14182
Points
Questions
3
Answers
7076
কমপক্ষে ৩-৪ মিটার দূরে বসে টেলিভিশন দেখা উচিত্। তা না হলে চোখের অনেক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- 881 views
- 2 answers
- 0 votes
কমপক্ষে ৩-৪ মিটার দূরে বসে টেলিভিশন দেখা উচিত্। তা না হলে চোখের অনেক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
- 881 views
- 2 answers
- 0 votes
বয়স বাড়ার সাথে সাথে সবারই পেটের মেদ যেন বেড়ে যায়। আবার কারও অতিরিক্ত ফ্যাট খাবার খেয়েও পেটের মেদ বাড়ে। স্বাস্থ্য সম্পর্কে বর্তমানে সবাই অনেক বেশি সচেতন কিন্তু এই পেটের মেদ প্রতিরোধে ঠিক কী করা উচিৎ, এই বিষয়টি সঠিকভাবে অনেকেই জানেন না। তাই জেনে নিন ঠিক কোন ধরনের শারীরিক ব্যায়ামগুলো আপনার পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সহায়তা করে।
১.
দৌড়ানো এবং হাঁটা :
অনেকে বলেন হেঁটে বা দৌড়িয়ে ঠিক উপকারটুকু পাই না। কিন্তু প্রতিদিন সঠিক নিয়মে যদি হাঁটেন বা দৌড়িয়ে থাকেন তাহলে দেহের অতিরিক্ত ফ্যাট এবং ক্যালরি অবশ্যই নিয়ন্ত্রণে আসবে। এর জন্য আপনি নিয়ম করে দুই বেলা হাঁটুন। ইতিবাচক ফলাফল আপনি অবশ্যই পাবেন।২. প্রশিক্ষণ :
আপনি যদি আপনার পেটের অতিরিক্ত মেদ নিঃসরণ করতে চান তাহলে অবশ্যই জিমের প্রশিক্ষনের আওতায় আসতে পারেন। এখানে আপনি জিমে বা নিজস্ব কোনো জিম ইন্সট্রাক্টরের কাছে একটা প্রশিক্ষণ নিতে পাবেন। এতে করে আপনার পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমতে বাধ্য। আপনি এখানে জগিং করতে পারেন। আপনি হয়ত বিশ্বাস করতে পারবেন না যে মাত্র ৩০ মিনিট জগিংয়ে আপনার ৩০০ ক্যালরি পর্যন্ত কমে আসতে পারে।৩. বাইসাইকেল চালানো :
পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে হৃদসংক্রান্ত ব্যায়ামের মধ্যে বাইসাইকেল চালানো একটি ভালো ফলাফল আনতে সহায়তা করে। বাইসাইকেল চালালে পায়ের পেশীগুলোতে চাপ পড়ে সাথে সাথে পেটের উপরেও অনেক বেশি চাপ পড়ে। ফলে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করে। ৩০ মিনিট সাইকেলিং করলে আনুমানিকভাবে ২৫০-৫০০ ক্যালরি নিয়ন্ত্রণে আসে।
৪. বুকডন :
পেটের অতিরিক্ত মেদে চিন্তা না করে শুধু নিয়ম করে কিছু শারীরিক ব্যায়াম করলে তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। যেমন এর জন্য আপনি প্রতিদিন নিয়ম করে বুকডন দিতে পারেন। দিনে ৪০-৫০ বার বুকডন দিলেই ২০০-৩০০ ক্যালরি নিয়স্ত্রণে আসে পাশাপাশি পেশী শক্ত হয়ে ওঠে।
৫. পায়ের ব্যায়াম :
পায়ের অনেক ধরনের ব্যায়াম আছে। পেটের অতিরিক্ত মেদ কমাতে আপনি এর মধ্যে নৌকাসন এবং হলাসন ব্যায়াম দুটি করতে পারেন। নৌকাসনে মোটামুটিভাবে সারা শরীরটাকে নৌকার মত আসনে ওঠানো নামানো হয়ে থাকে। আর হলাসনে পা দুটোকে উপরে উঠিয়ে আস্তে আস্তে মাথার পিছনে নিয়ে যাওয়া হয়। এর ফলে পেটে চাপ পড়ে। ফলে পেটের অতিরিক্ত মেদ নিয়ন্ত্রণে আসে।
এছাড়া দেখুন :
মাত্র ২০ দিনে বাড়তি ওজন কমাতে তিনটি সহজ ব্যায়াম (ভিডিও) : আজকাল সকলেই চেয়ে থাকেন নিজেকে একটু বেশী আকর্ষণীয় করে তুলতে। কিন্তু এর পথে একমাত্র অন্তরায় হল আপনার শরীরের অতিরিক্ত ওজনটি। আপনি হয়তো এই বাজে ওজন কমাতে অনেক ডায়েট ও ব্যায়াম করছেন, কিন্তু আশানুরুপ ফলাফল পাচ্ছেন না। এমন অবস্থাতে আপনি চাইলে এই কাজগুলো করে দেখতে পারেন। বেশী কিছু নয়, মাত্র ৩টি ব্যায়াম
- 797 views
- 1 answers
- 0 votes
মুখে লালা আসার প্রধান কারণ হলো কৃমি। দেহে কৃমি বেড়ে গেলে সাধারণত মুখে লালা বের হয়। এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে। ডাক্তারের পরামর্শ মত কৃমির ওষুধ খেয়ে এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
এছাড়া অনেকের ছোটবেলা থেকেই মুখে লোল পড়ার অভ্যাস রয়েছে। এক্ষেত্রে চিৎ হয়ে শোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে কিছুটা ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আরও কয়েকটি বিষয় মেনে চলুন :
– ঘুমানোর আগে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাবেন না।
– শোবার আগে এক গ্লাস পানি খান।
– ঘুমানোর আগে টক বা লবণ মিশ্রিত খাবার খেলে উপকার পাওয়া যাবে।
-অবশ্যই চিৎ হয়ে শোবার অভ্যাস গড়ে তুলুন।- 842 views
- 1 answers
- 0 votes
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় গ্যাস্ট্রিক নামে কোনো রোগ নেই। গ্যাস্ট্রিক নামে যে অঙ্গটির কথা বলা আছে তা বাংলায় পাকস্থলী নামে পরিচিত। গ্যাস্ট্রিক নামে রোগ না থাকলেও যেসব সমস্যা নিয়ে রোগীরা আসেন সেগুলোও কিন্তু অসুখ। এর কোনোটি স্রেফ গ্যাস হওয়া। আবার কোনোটি এসিডিটি হওয়া।
গ্যাস হওয়া :
আমেরিকান রিসার্চ সেন্টার অব গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজির মতে, পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশই গ্যাসের সমস্যায় ভুগছে।
মনে রাখতে হবে, খাবার পর অন্ত্রে (ক্ষুদ্রান্ত্র ও বৃহদান্ত্র) গ্যাস তৈরি হওয়া স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। ২৪ ঘণ্টায় অন্তত এক থেকে চার পাইন্ট গ্যাস অন্ত্রে তৈরি হয়। এই গ্যাস ২৪ ঘণ্টায় সাধারণত ১৪ বারে ঢেঁকুর হিসেবে বা পায়ুপথে বের হয়। আমরা যেসব খাবার খাই তা হজম হয়। এই হজম হওয়ার প্রক্রিয়াতেই উপজাত বা বাইপ্রোডাক্ট হিসেবে গ্যাস উৎপন্ন হয়। আবার বৃহদন্ত্রে (যেখানে হজম হওয়া খাবার মল হিসেবে জমা থাকে) থাকে অনেক ব্যাকটেরিয়া। এগুলোও গ্যাস তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। যে গ্যাসগুলো অন্ত্রে তৈরি হয় তার মধ্যে আছে কার্বন ডাই-অক্সাইড, হাইড্রোজেন ও মিথেন গ্যাস। কখনো কখনো সালফাইড জাতীয় গ্যাসও তৈরি হয়। কোনো কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে গ্যাস তৈরি হলে গ্যাস সমস্যা তৈরি হয়। গ্যাস তৈরি হওয়ার সমস্যা সাধারণত তিন ধরনের।
বেলচিং বা ঢেঁকুর ওঠা
ব্লটিং বা পেট ফুলে যাওয়া
ফাস্টিং বা পায়ুপথে গ্যাস বের হওয়াএসিডিটি বা বুকজ্বলা :
পাকস্থলীতে খাদ্য হজমের জন্য সহায়ক হাউড্রোক্লোরিক এসিড তৈরি হয়। এই এসিড যাতে পাকস্থলীর ভেতরের গাত্রকে হজম বা ক্ষয় (আলসার) করে না ফেলে সে জন্য পাকস্থলীর ভেতরের দিকে একটি পিচ্ছিল আবরণ থাকে। এ আবরণটিতে থাকে মিউকাস লেয়ার বা মিউকাসের আস্তর। কোনো কারণে এসিড নিঃসরণ বেড়ে গেলে বা পাকস্থলী রক্ষাকারী গাত্রটি ক্ষয়প্রাপ্ত (আলসার) হলে পেটের উপরিভাগ জ্বলে। পাকস্থলী ওপরের দিকে ইসোফেগাসের (খাদ্যনালীর অংশ) সঙ্গে যুক্ত থাকে। কোনো কারণে এই এসিড যদি ইসোভেগাসে আসে, তবে বুকজ্বলা সমস্যাটি দেখা দেয়। বুকজ্বলা সমস্যাটি হার্টবার্ন নামেও পরিচিত। বাংলাদেশে এসিডিটিতে আক্রান্ত ৯০ শতাংশ লোকেরই পাকস্থলীর মিউকাস স্তর ক্ষয়ের বড় কারণ হেলিকোব্যাকটার পাইলোরি নামের ব্যাকটেরিয়া। সাধারণত খালি পেটেই এই জ্বলাভাব বেশি হয়। এর সঙ্গে মুখ টক টক হয়, কখনো কখনো বমি-বমি ভাবও হয়।
যাদের আলসার আছে তাদের রক্তবমি, কালো রঙের পায়খানা হতে পারে
- 722 views
- 1 answers
- 0 votes
সময়মত ঘুম হয় না আমাদের অনেকেরই অথবা রাতে বার বার ঘুম ভেঙ্গে যায়। এর জন্য মূলত দায়ী আমাদের অনিয়মিত খাদ্যভ্যাস এবং লাইফস্টাইল। খাদ্যভ্যাসে কিছুটা পরিবর্তন আনলেই পাওয়া সম্ভব নিয়মিত এবং পর্যাপ্ত ঘুম। কিছু খাবার আছে যা সময়মত ঘুমাতে সাহায্য করে, আবার কিছু খাবার আছে যা ঘুমের পরিমান কমিয়ে আনে। খাওয়ার সময় এসব বিষয়গুলো মনে রাখা দরকার।
ঘুমানোর আগে যা খাবেনঃ
ভালো ঘুম হওয়ার জন্য রাত ৯ টার মধ্যে খেয়ে নেওয়া ভালো কারন রাত বাড়ার সাথে সাথে কমতে থাকে আমাদের হজমশক্তি। মাঝরাতের দিকে যদি খিদে পেয়ে যায় তবে ভারী কিছু না খাওয়াই উত্তম।
রাতে ঘুমানোর আগে এক গ্লাস হাল্কা গরম দুধ খেত পারেন। দুধের বদলে দই অথবা পনিরও খাওয়া যায়। দুগ্ধজাত খাবারে আছে ট্রিপটোফ্যান। এটি এমন একটি অ্যামিনো এসিড যা মস্তিস্ক থেকে ঘুমের দুটি এনজাইম সেরোটোনিন এবং মেলাটোনিন যেগুলো শরীরকে শিথিল করে, ঘুমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এ থেকে পাওয়া যায় প্রচুর ক্যালসিয়াম যা স্ট্রেস কমায় এবং স্নায়ুকে ঠাণ্ডা করে।
রাতের খাবারে রাখুন শর্করা। এতে রক্তে ইনসুলিনের পরিমান বাড়ে যার সাথে সাথে বাড়ে ট্রিপটোফ্যানের কার্যক্ষমতা।
শরীরকে কার্যক্ষম রাখার জন্য আমিষ খান। এতে শরীরে শক্তির পরিমান থাকবে সমান এবং নিজস্ব সময়েই শরীর ঘুমিয়ে পড়ার সঙ্কেত পাবে। এসব খাবারের মধ্যে আছে ডিম, চর্বিমুক্ত মাংস, মাছ, ডাল এবং বাদাম।
তাজা ফল খেতে পারেন ঘুমানোর আগে। যেমন কলা। এতে প্রচুর ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা পেশীকে শিথিল করতে সাহায্য করে। আপেল এবং নাশপাতি পরিপাকতন্ত্রকে ঠিক রাখে। চেরি এমন একটি ফল যা আপনার শরীরে বাইরে থেকে ঘুমের এনজাইম মেলাটোনিন সরবরাহ করে।
ভেষজ চায়ে ক্যাফেইন থাকে না বরং থাকে প্রাকৃতিক এমন অনেক উপাদান যা ঘুমের সহায়ক।
যা খাওয়া এড়িয়ে চলবেনঃ
দেরি করে রাতের খাবার খাবেন না। এতে বদহজম হয়ে ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে।
রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই ক্যাফেইন জাতীয় খাবার পরিহার করবেন। কফি, চা , কোলা এবং চকলেট জাতীয় খাবারে থাকে ক্যাফেইন যা আপনার স্নায়ুকে উত্তেজিত করে রাখে, ঘুমের প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করে। চা বা কফি যদি খেতেই হয় তবে তা খাবেন ঘুমানোর কমপক্ষে ৫ ঘণ্টা আগে।
ফাস্টফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। উচ্চ চর্বিযুক্ত এসব খাবার আপনার পেটে এসিড তৈরি করে এবং এতে পেটে-বুকে হতে পারে জ্বালাপোড়া।
প্রাকৃতিক চিনি ঘুমের জন্য ভালো হলেও আমরা বিভিন্ন খাবারে যেসব কৃত্রিম চিনি ব্যাবহার করি সেগুলো রক্তে মিশে গিয়ে খুব তাড়াতাড়ি শক্তি সরবরাহ করে, কিন্তু এর কার্যকারিতাও শেষ হয়েও যায় খুব তাড়াতাড়ি, ফলে রাতে ঘুম ভেঙ্গে যেতে পারে।
যেসব খাবারে আপনার বদহজম অথবা এলার্জি আছে সেগুলো অবশ্যই এড়িয়ে চলুন।
যে কোন রকমের অ্যালকোহল এড়িয়ে চলুন। এসব পানীয় ঘুমের মাঝে শরীরের সুগার এবং পানির পরিমাণ কমিয়ে দেয়। দেখা গেছে, অ্যালকোহল পান করার ফলে বেড়ে যায় রাত্রে বার বার ঘুম ভেঙ্গে যাওয়ার পরিমাণ।
- 654 views
- 1 answers
- 0 votes
যদিও আমরা জানি যে পুরুষের যৌন ইচ্ছা বয়সের একটা সময়ে নিস্তেজ হয়ে পড়লেও মধ্য বয়সে তা আবার জাগ্রত হয়, তবে সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি গবেষণা থেকে এমন তথ্য উঠে এসেছে যে ৩৯ বছরের পর থেকে পুরুষদের যৌন চাহিদা কমে যেতে থাকে।। তাঁরা দেশের এক হাজার পুরুষের মধ্যে সমীক্ষা করে এই তথ্যটি পেয়েছেন।
পুরুষদের বয়স ৩৯ হলেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে পিতৃত্বভাব বেশিমাত্রায় চলে আসে এবং যৌনতার চাহিদা ধীরে ধীরে কমে যাতে থাকে। এ আবেদন কমে যাওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ জড়িত রয়েছে। এর সব কিছুই অবশ্য বয়সের সংখ্যানির্ভর নয়। পুরুষের চুল পেকে যাওয়া এবং মুখের বলিরেখা, বিশেষ করে থুতনির নিচের ভাঁজ এ ক্ষেত্রে অন্যতম প্রভাবক হিসেবে কাজ করে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। এর সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা, অতিরিক্ত মেদের বৃদ্ধি, খুব বেশি অ্যালকোহল পানও পুরুষের যৌন চাহিদা কমিয়ে দেয়, এটাও জানা গিয়েছে সমীক্ষা থেকে।
যে সমস্ত পুরুষ সুস্থ্ এবং নিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা পালন করেন তাদের যৌন চাহিদা খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায় না। প্রকৃতপক্ষে টেস্টোস্টেরন হরমোনের ক্ষরন যত কমে যেতে থাকে স্বাভাবিকভাবে যৌন চাহিদা কমে যায়। এই ক্ষেত্রে বয়স যেমন গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রভাব বিস্তার ফেলে, অন্যদিকে স্বল্পমাত্রায় হলেও জীবনযাত্রাও প্রভাব বিস্তার করে।- 1387 views
- 1 answers
- 0 votes
স্বামী-স্ত্রী মধ্যে সম্পর্ক অনেক বেশি মধুর। নারী-পুরুষের এই মধুর সম্পর্ক আরো বাড়িয়ে তোলে যৌনমিলন। নারী-পুরুষের এই জৈবিক চাহিদা চিরন্তন। এ নিয়ে নানা গবেষণা হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও হবে এ নিয়ে কারো কোন সন্দেহ নেই। তবে আপনারা হয়ত দেখে থাকবেন এই যৌন মিলন নিয়ে নানা বাগাড়ম্বরও রয়েছে সমাজে, রয়েছে নানা কুসংস্কারও। মিলনে পারদর্শীতা নিয়ে অনেক পুরুষের মধ্যে একটা দাম্ভিকতা কাজ করলেও অনেকের মধ্যে এ নিয়ে রয়েছে নানা দ্বিধাদ্বন্ধ ।
তবে নারী-পুরুষের যৌনমিলনের স্থায়িত্ব নিয়ে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, মিলনের স্থায়িত্বটা নিজের (পুরুষের) ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভর করে না। এটি মূলত নির্ভর করে পুরুষের শারীরিক সক্ষমতার উপর। গবেষণায় দেখা গেছে, খবরটি বিস্ময়কর হলেও সত্য য়ে যৌনমিলনের সময় ৪৫ শতাংশ পুরুষই স্ত্রীকে পুরোপুরি যৌনসুখ দিতে পারছে না। এই শ্রেণির পুরুষরা যৌন মিলনে দুই মিনিটের বেশি স্থায়ী হতে পারে না। এর ফলে অনেক দাম্পত্য জীবনে অশান্তি নেমে আসে। সুখের সন্ধানে নারীরা অনেক সময় পরপুরুষের দিকে আসক্ত হয়ে পড়ে।
সম্প্রতি বিখ্যাত লেখক হ্যারি রিস্ক “দ্য নিউ ন্যাকেড; দ্য আল্টিমেট সেক্স এজুকেশন ফর গ্রোন-আপস” শিরোনামে একটি বই বের করেছেন। তিনি তাঁর বইয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছেন, নারী-পুরুষ গড়ে ৭.৩ মিনিট সময় ধরে সেক্স করবেন, কারণ এটাই স্বাভাবিক। তবে এর সময়সীমা ৪ মিনিটের কম হলে সেটি কোনোভাবেই আদর্শিক সময় বলা চলে না।কি করবেন :
মিলনের স্থায়িত্বটা নিজের (পুরুষের) ইচ্ছাশক্তির ওপর নির্ভর করে না। এটি মূলত নির্ভর করে পুরুষের শারীরিক সক্ষমতার উপর। কিন্তু কিছু বিষয় আছে যেগুলো পুরুষের শারীরিক সক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। শুনতে হয়ত আপনার কাছে অদ্ভুত লাগতে পারে যে, ডাক্তারি পরীক্ষায় পর্যন্ত এর কারণগুলো ধরা পরে না। যার কারণে অ্যালোপ্যাথরা কাউন্সিলিং করা, মনোবল বাড়ানো সহ আরো নানা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাতেও কাজ না করলে তীব্র উত্তেজক ঔষধ দিয়ে থাকেন যার দীর্ঘদিন ব্যবহার মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনে অনেকের।আর আমাদের দেশের হারবাল, সেটাতো আরো ভয়াবহ। কারণ ইদানিং পত্রিকার পাতায় নিয়মিত দেখা যায়, হারবাল যৌন উত্তেজক ট্যাবলেটে মেশানো হচ্ছে নানা নেশা জাতীয় দ্রবাদি। তার সাথে কুশ্রী কিছু ছবিসহ চটকদার বিজ্ঞাপন “এক ঘন্টায় রেজাল্ট !! একদিনে রেজাল্ট !!” বুঝেন এবার ! এটা কি করে সম্ভব ? হা, মাদকের কারণে আপনি এক ঘন্টাই রেজাল্ট নিয়ে কিছুক্ষণ মজা লুটবেন ঠিকই কিন্তু এটা ক্ষনিকের জন্য, স্থায়ী নয়। কারণ তাত্ক্ষণিকভাবে এগুলো দারুন উত্তেজনার সৃষ্টি করে বলে আপনি নিয়মিত খেতে থাকলে কিছুকাল পরই শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহ যেমন কিডনি, পাকস্থলী, লিভারসহ অন্যান্য অঙ্গগুলো মারাত্মক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হতে দেখা যায়। শুধু তাই নয়, কিছু কাল ঐগুলো কন্টিনিউ করলে আর কোনো উত্তেজক ঔষধ পর্যন্ত কাজ করে না।
উপায় :
এই সমস্যা দূর করার কোসো উপায় নেই ভেবে ঘাবড়ানোর কোন কারণ নাই। যৌন সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা চিরদিনের জন্য নির্মূলের সবচেয়ে আধুনিক এবং উত্তম পথ হলো হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা গ্রহণ করা। কারণ হোমিও ঔষধের অধিকতর প্রয়োগ হয়ে থাকে রোগীর Characteristic Symptoms এর উপর নির্ভর করে। যা শারীরিক সক্ষমতাসহ মানুষের মন-মানসিকতা পর্যন্ত পরিবর্তন করে দেয় কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই। তাও আবার অল্প কিছু দিনের চিকিত্সায় রোগী রোগ মুক্ত হচ্ছেন সারা জীবনের জন্য। গোপন বিষয় হলো : হোমিও ঔষধ একেবারে রুট লেভেল থেকে রোগের কারণটাকে নির্মূল করে দেয়। যার ফলে ঐ রোগ সংক্রান্ত যত প্রকার লক্ষণ শরীরে প্রকাশ পায় তা এমনিতেই বিলীন হয়ে যায়। এমন অনেক রোগীই ভালো হয়ে গেছেন যারা হোমিওতে কোনো প্রকার বিশ্বাস করতেন না। তাই এই ধরনের যেকোনো সমস্যার সমাধানে হোমিও চিকিৎসা আসলেই যে অনেক বেশি কার্যকরী এর প্রমাণ পেয়েছেন অনেকেই।- 595 views
- 1 answers
- 0 votes
বন্ধ্যাত্ব :
একজন পূর্ণাঙ্গ রমণীর ডিম্বাশয় থেকে প্রতি মাসে একটি করে ডিম্বাণু নির্গত হয়। ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত প্রজনন বয়স ধরা হলেও ৩৫ বছরের পর থেকে প্রজনন ক্ষমতা কমতে থাকে। প্রজনন বয়সের শেষ দিকে ডিম্বাণু নিঃসরণ প্রতি মাসে না-ও হতে পারে। প্রজনন বয়সের মধ্যে প্রতি মাসেই একজন মহিলার ২৮ থেকে ৩৫ দিন ব্যবধানে ঋতুস্রাব হয়ে থাকে। ঋতুস্রাব মহিলাদের ডিম্বাণু নিঃসরণের একটি প্রমাণ। যদিও কখনো কখনো ডিম্বাণু নিঃসরণ ছাড়াও ঋতুস্রাব হতে পারে।২৮-৩০ দিনের ব্যবধানে যাদের ঋতুস্রাব হয় তাদের সাধারণত ১৩তম, ১৪তম ও ১৫তম দিনগুলোর কোনো একসময় ডিম্বাণু নির্গত হয়। এ সময়কে বলে প্রজনন সময়। এ সময়ে স্বামী-স্ত্রীর মিলন হলে স্বামীর শুক্রাণু ও স্ত্রীর ডিম্বাণু ডিম্বনালির প্রায় শেষ প্রান্তে, অম্বুলা নামক জায়গায় মিলিত হলে নিষেক সংঘটিত হয়। নিষেকের ফলে যেটি তৈরি হয় সেটিকে ভ্রূণ বলে। এ ভ্রূণ চক্রবৃদ্ধি হারে বিভক্ত হতে থাকে এবং ডিম্বনালি অতিক্রম করে নিষেকের সপ্তম দিন জরায়ুতে প্রবেশ করে এবং জরায়ুগাত্রে দৃঢ় হয়ে স্থাপিত হয়।
পরে এখানেই ধীরে ধীরে বড় হয়ে ২৮০ দিন পরে পূর্ণাঙ্গ মানবশিশু ভূমিষ্ঠ হয়। কিন্তু কোনো দম্পতি এক বছর জন্মনিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ছাড়া একই সাথে বসবাস ও মিলনের পরও যদি সন্তান ধারণ না করে থাকেন, তাকে ইনফার্টিলিটি বা বন্ধ্যাত্ব বলে। এটি হতে পারে প্রাথমিক যাদের কখনোই গর্ভসঞ্চারণ হয়নি অথবা মাধ্যমিক যাদের আগে গর্ভসঞ্চারণের পর এখন আর গর্ভসঞ্চারণ হচ্ছে না। সাধারণত ৮০ শতাংশ দম্পতির চেষ্টার প্রথম বছরের মধ্যেই সন্তান হয়ে থাকে।
১০ শতাংশ দম্পতির দ্বিতীয় বছরের মধ্যে হয়ে থাকে। বাকি ১০ শতাংশের কোনো না কোনো কারণে সন্তান ধারণে অসুবিধা হয়ে থাকে এবং তাদের জন্যই সেপশাল চিকিৎসা দরকার। এই না হওয়ার পেছনে স্বামী-স্ত্রী দুজনের যে-কেউই কারণ হতে পারেন। আবার সমিমলিত অসুবিধার কারণেও হতে পারে। সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে শুধু স্বামী দায়ী, ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে শুধু স্ত্রী দায়ী এবং ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রী উভয়েই দায়ী।
বন্ধ্যাত্বের কারণ:
সন্তান ধারণে ব্যর্থতার কারণ অগণিত। কারণ যা-ই হোক, প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশেষ চিকিৎসা বিদ্যমান। তবে কারণগুলো নিরূপণের পদ্ধতি ও চিকিৎসাপদ্ধতি সহজতর ও স্বল্প ব্যয়সাপেক্ষ থেকে শুরু করে জটিলতম ও বহুল ব্যয়সাপেক্ষ পর্যন্ত হতে পারে।ডিম্বাণু তৈরি হওয়া (অনেক কারণে ডিম্বাণু তৈরি হয় না)
• ডিম্বনালি বন্ধ হয়ে গেলে কিংবা কার্যক্রম না থাকলে।
• এন্ডোমেট্রিওসিস নামক ডিজিজের ফলে।
• জরায়ুতে টিউমার হলে।
• জরায়ুগ্রীবার শুক্রাণুর প্রতি শত্রুভাবাপন্ন ভাব থাকলে।পুরুষদের মধ্যে মুখ্য কারণ হলো
• শুক্রাণুর পরিমাণ কম থাকলে।
• শুক্রাণুর আকৃতি স্বাভাবিক না থাকলে।
• শুক্রাণুর চলাচল স্বাভাবিক না থাকলে।
• শুক্রাণু অনুপস্থিত থাকলে।
• মিলনে স্বামীর অক্ষমতা থাকলে।এ ছাড়া সমিমলিত সমস্যার কারণে না হতে পারে এবং কখনো কখনো উভয়ের কোনো কারণ ছাড়াই সন্তান না হতে পারে। যখন কোনো নির্দিষ্ট কারণ খুঁজে না পাওয়া যায়, তখন তাকে ব্যাখ্যাহীন বন্ধ্যাত্ব বলে।
হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা:
স্বামী বা স্ত্রীর যারই সমস্যা থাকুক না কেন, দরকারী প্যাথলোজিকাল টেস্ট করে হোমিওপ্যাথিক ঔষধের মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।- 704 views
- 1 answers
- 0 votes
প্রকৃতিগতভাবেই একটি নির্দিষ্ট বয়সের পরে নারীদের পিরিয়ড বন্ধ হয়ে যায়। তখন তারা মা হওয়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। এর ফলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যাও হয়ে থাকে। যেমন মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, গা ঝিমঝিম করা, প্রেসার বেড়ে যাওয়া ইত্যাদি। এগুলো স্বাভাবিক। কিছুদিন পরে এগুলো শারীরিকভাবে সহ্য হয়ে যায়। তবে হ্যাঁ কেউ যদি চেয়ে থাকেন নির্দিষ্ট বয়স পার হওয়ার পরও কিছুদিন পিরিয়ড স্বাভাবিক অবস্থায় রাখতে পারেন। অর্থাৎ প্রতিমাসে পিরিয়ড হওয়াতে পারেন। তা সম্ভব হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে। এর জন্য আপনি হোমিও কোনো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে পারেন। তবে প্রাকৃতিক নিয়মের উর্ধ্বে কিছু করতে গেলে তার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে। এই বিষয়ে সচেতন থাকুন।
- 499 views
- 1 answers
- 0 votes