10773
Points
Questions
23
Answers
5384
নিজেকে জানতে হলে আপনার শুদ্ধ আত্তা,পজিটিভ মাইন্ড প্রয়োজন আর কিছুই না।
আপনি কতটা পজিটিভ চিন্তা করেন সেটা কখনো ভেবেছেন? আপনি কেমন আপনি কেমন চিন্তা করেন আপনি নিজেকে কোথায় ১০ বছর পর দেখতে চান ভেবেছেন?
এইটা একদিনের ফল না, আপনি কেমন মানুষের সাথ্র মিশেন, তাদের চিন্তা ভাবনা কেমন এইটা বুঝার উপলব্ধি আপনি না করতে পারলে আপনি নিজেকে কখনোই জানতে পারবেন না, কিছু উপকারি টিপস দেয় কাজে দিবে।
- নিজেকে একা বোধ না করে একাকি থাকার চেষ্টা করুন, তবে নিজেকে সহজে জানতে পারবেন।
- বই পড়ার বিকল্প নেই, বই পড়লে জানতে পারবেন মনিষীরা। চিন্তা ভাবনা, জীবন নিয়ে কি আলোচনা করেছেন নিজের সাথে চেষ্টা করবেন মেলানোর।
- একাকীত্ব মনে না করে স্বাধ গ্রহন করুন, নিরিবিলি কোথাও বসে ভাবুন আপনি মানুষ হিসেবে কেমন,আপনার চিন্তা কেমন,আপনি যাদের সাথে চলাফেরা করেন তারা কেমন।
- যত জটিল আর যত খারাপ সময় আসুক আবেগি চিন্তা কখনোই করবেন না বিবেক নিয়ে ভাববেন এটা আপনাকে কিছু বছর উপলব্ধি করাবে আসলেই আপনার চিন্তা চেতনা আলাদা আপনি মানুষটি আলাদা।
- কম বন্ধু করুন তবে বিশ্বাসী, না থাকলে আরো ভালো কারণ বন্ধু চিরস্থায়ী নয় সুযোগ পেলে আঘাত করবে আপনাকে নিচ করবে।
নিজেকে জানতে হলে আপনার আশেপাশের পরিবর্তন করুন নিজেকে আগে গুছিয়ে নিন দেখতে ধিরেধিরে জানতে পারবেন আসলে আপনি কি চান,কেমন চিন্তা করেন, মানুষটি কেমন।
- 98 views
- 1 answers
- 0 votes
জীবন কে সাজানোর দরকার নেই। জীবন অদ্ভুত এক ভ্রমণ। প্রতিমুহূর্ততে উত্তেজনা।আপনি চাইলে ও জীবনকে আপনার মতো সাজাতে পারবেন না। কারণ ভবিষ্যত আপনার জন্য অজানা।তাই একে সাজানোর চেষ্টা না করে, বরং জীবন আপনার জন্য যা সাজিয়ে রাখবে, সন্তুষ্ট হয়ে তা গ্রহন করেন। জীবনে যে শুধুমাত্র বেঁচে আছেন, তার জন্য জীবনকে/ সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিন।
- 89 views
- 1 answers
- 0 votes
কোনো উদ্দীপকের প্রতি প্রতিকিয়া করতে গিয়ে প্রাণের মধ্যে যে আলোড়িত বা উত্তেজিত অবস্থার সৃষ্টি হয় যা তার অভিজ্ঞতা আচরণ এবং শারীরিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে প্রকাশ পায় তাকেই আবেগ বলা হয়।
- 98 views
- 1 answers
- 0 votes
আত্মবিশ্বাস দৃঢ় রাখার জন্য কিছু কার্যকর কৌশল অনুসরণ করতে পারেন:
১. আত্ম-সচেতনতা বাড়ান
নিজের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে সচেতন হন। আত্মবিশ্বাস তখনই আসে যখন আপনি নিজেকে সত্যিকারভাবে চিনতে পারেন।
২. নেতিবাচক মতামতকে গুরুত্ব কম দিন
সবাই আপনাকে পছন্দ করবে না, সবাই সমর্থনও করবে না। তবে সেটাই কি আপনার সাফল্য বা আত্মবিশ্বাসের মানদণ্ড? নয়।
৩. সাফল্যের রেকর্ড রাখুন
আপনার জীবনের ছোট-বড় সাফল্য লিখে রাখুন এবং মাঝে মাঝে তা দেখে অনুপ্রাণিত হন।
৪. ব্যর্থতাকে শেখার সুযোগ হিসেবে নিন
ব্যর্থতা মানেই আপনি অযোগ্য নন, বরং এটি শেখার একটি ধাপ। সফল ব্যক্তিরা বারবার ব্যর্থ হয়, কিন্তু তারা হাল ছাড়ে না।
৫. আত্মনির্ভরশীল হন
অন্যদের মতামতের ওপর কম নির্ভরশীল হয়ে নিজের ওপর আস্থা রাখুন। আপনি যা বিশ্বাস করেন, সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।
৬. শরীরী ভাষায় আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করুন
আপনার ভঙ্গিমা, হাঁটার ধরন, চোখে চোখ রেখে কথা বলা—এসব আত্মবিশ্বাসী মানসিকতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
৭. দক্ষতা বাড়ান
যেকোনো বিষয়ে পারদর্শী হলে আত্মবিশ্বাস স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। নিয়মিত শেখার অভ্যাস রাখুন।
৮. ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করুন
নেতিবাচক মানুষদের থেকে দূরে থাকুন। এমন মানুষের সাথে থাকুন যারা আপনাকে অনুপ্রাণিত করে।
৯. নিজেকে বারবার মনে করান—“আমি পারবো”
নিজেকে প্রতিদিন ইতিবাচক বাক্য বলুন, যেমন:
- “আমি যথেষ্ট যোগ্য।”
- “আমি যা চাই তা অর্জন করতে পারবো।”
১০. মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার যত্ন নিন
নিয়মিত ব্যায়াম করুন, ভালো ঘুমান এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খান। এগুলো আপনার মস্তিষ্ককে শক্তিশালী রাখবে।
নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন, আর কেউ আপনার আত্মবিশ্বাস ভাঙতে পারবে না!
- 92 views
- 1 answers
- 0 votes
“জীবনকে পরিপূর্ণভাবে উপভোগ করতে হলে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য জানা প্রয়োজন। আপনি যদি আপনার বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা করতে পারেন তাহলে পারিপার্শ্বিক অনেক কিছুর অবাঞ্ছিত প্রভাব থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারবেন।
কিন্তু যদি সরাসরি কাউকে প্রশ্ন করা হয় যে, আপনার জীবনের লক্ষ্য কী, তাহলে দেখা যাবে যে, শতকরা ৯৫ জনই আমতা-আমতা করছেন। কিছুই বলতে পারছেন না।
অথচ জীবনের কাছ থেকে আপনি কী চান তা যদি আপনার কাছে সুস্পষ্ট না থাকে তাহলে জীবন আপনাকে কোথাও নিয়ে পৌঁছাবে না। আপনি হাল ছাড়া নৌকার মতো জীবনসাগরে শুধু ঘুরপাক খাবেন।”
[লেখাটা এই আর্টিকেল থেকে নেয়া হয়েছে – আগে জানুন আপনি কেন বাঁচবেন ]
আসলে জীবন যে কী তা এক কথায় বলার বিষয় নয়, তা বোঝার বিষয় উপলব্ধির বিষয়।
উপরে একটি লেখার কিছু অংশ ও লিঙ্ক দিলাম। জীবনের চুম্বক অংশটা তুলে ধরা হয়েছে এখানে – যে জীবনকে উপভোগ করতে হলে বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য নির্ধারণ করা প্রয়োজন। এটা একেকজনের ক্ষেত্রে একেক রকম হবে। আর্টিকেলটিতে উপায়ও বিস্তারিত বলে দেয়া আছে যে কীভাবে জীবনের উদ্দেশ্যকে খুঁজতে হবে নিজের ভেতরে…
- 79 views
- 1 answers
- 0 votes
যেকোনো অভ্যাসই একদিনে ছাড়িয়ে যেতে পারবেন না। অভ্যাস ছাড়তে হলে কিছু নিয়ম মানতে হয়। এগুলো ব্যাক্তি অনুযায়ী ভিন্ন হয় এবং আমি আপনাকে আমার মতামত দিব।
টার্গেট রাখুন আপনি আগামী ৩ ঘন্টা এই কাজটা থেকে বিরত থাকবেন এবং বিরত থাকলে পারলে নিজেকে একটা দারুন পুরষ্কার দিবেন।
৩ ঘন্টা পূরন হয়ে গেলে আবার টার্গেট করুন আগামী ৬ ঘন্টা কাজটা থেকে বিরত থাকবেন এবং থাকতে পারলে নিজেকে একটা দারুণ পুরষ্কার দিবেন।
এভাবে ৯ ঘন্টা, ১২ ঘন্টা তারপর ১দিন, ৩দিন,৫দিন এরকম করে আপনি আপনার মতো করে চালিয়ে যান। মনে রাখবেন পুরষ্কার দেওয়া বাধ্যতামূলক, কারন মানব মস্তিষ্ক সব-সময় পুরষ্কার পেতে চায়।তাই মস্তিষ্ককে পুরষ্কার দিয়ে শান্ত রাখুন এবং খারাপ অভ্যাস ত্যাগ করে ফেলুন।
- 85 views
- 1 answers
- 0 votes
আপনার এই প্রশ্নের উত্তর আমি সবচেয়ে ভালো দিতে পারবো। কারণ আমি একজন ব্যর্থ মানুষ। এই শহরে আমার মতো ব্যর্থ মানুষ আরেকজন খুজে পাবেন না। জন্ম থেকেই ব্যর্থ আমি। আমার গল্প শুনলেই আপনি আপনার প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন।
আমি লেখাপড়া করি নাই। বন্ধু বান্ধব নিয়ে শুধু আড্ডা দিয়েছি দিনরাত। ঘুরে বেরিয়েছি। কেউ যদি বলতো চল ঘুরে আসি, সাথে সাথে চলে যেতাম। আমার বাপ মা কিছু বলতো না। আমরা অনেক গুলো ভাইবোন, বাবা মা কয়জনের দিকে খেয়াল রাখবে? আমাদের সাথে দুইজন চাচাতো ভাই থাকতো। মার সময় কাটতো রান্না ঘরে। আর আব্বা তো চাকরির খাতিরে ঢাকার বাইরে থাকতো। অবাধ স্বাধীনতা ছিলো আমার। অবাধ স্বাধীনতা পেয়ে আমি খারাপ হয়ে যাইনি। খারাপ কোনো নেশা আমার নেই। তবে সারারাত জেগে গল্প উপন্যাস পড়তাম। দুপুর পর্যন্ত ঘুমাতাম। ভাইবোনদের সাথে আমার ছোটবেলা থেকেই মিলমিশ কম। ছোটবেলা থেকেই কেমন একটা দূরত্ব। যা আজও অব্যাহত আছে।
আপনি প্রশ্নে একটা ভুল করেছেন। ‘মানুষ’ হবে। আপনি ‘মানষ’ লিখেছেন। জানি ইচ্ছে করে এই ভুল করেন নাই। আমি নিজেও খুব বেশি বানান ভুল করি। যাইহোক, উত্তরটা কোথা থেকে শুরু করবো, কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছি না। কয়েকদিন ধরে মন মেজাজ খুব বিক্ষিপ্ত হয়ে আছে। কিছুক্ষণ আগে বাসায় ফিরেছি। আমার রুমমেট রফিক ভাই গ্রামে গেছেন। উনি খুব করে অনুরোধ করেছেন, তার ব্যবসাটা আমাকে দেখতে। মানুষের বিপদে যদি মানুষ হয়ে সহযোগিতা না করি তাহলে কিভাবে হবে!
রফিক ভাই ভ্যানে করে সবজি বিক্রি করেন। গেন্ডারিয়া ধুপখোলা মাঠের সামনে। আমি বিক্রেতা হিসেবে ভালো। দুপুর ১২ টার মধ্যে সব সবজি বিক্রি করে ফেলেছি। আমার চোখে মুখে একটা সহজ সরল এবং সততার ভাবআছে। যে কাস্টমার ফুলকপি একটা কিনবে, সে চারটা ফুলকপি কিনেছে। রফিক ভাই এলে খুশি হবেন। ব্যবসা করতে হয় গায়ের জোর দিয়ে না, সমস্ত বুদ্ধি দিয়ে। ভালোত্ব দিত। মেধা দিয়ে। ভালোবাসা দিয়ে।
আমরা অনেক গুলো ভাইবোন। সবাই আজ প্রতিষ্ঠিত, শুধু আমি ছাড়া। আমার সেজো বোন ও ছোট বোন দুজনেই অস্টেলিয়া থাকে। তারা স্বামী আর সন্তান নিয়ে ভালো আছে। সুখে আছে। ফেসবুকে তাদের ছবি দেখেছি। শুনলাম দুজনেই নতুন গাড়ি কিনেছে। বাড়ি কিনেছে। গত পাচ বছরে বোনদের সাথে আমার কোনো যোগাযোগ হয়নি। শুনেছি মাঝে দিয়ে একবার দেশে এসেছে। কিন্তু আমাকে ফোন দেয়নি। দেখা করার কথা বলেনি।
আমার মেজো ভাই দেশের সেরা একটা কোম্পানিতে চাকরি করেন। অনেক টাকা সেলারি। ছোট ভাই ইঞ্জিনিয়ার। বড় বড় কাজ করে। ওদের টাকার অভাব নেই। বছরে দুবার ওরা দেশের বাইরে বেড়াতে যায়। গ্রামে পর্যন্ত তিন তলা বাড়ি করেছে। সেই বাড়ি খালি পড়ে আছে। ভাইরা ইচ্ছা করলে আমাকে সেই বাড়িতে থাকতে দিতে পারতো। যেহেতু বাড়িটা খালি পড়ে আছে, তাছাড়া আমার থাকার কোনো জায়গা নেই। বাড়িতে থাকার বিনিময়ে বাড়ির দেখভাল করতাম।
একবার আমি ছোট ভাইয়ের বাসায় যাই। সেদিন ওদের বাসায় কি যেন একটা অনুষ্ঠান হচ্ছিল। ছোট ভাইয়ের বউ বলল, এমন দিনে আসলেন বাসা ভরতি গেস্ট। আমি বললাম, তাহলে আজ যাই। অন্যদিন আসবো। আসলে আমি তোমাদের ছেলেটাকে দেখতে আসছিলাম। ছোট ভাইয়ের বউ বলল, ছোটন ওর বন্ধুদের সাথে খেলছে, এখন আসবে না। আমি চলে আসছিলাম, তখন ছোট ভাইয়ের বউ বলল, দাড়ান। আমি দাড়ালাম। ছোট ভাইয়ের বউ আমাকে দুটা পুরান শার্ট দিলো। একটা ছেড়া লুঙ্গি দিলো এবং হাতে কিছু টাকা গুজে দিলো। সব মিলিয়ে ৭৭ টাকা। আমার খুব অপমান লাগলো, কষ্ট লাগলো। চোখে একদম পানি চলে আসছে। ছোট ভাইয়ের বাসায় আমি কি পুরনো শার্ট প্যান্ট আনতে গেছি?
বাবার মৃত্যুর পর আমি শালা পড়ে গেলাম গর্তে। ভয়াবহ গর্তে। এখন থাকি একটা মেসে। ভয়াবহ অবস্থা। জঘন্য সেই মেস। এক রুমে থাকি আমরা আট জন। আমার রুমমেটরা ব্যবসায়ী। একজন রাস্তায় সবজি বিক্রি করে। একজন এটিএম বুথের সিকিউরিটি গার্ড। একজন কাওরানবাজারে এক রেস্টুরেন্টের মেসিয়ার। সুমন ভাই সবচেয়ে ভালো অবস্থায় আছেন, উনি এক অফিসের কেরানি। এদের মধ্যে আমার অবস্থা সবচেয়ে করুন। আমি কিছুই করি না। কি করবো? কোনো কাজই তো পারি না। সফটওয়্যারের কাজ জানলে ভালো হতো।
আমার রুমমেটরা ভালো। মেসের ভাড়া দিতে পারি না, খাওয়ার খরচ দিতে পারি না, তবুও ওরা আমাকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় না। বরং সিগারেট খেতে দেয়। সারাদিন আমি একদম ফ্রি থাকি না। ওদের জন্য রান্না করি। রান্নার কিছুই জানি না। কিন্তু ওরা খেয়ে বলে দারুণ হইছে। আমি লাইব্রেরি থেকে বই আনি। বই পড়ি। বই পড়তে আমার ভালো লাগে। অবশ্য সিনেমাও দেখতে আমি পছন্দ করি কিন্তু ল্যাপটপ না থাকায় মুভি দেখা হয় না। শেষ সিনেমা দেখলাম, ফরেস্ট গাম্প আর লাইফ ইজ বিউটিফুল। এই মুভিটা দেখে শেষের দিকে চোখে পানি চলে আসছে। চিলড্রেনস অব হেভেন মুভিটা দেখেও চোখে পানি এসেছিলো।
আমি লেখাপড়া করি নাই। লেখাপড়ায় আমার মন ছিলো না। ক্লাশে আমি জানালার কাছে বসতাম, বাইরের দিকে তাকিয়ে থাকতাম। বড় ভালো লাগতো। বছর শেষে ফেল করতাম। আমার ছোট মামা আমাকে যথেষ্ট ভালোবাসতেন। ফেল করার পরও তিনি আমাকে সাপোর্ট করতেন। আমাকে নিয়ে ভোলা ভাইয়ের বিরানীর দোকানে যেতেন। বলতেন, কি খাবি, খা। খাওয়া শেষে মামা একটা কোক কিনে দিতেন।
এই মামাই আমাকে এক অফিসে চাকরির ব্যবস্থা করে দেন। সেই অফিসে আমি জান জীবন দিয়ে খেটেছি। যে যা বলতো করে দিতাম। এমন কি অফিসের কেউ বাসা বদল করলে, আমাকে ডাক দিতো। একদিন অফিসের ম্যানেজার আমাকে ডেকে নিলেন। আমি মালপত্র ঠেলা গাড়িতে নিতাম, ঠেলাওলাদের সাথে গাড়ি ঠেলতে ঠেলতে নতুন বাসায় নিয়ে যেতাম। খাট আলমারি ওয়ার্ডরোব নিচ তলা থেকে পাচ তলায় নিয়ে যেতাম। কাজ শেষ করার পর ম্যানেজার বললেন, একদিন সময় করে এসে আমার বাসায় খেয়ে যেও। তোমার দাওয়াত রইলো।
সারা রাত শরীর ব্যথায় ঘুমাতে পারতাম না। জ্বর এসে যেতো। মাথায় পানি দেওয়া কেউ নেই। কেউ কেউ আমাকে দিয়ে বাজার করাতো। অফিস ছুটি ছয় টায়, কিন্তু আমি বাসায় ফিরতাম তার ১১ টায়। প্রতিদিনই কারো না কারো কাজ থাকতো। আমার সব সময় মানুষজন নিয়ে নিতো। দু:খে কষ্টে জীবনটা পার হয়ে যাচ্ছে। একটু সুখ আর আনন্দ পেলাম না। টাকা দিয়ে পত্রিকা কিনে পড়ার অবস্থা নেই। রাস্তায় দেয়ালে লাগানো মানহীন দৈনিক পত্রিকা গুলো পড়ি। ঘুম পেলে মসজিদে ঘুমাই। গুলশান মসজিদে প্রায়ই দুপুর বেলা তবারক দেয়। এজন্য আমি গুলশান মসজিদে যাই। দুপুর টাইমে মিষ্টি, ছানা দেয় না। তেহারি বা খিচুড়ি দেয়। সেই সব তেহারি আর খিচুড়ি খেয়েছি দীর্ঘদিন।
অফিসে সবাই আমাকে ভালোবাসে। অফিসে বসের স্ত্রী আমাকে নিয়ে নিউ মার্কেটের কাচা বাজার যায়। আমি বাজারের ব্যাগ নিয়ে বসের স্ত্রীর পেছন পেছন ঘুরি। নিউ মার্কেট থেকে বসের বউ মিরপুর এক পার্লারে যায়। আমি পার্লারের নিচে বসে থাকি। বিনিময়ে বসের স্ত্রী আমাকে পুরোনো জামা জুতো দেয়। যেদিন খুব বেশি খাটায়, আমাকে সেদিন খেতে দিতো। ফ্রিজের বাসী ভাত তরকারি। বাসী সেটা কোনো ব্যাপার না। যদি একটু ওভেনে গরম করে দিতো, আরাম করে খেতে পারতাম।
বসের বউটা খুব অমানবিক ছিলেন। একবার সন্ধ্যায় তিনি আমাকে ফোন করে আসতে বললেন। আমি জ্যাম পার হয়ে, অনেকটা পথ হেটে মগবাজার থেকে গুলশান যাই ম্যাডামের বাসায়। ম্যাডাম বললেন, তোমাকে কেন ডেকেছি, ভুলে গেছি। যাইহোক, তুমি এসেছো যখন আমাকে এক পাতা নাপা আর এক পাতা সারজেল ওষুধ এনে দাও। ম্যাডামের বাসার আশেপাশে কোনো ফার্মেসী নেই। আমি হাটতে হাটতে গুলশান দুই নম্বর যাই। সেখান থেকে ওষুধ কিনে ম্যাডামকে দিয়ে রাত ১১ টায় আমি বাসায় ফিরি। ক্লান্ত বিধস্ত।
ওই অফিসে আমি সাত বছর চাকরি করেছি। মজার ব্যাপার হলো সাত বছরে সাত দিন ছুটি নিইনি। এমনকি আমার কোনো অসুখ বিসুখও হয়নি। আরো মজার ব্যাপার হলো- প্রতিদিন সকাল নয়টার মধ্যে অফিসে ঢুকতাম। কখনো লেট করিনি। আফসোস এজন্য কেউ আমাকে কোনোদিন বাহবা দেননি। অফিসের এক বড় ভাই ছিলো, হারামজা আমাকে খাটাতে খাটাতে জীবনটা কয়লা করে দিছে।
একদিন কোনো কারন ছাড়াই হঠাৎ আমার চাকরি চলে গেলো। মনে মনে আমি খুশিই হলাম। যাক এবার বিশ্রাম পাবো। বিশ্রামের দরকার আছে। জমানো টাকা দিয়ে একটা এসএলআর ক্যামেরা কিনলাম। সারাদিন ক্যামেরা কাধে নিয়ে ঘুরে বেড়াই। ছবি তোলার ভালো কোনো বিষয় পেলে ছবি তুললাম। ছবি তোলার পাশাপাশি একটা উপন্যাসের কাজে হাত দিলাম। দেশভাগ, ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে উপন্যাস। বিশাল এক উপন্যাস। সেই উপন্যাস আজও শেষ করতে পারিনি। জন্মগত পোড়া কপাল আমার।
দু:খজনক কথা হলো, মামার দেওয়া চাকরির পর, আমি আর কোনো চাকরি পাইনি। সেই থেকে আমার বেকার জীবন শুরু। আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং ভাই বোনেরা আমাকে ত্যাগ করলো। একের পর এক আঘাত পেতে পেতে আমি মানসিক ভাবে বিধস্ত হয়ে পড়লাম। আমার ওজন কমে গেলো, চোখে মুখে বয়সের ছাপ পড়লো। দারুণ অভাবে পড়লাম। থাকার জায়গা নেই, খাওয়ার ব্যবস্থা নেই। বাবা মাও বেচে নেই। বন্ধুর অফিসে গেলে, বন্ধু দেখা করে না। পিয়ন দিয়ে খবর পাঠায় মিটিংয়ে আছে। মিটিং শেষ হতে দেরী হবে।
ভাইয়ের বাসায় গেলাম। হাজার হোক, আপন ভাই। মায়ের পেটের ভাই। কথায় আছে, মার পেটের ভাই, কোথায় গেলে পাই। ক্ষুধা আর অভাব সহ্য করতে না পেরে একদিন ভাইয়ের বাসায় গেলাম। ভাই কোনো কথাই বলল না আমার সাথে। তার নাকি প্রেসার বেড়েছে। ফিরে এলাম। পরের দিন ভাবী ফোন করে বললেন, তোমার ভাইয়ের হাত ঘড়িটা আমি মনের ভুলে নিয়ে এসেছি কিনা। ঘড়ি তার শ্বশুর দিয়েছিল বিয়ের সময়। ঘড়িটা ভাইয়ের খুব পছন্দ। আমি দরিএহতে পারি, কিন্তু আমি মানুষটা সৎ। যাইহোক, ভাবীর কথা শুধু আমি ভীষণ কষ্ট পেলাম। ভীষণ মন খারাপ হলো।
বিয়ে করেছি। আমার এক ছেলে আছে। অভাবের কারণে আমার বউ আমাকে ছেড়ে চলে যায়। পাচ বছর হয়ে গেলো! এই পাচ বছরে একবারও সুমির সাথে দেখা হয়নি। আমার বাচ্চাটাকে দেখি নাই। জানি না তারা কোথায় আছে। কেমন আছে! বাচ্চাটার জন্য বড় কষ্ট হয়। সুমির কোনো দোষ নাই। সুমি ভালো মেয়ে। সুমির বাবা বিরাট বদ লোক। এই শালারে রাস্তায় পেলে দূর থেকে ইট মেরে মাথা ফাটিয়ে দেব।
আজ যদি আমি ভালো ভাবে লেখাপড়া করতাম, তাহলে ডাক্তার হতাম। অথবা পাইলট। নিদেনপক্ষে একজন ব্যাংকার তো হতাম। লেখাপড়া না করার কারনে আজ আমি অন্যের সবজি বিক্রি করে দেই। আমি শালা নির্বোধ। গাধা। একজন ব্যর্থ মানুষ। কিছুই পারি না। গাড়ি চালাতে পারি না, রিকশা চালাতে পারি না। কম্পিউটারের কোনো কাজই পারি না। প্রচন্ড ভীতু আমি। মানুষের সাথে সুন্দর করে কথা বলতে পারি না। সেদিন এক রিকশা চালক আমার কলার চেপে ধরেছে। আমি শালা মরিও না। কত মানুষের মৃত্যু হয়। আমার মৃত্যু হয় না। আল্লাহ যেহেতু আমাকে বাচিয়ে রেখেছেন, তাহলে নিশ্চয়ই তা আমাকে নিয়ে আরো কিছু পরিকল্পনা আছে।
- 86 views
- 1 answers
- 0 votes
উদ্যোক্তা হতে চাইলে কিছু নির্দিষ্ট কৌশল ও মানসিকতা গড়ে তুলতে হয়। সফল উদ্যোক্তারা সাধারণত সঠিক পরিকল্পনা, কঠোর পরিশ্রম, এবং নতুন কিছুর চেষ্টা করার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যান।
1️⃣ সঠিক আইডিয়া নির্বাচন করুন
উদ্যোক্তা হওয়ার প্রথম ধাপ হলো একটি লাভজনক ও সমস্যার সমাধানকারী আইডিয়া খুঁজে বের করা।
✅ বাজারে চাহিদা আছে এমন কোনো পণ্য বা সার্ভিস বেছে নিন।
✅ নিজের দক্ষতা ও আগ্রহের সাথে মিলিয়ে আইডিয়া ঠিক করুন।
✅ প্রতিযোগীদের বিশ্লেষণ করুন এবং নতুন কিছু যোগ করুন।2️⃣ ছোট পরিসর থেকে শুরু করুন
অনেকেই বড় পরিসরে শুরু করতে গিয়ে হোঁচট খান।
✅ ছোট স্কেলে (low investment) শুরু করুন, তারপর ধাপে ধাপে বাড়ান।
✅ প্রথমে অনলাইন বা ফ্রিল্যান্সিং দিয়ে শুরু করতে পারেন।
✅ ফিজিক্যাল দোকান বা প্রতিষ্ঠান খোলার আগে অনলাইনে presence তৈরি করুন।3️⃣ বাজেট ও ফিনান্স ম্যানেজমেন্ট
সঠিকভাবে অর্থ ব্যবস্থাপনা করতে না পারলে উদ্যোক্তা টিকে থাকতে পারে না।
✅ নিজের বাজেট অনুযায়ী বিনিয়োগ করুন।
✅ অপ্রয়োজনীয় খরচ কমান এবং লাভের একটি অংশ পুনরায় বিনিয়োগ করুন।
✅ প্রয়োজনে বিনিয়োগকারী (Investor) বা সরকারি উদ্যোক্তা সহায়তা প্রোগ্রাম খুঁজুন।4️⃣ মার্কেটিং দক্ষতা অর্জন করুন
উৎপাদন বা সার্ভিস যতই ভালো হোক, যদি বিক্রি না হয়, তাহলে লাভ হবে না।
✅ ডিজিটাল মার্কেটিং, SEO, এবং Social Media Marketing শেখার চেষ্টা করুন।
✅ Facebook, Google Ads, Instagram, এবং YouTube মার্কেটিং কৌশল শিখুন।
✅ Content Marketing ও Word of Mouth স্ট্র্যাটেজি ব্যবহার করুন।একজন উদ্যোক্তার প্রতিবন্ধকতা গুলো কি কি হতে পারে
5️⃣ নেটওয়ার্কিং বাড়ান
ব্যবসা করতে গেলে পরিচিতি এবং ভালো সম্পর্ক থাকা খুব জরুরি।
✅ সফল উদ্যোক্তাদের সাথে যোগাযোগ রাখুন।
✅ বিজনেস ইভেন্ট, ওয়ার্কশপ, এবং অনলাইন কমিউনিটিতে অংশ নিন।
✅ সম্ভাব্য বিনিয়োগকারী ও ক্লায়েন্টদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলুন।6️⃣ ব্যর্থতাকে শিক্ষা হিসেবে নিন
✅ প্রথমবারেই সফল না হলে হতাশ হবেন না।
✅ ব্যর্থতাকে বিশ্লেষণ করুন এবং ভুল থেকে শিখুন।
✅ প্রতিটি চ্যালেঞ্জকে উন্নতির সুযোগ হিসেবে নিন।7️⃣ সময় ব্যবস্থাপনা শিখুন
একজন উদ্যোক্তার জন্য সময়ের মূল্য অনেক বেশি।
✅ To-do list তৈরি করে প্রতিদিনের কাজ পরিকল্পনা করুন।
✅ গুরুত্বপূর্ণ কাজ আগে করুন এবং ডেডলাইন ঠিক করে কাজ করুন।
✅ সময় অপচয় হয় এমন বিষয় এড়িয়ে চলুন (যেমন: অপ্রয়োজনীয় Social Media Scroll)।8️⃣ টেকনোলজি ব্যবহার করুন
✅ ডিজিটাল টুল যেমন Google Sheets, Trello, Notion ইত্যাদি ব্যবহার করে বিজনেস ম্যানেজ করুন।
✅ AI এবং Automation টুল ব্যবহার করে সময় ও শ্রম বাঁচান।
✅ ওয়েবসাইট তৈরি করে অনলাইনে ব্যবসার পরিধি বাড়ান।9️⃣ গ্রাহকের সন্তুষ্টি নিশ্চিত করুন
✅ কাস্টমার ফিডব্যাক গুরুত্ব সহকারে নিন এবং দ্রুত সমস্যার সমাধান করুন।
✅ কাস্টমার সার্ভিসকে অগ্রাধিকার দিন এবং বিশ্বস্ততা অর্জন করুন।
✅ Loyalty Program বা ডিসকাউন্ট অফার দিয়ে পুরাতন কাস্টমার ধরে রাখুন।🔟 ধারাবাহিক উন্নতি করুন (Continuous Learning & Improvement)
✅ নতুন ট্রেন্ড সম্পর্কে জানুন এবং নিজেকে আপডেট রাখুন।
✅ উদ্যোক্তা সংক্রান্ত বই পড়ুন, কোর্স করুন, এবং সফলদের অভিজ্ঞতা শুনুন।
✅ কিভাবে আরও ভালো করা যায় সে বিষয়ে নিয়মিত গবেষণা করুন।আপনার যদি কোনো নির্দিষ্ট ব্যবসার আইডিয়া থাকে, তাহলে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেন।
- 84 views
- 1 answers
- 0 votes
১. ব্যায়াম না করা।
ব্যায়াম মস্তিষ্ক থেকে প্রাপ্ত নিউরোট্রফিক ফ্যাক্টর বাড়িয়ে স্মৃতিশক্তি উন্নত করে। (এটি দেখুন!) এটি আপনাকে নতুন সিন্যাপ্স তৈরি করতে, শেখার উন্নতি করতে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
২. পর্যাপ্ত ঘুম না পাওয়া।
মানসম্পন্ন ঘুম ছাড়া আপনার মস্তিষ্কে পথ তৈরি করা এবং বজায় রাখা কঠিন যা আপনাকে শিখতে এবং নতুন স্মৃতি তৈরি করতে দেয়। (আরও)
মনোনিবেশ করা এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোও কঠিন।
৩. প্রদাহজনক খাবার খাওয়া।
আপনি যা খান তা আপনার মন এবং মেজাজের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
শুকনো এবং/অথবা প্রক্রিয়াজাত করা খাবারের পরিমাণ বেশি হলে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ হতে পারে। এটি স্মৃতিশক্তি হ্রাস, বিভ্রান্তি, বিষণ্নতা, দুর্বল মেজাজ নিয়ন্ত্রণ এবং এমনকি স্নায়বিক রোগের কারণ হতে পারে।
৪. একটি বড় পেট আছে.
উচ্চ শরীরের চর্বি ধূসর পদার্থের হ্রাসের সাথে যুক্ত, যা আমাদের নড়াচড়া, স্মৃতি এবং আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম করে।
৫. নতুন জিনিস শেখা না.
মস্তিষ্ক একটি পেশীর মতো। এটি তার কার্যকলাপ এবং ব্যবহারের স্তরের উপর ভিত্তি করে বৃদ্ধি এবং সঙ্কুচিত হয়।
নতুন দক্ষতা শেখা নিউরনকে উদ্দীপিত করে এবং নতুন পথ তৈরি করে যা বৈদ্যুতিক আবেগকে দ্রুত ভ্রমণ করতে দেয়।
আপনি যদি নতুন জিনিস বা দক্ষতা না শিখেন তবে আপনি আপনার মস্তিষ্কের অ্যাট্রোফি হতে দিচ্ছেন।
৬. পর্নোগ্রাফি দেখা।
পর্ন দেখা মস্তিষ্কের পুরষ্কার সিস্টেমকে হাইজ্যাক করে এবং ডোপামিনের সস্তা হিট দিয়ে এটিকে অভিভূত করে। ফলে মস্তিষ্ক শারীরিকভাবে আকার, আকৃতি এবং রাসায়নিক ভারসাম্যের অবনতি ঘটায়। (দয়া করে এটি এড়িয়ে চলুন, আপনার এখনও সময় আছে)
৭. বাড়ির ভিতরে খুব বেশি সময় কাটানো।
এটি আপনাকে সূর্যালোকের সংস্পর্শে আসা থেকে বঞ্চিত করে।
পর্যাপ্ত সূর্যের এক্সপোজার ছাড়া আপনার সার্কাডিয়ান ছন্দ প্রভাবিত হয় এবং আপনার সেরোটোনিনের মাত্রা হ্রাস পেতে পারে। এটি ঋতুগত অনুভূতিমূলক ব্যাধি এবং বিষণ্নতা হতে পারে।
কিভাবে একটি সুস্থ মস্তিষ্ক তৈরি করতে হয়
1) নিয়মিত ব্যায়াম করুন।
2) মানসম্পন্ন ঘুম পান।
3) পুষ্টিকর খাবার খান।
4) একটি স্বাস্থ্যকর BMI বজায় রাখুন।
5) নতুন জিনিস শিখতে থাকুন।
6) পর্ন দেখা বন্ধ করুন।
7) বাইরে বা প্রকৃতির সাথে আরও বেশি সময় কাটান।
লেখেছেন: মেহরাব বিল্লাহ্
- 99 views
- 1 answers
- 0 votes
জীবন সাজানোর জন্য পরিকল্পিত ও সংগঠিতভাবে চলা প্রয়োজন। এজন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপে জীবনকে সুন্দর ও সফলভাবে গড়ে তোলা যায়—
১. স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
আপনি জীবনে কী অর্জন করতে চান, সেটা স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করুন। ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করুন এবং সময় অনুযায়ী সেগুলো পূরণের চেষ্টা করুন।
২. সময়ের সঠিক ব্যবহার করুন
সময়ের সঠিক ব্যবস্থাপনা জীবনে বড় পরিবর্তন আনে। অপ্রয়োজনীয় কাজ বাদ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোযোগ দিন। প্রতিদিনের কাজের জন্য একটি রুটিন তৈরি করুন।
৩. আর্থিক স্থিতিশীলতা গড়ে তুলুন
অপচয় কমিয়ে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন। বিনিয়োগ ও আয়ের নতুন উপায় খুঁজুন, যাতে ভবিষ্যৎ আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
৪. স্বাস্থ্য ও ফিটনেস বজায় রাখুন
ভালো স্বাস্থ্যের জন্য সঠিক খাবার খান, নিয়মিত ব্যায়াম করুন এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিন। মানসিক শান্তির জন্য মেডিটেশন বা ধ্যান চর্চা করতে পারেন।
৫. ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তুলুন
সফল ও ইতিবাচক মানুষদের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করুন। নেতিবাচক মানুষদের এড়িয়ে চলুন, যারা আপনাকে পিছনে টানতে পারে।
৬. ক্রমাগত শেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন
নতুন কিছু শিখতে থাকুন—বই পড়ুন, কোর্স করুন, দক্ষতা উন্নত করুন। জ্ঞান আপনাকে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে রাখবে।
৭. আত্মবিশ্বাসী হোন ও নিজেকে ভালোবাসুন
নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখুন এবং নিজের কাজের মূল্যায়ন করুন। নিজের ভুল থেকে শিখুন এবং সামনে এগিয়ে যান।
৮. ধৈর্য ও অধ্যবসায় বজায় রাখুন
জীবনে সাফল্য একদিনে আসে না। ধারাবাহিক পরিশ্রম করুন, ধৈর্য ধরুন, এবং কোনো অবস্থাতেই হাল ছাড়বেন না।
আপনি কি জীবন সাজানোর জন্য কোনো নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা বা পরামর্শ চান?
- 96 views
- 1 answers
- 0 votes