14182
Points
Questions
3
Answers
7076
খতনাকে ইংরেজিতে বলে সারকামসিশন (circumcisions )। খতনা হচ্ছে লিঙ্গের অগ্রভাগের ত্বক কেটে বাদ দেয়া। এই ত্বক লিঙ্গমুণ্ডুকে ঢেকে রাখে। আপনি যে ধর্ম বা সংস্কৃতির মানুষ হোন না কেন, খতনা সম্পর্কে পূর্ণ তথ্য জানা থাকলে আপনার শিশুকে খতনা করাবেন কি না এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে সুবিধা হবে কিংবা দ্বিধা থাকবে না। মুসলমান ও ইহুদিরা যদিও ধর্মীয় কারণে খতনা করান। সত্যিকার অর্থে কুরান ও হাদীসের আলোকে এর যৌক্তিকতা কতটুকু? খাতনা সম্পর্কে পক্ষে বিপক্ষে ব্যপক মতামত পাওয়া যায়। আবার অনেকে মনে করেন, এটা আরবদের একটি সংস্কার। কোন স্পেশাল ধর্মের অংশ নয়। এ প্রথা ইসলাম, খৃষ্ট ও ইহুদি ধর্মে বিদ্যমান। এ ধর্ম তিনটি আরবদের থেকে প্রচারিত বিধায় প্রাচীন আরবদের একটি সংস্কার/প্রথা এসব ধর্মে ঢুকে গেছে।
স্বাস্থ্যগত কারণ :
খতনা করালে শিশুদের মূত্রপথের সংক্রমণ প্রতিরোধ হয়। এর ফলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, জ্বর, খাবারে অনীহা এবং স্বাস্থ্য ভালো না হওয়া ইত্যাদি সমস্যা লেগেই থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে খতনা করালে লিঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধ হয় ও যৌনবাহিত রোগের ঝুঁকি কমে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পুরুষের খতনা এইচআইভি বা এইডস প্রতিরোধে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখে। এটি আংশিক সুরক্ষা দেয়। লিঙ্গের মাথায় প্রদাহ, চুলকানি ও জ্বালাপোড়া করলেও খতনা করালে তা সেরে যায়।
এক সময় মানুষ হাজামের কাছে খতনা করত। সেটা খুবই ব্যথাপূর্ণ, ভীতিকর পদ্ধতি। এতে মারাত্মক ইনফেকশন ও জটিলতা দেখা দিতে পারে। বর্তমানে তাই বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অভিজ্ঞ সার্জন দ্বারা খতনা করানো প্রয়োজন।
শিশুদের খতনা করাতে দেরি করা ঠিক নয়। কারণ এতে লিঙ্গমুণ্ডুর ত্বকে জীবাণুর সংক্রমণ, মূত্রপথের সংক্রমণের হার বেড়ে যায়। সুতরাং দেরি না করে আপনার শিশুর খতনা করানোর দ্রুত সিদ্ধান্ত নিন। শিশুর বয়স কিছু বেশি হলে খতনা করাতে গেলে তার জন্য ভীতিকর ও কষ্টকর হয়ে পড়ে। অভিজ্ঞ চিকিৎসক দিয়ে খতনা না করালে ইনফেকশন, রক্তক্ষরণ, প্রস্রাব পথের ফিস্টুলা, সিস্ট, হাইগোমপেডিয়াসিম এমনকি ভবিষ্যতে পুরুষত্বহীনতা হতে পারে। এ ব্যাপারে সতর্ক থাকবেন
- 2705 views
- 1 answers
- 0 votes
ইমার্জেন্সি পিলে নরমাল পিলের মতোই হরমোন থাকে। তবে এতে হরমোনের পরিমাণ বেশি থাকে। এটি গর্ভ নিরোধক একটি ওষুধ। শারীরিক সম্পর্কের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রথম ডোজ ট্যাবলেট খেতে হয়। প্রথম ডোজ খাওয়ার ১২ ঘণ্টা পর দ্বিতীয় ডোজ খেতে হয়।
- 1019 views
- 1 answers
- 0 votes
উৎকন্ঠা বা Anxiety
সামাজিক উদ্বেগ
https://www.psychobd.com/search/label/%E0%A6%89%E0%A7%8E%E0%A6%95%E0%A6%A…- 545 views
- 1 answers
- 0 votes
ইয়াবার কোনো উপকারিতা নেই। বর্তমানে এটি শুধু নেশার জন্যই ব্যবহার করা হয়। যদিও এটি তৈরির ইতিহাস ছিল মানুষের উপকারের নিমিত্তে
- 1959 views
- 1 answers
- 0 votes
আকুপাংচার কি :
আকুপাংচার একটি চীনের চিকিৎসা পদ্ধতি। এতে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় সরু লম্বা সুঁই ফুটিয়ে চিকিৎসা করা হয়। বহুপুর্বে চীনা চিকিত্সাবিদ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলো আকুপাংচার। আকুপাংচার এর লক্ষ্য আসলে কৌশল।
যেভাবে করা হয় :
‘অ্যাডেনোসিন’ নামের এক ধরণের প্রাকৃতিক রস বের করে দিয়ে মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গের ব্যথা দূর করে এই আকুপাংচার৷ এটি একটি দর্শনভিত্তিক চিকিৎসাপদ্ধতি, যাতে মনে করা হয় যে এনার্জি দেহে একটি প্রণালির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিতভাবে প্রবাহিত হচ্ছে। যদি কোনো কারণে এনার্জির এই প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয় বা এতে অসামঞ্জস্যতা দেখা দেয়, তবে রোগের উদ্ভব ঘটে।
আকুপাংচার দিয়ে এই কারণগুলো লাঘব বা অপসারণ করে এনার্জি প্রবাহকে আবার স্বাভাবিক পর্যায় ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে রোগ নিরাময়ের চেষ্টা করা হয়। দেহের বিভিন্ন আকু-বিন্দুতে বিশেষ এক ধরনের সুঁচ ফুটিয়ে বহু রোগের চিকিৎসা হয় আকুপাংচার পদ্ধতিতে। কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক আকুপাংচার স্বীকৃত। আকুপাংচার হচ্ছে দেহের বিভিন্ন আকু-বিন্দুতে বিশেষ এক ধরনের পিন ভেদ করিয়ে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রেখে চিকিৎসা করা। এসব আকু-বিন্দুকে উদ্দীপ্ত করলে শরীরের নিজস্ব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং রোগটি থেকে শরীর ধীরে ধীরে মুক্ত হতে থাকে। বিশেষ সুঁচগুলো আসলে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে উদ্দীপ্ত করে নিউরোট্রান্সমিটার নামের বিশেষ ধরনের কেমিক্যাল ও হরমোনের নিঃসরণ ঘটায়। এতে তীব্র ব্যথার অনুভূতি কমিয়ে দেয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
আকুপাংচারের সবই যে সুঁচ ফুটিয়ে করতে হয় তা নয়। এর বিভিন্ন ধরণ রয়েছে। যেমন আকু-বিন্দুকে ইলেকট্রিক্যালি উদ্দীপ্ত করা (ইলেকট্রো-আকুপাংচার), শব্দ তরঙ্গের মাধ্যমে আকু-বিন্দু উদ্দীপ্ত করা, আকু-বিন্দুতে চাপ প্রয়োগ, আকু-বিন্দুতে বিশেষ ধরনের ভেষজের উপস্থিতিতে তাপ প্রয়োগ, কাপের মতো বিশেষ পাত্র আকু-বিন্দুতে স্থাপন করে আকু-বিন্দুকে উদ্দীপ্ত করা । বহু রোগের চিকিৎসায় আকুপাংচার ব্যবহৃত হয়। যেমন_মাদকাসক্তি, অ্যাজমা, ব্রঙ্কাইটিস, ব্যথা, কার্পাল টানেল সিনড্রোম, ফুসফুসের ইনফেকশন, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়ারিয়া, মাইগ্রেন ও মাথাব্যথা, ফাইব্রোমায়ালজিয়া, কোমর ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস, অস্ত্রোপচার পরবর্তী ব্যথা, ঘাড় ব্যথা, সাইনুসাইটিস, স্ট্রেস ও উদ্বিগ্নতা এর মধ্যে অন্যতম।
- 1296 views
- 1 answers
- 0 votes
কোষ্ঠকাঠিন্য একটি মারাত্মক অস্বস্তিকর শারীরিক সমস্যা, যা সঠিক চিকিৎসার অভাবে পাইলস এবং কোলন ক্যান্সারের মতো মারাত্মক রোগ দেহে বয়ে নিয়ে আসে। অস্বাস্থ্যকর এবং বাজে খাদ্যাভ্যাস, অপুষ্টিকর খাবার ইত্যাদির কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো অস্বস্তিকর সমস্যায় পড়ে থাকেন অনেকেই।
কারণ-
অনেকদিনের কোষ্ঠকাঠিন্য বা ক্রনিক কনস্টিপেশনের বেশকিছু কারণ রয়েছে। যেমন-
* খাদ্যাভ্যাসজনিত কারণ : কম আঁশযুক্ত খাবার খেলে অনেক শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগতে পারে। গরুর দুধ খেলেও অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য হয়।
* শারীরিক ত্রুটি : অ্যানোরেকটাল স্টেনোসিস বা মলদ্বার জন্মগতভাবে বন্ধ থাকলে।
* স্নায়ুতন্ত্রের ত্রুটি
* মানসিক প্রতিবন্ধী হলে।
* স্নায়ুর সমস্যা বা সেরেব্রাল পলসি থাকলে।
* জন্মগতভাবে পেটের সামনের মাংস না থাকলে।
* শরীরের শক্তি কমে যাওয়া বা হাইপোটনিয়া হলে।
* হাইপোথাইরয়েডিজম হলে।
* বহুমূত্র রোগ হলে।
* শরীরে ক্যালসিয়াম বেশি হলে।
* রেনাল টিউবুলার অ্যাসিডোসিস হলে।
সব চাইতে ক্ষতিকর দিকটি হলো অনেকেই এই কোষ্ঠকাঠিন্যকে খুব বেশি গুরুত্ব না দিয়ে চুপচাপ বসে থাকেন। এরপর যখন তা মারাত্মক পর্যায়ে চলে যায় তখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। কিন্তু এটি মোটেও ঠিক কাজ নয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে অবহেলা করবেন না। যদি ডাক্তারের কাছে যেতে না চান তবে ঘরোয়াভাবে এই সমস্যা বাড়তে না দিয়ে সমাধান করে নিন।
কিশমিশ ও গরম দুধ
১০/১২ টি কিশমিশ নিয়ে ভালো করে ধুয়ে বিচি থাকলে তা ছাড়িয়ে নিন। এরপর ১ গ্লাস দুধে কিশমিশ দিয়ে ১ চিমটি দারুচিনিগুঁড়া দিয়ে ভালো মতো ফুটিয়ে নিন। এভাবে টানা তিন দিন দুধ পান করুন। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা অনেকাংশে দূর হয়ে যাবে।
ত্রিফলা
ত্রিফলা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় অনেক প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। ১ চা চামচ ত্রিফলা পাউডার ১ গ্লাস গরম পানি অথবা গরম দুধে ভালো করে মিশিয়ে নিন। রাতে ঘুমানোর পূর্বে তা নিয়মিত পান করুন। এতে করে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে। বাজারে অনেক হোমিও ঔষধের দোকানে ত্রিফলা পাউডার কিনতে পাওয়া যায়।
ইসবগুল
কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে ইসবগুল অনেক কার্যকরী একটি উপাদান। ১ গ্লাস গরম পানিতে ২ টেবিল চামচ ইসবগুল দিয়ে ৫-১০ মিনিট রেখে দিন। যখন ইসবগুল পানি শুষে নিয়ে জেলির মতো আঠালো হবে তখন তা পান করুন। প্রতিদিন ঘুমুতে যাওয়ার পূর্বে পান করুন এই ইসবগুল।
তিলবীজ
তিলবীজ কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অনেক বেশি সহায়তা করে। তিলবীজ ভেঙ্গে গুঁড়ো করে তা আটা বা ময়দার সাথে মিশিয়ে চাপাতি বা রুটি তৈরি করে খেতে পারেন। এতে করে দেহে ফাইবারের অভাব পূরণ হবে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে।
এছাড়া যা যা করবেন :
১. কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য বেশি করে শাকসবজি, ফলমূল ও আঁশযুক্ত খাবার খেতে হবে
২. বেশি করে পানি খেতে হবে
৩.দুশ্চিন্তা দূর করতে হবে
৪. যারা সারাদিন বসে কাজ করেন তাদের নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে এবং
৫. ইসুফগুলের ভুসি (২ চামুচ ,১ গ্লাস পানি )রাতে ভিজিয়ে রাখুন, সকালে খাবেন।
৬.যেসব রোগের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্য হয় তার চিকিৎসা করতে হবে।
- 673 views
- 1 answers
- 0 votes
২৭৩৭ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের কোনো এক সময়ে চীনে একজন সম্রাট ছিলেন শেনাং নামে। তিনি সব সময় উষ্ণ পানি পান করতেন, কখনোই না ফুটিয়ে পানি পান করতেন না তিনি। একদিন তিনি ভ্রমণে বের হয়েছিলেন। তখন তার খাওয়ার পানি তৈরির জন্য একটি পাত্রে পানি ফোটানো হচ্ছিল। হঠাৎ সবুজ রঙের কয়েকটি পাতা সেই পানিতে উড়ে এসে পড়ে। এতে কিছুক্ষনের মধ্যেই পানির রং পাল্টে যায়। এরপর পানিটি ফুটে গেলে শেনাং সেটা পান করেন এবং বেশ ঝরঝরে অনুভব করেন। এরপর তিনি অনুসন্ধান করেন সেই গাছটির এবং পরবর্তিতে তিনি প্রায়ই সেই গাছের পাতা পানিতে ফুটিয়ে পান করতেন সতেজ লাগার জন্য। সেই থেকে এই চায়ের উৎপত্তি যাকে আমরা গ্রিন টি নামে চিনি।
চা গাছের সবুজ পাতাই মূলত গ্রিন টি। বিশেষ ভাবে প্রক্রিয়াজাত করে শুকিয়ে ব্যবহার করা হয় এই চা। স্বাদ তেতো হলেও পুষ্টিগুণে ভরপুর এই চা। সবুজ চায়ে রয়েছে ভিটামিন এ, ই ও সি। আরও আছে ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন মিনারেল। আসুন জেনে নেয়া যাক নিয়মিত সবুজ চা পানে কি বিস্ময়কর ভাবে উপকৃত হয় আপনার শরীর।
গ্রিন টি শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ কাপ সবুজ চা খেলে শরীরে অতিরিক্ত ৬৭ ক্যালোরি পোড়ানো যায়। গ্রিন টি আপনাকে বাড়তি ওজন ঝরিয়ে বানায় স্লিম ও সুন্দর।
গ্রীন টি রক্ত কণিকার কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃৎপিন্ড ভালো থাকে এবং উচ্চরক্তচাপের সমস্যা দূর হয়।
নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায় এবং উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীর সুস্থ থাকে।
গ্রিন টিতে আছে ক্যাটেচিন যা মুখের জন্য ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।
নিয়মিত গ্রিন টি পানে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায় অনেকাংশে।
গ্রিন টি ত্বক ভালো রাখে এবং ব্রণের উপদ্রব কমায়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গ্রিন টি খুবই উপকারী।
গ্রিন টি নিয়মিত খেলে হাড় ভালো থাকে এবং বার্ধক্যজনিত হাড় ক্ষয় রোধ হয়।
- 580 views
- 1 answers
- 0 votes
২৭৩৭ খ্রিস্ট পূর্বাব্দের কোনো এক সময়ে চীনে একজন সম্রাট ছিলেন শেনাং নামে। তিনি সব সময় উষ্ণ পানি পান করতেন, কখনোই না ফুটিয়ে পানি পান করতেন না তিনি। একদিন তিনি ভ্রমণে বের হয়েছিলেন। তখন তার খাওয়ার পানি তৈরির জন্য একটি পাত্রে পানি ফোটানো হচ্ছিল। হঠাৎ সবুজ রঙের কয়েকটি পাতা সেই পানিতে উড়ে এসে পড়ে। এতে কিছুক্ষনের মধ্যেই পানির রং পাল্টে যায়। এরপর পানিটি ফুটে গেলে শেনাং সেটা পান করেন এবং বেশ ঝরঝরে অনুভব করেন। এরপর তিনি অনুসন্ধান করেন সেই গাছটির এবং পরবর্তিতে তিনি প্রায়ই সেই গাছের পাতা পানিতে ফুটিয়ে পান করতেন সতেজ লাগার জন্য। সেই থেকে এই চায়ের উৎপত্তি যাকে আমরা গ্রিন টি নামে চিনি।
চা গাছের সবুজ পাতাই মূলত গ্রিন টি। বিশেষ ভাবে প্রক্রিয়াজাত করে শুকিয়ে ব্যবহার করা হয় এই চা। স্বাদ তেতো হলেও পুষ্টিগুণে ভরপুর এই চা। সবুজ চায়ে রয়েছে ভিটামিন এ, ই ও সি। আরও আছে ক্যালসিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম ছাড়াও বিভিন্ন মিনারেল। আসুন জেনে নেয়া যাক নিয়মিত সবুজ চা পানে কি বিস্ময়কর ভাবে উপকৃত হয় আপনার শরীর।
গ্রিন টি শরীরের মেটাবলিজম বৃদ্ধি করে। প্রতিদিন কমপক্ষে ৪ কাপ সবুজ চা খেলে শরীরে অতিরিক্ত ৬৭ ক্যালোরি পোড়ানো যায়। গ্রিন টি আপনাকে বাড়তি ওজন ঝরিয়ে বানায় স্লিম ও সুন্দর।
গ্রীন টি রক্ত কণিকার কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃৎপিন্ড ভালো থাকে এবং উচ্চরক্তচাপের সমস্যা দূর হয়।
নিয়মিত গ্রিন টি পান করলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমে যায় এবং উপকারী কোলেস্টেরলের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীর সুস্থ থাকে।
গ্রিন টিতে আছে ক্যাটেচিন যা মুখের জন্য ক্ষতিকর ব্যকটেরিয়া ধ্বংস করে এবং দাঁতের ক্ষয় রোধ করে।
নিয়মিত গ্রিন টি পানে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে যায় অনেকাংশে।
গ্রিন টি ত্বক ভালো রাখে এবং ব্রণের উপদ্রব কমায়।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য গ্রিন টি খুবই উপকারী।
গ্রিন টি নিয়মিত খেলে হাড় ভালো থাকে এবং বার্ধক্যজনিত হাড় ক্ষয় রোধ হয়।
- 1353 views
- 1 answers
- 0 votes
ফিনফিনে পাতলা শরীর কারোই কাম্য নয়। দেখতেও মানানসই নয়। বেশী মোটা কিংবা শুকনা কোনোটাই ভাল নয়; মাঝামাঝি থাকাটাই মঙ্গলময়। স্বাস্থ্য প্রকৃতিগত ভাবে পাওয়া। চাইলেই যদি সব পাওয়া যেত তাহলে ইচ্ছেমত সবাই শরীরটাকে বদলে দিত, তবে হ্যা চর্চার মাধ্যমে সব অসম্ভবকে সম্ভব করা যায়। নিয়মিত অনুশীলন, চেষ্টা ধৈর্য আপনার চাওয়াকে পাওয়াতে পরিণত করবে। যারা খুব শুকনা তারা মোটা হওয়ার উপায়গুলো জেনে নিন। ০যদি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান এবং রাতের ঘুম ঠিক রাখেন তাহলে আপনি তাড়াতাড়ি আপনার স্বাস্থ্য মোটা করতে পারবেন। না ঘুমাতে পারলে আপনার শরীর ক্যালরী ধরে রাখতে পারে না। রাতে তাড়াতাড়ি খাওয়া শেষ করুন এবং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন। ০একটা নিদিষ্ট সময় ধরে খাবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে এক ঘন্টার মধ্যে সকালের নাস্তা শেষ করুন। সকালে প্রচুর পরিমাণে খেয়ে নিতে পারেন। হ্যাম বার্গার, ভাজা খাবার, চিকেন ব্রেস্ট খেলেও ক্ষতি নেই। ০সফ্ট ড্রিংকস্ এবং ফ্যাটি খাবার খেলে স্বাস্থ্য মোটা হয়। এতে হাই- ইন্সুলিন থাকে। ইন্সুলিন হরমোন তৈরি করে। যার সাহায্যে শরীরে কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন এবং ফ্যাট জমে। যখন ফ্যাটি ফুডস্ খাবেন তখন পানি পান করুন; সফ্ট ড্রিংকস্ নয়। এমনকি ডায়েট সফ্ট ড্রিংকস্ও নয়। এটা খেলে আপনি ফ্যাটি ফুড খেতে পারবেন না। ০এনার্জি ফুড খেলেও আপনি মোটা হবেন। শরীরে যদি এনার্জি ফুড না থাকে তাহলে শরীরে শক্তিই থাকে না মোটা হওয়া তো দূরের কথা। আপনি কখনো ব্যাটারিতে ল্যাপটপ কম্পিউটার চালাতে পারবেন না যদি প্লাগ না দেন। শরীরও তার ব্যতিক্রম নয়। ০টেনশনমুক্ত থাকুন। নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম করলে ক্ষুধা বেড়ে যায় টেনশন দূরে করে। ০প্রচুর ফল খান। ফল পুষ্টিকর খাবার এতে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়। প্রতিদিন ফল এবং ফলের রস খান। ফলের তৈরি বিভিন্ন সিরাপ, কুবিথ, গাম, জ্যাম, জ্যালি খান এতে ফ্যাট আছে যা আপনার স্বাস্থ্য মোটা করবে। ০এ্যালকোহল পান করলে শরীর মোটা হয়। এটা আপনার মাংশপেশীতে হরমোন তৈরি করে। আপনার শরীরে যখন অতিরিক্ত ক্যালরির প্রয়োজন হয় দিনের শেষে সন্ধ্যার দিকে তখন এ্যালকোহল পান করুন। এ্যালকোহলে প্রচুর ক্যালরি পাওয়া যায়। রাতে এ্যালকোহল পান করে তাড়াতাড়ি রাতের খাবার সেরে ঘুমিয়ে পড়ুন। ০আপনি খুব দ্রুত মোটা হয়ে যাবেন। আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না কিভাবে এত দ্রুত মোটা হওয়া সম্ভব।
- 1013 views
- 1 answers
- 0 votes
ঘুম না হওয়ার সমস্যা দূর করার উপায় :
ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার
ম্যাগনেসিয়াম ও ক্যালসিয়াম দুটিই ঘুম উদ্রেককারী খাবার। একারনেই ঘুমুতে যাওয়ার পূর্বে ১ গ্লাস উষ্ণ গরম দুধ পান করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ডাক্তারগণ। ঘুম সমস্যা দূর করতে তাই প্রতি রাতে ২০০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম ও ৬০০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার রাখুন খাদ্যতালিকায়।
লেটুস পাতা
মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, মাথা ব্যথা এবং মাংসপেশির ব্যথা জনিত সমস্যা অনেকের রাতে ঘুম হয় না। এবং অনিদ্রায় ভুগে থাকেন। লেটুস পাতা এই সমস্যার বেশ ভালো একটি সমাধান। এটি মস্তিষ্ক রিলাক্স করতে সহায়তা করে। ঘুমুতে যাওয়ার আগে ৩০ থেকে ১২০ মিলিগ্রাম পরিমাণ লেটুস পাতা দিয়ে জুস তৈরি করে পান করে নিতে পারেন।
অ্যারোমা থেরাপি
অ্যারোমা থেরাপি ঘুমের জন্য অনেক ভালো একটি জিনিস। কিছু সুঘ্রাণ রয়েছে যা ঘুমের উদ্রেক করে যেমন, ল্যাভেন্ডার, কমলালেবুর ঘ্রাণ ইত্যাদি। অ্যারোমা থেরাপির মাধ্যমেও ঘুমের উদ্রেক ঘটে। এই সকল সুঘ্রাণের এসেনশিয়াল অয়েল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। এই সকল তেল বালিশের কভারে স্প্রে করে রাতে ঘুমোতে যান। খুব সহজে ঘুমের উদ্রেক হবে। এছাড়াও পায়ে তিলের তেল ম্যাসেজ করে নিতে পারেন। ঘুম দ্রুত আসবে।
মেলাটোনিন
মেলাটোনিন একটি হরমোন যা আমাদের ঘুম নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। দেহে এই হরমোনটি উৎপাদনের জন্য নানা ধরণের হোমিওপ্যাথি ঔষধ পাওয়া যায়। ঘুমানোর পূর্বে ০.৩ থেকে ০.৫ মিলিগ্রাম পরিমাণে ঔষধ ভালো ঘুমের সহায়ক।
মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম
খুব মৃদু কোনো রিলাক্সিং মিউজিকের সাথে সাথে মাত্র ৫ থেকে ১০ মিনিটের মেডিটেশন করার অভ্যাস করুন। মেডিটেশনের সময় সব মনোযোগ শুধুমাত্র নিজের শ্বাস প্রশ্বাসের মধ্যে আনার চেষ্টা করুন। এই পদ্ধতিটি বেশ প্রাচীন কাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে।
বোরিং কোনো বই পড়ুন
ক্লাসে এবং পড়তে বসলে খুব ভালো ঘুম আসে। এই পদ্ধতিটি ঘুমের ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন। খুব কটমটে কিংবা অনেক বোরিং কোনো বই নিয়ে বিছানায় শুতে যান। দেখবেন কিছুক্ষণের মধ্যেই দুচোখ ভেঙে ঘুম চলে আসবে।
- 737 views
- 1 answers
- 0 votes