10773
Points
Questions
23
Answers
5384
#আপনার_দোয়া_কবুল_হচ্ছে_না????
#একই_গুনাহ_বারবার_করে_ফেলছেন???
#আচ্ছা_কখোনো_কি_আপনি_সেজদায়_গিয়ে_অধিক__সময়_নিয়ে_এভাবে_দোয়া_করেছেন_?
==>
✓∆”আল্লাহ আপনি শয়তানকে বানিয়েছেন (কুন) হুকুম দিয়ে।
আর আমাকে বানিয়েছেন আপনার কুদরতি হাত দিয়ে””।
আপনি তো শয়তানের দোয়া কবুল করেছেন।মর্যাদার দিক দিয়ে তোহ আমি উত্তম। তাহলে আমার দোয়া কেনো কবুল করবেন না??
•√•√এভাবে দোয়া করার অধিকারটা হলো আপনার সাথে আপনার রবের ভালোবাসার!!!!!
•°•মানুষ আল্লাহর সবথেকে নিকটে চলে যায় যখন সে নামাজের সময় সিজদায় লুটিয়ে পড়ে
•°•আর মানুষ সবথেকে বেশি গুনাহ করে থাকে শয়তানের ধোকায় পড়ে।
•••••>শয়তানের দোয়া চেয়েছিলো:-
°•°কেয়ামত পর্যন্ত আমাকে অবকাশ দিন।
°•°মানুষের অস্থিমজ্জা ও রগসমূহে প্রবেশের সুযোগ দিন।
°•°আমাকে তাদের দৃষ্টির আড়াল রাখুন।
আল্লাহ আপনি তোহ শয়তানের এই দোয়াগুলোকে কবুল করে নিয়েছেন।
অন্যদিকে আপনি তিন কসম খেয়ে বলেছেন আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সবথেকে উচ্চ মর্যাদা দিয়ে
•✓•আল্লাহ তাহলে কেনো
আমার দোয়া কবুল করবেন না!!!!!
আমি কেনো গুনাহ থেকে বাঁচতে পারবো না!!!!!
আমি কেনো শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচতে পারবো না!!!!
আল্লাহর কাছে চাইতে থাকুন দেখবেন ঠিকই আল্লাহ আপনার দোয়গুলো কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ।
মুসলিম হলে এই দিকটা ফ্লো করতে পাড়েন।
- 72 views
- 1 answers
- 0 votes
মানুষ জীবনে ব্যর্থ হয় মূলত কয়েকটি কারণে—
- লক্ষ্যহীনতা: জীবনে দিশা না থাকলে পথ হারানো অনিবার্য। যেখানে যেতে চাও, সেটাই যদি স্পষ্ট না হয়, তাহলে সেখানে পৌঁছাবে কীভাবে?
- পরিশ্রমের অভাব: শুধু বড় স্বপ্ন দেখলেই হবে না, সেটা বাস্তবায়ন করতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যারা শর্টকাট খোঁজে, তারা মাঝপথেই থেমে যায়।
- সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারা: জীবনে বড় সুযোগ সবসময় আসে না, একবার এলেই তা কাজে লাগাতে হয়। যারা দ্বিধায় ভোগে, তারা সুযোগ হারায়।
- ধৈর্যের অভাব: সফলতা রাতারাতি আসে না। যারা দ্রুত ফল চায়, তারা ধৈর্য হারিয়ে হাল ছেড়ে দেয়, অথচ সাফল্য ধৈর্যশীলদের সাথেই থাকে।
- নিজের ভুল বুঝতে না পারা: মানুষ ভুল করবেই, কিন্তু যারা ভুল থেকে শেখে না, তারা বারবার একই জায়গায় হোঁচট খায়।
- অন্যকে দোষ দেওয়া: নিজের ব্যর্থতার জন্য সবসময় পরিস্থিতি, সরকার, সমাজ বা অন্য কাউকে দায়ী করলে আসল সমস্যার সমাধান হয় না।
সফল মানুষ কখনো বাহানা খোঁজে না। তারা লড়ে, শিখে, এগিয়ে যায়। ব্যর্থতা চূড়ান্ত পরিণতি নয়, বরং নতুনভাবে শুরু করার সুযোগ।
- 87 views
- 1 answers
- 0 votes
দর্শন, বিজ্ঞান ও সাহিত্য— অবসর পেলেই চর্চা করুন । সদ্য প্রেমে-পড়া যুবক যেমন তাঁর প্রেয়সীর চিন্তায় বিভোর থাকে, জ্ঞানের প্রতি প্রেমও তেমনই এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যেখানে মুহুর্তের অবকাশ পেলেই আপনার মন ডুব দেবে অজানার সাগরে । বিস্মিত হবে মহাবিশ্ব ও মানবমনের অপার রহস্যময়তায়; চিন্তা করবে শুধুমাত্র প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য নয়, বরং চিন্তা করার আনন্দে । সংসারজীবনের কোনো আঘাতই এই আনন্দকে ম্লান করতে পারবে না ।
তবে দর্শন ও বিজ্ঞানচর্চার অভ্যাস না থাকলে প্রথমেই পাঠ্যবই কিংবা গবেষণাভিত্তিক বই দিয়ে শুরু করবেন না । সাধারণ জনগণের জন্য লেখা সহজবোধ্য বই দিয়ে শুরু করুন । জনপ্রিয় বিজ্ঞানের বইয়ের অভাব নেই আর দর্শনের জন্য Very Short Introductions সিরিজের বই দিয়ে শুরু করতে পারেন । পড়ে আনন্দ পেলেই বুঝবেন সঠিক পদ্ধতিতে এগোচ্ছেন ।
তেমনই সাহিত্যের ক্ষেত্রে পড়ার অভ্যাস না থাকলে প্রথমেই ভারিভরকম ক্লাসিক সাহিত্য দিয়ে শুরু না করাই ভাল । ছোটগল্প, কবিতা, বা চাইলে শিশুসাহিত্য — যেটা ভাল লাগে তাই দিয়ে শুরু করুন । যাই পড়ুন, আনন্দ পাওয়াটাই উদ্যেশ্য হতে হবে ।
পড়ার ব্যাপারে কোনো ভেদ করবেন না । দর্শন প্রাচ্যের হোক কি প্রতীচ্যের, বিশ্লেষণাত্মক হোক কি মহাদেশীয়, যুক্তিবাদী হোক কি অস্তিত্ববাদী, সব পড়বেন । কারও নিন্দায় কর্ণপাত করবেন না, কোনো বিষয়ে নিজে পড়াশুনো না করে মতামত তৈরি করবেন না । সর্বোপরি নিজের জ্ঞানকে জাহির করতে বা সেটাকে অস্ত্র বানিয়ে অন্যদের সাথে বিতণ্ডায় নামতে উদ্বুদ্ধ হবেন না । এতে নেশা ধরিয়ে দেওয়ার মত সুখ আছে, কিন্তু যেকোনো নেশাদ্রব্য যেভাবে স্বল্পমেয়াদে সুখ দিয়ে দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে সেভাবেই বিবাদ-বিতর্ক মানুষকে জ্ঞানের প্রেম থেকে দূরে সরিয়ে এনে নিরন্তর মানসিক অশান্তির বন্ধনে আবদ্ধ করে । অর্থাৎ যে উদ্দেশ্যে জ্ঞানান্বেষণ শুরু করেছিলেন, সেটাই ব্যর্থ হবে ।
সবশেষে আরেকটা কথা, জ্ঞানের চর্চা যথাযথ হলে সংসারের সাধারণ মানুষের সাথে মানসিক দূরত্ব তৈরি হওয়া অবশ্যম্ভাবী । কারণ আপনার চিন্তাভাবনার বিষয় ও ধরণ এতটাই অন্যরকম হয়ে যাবে যে সাধারণ কারও তা বোধগম্য হবে না । তবে আশঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই । কারণ মানুষের সঙ্গ আপনাকে যদি আনন্দ নাও দেয়, নিঃসঙ্গতাই আপনার প্রিয় সঙ্গী হয়ে উঠবে । অন্যান্য সংসারী মানুষ যেখানে দুঃখ, কষ্ট, গ্লানিতে ভারাক্রান্ত হয়ে উঠবে, আপনি সেখানেও অবিচল থাকবেন । কারণ নদী সাগরে গিয়ে মিশলে যেমন সাগরেই বিলীন হয়ে যায়, সংসারের দুঃখ, বেদনারাও তেমনই আপনার অন্তঃস্থিত সাগরে বিলীন হয়ে যাবে ।
- 81 views
- 1 answers
- 0 votes
প্রিয় কবি ভাস্কর চক্রবর্তীর শয়নযান বইয়ের কিছু পছন্দের লাইন দিয়ে শুরু করি—
স্বাভাবিক জীবনযাপন, একটা শান্ত সুন্দর নিয়মে-বাঁধা জীবনযাপন, অস্বাভাবিক জীবনযাত্রার থেকে আমার তো মনে হয়, আরো অনেক বেশি শক্ত। স্বাভাবিক জীবনযাপন, স্বাভাবিক কাজকর্ম, আমরা অনেকদিন হলো স্বাভাবিকভাবে আর করতে পারি না। আমরা অনেকদিন আগেই অস্বাভাবিক হয়ে গেছি।
জীবনকে যেকোনো পরিস্থিতিতেই নির্লিপ্ত দৃষ্টিতে দেখতে শিখেছি। আমার জন্য নির্লিপ্ততা অনেক বড় একটা আর্শীবাদ। উদাসীনতা সঙ্গে থাকো, তবে তা হবে সুন্দর নিয়মে-বাঁধা জীবনযাপন। যেখানে আমার প্রিয় বইগুলো থাকবে। সকাল শুরু হবে সূর্যোদয়ে আর রাত শুরু হবে সূর্যাস্তের পরশে। মাঝখানের সময়টা বই পড়ে আর রোজগারের জন্য নিজের ব্যবসায় সময় দিয়ে যাবে। সন্ধ্যার পর আড্ডা আর মুভি-সিরিজ দেখে। এইতো খুব স্বাভাবিক আর সরল একটা জীবনযাপন। যেখানে মন সর্বদা শান্ত আর প্রকৃতির সংস্পর্শে থাকবে।
আর বই নিয়ে তো আমার আলাপ সোশ্যাল মিডিয়াতে আজীবনই চলবে। আমার বই পড়ার এই অভ্যাসটা আমার জীবনটাকে একদম সহজ আর আনন্দময় করে দিয়েছে। জীবনে আর কিছু চাই না; শুধু প্রিয় একশ জন লেখকের সকল বই পড়ে আর তাদের বইয়ের সাথে সবাইকে পরিচয় করে যেতে চাই। এইতো, জীবন বড় সুন্দর ব্রাদার।
তবে আপনার জীবন কীভাবে সাজাবেন সেটা আপনার থেকে ভালো আর কেউ জানে না। নিজেকে জানুন, নিজেকে জানতে ভালো ভালো বই পড়ুন আর নিজের অন্তরে ডুব দিন, শান্ত-স্বাভাবিক আর সরল থাকুন।
- 95 views
- 1 answers
- 0 votes
মানুষ চিরকাল শান্তির সন্ধানে ছুটে চলে, অথচ শাশ্বত শান্তি তার নাগালের বাইরে থেকেই যায়। সমাজ, রাষ্ট্র, অর্থনীতি, মনস্তত্ত্ব—সব মিলিয়ে মানুষের জীবন যেন এক অন্তহীন সংগ্রাম। দার্শনিকেরা যুগে যুগে এই অশান্তির কারণ বিশ্লেষণ করেছেন, কেউ একে নিয়তির অংশ বলেছেন, কেউ সমাজব্যবস্থার ফল, আবার কেউ মানুষের মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা অতৃপ্তির প্রতিচ্ছবি বলে ব্যাখ্যা করেছেন।
১. মানুষের অস্থিরতা ও অপ্রাপ্তির বেদনা
গ্রিক দার্শনিক সক্রেটিস বলেছিলেন—
“He who is not contented with what he has, would not be contented with what he would like to have.”
(যে ব্যক্তি যা আছে তাতেই সন্তুষ্ট নয়, সে যা চাইবে তা পেলেও সন্তুষ্ট হবে না।)মানুষের মনে চিরকাল এক অতৃপ্ত বাসনা কাজ করে। যা সে পায় না, সেটির আকাঙ্ক্ষাই তাকে অশান্ত করে রাখে। অর্থ, খ্যাতি, ক্ষমতা—সব কিছুই মানুষের চাহিদার তালিকায় থাকে, অথচ এগুলোর কোনোটিই তাকে স্থায়ী সুখ দিতে পারে না।
২. সমাজের বৈষম্য ও সংঘর্ষ
কার্ল মার্ক্স বলেন—
“The history of all hitherto existing society is the history of class struggles.”
(মানব সভ্যতার ইতিহাস শ্রেণি সংগ্রামের ইতিহাস।)সমাজে ধনী-গরিব, শক্তিমান-দুর্বল, শাসক-শোষিত—এই দ্বন্দ্ব চিরকালই বিরাজমান। শ্রেণিবৈষম্য মানুষের জীবনে এক ধরনের অশান্তির সৃষ্টি করে, কারণ শোষিত শ্রেণি তার অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়, আর শাসক শ্রেণি ক্ষমতা হারানোর ভয় নিয়ে বেঁচে থাকে।
৩. ব্যক্তিগত ও সামাজিক দ্বন্দ্ব
সিগমুন্ড ফ্রয়েড বলেন—
“The first human who hurled an insult instead of a stone was the founder of civilization.”
(প্রথম যে ব্যক্তি পাথরের বদলে গালি ছুড়েছিল, সে-ই সভ্যতার পথ দেখিয়েছিল।)মানুষের ভেতরকার আক্রমণাত্মক প্রবৃত্তি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমেই সভ্যতার বিকাশ হয়েছে। কিন্তু এই নিয়ন্ত্রণ যত বাড়ে, ততই মানুষের ভেতরে এক অবদমন তৈরি হয়, যা শেষ পর্যন্ত মানসিক দ্বন্দ্ব ও অশান্তির জন্ম দেয়।
৪. অস্তিত্বের সংকট ও অর্থহীনতা
জ্যাঁ-পল সার্ত্র বলেন—
“Man is condemned to be free; because once thrown into the world, he is responsible for everything he does.”
(মানুষ স্বাধীন হতে বাধ্য; কারণ একবার পৃথিবীতে আসার পর সে যা কিছু করে তার দায়-দায়িত্ব তার নিজেরই।)মানুষ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা পায়, কিন্তু সেই স্বাধীনতার ভার তার উপর চাপ ফেলে। সে জানে না কোন পথ বেছে নিলে প্রকৃত সুখ মিলবে, ফলে তার মনে অস্থিরতা লেগেই থাকে।
৫. লালসা ও মোহের ফাঁদ
বৌদ্ধদর্শনের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম বুদ্ধ বলেছিলেন—
“Desire is the root of all suffering.”
(সব কষ্টের মূল কারণ ইচ্ছা।)মানুষ সব কিছু পেতে চায়, আর এই চাওয়ার মাঝেই তার দুঃখের বীজ লুকিয়ে থাকে। সে যা পায়, তাতে তৃপ্ত হতে পারে না, বরং আরও চাইতে থাকে।
৬. আধুনিক জীবনের জটিলতা
জার্মান দার্শনিক ফ্রেডরিখ নিটশে বলেন—
“He who has a why to live can bear almost any how.”
(যার জীবনে বেঁচে থাকার কারণ আছে, সে যেকোনো কিছু সহ্য করতে পারে।)আধুনিক মানুষ অনেক কিছুই অর্জন করেছে, কিন্তু তার জীবনের অর্থ কোথায়, সে তা খুঁজে পায় না। যান্ত্রিক জীবনযাপন, অসীম প্রতিযোগিতা, প্রযুক্তির বাড়াবাড়ি—এসবই তাকে আরও বেশি অস্থির করে তুলছে।
মানুষের জীবনে শান্তি নেই, কারণ সে চিরকাল এক অনিশ্চয়তার মাঝে বাস করে। অর্থ, ক্ষমতা, মোহ, সামাজিক বৈষম্য, অস্তিত্বের সংকট—এসবের মাঝেই তার অশান্তির মূল কারণ লুকিয়ে আছে। তবে শান্তি কি একেবারে অসম্ভব?
সম্ভবত নয়। দার্শনিকরা যেমন বলেছিলেন, প্রকৃত শান্তি তখনই আসবে, যখন মানুষ নিজের চাহিদা ও বাস্তবতার মাঝে ভারসাম্য রক্ষা করতে পারবে, যখন সে স্বীকার করবে যে জীবন কখনোই নিখুঁত হবে না, কিন্তু তার মধ্যেও কিছু সৌন্দর্য আছে।
শেষ কথা
“Happiness depends upon ourselves.” — অ্যারিস্টটল
(সুখ আমাদের নিজেদের উপর নির্ভর করে।)মানুষ যদি অন্তরের জাগতিক চাহিদার পরিবর্তে মানসিক শান্তির গুরুত্ব বুঝতে শেখে, তবে হয়তো সে তার জীবনকে অশান্তির যন্ত্রণার বদলে এক নতুন আলোয় আলোকিত করতে পারবে।
- 85 views
- 1 answers
- 0 votes
একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষের আচরণে কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্য থাকে, যা তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে তোলে। তার আচরণ সাধারণত নিম্নলিখিত দিকগুলোতে প্রকাশ পায়—
১. শারীরিক ভাষা ও ভঙ্গিমা
- সরাসরি চোখে চোখ রেখে কথা বলা – আত্মবিশ্বাসী মানুষ কখনোই চোখ নিচু করে কথা বলে না।
- সোজা হয়ে দাঁড়ানো ও বসা – তার ভঙ্গিমা স্বাভাবিক ও আত্মপ্রত্যয়ী হয়।
- প্রকৃতিগত হাসি – কথা বলার সময় স্বতঃস্ফূর্তভাবে হাসতে পারে, যা তার ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে।
- আতঙ্কিত বা অস্থির হাতের অঙ্গভঙ্গি থাকে না – সে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে কথা বলে ও মুভমেন্ট করে।
২. কথা বলার ধরন
- পরিষ্কার ও জোরালো কণ্ঠস্বর – সে অস্পষ্ট বা নিচু স্বরে কথা বলে না।
- ধীরস্থিরভাবে কথা বলা – সে তাড়াহুড়ো করে না, বরং প্রতিটি শব্দ স্পষ্ট করে উচ্চারণ করে।
- অতিরিক্ত ব্যাখ্যার প্রয়োজন হয় না – সে তার বক্তব্য সংক্ষেপে ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে উপস্থাপন করে।
- “আমি পারবো”, “আমি জানি”—এমন বাক্য ব্যবহার করে – তার কথাবার্তায় আত্মবিশ্বাসের প্রকাশ থাকে।
৩. মনোভাব ও দৃষ্টিভঙ্গি
- পরিস্থিতি অনুযায়ী মানিয়ে নিতে পারে – সে সহজেই নতুন পরিবেশ বা পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়।
- নেতিবাচক সমালোচনাকে ইতিবাচকভাবে নেয় – সে গঠনমূলক সমালোচনা থেকে শেখে, তবে অযৌক্তিক সমালোচনায় বিচলিত হয় না।
- নিজের ভুল স্বীকার করতে পারে – সে ভুল করলে সেটি স্বীকার করে এবং তা থেকে শিক্ষা নেয়।
- অন্যদের প্রশংসা করতে জানে – আত্মবিশ্বাসী মানুষ অন্যদের সাফল্যকে স্বীকার করতে ভয় পায় না।
৪. সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও সমস্যা সমাধান
- দ্রুত ও আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেয় – সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় দ্বিধাগ্রস্ত হয় না।
- সমস্যার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করে – কেবল অভিযোগ করে না, বরং সমাধানের পথ খোঁজে।
- ঝুঁকি নিতে ভয় পায় না – নতুন চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে প্রস্তুত থাকে।
৫. সামাজিক আচরণ
- অন্যের সঙ্গে সাবলীলভাবে মিশতে পারে – সে সামাজিক পরিবেশে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
- অন্যের মতামত শ্রদ্ধা করে, তবে নিজের অবস্থানও দৃঢ়ভাবে ধরে রাখে – সে কারো মতামত অন্ধভাবে অনুসরণ করে না, আবার অহংকারীও হয় না।
- ‘না’ বলতে জানে – সে কারো চাপে পড়ে নিজের মত পরিবর্তন করে না, বরং প্রয়োজনে দৃঢ়ভাবে ‘না’ বলতে পারে।
উপসংহার
আত্মবিশ্বাসী মানুষ আত্মপ্রত্যয়ী, ইতিবাচক এবং কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণে সক্ষম। তার আচরণ এমনভাবে গড়ে ওঠে, যা তাকে শুধু ব্যক্তিগত জীবনে নয়, পেশাদার ক্ষেত্রেও সফল করে তোলে।
- 97 views
- 1 answers
- 0 votes
“তারা আমাকে সন্মান করুক আর না করুক, ভালোবাসুক অথবা ঘৃণা করুক, গুরুত্ব দিক অথবা অবহেলা করুক- আমি সবাইকে সন্মান করবো, সবাইকে ভালোবাসবো, সবাইকে গুরুত্ব দেব” কারণ আমার ভালো আচরনের রেজাল্ট আল্লাহ্ পাক অবশ্যই দিবেন কোনো সন্দেহ নাই, তিঁনি সত্য তাঁর রাসূল সা. সত্য এবং পরকালের হিসাব নিকাশ সত্য।
- 90 views
- 1 answers
- 0 votes
আসক্তি থেকে জন্মায় কাম, কাম থেকে ক্রোধ, ক্রোধ থেকে সম্মোহন, সম্মোহন থেকে স্মৃতি বিভ্রম, স্মৃতি বিভ্রম থেকে বুদ্ধিনাশ আর সবশেষে সর্বনাশ।
আপনি আপনার জীবনে আসক্তি- কে নিয়ন্ত্রণ করুন। সত্যবাদী, বাস্তববাদী হন। ধর্ম ও বিজ্ঞানকে ধারণ করুন। জ্ঞান অর্জন করুন।
- 83 views
- 1 answers
- 0 votes
আমাদের মস্তিষ্ক সারাদিন নানা রকম তথ্য গ্রহণ ও প্রক্রিয়াকরণ করে। ফলে অনেক সময় এটি অতিরিক্ত চাপে পড়ে, চিন্তা বা দুশ্চিন্তা জমতে থাকে, মনোযোগ কমে যায় এবং স্মৃতিশক্তি দুর্বল হতে পারে। তাই মস্তিষ্ককে নিয়মিত পরিষ্কার রাখা ও শক্তিশালী করার জন্য কিছু কার্যকর উপায় মেনে চলা প্রয়োজন। বিস্তারিত
১. মানসিক চাপ কমিয়ে মস্তিষ্ক পরিষ্কার করুন
মস্তিষ্কের অতিরিক্ত চাপ বা স্ট্রেস দূর করতে কিছু কার্যকর উপায় অনুসরণ করা যেতে পারে—
✔ মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম:
- মেডিটেশন করলে মস্তিষ্ক প্রশান্ত হয় এবং অপ্রয়োজনীয় চিন্তা দূর হয়।
- যোগব্যায়াম রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ…পুরো আর্টিকেলটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন
- 79 views
- 1 answers
- 0 votes
সহীহ সূত্রে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি দাঁড়িয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন। সহীহ সূত্রে আরও বর্ণিত হয়েছে যে, দাঁড়িয়ে পানকারী একজন লোককে বমি করার হুকুম দিয়েছেন। তবে সহীহ সূত্রে এও বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি দাড়িয়ে পান করেছেন। এ জন্যই কোন কোন আলেম বলেন- দাঁড়িয়ে পান করার নিষিদ্ধতা রহিত হয়ে গেছে। আরও বলা হয় যে, নিষিদ্ধতা দ্বারা দাঁড়িয়ে পান করা হারাম বুঝা যায়নি (বরং তা ভদ্রতার খেলাফ)। আরও বলা হয়েছে যে, তিনি প্রয়োজন বশতঃ দাঁড়িয়ে পান করেছিলেন।
পান করার সময় নাবী (ﷺ) তিনবার শ্বাস গ্রহণ করতেন। আর তিনি বলতেন- এই পদ্ধতি হচ্ছে অধিক তৃপ্তিদায়ক, অধিক পিপাসা নিবারক এবং অধিক স্বাচ্ছন্দপূর্ণ।
তিরমিযী শরীফে বর্ণিত হয়েছে, নাবী (ﷺ) বলেন- ‘‘তোমরা উটের ন্যায় এক নিঃশ্বাসে পানি পান করোনা; বরং তোমরা দুই বা তিন নিঃশ্বাসে পান কর। আর যখন তোমরা পান করবে, তখন বিস্মিল্লাহ্ বলে পান করবে এবং পান করা শেষে আলহামদুলিস্নাহ্ বলবে’’। নাবী (ﷺ) পাত্র ঢেকে রাখার আদেশ দিয়েছেন। সহীহ মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন-
غَطُّوا الإِنَاءَ وَأَوْكُوا السِّقَاءَ فَإِنَّ فِى السَّنَةِ لَيْلَةً يَنْزِلُ فِيهَا وَبَاءٌ لاَ يَمُرُّ بِإِنَاءٍ لَيْسَ عَلَيْهِ غِطَاءٌ أَوْ سِقَاءٍ لَيْسَ عَلَيْهِ وِكَاءٌ إِلاَّ نَزَلَ فِيهِ مِنْ ذَلِكَ الْوَبَاءِ
‘‘তোমরা পাত্র ঢেকে রাখো এবং পান পাত্রের মুখ বন্ধ করে রাখো। কেননা বছরে এমন একটি রাত রয়েছে, যাতে বিভিন্ন প্রকার রেসূ ও মহামারি অবতরণ করে। সেই রেসূ বা মহামারি যখনই কোন ঢাকনা বিহীন পাত্রের কাছ দিয়ে অতিক্রম করে, তখনই তাতে পতিত হয়। [সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ কিতাবুল আশরিবাহ, মিশকাত হাএ. হা/৪২৯৮]
এই হাদীছের অন্যতম রাবী লাইছ বিন সা’দ (রহঃ) বলেন- আমাদের সমাজে বসবাসকারী অনারব লোকেরা বছরের একটি রাতে সাবধানতা অবলম্বন করে থাকে। সেটি হচ্ছে ডিসেম্বর মাসের একটি রাত। সহী সূত্রে আরও বর্ণিত হয়েছে, নাবী (ﷺ) পাত্রের মুখ ঢেকে রাখার আদেশ করেছেন। এমনকি এক খন্ড কাঠ দিয়ে হলেও।
সহীহ সূত্রে আরও বর্ণিত হয়েছে, নাবী (ﷺ) পাত্র ঢাকা বা পাত্রের মুখ বন্ধ করার সময় বিস্মিল্লাহ্ বলার (আল্লাহর নাম উচ্চারণ করার) আদেশ দিয়েছেন। তিনি কলসীতে-ড্রামে (বড় পান পাত্রে) সরসূরি মুখ লাগিয়ে পান করতে নিষেধ করেছেন। পাত্রে শ্বাস ফেলতে এবং তাতে ফুঁ দিতে এবং ভাঙ্গা পান পাত্রে এবং ছিদ্র বিশিষ্ট পাত্রের ছিদ্র হতে পান করতেও তিনি নিষেধ করেছেন।
- 73 views
- 1 answers
- 0 votes