10773
Points
Questions
23
Answers
5384
মানুষের জীবনে কষ্টের কারণ অনেক, এবং এটি ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। তবে কিছু সাধারণ কারণ রয়েছে, যা প্রায় সবার জীবনেই কোনো না কোনোভাবে প্রভাব ফেলে—
১. জীবন স্বাভাবিকভাবেই চ্যালেঞ্জিং
জীবন পরিবর্তনশীল এবং অনিশ্চিত। আমাদের প্রত্যাশা ও বাস্তবতার মধ্যে পার্থক্য থাকায় হতাশা আসে, যা কষ্টের জন্ম দেয়।
২. আবেগ ও অনুভূতি
মানুষ আবেগপ্রবণ প্রাণী। দুঃখ, হতাশা, ব্যর্থতা—এসব অনুভূতি আমাদের মানসিক কষ্টের অন্যতম কারণ।
৩. সম্পর্ক ও সামাজিক জটিলতা
পরিবার, বন্ধু, ভালোবাসার মানুষ—সব সম্পর্কেই টানাপোড়েন থাকে। ভুল বোঝাবুঝি, বিচ্ছেদ, প্রত্যাখ্যান এগুলো মানসিক যন্ত্রণার কারণ হতে পারে।
৪. অর্থনৈতিক চাপ
জীবনযাত্রার খরচ, চাকরি হারানো, ঋণের বোঝা ইত্যাদি অর্থনৈতিক সমস্যাগুলো অনেকের জন্য বিশাল কষ্টের কারণ হয়।
৫. ব্যর্থতা ও প্রত্যাখ্যান
জীবনে প্রত্যাশা অনুযায়ী সব কিছু হয় না। কর্মক্ষেত্রে, সম্পর্কের ক্ষেত্রে, বা ব্যক্তিগত জীবনে ব্যর্থতা মানুষকে ভেতর থেকে কষ্ট দেয়।
৬. মৃত্যু ও বিচ্ছেদ
প্রিয়জনের মৃত্যু বা দূরে চলে যাওয়া কষ্টের অন্যতম প্রধান কারণ। এটি একটি অবশ্যম্ভাবী বাস্তবতা, যা মেনে নেওয়া কঠিন।
৭. দার্শনিক দৃষ্টিকোণ
অনেক দার্শনিক মনে করেন, কষ্ট ছাড়া মানুষ কখনো সুখের প্রকৃত মূল্য বুঝতে পারে না। জীবন শিখতে ও বেড়ে উঠতে কষ্টের প্রয়োজন হয়।
৮. সমাজ ও প্রতিযোগিতা
আধুনিক সমাজে সবাই প্রতিযোগিতার মধ্যে থাকে—উন্নতি, সাফল্য, খ্যাতি পাওয়ার দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার ভয়ও কষ্টের কারণ হতে পারে।
কষ্ট থেকে মুক্তির উপায়
✅ মনের শক্তি বাড়ানো – কঠিন সময়েও ইতিবাচক থাকা শিখতে হবে।
✅ পরিবর্তনকে গ্রহণ করা – জীবন পরিবর্তনশীল, তাই নতুন বাস্তবতাকে মানিয়ে নেওয়া জরুরি।
✅ ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতা – অনেকে ধর্ম বা মেডিটেশনের মাধ্যমে মানসিক শান্তি খুঁজে পান।
✅ নিজেকে ভালোবাসা – নিজেকে দোষারোপ না করে নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।
✅ সাহায্য চাওয়া – মানসিক চাপ বেশি হলে বন্ধু, পরিবার বা বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া উচিত।কষ্ট জীবনের অংশ, তবে এটি আমাদের শক্তিশালী ও অভিজ্ঞ করে তোলে। কঠিন সময় কেটে যায়, শুধু ধৈর্য রাখতে হয়।
- 150 views
- 1 answers
- 0 votes
খারাপ সময়েও ভাল থাকার জন্য আমাদের বাস্তব জীবনে নিয়মিত অভিনয় করে যেতে হয় । জীবনে খারাপ সময় আসতেই পারে, কিন্তু এই সময়গুলো পার করার জন্য কিছু কার্যকরী উপায় রয়েছে।
বিশেষত যখন আমাদের মনে হতাশা, উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা গ্রাস করে, তখনই আমাদের মানসিক শান্তি বজায় রাখার জন্য কিছু পরামর্শ অনুসরণ করা জরুরি। এই পোষ্টে খারাপ সময়েও ভাল থাকার জন্য এমন কিছু কার্যকর উপায় তুলে ধরা হবে যা আপনাকে এই কঠিন সময়েও সঠিক পথে পরিচালিত করবে।
খারাপ সময় বলতে কী বোঝায় এবং এটা কেন আসে
আমাদের জীবন কোন না কোন কারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। এটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক, পেশাগত জীবনের চাপ, শারীরিক অসুস্থতা বা মনস্তাত্ত্বিক সমস্যার কারণে হতে পারে।
যখনই আমরা অনুভব করি যে, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখনই আমাদের মন ও মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে মনে রাখতে হবে, খারাপ সময় আসবে এবং চলে যাবে। এটি একটি প্রাকৃতিক অংশ, যা জীবনের অস্থিরতা এবং পরিবর্তনকে নির্দেশ করে। এই সময়গুলোর সাথে আমাদের মানসিকভাবে খাপ খাইয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
খারাপ সময়েও ভাল থাকার জন্য ইতিবাচক মনোভাব রাখা
খারাপ সময় একেবারে কোনো ব্যক্তির জীবন থেকে বাদ যায় না। জীবন কখনও মসৃণ থাকে না, এবং এটি আমাদের সকলের জন্য একটি কঠিন সময় নিয়ে আসে। তবে, খারাপ সময়ের মধ্যে থেকেও ভাল থাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো ইতিবাচক মনোভাব রাখা।
যখন আমরা মনে করি সব কিছু বিপর্যস্ত, তখন ইতিবাচক মনোভাব আমাদের শক্তি প্রদান করতে পারে এবং আমাদের মনোযোগ সঠিক দিক দিয়ে পরিচালিত করতে সহায়ক হয়। ইতিবাচক মনোভাব আমাদের জীবনে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ারগুলোর মধ্যে একটি।
এটি আমাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খারাপ সময়ের মধ্যে, যখন আমাদের চারপাশে হতাশা এবং বিপর্যয় দেখা যায়, তখন একটি ইতিবাচক মনোভাব আমাদের সামনে সঠিক দিক দেখায়। এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খোঁজার জন্য নতুন উপায় তৈরি করতে সহায়তা করে।
খারাপ সময়েও ভাল থাকার জন্য কিছু কার্যকর পদক্ষেপ অনুসরণ করা যেতে পারেঃ
- ধীর গতিতে চলুনঃ খারাপ সময়েও ভাল থাকার জন্য কোন কাজ তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলুন। মনোযোগ দিন আপনার শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রতি এবং প্রতি মুহূর্তে শান্ত থাকার চেষ্টা করুন।
- দেহের যত্ন নিন: শারীরিক সুস্থতা মানসিক সুস্থতার সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। নিয়মিত ব্যায়াম করুন, ভালো খাওয়া-দাওয়া করুন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
- দয়ালু হনঃ খারাপ সময়েও ভাল থাকার জন্য নিজেকে এবং অন্যদের প্রতি দয়ালু থাকুন। সহানুভূতিশীল মনোভাব আপনাকে খুশি রাখে এবং অন্যদেরও শান্তি দেয়।
- সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখুনঃ খারাপ সময়েও ভাল থাকার জন্য বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখুন। একাকীত্ব খারাপ সময়ের মধ্যে আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
- পরিবর্তন গ্রহণ করাঃ জীবন পরিবর্তনের সাথে চলে, এবং এই পরিবর্তনগুলি সবসময় আমাদের জন্য সুখকর নয়। তবে, পরিবর্তনকে সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারলে এটি আমাদের জীবনের অংশ হতে পারে। খারাপ সময়ও এক ধরনের পরিবর্তন এবং এটি আমাদের শেখার, বেড়ে ওঠার এবং নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ দেয়। এটি মানসিক শক্তি এবং স্থিতিশীলতা তৈরি করতে সহায়ক হয়।
- আশা বজায় রাখাঃ খারাপ সময়ের মাঝে আশার আলো গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমাদের মনে হয় যে সবকিছু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তখন আমাদের আশাবাদী মনোভাব সবকিছু বদলে দিতে পারে। একটি ছোট্ট আশার সঞ্চার আপনার জীবন পরিবর্তন করতে সক্ষম। আশা রাখুন যে খারাপ সময় একদিন শেষ হবে এবং ভালো দিন আসবে।
- দীর্ঘমেয়াদী মানসিক সুস্থতাঃ খারাপ সময় পার করার পরও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে দীর্ঘমেয়াদী অভ্যাস প্রয়োজন। এটি কোনো একদিনের কাজ নয়, বরং একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আপনার প্রতিদিনের অভ্যাসে ইতিবাচক মনোভাব রাখা, নিজের সাথে সদয় থাকা এবং নিজের বিকাশে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দীর্ঘমেয়াদে, এই অভ্যাসগুলো আপনাকে প্রতিকূলতার মধ্যেও সুস্থ এবং শক্তিশালী রাখতে সহায়ক হবে।
- সংগ্রামের মধ্যে আশা খোঁজাঃ সংগ্রাম আমাদের জীবনের অঙ্গ, এবং খারাপ সময়ের মধ্যে আমরা যখন হতাশ হয়ে পড়ি, তখন আমাদের আশা হারিয়ে ফেলার ঝুঁকি থাকে। তবে, সংগ্রামের মধ্যে আমরা অনেক কিছু শিখি, এবং এই শেখা আমাদের জীবনে নতুন পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে। যে মুহূর্তে আমরা মনে করি কিছুই ভালো হচ্ছে না, সেদিনই একটি ছোট্ট আশা আমাদের পুরো পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে।
জীবনে খারাপ সময় আসবে, কিন্তু সেগুলো আমাদের স্থায়ীভাবে পরাজিত করতে পারবে না যদি আমরা ইতিবাচক মনোভাব রাখতে পারি। ভালো থাকার জন্য আমাদের উচিত, যে কোনো পরিস্থিতিতে আশাবাদী হওয়া, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, এবং দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতা বজায় রাখার জন্য সচেতন থাকা।
খারাপ সময়ও শেষ হয়ে যায়, এবং আপনি যদি ইতিবাচক মনোভাব রাখেন, তবে এই সময়টি আপনার জন্য আরো অনেক কিছু শেখার সুযোগ হয়ে উঠবে।
- 82 views
- 1 answers
- 0 votes
- অপরিচিত মানুষদের সাথে মেশার ক্ষেত্রে শুরুতেই
- তাদের নাম জেনে নিন।
- কথা বলার ক্ষেত্রে কোন ধরনের লজ্জাবোধ কাজ করা যাবে না।
- আত্মবিশ্বাসী এবং সাহসী মনোভাব রাখুন।
- অপরিচিত মানুষটির চলন-বলন দেখে এবং কথাবার্তা শুনেই তার সম্পর্কে এবং তার ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে প্রাথমিকভাবে মনে মনে একটি ধারণা তৈরি করে ফেলতে হবে।
- প্রথমেই অপরিচিত মানুষটির মনোভাব,ব্যক্তিত্ব এবং তার রুচিবোধ সম্পর্কে অনুমান করে ফেলতে হবে।
- অপরিচিত মানুষের সাথে নিজেকে হুট করে অতিরিক্ত জাহির করতে যাবেন না।
- কথাবার্তায় বিনয় ভাব ও ভদ্রতা বজায় রাখুন।
- অতিরিক্ত অঙ্গভঙ্গি করা ও আলগা কথা বলা পরিহার করাতে হবে।
- আন্তরিকভাবে প্রশ্ন করুন এবং কথাবার্তায় সৌজন্যতা ও উদারতা বজায় রাখুন।
- হুট করে অপরিচিত কাউকে ব্যক্তিগত প্রশ্ন করতে যাবেন না।বিপদে পড়তে পারেন।
- হাসি খুশি ভাব বজায় রাখুন।
- চোখে চোখ রাখুন।অযথা অন্য দিকে তাকানো যাবে না।
- কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এবং নিমিষেই নিজের ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করুন।
- ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলার ক্ষেত্রে শব্দ উচ্চারণ,শব্দ চয়ন,অ্যাটিটিউড এবং চাহনিতে এক ধরনের সভ্য এবং মার্জিত ভাব নিয়ে আসতে হবে।
- তারপর ধীরে ধীরে সে অপরিচিত মানুষটির আগ্রহ এবং পছন্দের বিষয়গুলোতে প্রবেশ করুন।
- ভুলেও নিজের বিষয়গুলো নিয়ে অতিরিক্ত ঘ্যানর ঘ্যানর করবেন না। যার সাথে মিশতে যান তার আগ্রহের বিষয় এর উপর ফোকাস রাখুন।
- প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করতে থাকুন।প্রশ্নের উত্তরে তার সাথে সহমত পোষণ করুন।
- অপরিচিত মানুষটির সাথে বিভিন্ন বিষয়ে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করুন।
- সে যে মতাদর্শে বিশ্বাস করে,সেখানে ভুলেও আঘাত করবেন না।বরং সেটার পক্ষে দু’চারটা কথা বলুন।
- কোথাও গিয়ে বসুন।চা-কফির অর্ডার দিন।
- অন্যের মাঝে নিজেকে মিশিয়ে ফেলার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে- তার মনের মধ্যে প্রবেশ করা।
- অপরিচিত কাউকে দেখামাত্রই এবং কথা বলা মাত্রই তার মনস্তত্ত্ব এবং তার ব্যক্তিত্ব পড়ে ফেলতে হবে।সে অনুযায়ী আগাতে হবে।
- 82 views
- 1 answers
- 0 votes
সত্যিকারের সুখ খুঁজে পাওয়া নির্ভর করে আপনার ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি, মূল্যবোধ এবং জীবনযাত্রার উপর। তবে কিছু সাধারণ নীতি অনুসরণ করলে আপনি অধিকতর সুখী হতে পারেন।
১. মানসিক শান্তি অর্জন করুন
- অপ্রয়োজনীয় প্রতিযোগিতা এড়িয়ে চলুন – অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা করলে অস্থিরতা বাড়ে।
- ধ্যান ও আত্মবিশ্লেষণের অভ্যাস গড়ুন – প্রতিদিন কিছুক্ষণ একা থাকুন ও নিজের চিন্তাগুলো বুঝতে চেষ্টা করুন।
- নেতিবাচক চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করুন – মনের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখা সম্ভব নয়, তবে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে পারেন।
২. সম্পর্কের যত্ন নিন
- পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটান – মানসিকভাবে ভালো থাকার জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- সত্যিকারের বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন – যারা আপনাকে বোঝে ও সাপোর্ট দেয়, তাদের গুরুত্ব দিন।
- অহংকার ও দ্বেষ কমান – মানুষকে ক্ষমা করার মানসিকতা রাখুন, কারণ রাগ ও অভিমান সুখ কেড়ে নেয়।
৩. অর্থ ও বস্তুবাদ নিয়ন্ত্রণ করুন
- অর্থের পিছনে অন্ধভাবে দৌড়াবেন না – টাকা প্রয়োজন, কিন্তু এটি একমাত্র সুখের উৎস নয়।
- সাদামাটা জীবনযাপন করুন – কম চাহিদা থাকলে মানসিক চাপ কমে এবং সুখ বেশি অনুভূত হয়।
- অর্থকে সঠিকভাবে ব্যয় করুন – অভিজ্ঞতা অর্জন ও মানুষের কল্যাণে ব্যয় করলে বেশি তৃপ্তি পাবেন।
৪. স্বাস্থ্য ও শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখুন
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন – এটি শুধু শারীরিক সুস্থতার জন্য নয়, মানসিক স্বস্তির জন্যও দরকারি।
- সুস্থ খাবার খান – খাদ্যাভ্যাস আপনার মেজাজ ও শক্তি নিয়ন্ত্রণ করে।
- পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন – অনিদ্রা মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়।
৫. অর্থপূর্ণ কাজ করুন
- নিজের পছন্দের কাজ করুন – যা করতে ভালোবাসেন, সেটাই পেশা হিসেবে নিতে পারলে বেশি সুখী হবেন।
- মানুষের উপকার করুন – নিঃস্বার্থভাবে অন্যের জন্য কিছু করলে হৃদয়ে প্রশান্তি আসে।
- নতুন কিছু শিখুন ও চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন – এটি জীবনের প্রতি উৎসাহ বাড়ায়।
৬. বর্তমানকে উপভোগ করুন
- ভবিষ্যৎ নিয়ে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করবেন না – বর্তমান মুহূর্তের মূল্য দিন।
- ছোট ছোট আনন্দকে উপভোগ করুন – সূর্যোদয় দেখা, ভালো বই পড়া, প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো ইত্যাদি ছোট জিনিসগুলো জীবনের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে।
সত্যিকারের সুখ কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্য নয়, বরং এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। যদি আপনি সাধারণ জীবনযাত্রা, ইতিবাচক মনোভাব, ভালো সম্পর্ক ও মানসিক শান্তি বজায় রাখতে পারেন, তবে প্রকৃত সুখ খুঁজে পাবেন।
- 68 views
- 1 answers
- 0 votes
নিজেকে সবার চাইতে সেরা বানাতে হলে প্রথমে নিজের শক্তি ও দুর্বলতা চেনা জরুরি। প্রতিদিন নতুন কিছু শিখুন এবং নিজের দক্ষতা উন্নত করুন। পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাসের মাধ্যমে সাফল্য অর্জন করুন। শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখুন। ভালো সম্পর্ক ও মহত্বপূর্ণ মনোভাব আপনার সফলতার পথে সহায়ক হবে।আরও পড়ুন…
- 92 views
- 1 answers
- 0 votes
নারীবাদীরা এমনিই নিয়ন্ত্রিত হয় পন্চাশ ষাট বছরের পর।তার আগে একটু গ্যন্জাম করে।তখনও ওরা ঘাড় ত্যড়া ভাব দেখায়।তো সেইসময় ওরা নিজের শরীরের চাহিদা মেটাতে একটা ফেরিওআলাকেও শরীর দিয়ে দেবে এমনকি আপনাকেও দেবে।তবে ওরা তখন আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করবে না,ওরা পুচকে ছেলে ও জুয়ান বাচ্চাদের নিয়ন্ত্রণ করবে।না পারবে তারা বের হতে না ছেড়ে দিতে।সমানে দিয়ে জুয়ান মেয়ে যাবে ওরা বুড়ি নারীবাদীদের দাস হয়ে ওদের গু মুত খেয়ে বেড়াবে।তখন ওদের খারাপ লাগবে ঐ ভেবে আহারে আমি বুড়িদের কেন ওরলাম কেন পচিশ তিরিশের মেয়ে ধরলাম না।তো ভাই আপনারা এইসব সুগার মাম্মিদের শিকার হবেন না একদম।টাকার বিনিয়োগ বুড়ির সাথে কাজ।ভালো না লাগলেও করবেন।একদুদিন ভালো লাগবে এরপর ঘেন্না হবে।
তাই এক কাজ করুন আপনারা এইসব ফালতু মেয়েদের এখনই ছেড়ে দিন।লাটিমের মত ঘুরুক।ঘোরা বন্ধ হলে মানে বয়সকালে যৌবন ফুরালে এরা নিজেরাই আত্মসমর্পণ করবে।তখন টিভি হয়ে যাবে এরা রিমোট হবেন আপনারা। তখন ওরা ওভার কনট্রোল হবে ছেলেরা বাকিটা বুঝে নিন।
- 79 views
- 1 answers
- 0 votes
নিজেকে ব্যস্ত রাখা, নিজের স্কিল বৃদ্দি করা, কোনো এক সময় সুযোগ আসলে কাজে লাগানো যায়।
কয়েকটি জিনিস যা বিতর্ক আনে তা থেকে দূরে থাকা।
কিছু কাজ অনেক বড় প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে, আবার স্কিল বাড়ানোর জন্য এখন অনেক রিসোর্স সহজলভ্য
- 71 views
- 1 answers
- 0 votes
মানসিক শান্তি (Inner Peace) হল এক ধরনের অন্তরের প্রশান্তি, স্থিতিশীলতা ও আত্মার পরিতৃপ্তি, যা মানুষকে সুখী ও পরিপূর্ণ জীবনযাপনে সহায়তা করে। দেহ ও মন একে অপরের সাথে সংযুক্ত, তাই দেহের সুস্থতা ও মানসিক শান্তি একে অপরের পরিপূরক। (আরও)
ইসলামে মানসিক শান্তি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহর উপর ভরসা, নামাজ, ধ্যান ও সঠিক জীবনযাপন মানসিক প্রশান্তির মূল চাবিকাঠি। এই লেখায় আমরা দেহ ও মানসিক শান্তির সংজ্ঞা, কারণ, এবং ইসলামের আলোকে তা অর্জনের উপায় আলোচনা করবো।
📌 দেহ ও মানসিক শান্তি কী?
মানসিক শান্তি হল এক ধরনের আত্মিক ও মানসিক প্রশান্তি, যেখানে ব্যক্তি দুশ্চিন্তা, ভয়, উদ্বেগ ও হতাশা থেকে মুক্ত থাকে। এটি তখনই অর্জন করা সম্ভব পুরো আর্টিকেলটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন…
- 80 views
- 1 answers
- 0 votes
- প্রশ্ন করে বেশি, আলোচনা করে, ঘাটাঘাটি করে, সার্চ করে।
- অহেতুক সময় নষ্ট করে না।
- জানার আগ্রহ তীব্র থাকে।
- আপনার বাহ্যিক বিচার করে না, বরং আপনার এডুকেশনাল, এচিব সম্পর্কে জানতে চায়।
- পরিস্থিতি অনুযায়ী কথা বলে।
- মুখে লাগাম টেনে প্রয়োজনীয় বাক ছুড়ে।
- মানুষ নির্বাচনে খুব সুক্ষ্ম দৃষ্টি দেয়।
- বেশি বেশি বই পড়ে।
- প্রোডাক্টিভ হয়,অযথা কাজে দৌড়ায় না।
- দক্ষতা বৃদ্ধি করতে উৎস খোঁজে।
- ভালো শ্রোতা হয়,এবং মানুষ মূল্যায়ন খুব ভালো জানে।
- 83 views
- 1 answers
- 0 votes
মহিমান্বিত হতে চাওয়ার মধ্যে জীবনের প্রকৃত অর্থ খোঁজা এক গভীর দর্শন। কেউ যদি শুধুমাত্র খ্যাতি, ক্ষমতা বা সামাজিক স্বীকৃতির জন্য মহিমান্বিত হতে চায়, তাহলে সেটি একধরনের বাইরের আকর্ষণ, যা সাময়িক তৃপ্তি দিতে পারে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে আত্মতুষ্টি আনে না।
কিন্তু যদি মহিমান্বিত হওয়া মানে হয় মানুষের কল্যাণে কিছু করা, জ্ঞান বা সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে নতুন কিছু সৃষ্টি করা, বা এমন কিছু রেখে যাওয়া যা পরবর্তী প্রজন্মকে আলোকিত করবে—তাহলে সেটিই প্রকৃত অর্থ বহন করে।
প্রকৃত মহিমার মানে কী হতে পারে?
১. নিজেকে উৎকর্ষিত করা – সত্যিকারের মহিমা আসে নিজের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করার মাধ্যমে।
২. অন্যদের উপকার করা – প্রকৃত সম্মান আসে তখনই, যখন মানুষকে সত্যিকারভাবে সাহায্য করা যায়।
3. নিজের নীতিতে অটল থাকা – কেবল বাহ্যিক সাফল্য নয়, আদর্শ ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
৪. সৃষ্টিশীল কিছু রেখে যাওয়া – সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শন বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে অবদান রাখা।শেষ কথা
মহিমান্বিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা যদি শুধুমাত্র অহংকার বা বাহ্যিক স্বীকৃতির জন্য হয়, তাহলে তা জীবনের প্রকৃত অর্থ বহন করে না। কিন্তু যদি এটি হয় নিজেকে ও সমাজকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য, তাহলে সেটি অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে।
- 86 views
- 1 answers
- 0 votes