ষতি হতে পারে আপনার।
নারীরা ঘৃনার চোখে দেখে
পর্ণ আসক্ত পুরুষদেরকে সাধারণ রুচিশীল নারীরা হীনমন্য ও চরিত্রহীন মনে করে। নারীরা যখন জানতে পারে যে তার পরিচিত কোনো পুরুষ নিয়মিত পর্ণ ছবি দেখে তখন তার সম্পর্কে খারাপ মনোভাব জন্ম নেয় এবং তাঁকে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে। বিশেষ করে আমাদের সমাজের নারীরা তো অবশ্যই।
রুচি বোধের অবনতি হয়
নিয়মিত পর্ণ ছবি দেখতে দেখতে পুরুষদের রূচিবোধের অধঃপতন হয়। পর্ণ সিনেমার অনৈতিক ও যৌনতা নির্ভর বিকৃত সম্পর্ক গুলোকেই তখন ভালো লাগতে শুরু করে। ফলে যারা নিয়মিত পর্ণ সিনেমা দেখে তাদের রুচি বিকৃত হয়ে যায়। জীবনের স্বাভাবিক সম্পর্ক গুলোতেও নিজের অজান্তে বিকৃতি খোঁজে তাদের চোখ।
ফ্যান্টাসির দুনিয়া
নিয়মিত পর্ণ ছবি দেখতে দেখতে বাস্তব জগৎ ছেড়ে পুরুষরা ফ্যান্টাসি দুনিয়াতে চলে যায়। অর্থাৎ বাস্তব জীবনেও তাঁরা পর্ণ সিনেমার মত সঙ্গী আশা করে এবং তাঁরা স্বপ্ন দেখে তাদের যৌন জীবনটাও পর্ণ সিনেমার মতই হবে। তাই ফ্যান্টাসি দুনিয়ার স্বপ্নে বিভোর হয়ে তাঁরা বাস্তব জীবনের সুখ শান্তি হারায়। সাধারণ নারীদেরকে তখন আর তাদের যথেষ্ট মনে হয় না।
মূলত নিঃসঙ্গ/ অসুখী হয়ে পড়ে
অতিরিক্ত পর্ণ নেশার কারণে সাধারন নারীদের প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসে পর্ণ আসক্তদের। তাঁরা পর্ণ সিনেমার নায়িকাদের মত আকর্ষনীয় দেহ ও চেহারার নারী খোঁজে বাস্তব জীবনে। কিন্তু পর্ণ সিনেমার নায়িকাদের সৌন্দর্য মূলত কৃত্রিম সৌন্দর্য, তাদের আচরণও কৃত্রিম। মেকআপ, লাইট ও ক্যামেরার কারসাজিতে তাদেরকে মোহনীয় ভাবে দেখানো হয় যা বাস্তব জীবনে খুঁজে পাওয়া সম্ভব না। তাই পর্ণ আসক্তরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই নিঃসঙ্গ থেকে যায় অথবা সংসারে অসুখী হয়।
শারীরিক ক্ষতি
নিয়মিত পর্ণ ছবি যারা দেখে তাদের মধ্যে হস্ত মৈথুনের অভ্যাসটাও বেশি থাকে। অতিরিক্ত হস্ত মৈথুন করার ফলে তাদের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি বাড়ে এবং যৌন জীবনে নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়।
ভয়াল নেশা
পর্ন সিনেমার নেশা মাদকের নেশার মতই ভয়ংকর। মাদকাশক্তি থেকে মুক্তি পাওয়া যেমন কষ্টসাধ্য, পর্ণ আসক্তি থেকে মুক্তি পাওয়াও দূরহ ব্যাপার। পর্ণ আসক্তির কারণে পরিবারের সাথে সম্পর্ক খারাপ হয়, পড়াশোনায় ক্ষতি হয় এমনকি নিজের মধ্যেও হীনমন্যতার সৃষ্টি হয়।
সামাজিক ভাবে হেয় হতে হয়
পর্ণ আসক্তদের মোবাইলে, কম্পিউটারে, পেন ড্রাইভে সব খানেই পর্ণ ছবি থাকে অধিকাংশ সময়। অনেক সময় এসব অনৈতিক বিষয় গুলো পরিবারের কাছে ধরা পড়ে যায়। ফলে পরিবারের কাছে হেয় হতে হয় পর্ণ আসক্তদেরকে। এছাড়াও সমাজের মানুষজন, বন্ধুবান্ধব বিষয়টি জেনে গেলে তাদের কাছেও হেয় হতে হয় তাদেরকে।
- 731 views
- 1 answers
- 0 votes
সহজলভ্য কিছু পরামর্শের মাধ্যমে ঘরে বসে চুল পড়া রোধ করা যায়। ১. হালকা গরম তেল ব্যবহার। যে কোন প্রাকৃতিক তেল যেমন-জলপাই, নারিকেল তেল, কেনোলা তেল (বীজ জাতীয় উপাদান দিয়ে তৈরি) হালকা গরম করে নিন। এরপর তেলের সঙ্গে হালকা পানি মিশিয়ে তালুতে ধীরে ধীরে মেসেজ করুন। একঘণ্টা মাথায় রেখে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। ২. প্রাকৃতিক রস ব্যবহার। চুল পড়া রোধে রসুনের রস, পেয়াজ বা আদার রস মাথার তালুতে মাখুন। রাত্রে তা মাথায় দিয়ে ঘুমিয়ে থাকুন। সকালে ভালভাবে পরিষ্কার করে ফেলুন। ৩. মাথা মেসেজ করা। প্রতিদিন ২ থেকে ৩ মিনিট মাথার তালু মেসেজ করলে তা চুলের ফলিকল সক্রিয় রাখে। এর সঙ্গে ল্যাভেন্ডার বা বাদাম জাতীয় তেল মেখে মাথায় দিলে তালুর ফলিকলের সক্রিয়তা বাড়ে। ৪. এন্টিঅক্সিডেন্টের ব্যবহার। মাথার তালুতে হালকা সবুজ চা প্রয়োগ করে একঘণ্টা পর্যন্ত রাখুন। তারপর পানি দিয়ে চুল কিছুক্ষণ কচলান। সবুজ চাতে প্রচুর এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। ৫. নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করুন। মাথার চুল পড়ার মুল কারণ মানসিক চাপ ও দুচিন্তা। যোগব্যয়াম তা দুর করতে পারে এবং হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে।
- 775 views
- 1 answers
- 0 votes
ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা নিশ্চয়ই খুবই বাজে ব্যাপার ও বিব্রতকর। যিনি নাক ডাকেন, তাঁর জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণও হতে পারে। আর অবশ্যই পাশের মানুষটির জন্য এটি বিরক্তির উদ্রেক করে। সাধারণ কতগুলো নিয়ম মেনে চললে নাক ডাকার এই সমস্যা থেকে মুক্তি মিলতে পারে। নাক ডাকা নিয়ে দারুণ অস্বস্তিকর অবস্থায় আছেন? তাহলে আজ জেনে নিন ১০টি বৈজ্ঞানিক ও স্বাস্থ্যকর পদ্ধতি, যেগুলো নিঃসন্দেহে আপনার নাক ডাকা সমস্যার সমাধান করবে।
১) কাত হয়ে ঘুমানো
চিত হয়ে ঘুমালে গলার পেশি থাকে শিথিল। ফলে নাক ডাকার আশঙ্কা থাকে বেশি। তাই যাদের নাক ডাকার সমস্যা আছে তারা কাত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করে দেখতে পারেন।
২) ওজন কমানো
যাদের ওজন বেশি, শরীরের আকার স্থূল। তাঁরা স্থূলতার কারণে নাক ডাকতে পারেন। বেশি ওজনের কারণে গলার পথ সরু হয়ে যায়। ফলে শ্বাস নেয়ার সময় টিস্যুগুলোর ঘর্ষণে শ্বাস নেয়ার সময় শব্দ হয়। তাই ওজন কমানোর চেষ্টা করা উচিত।
৩) নেশাজাতীয় দ্রব্য ও ঘুমের ওষুধ পরিহার
অ্যালকোহল বা নেশা জাতীয় দ্রব্য মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলার সাথে সাথে অন্যান্য শারিরীক সমস্যার সৃষ্টি করে। অ্যালকোহল বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনের কারণে অনেকে নাক ডাকেন। তাই নেশা জাতীয় দ্রব্য পরিহার করা উচিত।
৪) বেশি বালিশ নেওয়া
বুকের চেয়ে মাথা উপরে থাকলে নাক ডাকার আশঙ্কা অনেকটা কমে যায়। তাই মাথার নিচে কয়েকটি দিয়েও নাক ডাকা কমানো যেতে পারে।
৫) ধূমপান ছেড়ে দেওয়া
ধূমপানে শরীরের অক্সিজেন ব্যবহারের ক্ষমতা কমে যায়। ফলে বাতাস বের হওয়ার পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ কারণেও অনেকে নাক ডাকতে পারেন। তাই উচিত ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করা।
৬) নির্দিষ্ট সময়ে ঘুম
শরীরের ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার অনেক কিছুই অভ্যাস নিয়ন্ত্রিত। তাই নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা উচিত। ফলে ঘুমের সাথে শরীরের একধরনের সামঞ্জস্য তৈরি হয়। আর অভ্যাসেরও পরিবর্তন হয়। এতে কমে যেতে পারে আপনার নাক ডাকার প্রবনতা।
৭) শরীরচর্চা
শরীরচর্চা পেশি, রক্তের চলাচল ও হৃৎপিণ্ডের স্পন্দন বাড়ায় এবং ঘুমও ভালো হয়। এ কারণে নাক ডাকা কমাতে হলে প্রতিদিন ৩০ মিনিট শরীরচর্চার অভ্যাস করা জরুরি।
৮) প্রচুর পানি পান করা
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করলে নাসারন্ধ্রে লেগে থাকা আঠার মতো দ্রব্যগুলো দূর হবে। নাক ডাকাও কমবে।
৯) নাসারন্ধ্রের পথ পরিষ্কার রাখা
নাসারন্ধ্র পরিষ্কার রাখাটা খুবই জরুরি। এতে একজন ব্যক্তি সহজভাবে নিঃশ্বাস নিতে পারেন। এ কারণে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে নাক পরিষ্কার করতে হবে। এমনকি এ ক্ষেত্রে ইনহেলারও ব্যবহার করা যেতে পারে।
১০) ঘুমাতে যাওয়ার দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া
ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত দুই ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া উচিত। এতে করে জেগে থাকা অবস্থায়ই খাবার হজম হয়ে যাবে। পরিপাক তন্ত্র ঝামেলা করবে না। ফলে রাতে ভালো ঘুম হবে। নাক ডাকাও কমবে।
এতোসব করেও যদি আপনার নাক ডাকার প্রকোপ কোন মতেই না কমাতে পারেন। তবে অবশ্যই একজন চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন। দূর করে নিন স্বাস্থ্যঝুঁকি।
এছাড়া দেখুন :
বন্ধ করুন নাক ডাকা :
নাক ডাকা… এমন একটা সমস্যা যা কিনা ডেকে আনে রীতিমত দাম্পত্য কলহ। শুনতে যতই হাস্যকর হোক, অনেকেই এই সমস্যার ভুক্তভোগী। যিনি নাক ডাকেন সে নিজে টের না পেলেও তার সঙ্গীর ঘুম হারাম হয়ে যায়। তবে ব্যাপারটা আসলে এক রকমের শারীরিক সমস্যা। অতিরিক্ত নাক ডাকার পেছনে কিছু বৈজ্ঞানিক কারণ আছে। আছে নাক ডাকা সমস্যার সমাধানও। আর তাই নাক ডাকা সমস্যাটিকে অবহেলা না করে আসুন জেনে নেই কেন মানুষ নাক ডাকে এবং কিভাবে তা কমানো সম্ভব।
নাক ডাকার সমস্যা চিরতরে দূর করবে ২টি জাদুকরী পানীয় :
নাক ডাকার সমস্যা আপাত দৃষ্টিতে খুব বেশি ক্ষতিকর মনে না হলেও এটি আসলে বেশ খারাপ একটি সমস্যা। এটিকে হৃদরোগের লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এছাড়া এই নাক ডাকার সমস্যা যে বেশ বিরক্তিকর ও বিব্রতকর, তা নতুন করে বলে দিতে হয় না। যিনি নাক ডাকেন তিনি না বুঝলেও পাশে থাকা মানুষটির ঘুম হারাম হয়ে যায়।
নাক ডাকার কারণে আর অশান্তি নয় সংসারে :
স্বামী স্ত্রী একে অপরের নাক ডাকার কারণে সারারাত ঘুমোতে পারেন না –এটা নতুন কথা নয়। এ নিয়ে সংসারে হয় অশান্তি। পশ্চিমা বিশ্বে তো এ কারণে ডিভোর্স পর্যন্ত হয়ে থাকে। জেনে নিন নাক ডাকার কারণ ও প্রতিকার বিষয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
- 953 views
- 1 answers
- 0 votes
গর্ভকালীন বিপজ্জনক লক্ষণ :
– চোখের পাতা, জিভ, দাঁতের মাড়ি, হাতের তালু ফ্যাকাশে হয়ে গেলে৷ সব সময় ক্লান্তি অনুভব করলে এবং ঘনঘন শ্বাস নিলে বা শ্বাসকষ্ট।
– সন্তান প্রসবের আগে ব্যথাহীন বা ব্যথাসহ যে কোনও অতিরিক্ত রক্তস্রাব শুরু হওয়া।
– উচ্চ রক্তচাপ (১৪০/ঌ০ মিলিমিটার পারদ চাপের চেয়ে বেশি হওয়া)
– অতিরিক্ত মাথাব্যথা, চোখে ঝাপসা ও অস্পষ্ট দেখা।
– গোড়ালি, হাত, মুখ ফুলে যাওয়া ।
– শরীরে খিঁচুনি দেয়া অথবা অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
– জন্ডিসে চোখ হলদেটে হয়ে যাওয়া এবং প্রস্রাবের রং গাঢ় হলুদ বা লালচে হওয়া।
– মাত্রাতিরক্তি বমি।
– প্রচন্ড জ্বর (স্থায়ী জ্বর, ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে)-৩ দিনের বেশি হওয়া।
– তলপেটে প্রচন্ড ব্যথা।
– যোনিপথ দিয়ে কোন তরল পদার্থ বের হওয়া।
– নির্দিষ্ট তারিখের ৩ সপ্তাহ বা তারও আগে পানি ভেঙে যাওয়া (গর্ভকালের ৩৭ সপ্তাহের আগে)।
– প্রলম্বিত প্রসব (প্রসবকাল ১২ ঘন্টার বেশী)।
– বাধাপ্রাপ্ত প্রসব।
– বাচ্চার অস্বাভাবিক অবস্থান।
– প্রসবের সময় গর্ভস্থ বাচ্চার নাড়ী কিংবা হাত-পা বেরিয়ে যাওয়া
– যৌনিপথে ঘন সবুজ স্রাব।
– প্রসবের অনেকক্ষণ পরও গর্ভফুল না পড়া।
– প্রসবোত্তর অত্যাধিক রক্তস্রাব।প্রসবকালে :
* যৌনিপথ বা জরায়ুর মুখ ব্যাপকভাবে ছিঁড়ে যাওয়া
* জরায়ু ছিঁড়ে যাওয়া (ক্রমাগত প্রচণ্ড ব্যথা এবং অতিরিক্ত রক্তস্রাব)পরামর্শ
যদি কোনো মহিলার গর্ভকালীন অবস্থায় উপর্যুক্ত লক্ষণসমূহ দেখা দেয় তবে তাকে দ্রুত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বা হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এ কারণে সকল গর্ভবতী মায়ের জানা উচিত স্বাস্থ্য কেন্দ্রে বা হাসপাতাল কোথায় এবং কীভাবে যেতে হবে।
ঔষুধ সেবন ও ব্যবহারের ক্ষেত্রে রেজিষ্টার চিকিত্সকের পরামর্শ নিন৷
- 505 views
- 1 answers
- 0 votes
নতুন এক গবেষণায় প্রমাণ মিলেছে, জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি নারীদের যৌন অনুভূতির ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ব্রিটেন, স্কটল্যান্ড এবং চেক রিপাবলিকের এক যৌথ গবেষণায় বিজ্ঞানীরা এ নিয়ে গবেষণা করেছেন। গবেষণা প্রতিবেদনটি ‘সাইকোলজিক্যাল’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণা দলের প্রধান স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব স্টিরলিং এর গবেষক ক্রেইগ বরার্টস বলেন, দীর্ঘ দিন ধরে যে সকল নারী জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খেয়ে আসছেন, যৌনকর্মে তাদের তৃপ্তি ধীরে ধীরে নষ্ট হয়ে যায়। অন্যদিকে যারা কিছু সময় পর্যন্ত খেয়েছেন এবং খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন, তাদেরও যৌনতৃপ্তি অনেক বেশি থাকে। এর আগে এক গবেষণায় দেখা গেছে, যৌন মিলনের পর পুরুষরা তার সঙ্গিনীর জন্য জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়িকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকেন। এই বড়ি নিয়মিত সেবনের পর দেখা যায়, পুরুষ সঙ্গীর কাছে তিনি আগে যতোটা আকর্ষণীয় ছিলেন বেশ কিছু দিন জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি খাওয়ার পর আর ততোটা আকর্ষণীয় থাকেন না। নতুন গবেষণায় দেখা যায়, জন্মনিয়ন্ত্রণের এসব ওষুধ সেবনে জন্মনিরোধক হরমোনের নিঃস্বরণ ঘটে। ফলে তাদের দৈহিক সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায় এবং একইসঙ্গে যৌনতার প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসে। এর আগে ২০১১ সালের এক গবেষণায় বলা হয়, যে সকল নারীরা নিয়মিত এসব ওষুধ খান তারা যৌন সঙ্গী হিসেবে কম আকর্ষণীয় পুরুষকে বেছে নেন। কাজেই দীর্ঘ দিন ধরে যারা পিল খাচ্ছেন তারা ব্যাপকভাবে যৌনকর্মে অতৃপ্ততায় ভুগছেন, জানান রবার্টস।
- 657 views
- 1 answers
- 0 votes
কেন রক্তদান করবেন : ১। প্রথম এবং প্রধান কারণ, আপনার দানকৃত রক্ত একজন মানুষের জীবন বাঁচাবে। রক্তদানের জন্য এর থেকে বড় কারণ আর কি হতে পারে ! ২। হয়তো একদিন আপনার নিজের প্রয়োজনে/বিপদে অন্য কেউ এগিয়ে আসবে। ৩। নিয়মিত রক্তদানে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে বলে হৃদপিন্ড বিশেজ্ঞরা মনে করেন। ৪। স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে আপনি জানতে পারেন আপনার শরীর রক্ত প্রবাহিত মারাত্মক রোগ যেমন-হেপাটাইটিস-বি, এইডস, সিফিলিস, জন্ডিস ইত্যাদির জীবাণু বহন করছে কিনা। ৫। দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুন বেড়ে যায়। ৬। নিজের মাঝে এক ধরনের আত্মতৃপ্তি উপলব্ধি করতে পারবেন। “আমাদের ছোট পরিসরের এই জীবনে কিছু একটা করলাম” এই অনুভুতি আপনার মনে জাগ্রত হবে এই ব্যাপারে নিশ্চিত করছি। কাদের রক্তের প্রয়োজন হয় : ১. দূঘর্টনাজনিত রক্তক্ষরণ – দূঘর্টনায় আহত রোগীর জন্য দূঘর্টনার ধরণ অনুযায়ী রক্তের প্রয়োজন হয়। ২. দগ্ধতা – আগুন পুড়া বা এসিডে ঝলসানো রোগীর জন্য পাজমা/রক্তরস প্রয়োজন। এজন্য ৩-৪ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন। ৩. অ্যানিমিয়া – রক্তে R.B.C. এর পরিমাণ কমে গেলে রক্তে পযার্প্ত পরিমাণ হিমোগ্লোবিনের অভাবে অ্যানিমিয়া রোগ হয়। হিমোলাইটিক অ্যানিমিয়াতে R.B.C. এর ভাঙ্গন ঘটে ফলে রক্তের প্রয়োজন হয়। ৪. থ্যালাসেমিয়া – এক ধরনের হিমোগ্লোবিনের অভাবজনিত বংশগত রোগ। রোগীকে প্রতিমাসে/সপ্তাহে ১-২ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়। ৫. হৃদরোগ – ভয়াবহ Heart Surgery এবং Bypass Surgery এর জন্য প্রায়৬-১০ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন। ৬. হিমোফিলিয়া – এক ধরনের বংশগত রোগ। রক্তক্ষরণ হয় যা সহজে বন্ধ হয় না, তাই রোগীকে রক্ত জমাট বাধার উপাদান সমৃদ্ধ Platelete দেয়া হয়। ৭. প্রসবকালীন রক্তক্ষরণ – সাধারণত প্রয়োজন হয় না তবে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হলে ১-২ বা ততোধিক ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। ৮. ব্লাড ক্যান্সার- রক্তের উপাদানসূমহের অভাবে ক্যান্সার হয়। প্রয়োজন অনুসারে রক্ত দেয়া হয়। ৯. কিডনী ডায়ালাইসিস – ডায়ালাইসিস-এর সময় মাঝে মাঝে রক্তের প্রয়োজন হয়। ১০. রক্ত বমি – এ রোগে ১-২ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। ১১. ডেঙ্গু জ্বর – এ রোগে ৪ ব্যাগ রক্ত হতে ১ ব্যাগ Platelete পৃথক করে রোগীর শরীরে দেয়া হয়। ১২. অস্ত্রপচার – অস্ত্রপচারের ধরণ বুঝে রক্তের চাহিদা বিভিন্ন। কারা রক্ত দিতে পারবেন/রক্ত-দানের যোগ্যতা : • শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ নিরোগ ব্যক্তি রক্ত দিতে পারবেন • রক্ত দাতার বয়স ১৭ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে • শারীরিক ওজন মেয়েদের ক্ষেত্রেঃ ৪৫ কেজি এবং ছেলেদের ক্ষেত্রে ৪৭ কেজি, বা এর বেশি হতে হবে। উচ্চতা অনযায়ী ওজন ঠিক আছে কিনা অর্থ্যাৎ বডি মাস ইনডেক্স ঠিক আছে কিনা দেখে নিতে হবে। • রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ, ব্লাড প্রেসার এবং শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকতে হবে। • শ্বাস-প্রশ্বাসজনিত রোগ এ্যাজমা, হাপানি যাদের আছে তারা রক্ত দিতে পারবেন না। • মহিলাদের ক্ষেত্রে ৪ মাস অন্তর-অন্তর, পুরুষদের ক্ষেত্রে ৩ মাস অন্তর অন্তর রক্ত-দান করা যায়। • রক্তবাহিত জটিল রোগ যেমন-ম্যালেরিয়া, সিফিলিস , গনোরিয়া, হেপাটাইটিস , এইডস, চর্মরোগ , হৃদরোগ , ডায়াবেটিস , টাইফয়েড এবং বাতজ্বর না থাকলে। • মহিলাদের মধ্যে যারা গর্ভবতী নন এবং যাদের মাসিক চলছে না। • কোন বিশেষ ধরনের ঔষধ ব্যবহার না করলে। যেমন- এ্যান্টিবায়োটিক। • তিন মাসের মধ্যে যিনি কোথাও রক্ত দেননি। কিভাবে রক্ত-দান করতে হয় : রক্ত-দান করার জন্য ইচ্ছা শক্তি-ই যথেষ্ট। তবুও কিছু নিয়ম মানা উচিত। ১. আপনারা স্বেচ্ছায় রক্ত-দান করবেন, বিনিময়ে কোন টাকা নিবেননা। কারণ বিনিময়ে কোন টাকা চাওয়া হারাম। ২. রক্ত-দানের পূর্বে অবশ্যই রোগি দেখবেন এবং ডাক্তারের রিকোজিশান ফরম ছাড়া রক্ত-দান করবেন-না। ৩. রক্ত-দান করতে গেলে, কোন বন্ধুকে আপনার সাথে নিয়ে যাবেন। অর্থাৎ একা না যাবেন না। ৪. রক্তদানের উপযোগিতা যাচাই করার জন্য কতকগুলো পরীক্ষা করা জরুরি। যেমনঃ- হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, এইচআইভি (হিউমেন ইমিউনোডিফিসিয়েন্সি ভাইরাস) বা এইডস, ম্যালেরিয়া ও সিফিলিস। আপনি রক্ত-দান/রক্ত-গ্রহণের পূর্বে এই পরিক্ষাগুলোর রিপোর্ট অবশ্যই দেখবেন। ৫. রক্তদানের আগে প্রতিটি রক্তদাতাকে তার স্বাস্থ্য সম্পর্কিত কিছু ব্যক্তিগত ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের জিজ্ঞাসা করা হয়। সেগুলোর সঠিক উত্তর দিতে হবে। রক্তদাতার শারীরিক তাপমাত্রা, রক্তচাপ, নাড়ীর গতি পরীক্ষা করা হয় এবং রক্তদাতার রক্ত জীবানুমুক্ত কি না তা জানার জন্য সামান্য রক্ত নেয়া হয়। এছাড়া এই রক্তের মাধ্যমে রোগী রক্তদাতার রক্তের মধ্যে কোন জমাটবদ্ধতা সুষ্টি হয় কি না তাও পরীক্ষা করা হয় (ক্রসম্যাচিং)। এতে সময় লাগে প্রায় ৪০ মিনিট। রক্ত পরীক্ষার পর কারও রক্তে এইডস, হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস -সি, সিফিলিস বা অন্য কোন জীবানুর উপস্থিতি ধরা পরলে তাকে (রক্তদাতা) প্রয়োজেনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেয়া হয়।সূঁচের অনুভূতি পাওয়ার মাধ্যমে রক্তদান প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে সময় লাগে সবোর্চ্চ ১০ মিনিট। সব মিলিয়ে ১ ঘন্টার মধ্যে রক্ত-দান করে আসতে পারবেন। রক্তদানের উপকারিতা : ১. রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কারণ রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে আপনার শরীরের মধ্যে অবস্থিত ‘বোন ম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয়। রক্তদানের ২ সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকা জন্ম হয়ে এই ঘাটতি পূরণ করে। আর বছরে ৩-৪ বার রক্তদানকারীর শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে দেয়। ২. রক্তদানের মাধ্যমে নিজেকে সুস্থ রাখার স্পৃহা জন্মে। ৩. নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে বিনা খরচে জানা যায় নিজের শরীরে বড় কোনো রোগ আছে কিনা। যেমন : হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি। ৪.সম্প্রতি ইংল্যান্ডের এক গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানকারী জটিল বা দুরারোগ্য রোগ-ব্যাধি থেকে প্রায়ই মুক্ত থাকেন। ৫. নিয়মিত রক্তদানকারীর হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেক কম । ৬. মুমূর্ষু মানুষকে রক্তদান করে আপনি পাচ্ছেন মানসিক তৃপ্তি। কারণ, এত বড় দান যা আর কোনোভাবেই সম্ভব নয়। ৭. রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত পুণ্যের বা সওয়াবের কাজ। পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদার ৩২ নং আয়াতে আছে, ‘একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ।
- 817 views
- 1 answers
- 0 votes