ZoomBangla Answer's Profile
Professor
14182
Points

Questions
3

Answers
7076

  • Professor Asked on February 26, 2015 in স্বাস্থ্য.

      স্বাভাবিকভাবে দিনের যেকোনো সময়েই ব্যায়াম করার সুফলতা পাওয়া যায়। তবে অনেকের মতে সকালে এটি বেশি কার্যকর হয়ে থাকে। কিন্তু বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যায় দেখা যায় যেকোনো সময়ের শারীরিক ব্যায়ামই ভালো ফলাফল দিতে সহায়ক। তবে ব্যস্ত জীবনের সাথে মিলিয়ে আপনি এর জন্য একটি রুটিন করে নিতে পারেন। তবে ভোরবেলা কিংবা দুপুরবেলা, বিকাল কিংবা সন্ধ্যা যে সময়ই ব্যায়াম করুন না কেন সময়ভেদে ব্যায়ামের ধরনে কিছুটা পরিবর্তন আসে। জেনে নিন ব্যায়ামের সঠিক সময়-

      ভোরবেলা:
      ১) যেহেতু ব্যায়াম করার সময় শরীরে যথেষ্ট পজিটিভ এনার্জি রাখতে হবে। সেই সাথে মনঃসংযোগ করতে হবে, সে কারনে ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠেই ব্যায়াম করা শুরু করবেন না।

      ২) ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরটাকে একটিভ হওয়ার জন্য অন্তত তিন ঘন্টা সময় দিন। শরীরের এনার্জি লেভেল স্বাভাবিক অবস্থায় পৌছালে তবেই ব্যায়াম করা শুরু করবেন।

      ৩) সময়ের অভাবে যদি ভোরবেলা ঘুম থেকে ওঠার আধ ঘন্টা পরই শরীরচর্চা করতে হয় তাহলে হালকা জগিং করতে পারেন। হালকা করে ফ্রিহ্যান্ড এক্সারসাইজ ও হাঁটাচলা করতে পারেন।

      ৪) ভোরবেলা ব্যায়াম করার পরিকল্পনা থাকলে আগের দিনের সব কাজ তাড়াতাড়ি শেষ করে সঠিক সময়ে ঘুমাতে যান। ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানোর পর নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষা করে ব্যায়াম করা শুরু করতে পারেন। যদি কোন দিন ঘুমাতে যেতে দেরি হয়ে যায় তবে ঘুম থেকে উঠেই আগের নিয়মের নির্দিষ্ট সময়ে ব্যায়াম শুরু করবেন না। এতে আপনার শরীরের উপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে।

      দিনের বেলা:
      ১) দিনের বেলা ঘুম থেকে উঠার ৬ ঘন্টা পর এবং ১২ ঘন্টার মধ্যের সময়টুকু সবচেয়ে উপযুক্ত ব্যায়ামের পক্ষে। আপনি যদি সকাল ৮ টায় ঘুম থেকে উঠেন তবে দুপুর ২ টা থেকে রাত ৮ টার মধ্যে সময়টুকু ব্যায়াম করার উপযুক্ত সময়। এ সময়ের মধ্যে যে কোন সময়কে বেছে নিতে পারেন আপনার প্রয়োজনীয় ব্যায়ামটুকু করতে।

      ২) দুপুরের খাবার গ্রহনের পর কমপক্ষে দুই ঘন্টা পরে ব্যায়াম শুরু করতে পারেন। এর আগে কখনোই ব্যায়াম করবেন না। আপনার শরীরের অবস্থা অনুযায়ী সময় নির্ধারন করাটা ভালো। এজন্য কোন অভিঙ্গ ফিটনেস এক্সপার্টের পরামর্শ নিতে পারেন।

      ৩) প্রতিদিন যদি আপনার রুটিনে দুই ঘন্টা ব্যায়াম করার সিডিউল বা ইচ্ছা থাকে তবে অবশ্যই সে সময়টুকু দিনের বেলা ফেলবেন। ভারী কোন ব্যায়াম করার ফলে শরীরের অনেক অঙ্গ প্রতঙ্গ প্রসারিত হয়ে থাকে। এদের রিলাক্স করার জন্য বেশ সময়ের প্রয়োজন। তাই দিনের যেকোন সময়কে বেছে নিতে পারেন।

      সন্ধ্যাবেলা:
      ১) অনেকে অফিস থেকে ফিরে আসেন এ সময়ে। আবার অনেকে কিছুটা রাত করে ফেরেন। বাসায় এসে ফ্রেস হয়ে একটু রেস্ট নিয়ে তবেই ব্যায়াম করা শুরু করতে পারেন। শরীরের কোন রকম কান্তিভাব থাকলে ব্যায়াম শুরু করবেন না। শরীরের কান্তিভাব আপনার মনঃসংযোগ দিতে বাঁধা দিবে। তাই হালকা কিছু খেয়ে নিয়ে কান্তিভাব দুর করে ফেলুন।

      ২) সন্ধ্যাবেলা শরীরচর্চার জন্য যোগব্যায়াম খুবই উপযোগী। এই ব্যায়াম গুলো ধীরে ধীরে করতে হয় বলে শরীরের উপর তেমন কোন চাপ পড়ে না। এছাড়াও ট্রেডমিল, সাইকিং ব্যবহার করেও ব্যায়াম করতে পারেন। নিজের পছন্দ অনুযায়ী গতি বাড়িয়ে নিতে পারেন। আর একটি ব্যায়াম করতে পারেন তাহলো মেডিটেশন। ১৫ মিনিট নিরিবিলি পরিবেশে মেডিটেশন করলে আপনার মন ও শরীর দুটোই শান্ত হয়ে যাবে।

      জেনে রাখুন:
      ১) ব্যায়ামের সঠিক সময়ের সঙ্গে খাওয়ার সময়ের সঠিক ভারসাম্য না থাকলে ব্যায়ামের সুফল পাওয়া যাবে না। সময় অনুযায়ী ব্যায়ামের ধরনও ভিন্ন হবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই রুটিন করে নিন।

      ২) যদি কর্মব্যস্ততার কারনে সারাদিন কোন ব্যায়ামই করা না হয় তাহলে সেটা আপনার শরীর ও মনের জন্য ভালো নয়। তাই ব্যায়াম একদমই না করার চেয়ে কিছু সময় করাটা অনেক ভালো। তাই সময়ের সল্পতা থাকলে অল্প সময়ের জন্য হলেও প্রতিদিন ব্যায়াম করুন।

      ৩) ব্যায়াম করার পর শরীরের তাপমাত্রা, রক্ত চলাচল বেড়ে যায়। এর ফলে শরীর অধিক কর্মক্ষম থাকে এবং শান্তভাব কেটে যায়। তাই ঘুমাতে যাওয়ার ঠিক আগেই ব্যায়াম করা উচিত নয়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে কমপক্ষে ৩ ঘন্টা হাতে নিয়ে ব্যায়াম করে নিতে পারেন।

      • 710 views
      • 1 answers
      • 0 votes
    • Professor Asked on February 26, 2015 in স্বাস্থ্য.

        পিরিয়ড়ের সময়ে শারীরিক মিলন করলে গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে না। তবে এ সময়ে শারীরিক মিলন না করাই ভালো। এসময়ে ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

        • 479 views
        • 1 answers
        • 0 votes
      • Professor Asked on February 26, 2015 in স্বাস্থ্য.

          একটু বাড়তি ওজন সব সময়েই ঝামেলার সৃষ্টি করে। ওজনের সাথে লুকের একটি ব্যাপার তো জড়িত থাকেই কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না যে এর সাথে জড়িত থাকে আমাদের স্বাস্থ্য। আমাদের দেহের সুস্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে আমাদের দেহের সঠিক ওজনের ওপর।

          ওজন বেড়ে গেলে দেহের নানা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের ক্ষতি হওয়া শুরু করে, হৃদপিণ্ডের স্বাস্থ্যে সমস্যা বৃদ্ধি হয়, উচ্চ রক্তচাপ, কলেস্টোরলের সমস্যা সহ নানা ধরণের সমস্যা দেখা দেয়। তাই ওজন বেড়ে যাওয়া নিয়ে একটু সতর্ক থাকা উচিত সকলের। এমন কাজ করা উচিত যাতে সহজেই ঝেড়ে ফেলা যায় বাড়তি ওজন এবং নিয়মিত কাজগুলো করলে ধরে রাখা সম্ভব হয় সঠিক ওজন। আজকে চলুন দেখে নেয়া যাক বাড়তি ওজন কমাতে এবং সঠিক ওজন ধরে রাখতে প্রতিদিন সকালে যে ৩ টি ছোট্ট কাজ করা উচিত।

          ১ গ্লাস কুসুম গরম পানি ও লেবু
          জার্নাল অফ বায়োকেমিক্যাল নিউট্রিশন, ২০০৮ সালে তাদের জার্নালে প্রকাশ করেন, ‘লেবুর মধ্যে যে পলিফেনল মলিকিউলস রয়েছে তা দেহে মেদ জমতে বাঁধা প্রদান করে এবং মেদ দূর করতেও বিশেষভাবে কার্যকর। শুধু তাই নয় এটি ডায়বেটিস রোগীদের জন্যও বেশ উপযোগী’। প্রতিদিন সকালে মাত্র ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে লেবু চিপে খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে দেবে মেদবিহীন ঝরঝরে সুস্থ শরীর। তবে সকালে ১ গ্লাসের বেশি কখনোই পান করবেন না লেবু গরম পানি। অতিরিক্ত পান করার ফলে দেহে পানিশূন্যতা ও দাঁতের এনামেল ক্ষয়ের সম্ভাবনা দেখা দিতে পারে। তাই নিয়ম করে ১ গ্লাসই পান করুন।

          পরিমিত ব্যায়াম ও হাঁটাচলা
          আমেরিকার ন্যাশনাল ওয়েট কন্ট্রোল রেজিস্ট্রির করা একটি গবেষণায় প্রায় ৪০০০ মানুষের ওপর পরীক্ষা করে দেখা যায়, যারা নিয়মিত সকালের অন্তত ১৫-২০ মিনিট ব্যায়াম ও হাঁটাচলা করেন তারা অন্যান্যদের তুলনায় বেশ দ্রুতই বছরে ৩০ পাউন্ড পর্যন্ত ওজন কমাতে সক্ষম হন। তাই সকালে ঘুম থেকে উঠে একটু সময় বের করে নিয়ে ব্যায়াম করে নিন কিংবা হেঁটে বা জগিং করে আসুন কোনো পার্ক থেকে। দেহে মেদ জমার সুযোগই পাবে না।

          প্রোটিন সমৃদ্ধ নাস্তা
          সকালের নাস্তায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। কারণ এটি ওজন কমাতে সাহায্য করে। প্রোটিন অনেকটা সময় ধরে পেট ভর্তি রাখে এবং ক্ষুধা নিবারন করে। আপনি যখন ক্ষুধার্ত কম হবে তখন আপনি সাধারণভাবেই কম খাবেন। এতে করে কমবে আপনার ওজন। বায়োফোরটিস ক্লিনিক্যাল রিসার্চ ও ইউনিভার্সিটি অফ মিজউরি ডিপার্টমেন্ট অফ এক্সসারসাইজ ফিজিওলজি অ্যান্ড নিউট্রিশনের গবেষকগণ বলেন, ‘অন্যান্য খাবারের তুলনায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারে ক্যালরি অনেক কম থাকে কিন্তু নিউট্রিশনাল ভ্যালু অনেক বেশি, তাই এটি একই সাথে ওজন কমাতে ও দেহ সুস্থ রাখতে কাজ করে’। তাই সকালের নাস্তায় কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার যেমন, ভাত, রুটি এবং পাউরুটি জাতীয় খাবার না খেয়ে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।

          এছাড়া দেখুন :

          খুব সহজ শসার ডায়েট- মাত্র ২ সপ্তাহে কমবে ১৫ পাউনড পর্যন্ত : অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি যে শুধু শসার একটি ডায়েটে আপনি মাত্র ১৪ দিনে ১৫ পাউনড পর্যন্ত ওজন ঝরিয়ে ফেলতে পারবেন। ঘড়ি ধরে খাবার ঝামেলা নেই। শসার সাথে খেতে পারবেন অন্য খাবারও। আবার ব্যায়াম করার যন্ত্রণাও নেই। কেবল একটা সহজ নিয়মে দারুণভাবে কমবে আপনার ওজন। ডায়েটের পদ্ধতিটি জানার আগে আসুন জেনে নিই শসার কিছু পুষ্টি উপাদান সম্পর্কে। বিস্তারিত : https://www.priyo.com/2014/09/17/107059.html

          দৈনিক ৫০০ ক্যালোরি ক্ষয় করুন সহজ পাঁচটি কাজে, কমান ওজন : ওজন কমানোর জন্য আমরা কত কিছুই না করে থাকি। কত ধরনের ব্যায়াম, কত ধরনের বিধি নিষেধ মেনে চলি। পছন্দের খাবারগুলোকে বিসর্জন দিই। তারপরও ক্ষয় করতে পারি না ক্যালোরি, কমাতে পারি না ওজন। ওজন মাপার যন্ত্রটাকে সব চাইতে বড় শত্রু মনে হয়। এত কিছু করার পরও ওই যন্ত্রটা যেন ঈর্ষা করে ভুল ওজন দেখায় আমাদেরকে। হতাশ হয়ে পড়েন অনেকেই। হতাশা ও রাগে অনেকেই ওজন কমানো ও ক্যালোরি ক্ষয়ের ইচ্ছা কমিয়ে দেন

          • 750 views
          • 1 answers
          • 0 votes
        • Professor Asked on February 26, 2015 in স্বাস্থ্য.

            সন্তান আমাদের সেই সম্পদ, যার কল্যাণের জন্য আমরা করতে পারি অনেক কিছুই। নতুন শিশু পরিবারে আসার পরে তার সুস্থতা ও যত্নের দিকেই পিতা মাতার খেয়াল থাকে সব চাইতে বেশি। এবং তারই সূত্র ধরে আসে শিশুর খাদ্যের ব্যাপারটি। নতুন শিশুর খাবারের দিকে রাখতে হবে সর্বাধিক নজর, কেননা এই খাদ্যের ওপরেই অনেকাংশে নির্ভর করবে তার সুস্থতা। নতুন শিশুর মঙ্গলের কথা বিবেচনা করেই আমাদের নিয়মিত আয়োজন শিশুদের খাবার দাবার। সেই ধারাবাহিকতায় আজ রইল ৮ থেকে ১০ মাস বয়সী শিশুর খাবারের বিষয়টি।

            আপনার শিশু সন্তানের বয়স ৮-১০ মাসের মধ্যে হলে এখন বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবারও খাচ্ছে। পাতলা খিচুড়ি, সুজি এসবে সে এখন অভ্যস্ত। কিন্তু বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে তার আরও খাবারের দরকার। এই সময় বাচ্চাদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধি খুব দ্রুত হয়। তাই ঠিক মত পুষ্টিকর খাবার না পেলে তাদের বৃদ্ধি অনেকটাই বাধাগ্রস্থ হতে পারে। তাই তাদের খাবারের প্রতি হতে হবে আগের থেকে আরও বেশি যত্নশীল।

            আপনার সন্তান এখন আগের থেকে ধীরে ধীরে খাওয়ার পরিমান বাড়িয়েছে নিশ্চয়। খিচুড়ি, সবজি পিউরি, সুজি খাচ্ছে নিয়মিতই। এসব ছাড়াও এখন সে হয়তো আপনাকে খেতে দেখলে তার ছোট ছোট হাত দুটি বাড়িয়ে দেয়। ২/১টা ভাতের দানা তার মুখে তুলে দিতে আপনারও নিশ্চয় অনেক ভালো লাগে।এসব কিন্তু বলে দেয় এখন তার দরকার আর বেশি পরিমানে খাবার।

            এখন আপনার সন্তান বসতে শিখে গেছে। হয়ত ছোট ছোট পায়ে হামাগুড়ি দেয়ার চেষ্টাও করে। এছাড়াও খেয়াল রাখবেন সে তার হাতের আঙুল ব্যাবহার করে ছোট ছোট জিনিস তুলতে পারে কি না সেই সাথে সব কিছু মুখে নেবার প্রবনতা তো থাকবেই। এক হাত থেকে আরেক হাতে জিনিস নিতেও হয়তো শিখে গেছে সে। এসব বা এসবের কিছু যদি আপনার সন্তানকে করতে দেখেন তাহলে বুঝতে হবে সে ঠিক মতন বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর তাই এখন বাড়াতে হবে তার খাবার পরিমানটাও।

            ৮-১০ মাস বয়সী বাচ্চার খাবারঃ

            বাচ্চা অন্যান্য খাবার খাচ্ছে মানে এই নয় যে আপনি তাকে বুকের দুধ খেতে দেয়া বন্ধ করে দিবেন। সেটা কখনই উচিৎ হবেনা। মনে রাখবেন বাচ্চার ২ বছর বয়স হওয়া পর্যন্ত বুকের দুধ খুব উপকারি। তবে আপনার কোন মেডিকেল বিধি নিষেধ থাকলে আলাদা কথা। সেক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শে বাচ্চাকে ফর্মুলা দুধ খাওয়াতে পারেন। এছাড়া এখন তার রেগুলার খাবারের পাশাপাশি দিতে পারেন পাস্তুরিত চীজ বা দই। সরাসরি দেয়ার থেকে ভালো হবে তার খাবারে মিশিয়ে দিলে। খিচুড়িতে এখন অল্প তেল দিতে পারেন, বা তেলের বদলে চীজ দিতে পারেন। আর স্বাদের জন্য লবনতো আছেই। এই সময় আপনি চাইলে এক কোয়া রসুনের অল্প একটু করে নিয়ে খিচুড়িতে যোগ করে দিতে পারেন। ইচ্ছা না করলে দেয়ার দরকার নেই। আর দইটা সরাসরিই দিতে পারেন। তবে ঠাণ্ডা না হলেই ভালো। কিন্তু গরুর দুধ দিতে যাবেন না। আপনার সন্তানের জন্য এই বয়সে গরুর দুধ ভালো হবেনা। আর এখন গরম পড়েছে প্রচুর তাই বাচ্চাকে পানিও খাওয়াতে হবে অনেক।

            বাজারে বাচ্চাদের জন্য অনেক ধরনের সিরিয়াল বা সেরিলাক পাওয়া যায়। অনেক বাবা মা’ই সেসব খাওয়ান বাচ্চাকে, যদিও এসবের থেকে বাসার খাবার অনেক পুষ্টিকর। বাচ্চা সিরিয়াল বা সেরিলাক খেতে পছন্দ করলে তাকে সুজির নরম হালুয়া করে দিতে পারেন। মজাদার করার জন্য সাথে চিনি আর ফলের টুকরাও যোগ করে দিতে পারেন। তবে যায়ই দিন না কেন খেয়াল রাখবেন খাবারে আয়রনের মাত্রা ঠিক রাখবেন। এই সময় তাদের জন্য আয়রন খুব দরকারি একটা উপাদান। সুজির সাথে বারলি, ওট, গম ইত্যাদি শস্যদানা পিষে মেশাতে পারেন। যেহেতু আপনার সন্তান এখন ধরা শিখেছে তাই সে নিজের খাবারটাও নিজে ধরে খেতে চাইবে। তার হাতে কিছু খাবার ধরিয়ে দিলে সে নিজে হাতে খেতে পছন্দ করবে সেই সাথে খাবারের প্রতিও তার আগ্রহ বাড়বে। একে বলে “ফিঙ্গার ফুড। ফিঙ্গার ফুড হিসাবে পাকা কলা ছোট করে কেটে দিতে পারেন, বা বাসায় তৈরি রুটি ছোট ছোট করে টুকরা করে অথবা স্পাইরাল পাস্তা সেদ্ধ করে দিতে পারেন সামনে। এতে খেলাও হবে আবার খাওয়াও হবে। তবে হাতে কিছু দিয়ে থাকলে তা চোখে চোখে রাখবেন, কেননা বাচ্চা নিজে খেতে গেলে গলায় আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

            শুধু খিচুড়ি বা সুজি খেতে খেতে অনেক সময় আপনার বাচ্চার ভালো নাও লাগতে পারে। সেক্ষেত্রে তাদের সেদ্ধ চটকানো সবজি বা ফলমূল দেয়া যেতে পারে যেমন আলু, মিষ্টি আলু, গাজর, কলা, আপেল, আঙুর ইত্যাদি। আরেকটা পুষ্টিকর খাবার হল ডিমের কুসুম। বাচ্চাকে দিনে একটি ডিমের কুসুম খাওয়ানোর চেষ্টা করবেন। তবে বেশি দিলে পেট খারাপ হতে পারে। সেই সাথে মুরগির কলিজা দেয়ার চেষ্টা করবেন। বাচ্চাকে অল্প পরিমানে বড় মাছ এবং মুরগির মাংস দিতে পারেন। সেই সাথে বিভিন্ন ডাল ঘন করে রান্না করে অল্প করে খাওয়াতে পারেন। এসব থেকে বাচ্চা তার পর্যাপ্ত প্রোটিন পাবে।

            দিনে কতটুকু দিতে হবেঃ

            বাচ্চাকে তার খাবারের চাহিদা অনুযায়ী খেতে দিতে হবে। এত দিনে তার কিছুটা হলেও পছন্দ অপছন্দ তৈরি হয়ে গেছে খাবারের ব্যাপারে। তাই সুস্বাদু খাবার দেয়ার চেষ্টা করতে হবে। প্রথমে খেয়াল রাখতে হবে সে কোনটা বেশি খেতে পছন্দ করে। খিচুড়ি বেশি খেতে পছন্দ করলে তাকে দিনে ১/৩ থেকে ১/২ কাপ খিচুড়ি দিতে হবে। সুজির হালুয়া ১/৩ থেকে ১/২ কাপ দেয়া যেতে পারে। চটকানো সবজি ও ফলমূল ১/৩ থেকে ১/২ কাপ করে দিতে পারেন। এছাড়া ফলমূল জুস করেও দিতে পারেন। দই বা চীজ বা তেল দিনে একটু কম পরিমানে দিতে পারেন। পরিমানটা হতে পারে ১/৪ থেকে ১/৩ কাপ। তবে আপনার সন্তান সহ্য করতে না পারলে আরও কম করে দিন। সেই সাথে আয়রন যুক্ত খাবার ১/৪ থেকে ১/২ ভাগ ও প্রোটিন যুক্ত খাবার যেমন মাছ মাংস দিনে ১/৮ থেকে ১/৪ কাপ দিতে পারেন।

            এখন যেহেতু সে হামাগুড়ি দিতে পারে, তাই সে ঘুরে ফিরে খেলতে চাইবে অনেক বেশি। ধীরে ধীরে নিজের উপরে নিয়ন্ত্রন আনা শিখছে আপনার সন্তান। তাই খাবারটাও সেভাবে হিসাব করেই দিতে হবে। আর মনে রাখবেন যে আপনার সন্তান হয়ত সবটা খেতে পারবেনা। সব বাচ্চার খাবারের চাহিদা এক নয়। কেউ কম কেউ বেশি খাবে। তাই জোর করবেন না। আর নতুন খাবার খাওয়ালে তা পুনরায় দেয়ার আগে অন্তত ২ দিন সময় নিয়ে দেখুন এলার্জির কোন সমস্যা হচ্ছে কি না। কোন খাবারে সমস্যা হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না। এবং পুরানো বাসি খাবার খাওয়ানো থেকে বিরত থাকুন। ঠিক ভাবে খাবার-দাবার আর আপনার কাছ থেকে আদর ভালবাসা পেলেই দেখবেন আপনার সন্তান সুস্থভাবে বেড়ে উঠছে।

            • 712 views
            • 1 answers
            • 0 votes
          • Professor Asked on February 26, 2015 in স্বাস্থ্য.

              বিছানায় প্রস্রাব বা শয্যামূত্র বা অসাড়ে মূত্রত্যাগ (Enuresis) সাধারণত শিশুদের রোগ তবে অনেক সময় বড়দের এবং বৃদ্ধদেরও এই রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। এক্ষেত্রে মূত্রথলির দুর্বলতা পক্ষাঘাতবশত মূত্রধারণ ক্ষমতা সম্পূর্ণ বা আংশিক ভাবে লোপ পায়। শিশুরা ঘমন্ত অবস্থায় মূত্রত্যাগ করে।

              সাধারণত মূত্রথলির গায়ের পেশী সংকোচন বশত মূত্রবেগ হয় এবং ঠিক সেই মুহূর্তেই সূক্ষ স্নাযুক্রিয়ার ফলে মূত্রথলির গ্রীবায় অবস্থিত দ্বাররক্ষী সংকোচন পেশীর প্রসারণ ঘটে এবং মূত্রত্যাগ ক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হয়। কিন্তু এই সহযোগিতা জন্মাতে শিশুদের ক্ষেত্রে কিছু দিন দেরী হয় এবং ততদিন বিছানায় প্রস্রাব করে। অনেকে ইহাকে শয্যামূত্র নামেও অবহিত করে থাকেন।

              পেটে কৃমি থাকা, মুত্রাশয়ের উত্তেজনা, মুত্রাশয়ের পাথরী এবং মূত্রযন্ত্রের নানা প্রকার রোগের কারণে ইহা দেখা দিতে পারে। এই রোগের বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পায় যেমন – রোগীর ইচ্ছানুসারে মূত্রত্যাগ হয় না। কখনো মুত্রাশয়ের মূত্র সঞ্চয় হলে ফোটা ফোটা মূত্রত্যাগ হয় আবার কখনো মূত্রের বেগ এত বেশি হয় যে মূত্রবেগ সম্বরণ করতে পারে না।

              রাত্রে কখনো কখনো বিছানায় প্রস্রাব করে। শিশুদের এবং বৃদ্ধদের এই রোগ বেশি হতে দেখা যায় আবার পুরুষ অপেক্ষা স্ত্রীলোকদের বেশি হয়। রোগী মনে করে যে বাইরে এসে প্রস্রাব করছে কিন্তু সে ঐ সময় নিদ্রাবস্থায় বিছানায় প্রস্রাব করে। এই সকল লক্ষণ প্রায়ই প্রকাশ পায়। দেখা যায় অনেক কিশোর এবং তরুনরাও এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যায় যথাযথ হোমিও চিকিৎসা নেয়া উচিত।

              • 963 views
              • 1 answers
              • 0 votes
            • Professor Asked on February 26, 2015 in স্বাস্থ্য.

                জরায়ুর ক্যান্সার :

                আজকাল জরায়ু ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত নারীদের সংখ্যা অধিকতর বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেখা গেছে রোগীদের মধ্যে শতকরা ৫০ ভাগ সারভিকের ক্যান্সার, ৩০-৩৫ ভাগ জরায়ুর ক্যান্সার এবং বাকি গুলি সারকোমা। সারকোমার চেয়ে ক্যান্সার এত বেশি হয় যে জরায়ুতে Malignant growth হলেই ভয়ের কারণ হয়ে দাড়ায়। প্রথম দিকে লক্ষণ তেমন প্রকাশ পেলেও অতি সামান্য। পরবর্তীকালে রোগ বৃদ্ধির সঙ্গে পেটের আকার বড় হয় এবং ঋতু বন্ধ হয়ে যায়। দূর্বলতা এবং জ্বর বৃদ্ধি পায়। কোমরে, পেতে ব্যথা হয়। কখনো জরায়ু বেঁকে পেটের দিকে ঠেলে যেতে পারে।

                আক্রান্তের সংখ্যা :

                সাধারণভাবে বলা হয়ে থাকে, ৩০ শতাংশ নারী জরায়ু মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। পৃথিবীতে ক্যান্সারে যত মহিলার মৃত্যু হয়, তার এক-তৃতীয়াংশের ক্ষেত্রেই ঘাতক হল জরায়ু মুখের ক্যান্সার। প্রতি দিন অন্তত ২০০ মহিলার মৃত্যু হচ্ছে এই অসুখে। প্রতি ঘণ্টায় মারা যাচ্ছেন অন্তত আট জন। বাংলাদেশে এ সংক্রান্ত কোনো সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তারপরও মনে করা হয়, দেশে মোট ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীর মধ্যে ২২ থেকে ২৯ শতাংশই জরায়ুর ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। আলোচনার শুরুতেই বলে নেয়া ভাল যে চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলেন, নারীর জরায়ু আবরণীর কোষগুলোতে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে এবং এ সব পরিবর্তন ধীরে ধীরে ক্যান্সারে রূপ নিতে অনেক সময় ১০-১৫ বছর পর্যন্তও লেগে যায়। তাই প্রাথমিক অবস্থায় এ রোগটি চিহ্নিত করা সম্ভব হলে খুব সহজেই হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে রোগটি সারিয়ে তোলা সম্ভব।

                প্রকারভেদ :

                জরায়ুর ক্যান্সার দু’ধরনের। এক ধরনের ক্যান্সার জরায়ুর মুখে হয় আরেক জাতের ক্যান্সার হয় জরায়ুর ভেতরে । মেয়েরা ভিন্ন দুটি বয়সে জরায়ুর দুই ধরণের ক্যান্সারের শিকারে পরিণত হয়। আর এ কারণেই জরায়ুর ক্যান্সারকে দুই ভাবে ভাগ করা হয়। এ ছাড়া এই দুই ক্যান্সারের উপসর্গ এবং চিকিৎসা পদ্ধতি ভিন্ন।

                কারণ ও প্রতিকার :

                সাধারণভাবে জরায়ুর মুখের ক্যান্সার তুলনামূলকভাবে অল্প বয়সে এবং জরায়ুর ভেতরে যে ক্যান্সার তা বেশী বয়সে হয়। বহুল প্রচলিত একটি কথা হলো, ক্যান্সার নো এ্যান্সার। আসলে যে কোনো ক্যান্সার দেহে ছড়িয়ে পড়লে তার হাত থেকে নিস্কৃতি পাওয়া খুবই কষ্টকর । তবে জরায়ু-মুখের ক্যান্সার নিয়ে একটু ব্যতিক্রম আছে। কারণ এই ক্যান্সারকে সূচনাতেই শনাক্ত করা সম্ভব। আর সূচনাতে শনাক্ত করা গেলে সঠিক হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগকে পুরোপুরি সারিয়ে তোলা যায় ।

                অন্যদিকে জরায়ুর ভেতরে যে ক্যান্সার হয় তা মহিলাদের বেশি বয়সে দেখা দেয়। এ ছাড়া এ রোগ শনাক্ত করাও সহজ নয়। সব মিলিয়ে যদি এ রোগ যখন ধরা পড়ে তখন দেখা যায় এরই মধ্যে রোগটি দেহে ছড়িয়ে পড়ছে। মাথা ব্যাথার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অনেকেই মাথা কেটে ফেলার কথা বলেন। মাথা কাটা তো কোনোভাবেই সম্ভব না। তবে এখানে এ কথাটি টেনে আনার কারণটা হলো, জরায়ু কেটে ফেলা হলে জরায়ুর ক্যান্সারের প্রকোপ থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব হতে পারে বলে অনেকেই মনে করেন। তবে মনে রাখতে হবে, একটি বিশেষ বয়সের পর নারীর সন্তান ধারণের ক্ষমতা আর থাকে না। এটি সাধারণ ভাবে ৪৫ থেকে ৫০ বছরের হয়ে থাকে। কিন্তু জরায়ুর মুখের ক্যান্সার এই বয়সে পৌঁছানোর আগেই দেখা দেয়। তাই হোমিওপ্যাথি হলো এই রোগের উৎকৃষ্ট চিকিৎসা।

                যে সব মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে হয় বা যাদের ঘন ঘন সন্তান হয় তাদের মধ্যে জরায়ুর ক্যান্সার বেশি হয়। অন্যদিকে পাশ্চাত্যে নারীদের অধিকা হারে সঙ্গী থাকার কারণে এই ধরণের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আংশকা বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে জরায়ুর মুখে ক্যান্সারের প্রকোপ খুব বেশি হলেও জরায়ুর ভেতরের ক্যান্সারের প্রকোপ তুলনামূলকভাবে কম। এই ক্যান্সার সাধারণভাবে একটি বিশেষ বয়সের পরে দেখা দেয়। এ কারণে আগে ভাগে জরায়ু ফেলে দিয়ে এই রোগের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার কথা ভাবা হয়ত ঠিক হবে না।

                জরায়ুর মুখের ক্যান্সারে প্রথম দিকে তেমন কোনা উপসর্গ থাকে না। কিন্তু এই রোগ একটু ছড়িয়ে পড়লে তখন কিছু কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে জরায়ু মুখের ক্যান্সার নির্ণয়ের সেরা পদ্ধতি হলো প্যাপ টেস্ট। জরায়ুর মুখের লালা নিয়ে এই পরীক্ষা করা হয় এবং এটি অতি সাধারণ একটি পরীক্ষা। ২০ বছরের পর প্রতিটি মেয়ের এই পরীক্ষা নিয়মিত করানো উচিত। যদি কোনো মেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিতভাবে, অর্থাৎ তিন বা ৫ বছর অন্তর অন্তর এই পরীক্ষা করান তবে তার জরায়ুর মুখে ক্যান্সার সূচনাতেই ধরা পড়বে। প্রাথমিকভাবে এ রোগের কোনো উপসর্গই আর সুচনাতেই ধরা পড়লে চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ থেকে মু্ক্তি পাওয়া সম্ভব।

                এ ছাড়া জরায়ু ক্যান্সারের টিকা বের হয়েছে-যা ২০ থেকে ২২ বছরের মধ্যে নিয়ে নেয়া যায়। তবে এ টিকা পাশ্চাত্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হলেও বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে তার ব্যাপক প্রচলন ঘটে নি। অন্যদিকে জরায়ুর ভেতরের ক্যান্সার নারীর বেশি বয়সে হয়। সাধারণভাবে সন্তান ধারণের বয়স পার হওয়ার পর এই ক্যান্সার দেখা দেয়। এই ক্যান্সারের অন্যতম উপসর্গ হলো, বয়সের কারণে যে নারীর পিরিয়ড বা মাসিক বন্ধ হয়ে গেছে। তা আবার দেখা দেয়। কিংবা নির্দিষ্ট বয়সের পরে যাদের পিরিয়ড বন্ধ হওয়ার কথা তা বন্ধ না হয়ে বরং নিয়মিত বা অনিয়মিতভাবে তা চলতে পারে। এ রকম কোনো উপসর্গ দেখা দেয়া মাত্র চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

                একটি বিষয় নিশ্চিত করে আমরা বলতে পারি যে, জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের প্রকোপ এখন অনেক বেশী এবং এ রোগ সূচনাতেই ধরা পড়লে তা প্রপার হোমিও চিকিৎসার মাধ্যমে সারিয়ে তোলা যায়। আর এ রোগ হয়েছে কিনা সেটি নির্ণয় করা মোটেও কষ্টসাধ্য বা ব্যয় বহুল নয়। তাই সবাই এ রোগের ব্যাপারে সচেতন হোন এবং প্রতিহত করার চেষ্টা করুন ।

                • 638 views
                • 1 answers
                • 0 votes
              • Professor Asked on February 26, 2015 in স্বাস্থ্য.

                  ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ফল-মূলে বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন, খনিজ লবণ ও এন্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। আর এই ফল খাওয়া নিয়ে রয়েছে নানা ধরনের ছোট খাটো কুসংস্কার। অনেকেই মনে করেন খালিপেটে ফল খাওয়া উচিত নয়। আবার অনেকে মনে করেন আহারের সঙ্গে সঙ্গে ফল খাওয়া উচিত নয়। এ নিয়ে অনেক বিতর্ক রয়েছে।

                  চিকিত্সা বিজ্ঞানীদের মতে, আহারের আগে ফল খাওয়ার সঙ্গে কোন বিরূপ অবস্থা তৈরি হয় না। অনেকে ধারণা করেন, খালিপেটে ফল খেলে পাকস্থলীতে গিয়ে ফলের মেটাবলিজম বা বিপাকীয় প্রক্রিয়া যথাযথভাবে সম্পন্ন হয় না।

                  কিন্তু বাস্তবে এটা সঠিক নয়। কাঁচা ফল বা পাকা ফল যে কোন ধরনের ফলই খাওয়া হোক না কেন পাকস্থলীতে ফলকণা প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে পাকস্থলী থেকে নিঃসৃত বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ ফলের ক্ষতিকর উপাদান এমনকি জীবাণু পর্যন্ত ধ্বংস করে দেয় এবং যথাযথ মেটাবলিজম শুরু হয়। তাই খালিপেটে ফল খেলে কোন ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা নেই।

                  তবে যাদের এসিডিটি রয়েছে তাদের সাইট্রাস জাতীয় বা লেবু জাতীয় ফল খালি পেটে না খাওয়াই ভালো। খালি পেটে ফল খেলে তা আপনার দেহের আন্ত্রিক পদ্ধতি বিষমুক্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটা আপনাকে যেমন শক্তি যোগাবে তেমনি ওজন হ্রাস ও অন্যান্য দৈহিক তৎপরতায় যথেষ্ট সহায়তা করবে। খালিপেটে ফল খাওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ।

                  • 624 views
                  • 1 answers
                  • 0 votes
                • Professor Asked on February 26, 2015 in স্বাস্থ্য.

                    সহজলভ্য পুষ্টির উত্স হিসেবে ডিমের তুলনা কেবল ডিমই হতে পারে। তাই বাড়িতে বা রেস্তোরাঁয় সকাল-বিকেলের নাশতাতেই হোক কিংবা দুপুর-রাতের খাবারে ডিমের একটা মেন্যু ঘুরেফিরে আসেই। আর ব্যাচেলরদের জীবনে সহজে রান্নার সহজ মেন্যু হিসেবে ডিম তো প্রায় ‘জাতীয় খাদ্য’ই বটে!

                    অবশ্য ডিমের জনপ্রিয়তার পাশাপাশি অনেক দিন ধরেই এই ধারণাও ব্যাপকভাবে প্রচারিত যে, ডিমের কুসুম খাওয়া অনেক সময়ই প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। বিশেষত যাদের হৃদরোগ বা এ রোগের ঝুঁকি আছে, তাঁদের ডিমের কুসুম খেতে নিষেধ করা হয়। বলা হয়ে থাকে, ডিমের কুসুমে থাকা ‘স্যাচুরেটেড ফ্যাট’ ও ‘উচ্চমাত্রার কোলেস্টরল’ উচ্চ রক্তচাপজনিত স্বাস্থ্যসমস্যা এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে বহুল প্রচলিত এ ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছেন হালের বিজ্ঞানীরা।

                    পুষ্টিবিদ লিজ উলফি ডিমের কুসুম খাওয়ার লাভ-লোকসান নিয়ে অনেক কথা বলেছেন। তাঁর মতে, ডিমের কুসুম না খেলে লাভের চেয়ে লোকসানই বেশি। কেননা, কুসুম না খেলে ভালো মানের পুষ্টি থেকে বঞ্চিত হবেন আপনি। কুসুম খেলে শারীরিক ক্ষতির ঝুঁকি নিয়েও বিশদ আলোচনা করেছেন উলফি। তিনি জানান, স্যাচুরেটেড ফ্যাট ও কোলেস্টরলের উত্স কুসুম নিয়ে হইচই শুরু হয় বিশ শতকের গোড়ায় নিকোলাই আনিচকভের গবেষণার পর। আনিচকভ খরগোশের ওপর এ নিয়ে পরীক্ষা চালান এবং দেখেন, কোলেস্টরলে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

                    ওই গবেষণার ফল চ্যালেঞ্জ করে লিজ উলফি বলেন, ‘খরগোশের সঙ্গে মানুষের শরীরের তেমন কোনো সাধারণ মিল নেই। আর কোলেস্টরল ওদের ডায়েটের অংশও নয়।’ কিন্তু ওই গবেষণাই ডিমের কুসুমের বিষয়ে প্রচারণার ভিত্তি।

                    পরবর্তী সময়ে ১৯৫০ সালের দিকে গবেষক অ্যাঙ্কেল কিজ স্যাচুরেটেড ফ্যাট নিয়ে তাঁর বিখ্যাত ‘সাত দেশের গবেষণা’ করেন। কিজ দেখিয়েছিলেন, বেশি মাত্রায় ‘অ্যানিমেল ফ্যাট’ গ্রহণ করে এমন মানুষেরা হৃদরোগের ঝুঁকিতে বেশি থাকে। কিন্তু তাঁর গবেষণাও পূর্ণাঙ্গ ছিল না বলে দাবি করেন উলফি।

                    ২০১০ সালে দ্য আমেরিকান জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন এ বিষয়ে একটা বিশদ বিশ্লেষণী প্রতিবেদন প্রকাশ করে। ২১টি আলাদা গবেষণার ফল নিয়ে প্রকাশিত ওই বিশ্লেষণে জানানো হয়, ‘স্যাচুরেটেড ফ্যাট করোনারি হার্ট ডিজিজ, স্ট্রোক কিংবা করোনারি ভাসকুলার ডিজিজের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।’ তা ছাড়া, চলতি বছরের শুরুর দিকে টাইম সাময়িকী তাদের ১৯৮৪ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে নিয়েছে, যাতে বলা হয়েছিল—ডিম এবং অন্যান্য উচ্চমাত্রার চর্বিযুক্ত খাবার ক্ষতিকর।

                    হৃদরোগের প্রকৃত কারণ সম্পর্কে পুষ্টিবিদ উলফি বলেন, স্থায়ী দুশ্চিন্তা-উদ্বেগ এবং উদ্ভিজ্জ তেল ও প্রক্রিয়াজাত শর্করাজাতীয় খাবারের সৃষ্ট প্রদাহ থেকেই হৃদরোগ হয়ে থাকে। এই পুষ্টিবিদ আরও বলেন, ডিমের কুসুম ভিটামিন-এ ও ভিটামিন-বি-এর খুবই ভালো উত্স। ভিটামিন-এ ত্বকের জন্য ভালো। ভিটামিন-বি শরীরে শক্তি জোগায়, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী এবং মাংসপেশির গঠনে সহায়ক। এ ছাড়া গর্ভধারণের জন্যও ডিমের কুসুম খাওয়া উপকারী। ডিমের কুসুমে থাকা স্যাচুরেটেড ফ্যাট শরীরে প্রয়োজনীয় হরমোনের উত্পাদন প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং শরীরে ভিটামিন ও মিনারেল ধারণ করার ক্ষমতা বাড়ায়। খাবারদাবারে মোট ক্যালরির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে কুসুমসহ পুরো ডিম খেলেও ওজন বাড়বে না, বরং তা শরীরের জন্য উপকারী।

                    • 651 views
                    • 1 answers
                    • 0 votes
                  • Professor Asked on February 26, 2015 in স্বাস্থ্য.

                      প্রাপ্তবয়স্ক অর্থাৎ ১৮ বছর বয়সের পর সুস্থ স্বাভাবিক সকলেই স্বেচ্ছায় রক্ত দিতে পারেন। এবং পুরোপুরি সুস্থ সকলের রক্ত দেয়াই উচিত। আপনার দেয়া রক্তে হয়তো একজন অসুস্থ মানুষের জীবন বাঁচতে পারে। কিন্তু আপনি যদি নিজেই সম্পূর্ণ সুস্থ না হন তবে রক্ত দেয়ার প্রয়োজন নেই।
                      কিন্তু শুধু রক্ত দিলেই তো চলবে না, রক্ত দেয়ার ফলে রক্তদাতার যেনো শারীরিক কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। রক্ত দেয়ার পূর্বে এবং পরে একজন রক্তদাতার বিশেষ কিছু কাজ করা উচিত নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য। চলুন তবে দেখে নেয়া যাক কি কি কাজ করা উচিত।

                      রক্ত দেয়ার পূর্বে করনীয়ঃ
                      ১) আপনি যদি কোনো কারণে অসুস্থবোধ করে তবে সেদিনের মতো রক্ত দেয়া থেকে বিরত থাকুন
                      ২) রক্ত দেয়ার পূর্বে পুষ্টিকর খাবার খেয়ে নিন, কিন্তু তৈলাক্ত কিছু খাবেন না।
                      ৩) রক্ত দানের পূর্বে প্রচুর পরিমাণে পানি ও পানি জাতীয় খাবার খাবেন।
                      ৪) যেদিন রক্ত দেবেন তার আগের রাতে অনেকটা সময় ভালো করে ঘুমিয়ে নেবেন।

                      রক্তদানের পরে করনীয়ঃ
                      ১) অনেকটা সময় শুয়ে থাকবেন। হুট করে উঠে বসবেন না বা উঠে দাঁড়াবেন না।
                      ২) প্রচুর পরিমাণে পানি ও পানি জাতীয় খাবার গ্রহন করুন। এই ব্যাপারে অবহেলা করবেন না মোটেও।
                      ৩) আয়রন, ফোলাইট, রিবোফ্লাবিন, ভিটামিন বি৬ সমৃদ্ধ খাবার যেমন লাল মাংস, মাছ, ডিম, কিশমিশ, কলা ইত্যাদি ধরণের খাবার খাবেন।
                      ৪) কয়েক ঘণ্টার জন্য শারীরিক পরিশ্রমের কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। এবং বেশ কিছুদিন সাধারণ সময়ের তুলনায় একটু কম পরিশ্রম করে বিশ্রাম নিন।
                      ৫) রক্তদানের ৩ মাস পর নতুন করে রক্ত দিতে পারবেন। এর আগে পুনরায় রক্ত দেবেন না।

                      সূত্রঃ emedicinehealth

                      • 612 views
                      • 1 answers
                      • 0 votes
                    • Professor Asked on February 26, 2015 in স্বাস্থ্য.

                        ত-পা ঘামার কারণ
                        হাত-পা ঘামার প্রাথমিক কারণ হিসেবে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। তবে অতিরিক্ত স্নায়বিক উত্তেজনার কারণে ঘাম হয়ে থাকে। এ ছাড়া আরও নানা কারণে হাত-পা ঘেমে থাকে। যেমন পারকিনসন্স ডিজিজ, থাইরয়েডে সমস্যা, ডায়বেটিস, জ্বর, শরীরে গ্লুকোজের স্বল্পতা, মেনোপোজের পর প্রভৃতি। অনেক সময় শরীরে ভিটামিনের অভাব থাকলে হাত-পা অতিরিক্ত ঘামতে পারে। আবার মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও জেনেটিক কারণে হাত-পা ঘামে।

                        চিকিৎসা

                        সঠিক কারণ বের না করে চিকিৎসা করা উচিত নয়। আগে অনুসন্ধান বা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কারণ খুঁজতে হবে। তারপর সঠিক চিকিৎসা নিলে এ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সাধারণত বিভিন্নভাবে হাত-পা ঘামা কমানো যেতে পারে। অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইডযুক্ত একধরনের বিশেষ লোশন হাত-পায়ে ব্যবহার করলে হাত-পা ঘামা কমে যায়। বিশেষ ধরনের বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেকে নিলে হাত-পা ঘামা কমে যাবে। পরবর্তী সময়ে এটি দেখা দিলে আবার একইভাবে সেই বৈদ্যুতিক যন্ত্রে হাত-পা সেকে নিতে হবে। এসব পদ্ধতি ছাড়াও একটি বিশেষ ধরনের নার্ভের অস্ত্রোপচার করেও হাত-পা ঘামা কমানো যায়।

                        তবে হাত-পায়ের ঘাম রোধে যা-ই করা হোক না কেন, এর আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

                        কৃতজ্ঞতাঃ প্রথম আলো

                        • 716 views
                        • 1 answers
                        • 0 votes