10773
Points
Questions
23
Answers
5384
মহামতি সক্রেটিস বলেছেন, নিজেকে জানো। অতপর নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করো। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আজ যে অ্যাপটি নিয়ে কথা বলবো, এটি আমার জানামতে সর্ববৃহৎ সংগ্রহ। বাংলা লোকগানের এত বড় সংগ্রহ বোধহয় আগে কেউ করেননি। Bangla Gan – Apps on Google Play এতে প্রায় ৫ হাজার গান রয়েছে যা অনায়াসে অক্ষর অনুযায়ী সার্চ করে খুঁজে পাওয়া যাবে। তাছাড়া অ্যাপটিতে রয়েছে লিস্ট আকারে দেখা ও লিষ্ট থেকে বেছে নেওয়ার সুবিধা। এত সুবিধা সম্পন্ন অ্যাপটির সাইজ শুনলে আপনি অবাক হবেন। হ্যা, এটি এতটাই ছোট যে, আপনার ক্যামেরায় তোলা একটা ছবির চেয়েও ছোট। মাত্র ৪ এমবি জায়গা দখল করা অ্যাপটির ভেতরে রয়েছে ৫ হাজার গানের অফলাইন সংগ্রহ। এক মুহুর্তে খুঁজে বের করুণ অক্ষর অনুযায়ী যেকোনো গান।
- 90 views
- 1 answers
- 0 votes
১. নিজের সঙ্গে কখনই মিথ্যা না। আমরা অন্যদের লোক দেখানোর মত হলে অনেক অসত্য, মিথ্যা কথা বলি। যা কখনই বলা উচিত নয়। এজন্য একজন সাবেক মিথ্যাবাদী হিসেবে বলতে চাই, কখনই মিথ্যা কথা বলা যাবে না। যাবেই না। প্রয়োজন হলে কথা বলাই বন্ধ করে দিতে হবে।
২. সময় নষ্ট না করা। আমরা দিনের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অনেকটা সময় নষ্ট করি। কোনভাবেই ব্রেইন খালি রাখা উচিত না। বিরতি বা রেস্ট নিলেও সেটা ব্রেইন কানেক্ট করে নেয়া উচিত।
৩. নিজেকে ছোট না ভাবা। আমাদের চারপাশ আমাদের নানাভাবে ছোট হতে শেখায়, ছোট করে ফেলে। বিনয়ী হওয়া প্রয়োজন আমাদের, নিজেদের ছোট করে ফেললে নিজেরই ক্ষতি। আমরা ভুলে যাই, আমরা পারি। নিজের সক্ষমতা ভুললে চলবে না। সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
৪. সূর্যের আলো থেকে দূরে সরে যাওয়া। আমরা বেঁচে থাকার তাগিদে কখন যে স্বাস্থ্যকর জীবন, মানুষ আর পরিবেশ থেকে দূরে সরে যাই তা টের পাই না। আমি এখন দ্য আর্ট কমিউনিকেটিং বইটির অডিও শোনা শুরু করেছি। আমরা যা দেখি, সেটা আমাদের চোখের খাবার। আমরা যা শুনি, তা আমাদের কানের খাবার। আমরা যা ভাবি, তা আমাদের ব্রেইনের খাবার। আমরা কি আমাদের পঞ্চ ইন্দ্রিয়কে ঠিক পুষ্ঠিকর খাবার দিচ্ছি?
৫. নিজের অস্বস্তি মেনে নেয়া। আমরা নিজের অস্বস্তির পরেও অনেক কিছু মেনে নেই। মনে খচখচানি থাকেই। নিজের মনে জড়তা, ভবিষ্যতের জন্য সমস্যা কিছুই জমিয়ে রাখা যাবে না। যৌক্তিক আচরণে আমাদের উদ্ভুদ্ধ হওয়া উচিত।
৬. যা বলছি, তাই করা। আমরা অনেক সময় বলার জন্য বলি, করার জন্য করি। কিন্তু নিজের সঙ্গে সৎ থাকি না।
৭. বস্তুর মধ্যে সুখ খোঁজা। আমরা প্রায়ই অন্যের কাছে সুখ খুঁজি, অন্য বস্তুতে সুখ দেখি। আসলে আমরা ভুল। নিজের মধ্যেই নিজেকে খুঁজে বের করা আনন্দের।
৮. জীবেনর প্রিন্সিপাল থেকে আমরা সরে যাই। আমাদের জীবনের নিজের কোন মূল্যবোধ নেই বেশির ভাগ মানুষেরই। আমাদের নিজের প্রিন্সিপালগুলো খুঁজে বের করে, তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করা প্রয়োজন।
৯. সময় ও সব কিছুতে নিজেকে হারিয়ে ফেলি আমরা। নিয়তির কাছে আমরা সঁপে দেই নিজেদের কাজ ও ভবিষ্যৎকে। নিয়তির হাতে সব ছেড়ে দিলে নিয়তি আমাদের ঘাড়ে চড়ে বসবে। আমার কাছে জীবন হচ্ছে অংক, জীবন হচ্ছে প্রসেস। আপনি যদি ঠিক মত উপকরণ আর আগুন নিয়ে বসতে পারেন দারুণ রান্না হবেই। জীবনকে রান্না করতে হয়, চুলোর আগুনের ওপর জীবন ছেড়ে দিলে তা পুড়ে যাবেই।
১০. বই থেকে দূরে সরে যাওয়া যাবে না। আমি ২০০৭ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত সত্যিকার অর্থেই যদি কোন বই পড়ি। জীবনের ৭টা বছর আমার বাকি জীবনকে আরও কষ্টকর করে তুলেছে। আমি যে কতটা জানি না, কি যে জানি না, কি যে বুঝি না-তার সবই এখন টের পাই। চেষ্টা করছি এখন জীবনের সেই সংকটগুলো বই পড়েই কাটাতে।
- 82 views
- 1 answers
- 0 votes
১.নিজের সাথে ঘটে যাওয়া আনন্দের ঘটনা চিন্তা করা।
২.নিজেকে ভালোবাসার। সবকিছুর আগে নিজেকে প্রায়োরিটি দেওয়া।
৩. মন খারাপ এর কারণ বের করে এর পজিটিভ দিক চিন্তা করা।
- 81 views
- 1 answers
- 0 votes
মানুষের জীবনে কষ্টের উপস্থিতি অবধারিত, কারণ জীবন নিজেই পরিবর্তনশীল এবং অনিশ্চিত। কষ্ট আসার কিছু প্রধান কারণ হতে পারে—
১. প্রত্যাশা ও বাস্তবতার পার্থক্য
আমরা জীবনে অনেক কিছু আশা করি, কিন্তু সব সময় তা বাস্তবে পূরণ হয় না। যখন প্রত্যাশা পূরণ হয় না, তখন হতাশা ও দুঃখ জন্মায়।
২. হারানোর ভয় ও বিচ্ছেদ
প্রিয়জনকে হারানো, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়া বা ব্যর্থতা মানুষকে গভীরভাবে কষ্ট দেয়। জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যায়, যা মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
৩. সংগ্রাম ও দায়িত্ব
জীবনে সফল হতে হলে কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। পড়াশোনা, ক্যারিয়ার, পরিবার, সমাজ—এই সব কিছুর ভার নিতে হয়, যা মাঝে মাঝে ক্লান্তিকর ও কষ্টদায়ক মনে হয়।
৪. ভুল বোঝাবুঝি ও সম্পর্কের জটিলতা
মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক জটিল। অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি, অবিশ্বাস, কিংবা আঘাত থেকে কষ্ট জন্মায়।
৫. সময়ের পরিবর্তন ও অনিশ্চয়তা
জীবনে সব কিছু চিরস্থায়ী নয়। সুখ-দুঃখ আসে যায়, কিন্তু যখন খারাপ সময় আসে, তখন তা অনন্তকাল স্থায়ী মনে হয়।
৬. মন ও আবেগের টানাপোড়েন
অনেক সময় মানুষ নিজের মনের মধ্যেই কষ্ট পায়—একাকীত্ব, আত্মদ্বন্দ্ব, অপরাধবোধ বা অতীতের দুঃখজনক স্মৃতি বারবার ফিরে আসে।
কষ্টের ইতিবাচক দিক
কষ্ট সবসময় নেতিবাচক নয়। এটি আমাদের ধৈর্যশীল, শক্তিশালী এবং অভিজ্ঞ করে তোলে। কষ্ট না থাকলে, আনন্দের প্রকৃত মূল্যও বোঝা যেত না। জীবন হলো ওঠানামার খেলা—দুঃখ যেমন আসে, তেমনি একদিন তা কেটে যায়।
কষ্ট কমানোর উপায়
- পরিবর্তন মেনে নেওয়া – জীবন কখনো একই রকম থাকে না। সময়ের সাথে সবকিছু বদলায়।
- কৃতজ্ঞ থাকা – যা নেই তার জন্য দুঃখ না করে, যা আছে তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকা।
- মানসিক শক্তি বৃদ্ধি – ধৈর্য, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও ইতিবাচক চিন্তা চর্চা করা।
- ভালোবাসা ও সম্পর্ক বজায় রাখা – কাছের মানুষদের ভালোবাসা ও সমর্থন জীবনের কষ্ট কমিয়ে দেয়।
জীবন যেমন কষ্ট দেয়, তেমনি আনন্দও দেয়। কষ্ট এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব নয়, কিন্তু আমরা কষ্টকে কীভাবে গ্রহণ করব, সেটাই আসল বিষয়।
- 96 views
- 1 answers
- 0 votes
একটা মজার ব্যাপার জানেন? মানুষের মন আসলে নিজেই নিজের সবচেয়ে বড় ধাঁধা! আমরা ভাবি, আমরা নিজেদের খুব ভালো করে চিনি, কিন্তু বাস্তবে অনেক অদ্ভুত মনস্তাত্ত্বিক বিষয় রয়েছে, যা জানলে সত্যিই অবাক হতে হয়। কিছু এমন তথ্য শেয়ার করি, যেগুলো আমাকে সবচেয়ে বেশি বিস্মিত করেছে-
১. মস্তিষ্কের ‘সিলেক্টিভ মেমোরি’—আপনাকে যা দরকার, সেটাই মনে করায়!
আপনার মাথার ভেতর কিন্তু সব তথ্যই জমা থাকে, কিন্তু মস্তিষ্ক শুধু দরকারি জিনিসই সামনে আনে। তাই কোনো পুরনো গান বা গন্ধ হঠাৎ আপনাকে ফেলে দিতে পারে দশ বছর আগের স্মৃতিতে, অথচ আপনি ভাবছেন, “এটা তো ভুলেই গিয়েছিলাম!”
২. আপনার স্মৃতি কি আসলেই সত্য? নাকি গল্পের মতো সাজানো?
আমরা যেভাবে কোনো ঘটনা মনে রাখি, বাস্তবে তা একদম সেভাবে ঘটে না। ব্রেন নিজেই ফাঁকফোকর ভরাট করে দেয়, নতুন কিছু যোগ করে, কিছু বাদ দেয়। তাই আপনার শৈশবের গল্পের যা কিছু আপনি অন্যদের সাথে শেয়ার করেন, হতে পারে সেসব গল্পের অনেকটাই পরবর্তীতে আপনার ব্রেইন নিজেই তৈরি করে নিয়েছে!
৩. কম জানা মানুষ বেশি আত্মবিশ্বাসী হয়—জানেন কেন?
এটাকে বলে Dunning-Kruger Effect। যারা খুব সামান্য জানেন, তারা ভাবেন, “আমি তো সব জানি!” আর যারা সত্যিকারের বিশেষজ্ঞ, তারা বরং দ্বিধায় থাকেন, কারণ তারা জানেন—”আসল জানার কোনো শেষ নেই!”
৪. আপনার আবেগ আপনাকে প্রতিদিন বোকা বানাচ্ছে!
আমরা ভাবি, আমরা যুক্তিবাদী। কিন্তু ক্ষুধা লাগলে কেনাকাটায় বাজেটের বেশি খরচ হয়, ক্লান্ত থাকলে সহজ সিদ্ধান্ত নিতেও কষ্ট হয়। আবেগই আমাদের প্রতিদিনের অনেক সিদ্ধান্ত নিয়ন্ত্রণ করে, আর আমরা সেটা বুঝতেই পারি না!
৫. মানুষ আসলে ধোঁয়াশা বেশি পছন্দ করে—কেন জানেন?
একটা গল্প বা সিনেমার একদম পরিষ্কার সমাপ্তি কম লোককেই টানে। বরং যেখানে একটু রহস্য থাকে, মানুষ সেটাই বেশি পছন্দ করে! কারণ, আমাদের ব্রেন অজানা জিনিসের দিকেই বেশি আকৃষ্ট হয়।
৬. ভুলে যাওয়া আপনার সুস্থ মস্তিষ্কের লক্ষণ!
অনেকে মনে করেন, কিছু ভুলে যাওয়া খারাপ অভ্যাস। কিন্তু আসলে এটি মস্তিষ্কের সেরা ফিচার! যদি প্রতিটা ছোটখাটো তথ্য ধরে রাখতে হতো, তাহলে আমাদের মাথা এতটাই ভারী হয়ে যেত যে নতুন কিছু শেখাই কঠিন হয়ে যেত।
৭. আপনার ফোন না থাকলেও, মনে হবে পকেটে ভাইব্রেশন হচ্ছে!
এটাকে বলে Phantom Vibration Syndrome। আমাদের মস্তিষ্ক এতটাই অভ্যস্ত হয়ে যায় ফোনের ভাইব্রেশন বা রিংটোনের প্রতি যে, ফোন না থাকলেও আমরা অনুভব করি যেন বাজছে!
৮. কিছু গান মাথা থেকে বের হয় না—এর পেছনে কারণ আছে!
এই সমস্যার নাম Earworm Effect। যখন কোনো সুর অসম্পূর্ণ মনে হয়, তখন মস্তিষ্ক সেটাকে বারবার রিপ্লে করে। তাই মাথা থেকে কোনো গান বের করতে চাইলে, সেটা পুরোপুরি শুনে ফেলুন!
৯. অন্যের নাম ভুলে যান? চিন্তার কিছু নেই, এটা স্বাভাবিক!
মানুষের নাম মনে রাখা আসলে মস্তিষ্কের জন্য কঠিন! কারণ, নামের সাথে সরাসরি কোনো ভিজুয়াল বা কন্টেক্সট যুক্ত থাকে না। তাই কারো নাম মনে না পড়লে দুশ্চিন্তা করবেন না, এটা স্বাভাবিক!
১০. কোনো কিছু না করার জন্যও আপনার ব্রেন অজুহাত বানায়!
আপনার কি কখনো হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ কিছু করার কথা ভাবলেন, কিন্তু মনে হলো “আরে, পরে করব”? আসলে মস্তিষ্ক এমনভাবে কাজ করে, যাতে সে আপনার এনার্জি বাঁচিয়ে রাখতে পারে! এজন্যই আমরা আলসেমি করি!
- 80 views
- 1 answers
- 0 votes
আত্মবিশ্বাসী মানুষের আচরণ সাধারণত এমন কিছু বৈশিষ্ট্য এবং অভ্যাসের মাধ্যমে প্রকাশ পায়, যা তাদের ব্যক্তিত্বকে আলাদা করে তোলে। নিচে একজন আত্মবিশ্বাসী মানুষের আচরণের কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হলো:
১. নিজের উপর আস্থা থাকা
আত্মবিশ্বাসী মানুষরা নিজেদের দক্ষতা, শক্তি এবং সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সচেতন। তারা জানে তারা কী করতে পারে, এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে।
২. বিশ্বাসযোগ্য এবং স্থির দৃষ্টিভঙ্গি
তাদের দৃষ্টিভঙ্গি দৃঢ় এবং তারা কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলে তা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয় না। তারা তাদের মতামত প্রকাশ করতে ভয় পায় না।
৩. স্বাভাবিক এবং আরামদায়ক শরীরের ভাষা
- তাঁরা সাধারণত সোজা হয়ে দাঁড়ায় বা বসে।
- চোখে চোখ রেখে কথা বলে।
- অস্বস্তিকর ভঙ্গি বা নার্ভাসনেস (যেমন হাত-পা কাঁপানো) এড়িয়ে চলে।
৪. অন্যদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা
আত্মবিশ্বাসী মানুষ নিজের কথা বলার পাশাপাশি অন্যদের কথাও গুরুত্ব দিয়ে শোনে। তারা অন্যের মতামতকে সম্মান করে এবং আলোচনা চলাকালীন ধৈর্য ধরে কথা শোনার অভ্যাস রাখে।
৫. সমালোচনা গ্রহণ করার ক্ষমতা
তারা গঠনমূলক সমালোচনা গ্রহণ করতে পারে এবং তা থেকে শেখার চেষ্টা করে। তারা সমালোচনাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবে নেয় না।
৬. নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে চলে
তারা নেতিবাচক চিন্তা বা হতাশার মধ্যে নিজেকে আটকে রাখে না। সমস্যা এলেও তারা ইতিবাচক সমাধানের দিকে মনোযোগ দেয়।
৭. ঝুঁকি নেওয়ার ক্ষমতা
আত্মবিশ্বাসী মানুষ নতুন সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে ভয় পায় না। তারা ঝুঁকি নেওয়ার আগে যুক্তি-বুদ্ধি দিয়ে চিন্তা করে এবং সাহসিকতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেয়।
৮. অন্যদের সঙ্গে সহযোগিতা করা
তারা সহযোগিতাপূর্ণ এবং সহযোগিতা করার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকে। তারা অন্যদের সাফল্যে হিংসা না করে, বরং প্রশংসা করতে পছন্দ করে।
৯. নিজের ভুল স্বীকার করা
আত্মবিশ্বাসী মানুষরা তাদের ভুল স্বীকার করতে ভয় পায় না। বরং তারা সেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেদের উন্নত করে।
১০. পরিকল্পিত এবং সংগঠিত
তারা সময় এবং কাজকে ভালোভাবে পরিচালনা করে। তারা তাদের লক্ষ্য পূরণের জন্য পরিষ্কার এবং কার্যকর পরিকল্পনা করে।
১১. অন্যদের অনুপ্রাণিত করা
তাদের ইতিবাচক মনোভাব এবং আত্মবিশ্বাস অন্যদের অনুপ্রাণিত করে। তারা অন্যদের মধ্যেও আত্মবিশ্বাস তৈরি করতে সহযোগিতা করে।
১২. অপ্রয়োজনীয় লড়াই বা বিতর্ক এড়িয়ে চলা
তারা অহেতুক বিতর্কে জড়ায় না। তারা জানে কখন কথা বলতে হবে এবং কখন চুপ থাকতে হবে।
১৩. নিজেকে নিয়ে অহংকারী নয়
আত্মবিশ্বাসী মানুষ এবং অহংকারী মানুষের মধ্যে পার্থক্য হলো, আত্মবিশ্বাসী মানুষ নিজেদের নিয়ে গর্বিত হলেও তারা অন্যদের ছোট করে দেখে না।
আত্মবিশ্বাসী মানুষের এই আচরণগুলোর মাধ্যমে তাদের ব্যক্তিত্ব অন্যদের কাছে উল্লেখযোগ্য এবং প্রশংসনীয় হয়ে ওঠে।
- 88 views
- 1 answers
- 0 votes
সুস্থ থাকতে ও সারাদিন সক্রিয়ভাবে কাজ করতে চান, তাহলে ভালো করে ঘুমান । কম ঘুম যেমন শরীরের ক্ষতি করে, তেমনিই বেশি ঘুম ডেকে আনতে পারে বিপদ ৷ (আরও)
বয়স অনুযায়ী ঘুমের পরিমাণ কত জানেন ? (ইটিভি ভারত)
সুস্থ থাকার জন্য যেমন আমাদের খাদ্য, জলের প্রয়োজন, তেমনিই রাতে ভালো ঘুমও দরকার ৷ পর্যাপ্ত ঘুম না-হলে আমাদের নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। ঠিকমতো ঘুম না-হওয়া শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের নানা সমস্যার কারণ হয়ে ওঠে। সারাদিন ক্লান্তি লাগে ৷ আপনি কি জানেন, প্রত্যেক বয়সের জন্য ঘুমানোর পরিমাণ আলাদা ৷
আমেরিকান অ্যাকাডেমি অফ স্লিপ মেডিসিন (American Academy of Sleep Medicine) গবেষণার তথ্য অনুযায়ী ও স্লিপ রিসার্চ সোসাইটির বিশেষজ্ঞদের মতে, বিভিন্ন বয়সের মানুষের ঘুমের পরিমাণও ভিন্ন হয়।
0-3 মাস বয়সের শিশু: নবজাতক থেকে তিন মাস পর্যন্ত শিশুদের জন্য সঠিক ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ । জন্মের পরপরই তাদের শরীরে অনেক পরিবর্তন ঘটে । বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, নবজাতকদের দিনে প্রায় 14-17 ঘণ্টা ঘুমানো উচিত ।
4-11 মাস বয়সের শিশু: 4-11 মাস বয়সের মধ্যে শিশুদের মস্তিষ্ক এবং শরীরের উন্নতি ঘটে থাকে । এই পর্যায়ে তাদের দৈনিক 12-15 ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন ।
1-2 বছর বয়সের শিশু: বিশেষজ্ঞরা জানান, সুস্থ থাকার জন্য এক থেকে দুই বছরের কম বয়সি শিশুদের জন্য প্রতিদিন 11-14 ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন ৷
3-5 বছরের শিশু: এই বয়সে অনেক শিশু প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায় । এসময় তারা স্কুলে বাচ্চাদের সঙ্গে খেলতে খেলতে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়ে । অতএব বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই বয়সে সুস্থ থাকার জন্য দিনে 10-13 ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন ।
6-12 বছরের শিশু: স্কুলে যাওয়ার পর্যায়ে বাচ্চাদের বৃদ্ধিতে অনেক পরিবর্তন ঘটে ৷ এই বয়সে তারা লম্বা হয় । শিশুদের সুস্থ থাকার জন্য দিনে অন্তত 9-12 ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন ।
13-18 বছর: এই বয়সে বেশিরভাগ কিশোর-কিশোরী তাদের পছন্দের কার্যকলাপে লিপ্ত হয় ৷ যেমন গেম খেলা এবং পড়াশোনা করা । এছাড়াও এই বয়সে শরীরে প্রজনন অঙ্গের বিকাশ ঘটে । বিশেষজ্ঞরা মতে, এই বয়সে সুস্থ থাকতে প্রতিদিন 8-10 ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন ।
18-60 বছর: এই বয়সে অনেকে শরীরের যত্নে অবহেলা করে থাকেন ৷ কারণ কাজের চাপ, পারিবারিক দায়িত্ব, আর্থিক সমস্যা এবং স্বাস্থ্যগত কারণে প্রায়ই ঘুম নষ্ট হয়ে যায় । এই বয়সে সুস্থ থাকার জন্য প্রত্যেকের জন্য প্রতিদিন 7-9 ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন ।
61 বছর বা তার বেশি বয়সি: সাধারণত এই বয়সের মধ্যে শরীরের কিছু প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। এছাড়াও অনেক বয়স্ক মানুষ জয়েন্টে ব্যথা এবং অনিদ্রার মতো স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভোগেন । তবে সুস্থ থাকার জন্য তাদের প্রতিদিন 7-8 ঘণ্টা ঘুমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা । (আরও)
- 103 views
- 1 answers
- 0 votes
১। আপনি চিন্তার সর্বত্তম পন্থায় অভ্যস্ত হয়ে চিন্তার মৌলক ধারনাগলি পরিবর্তন করতে পারেন।ফলে আপনার জীবন হয়ে উঠবে আরও সুন্দর
২। শুধু প্রয়োজনের সময় ব্যতীত দিনের বেলায় ফোন বন্ধ রাখুন , তাহলেই জীবণের গুনগত মানের পরিবর্তন সাধিত হবে।
৩। স্বনির্ভর হয়ে উঠুন।আপনি যখন জীবন সম্পর্কে দ্বায়িত্ববান হবেন এবং নিজেই নিজের প্রয়োজন ও সন্তুষ্টি সাধন করতে শিখবেন,তখন সুখ এমনিতেই বেড়ে যাবে।
৪। প্রতিদিনই অস্বস্তিকর কিছু করুন: অস্বস্তিকর সময়ে যদি সুখী হতে শিখেন তবে কম বিরক্তিকর সময়েও আপনি আরও সুখী হবেন
৫। প্রতিদিন ধৈর্য ধারণ ধরতে এবং শান্ত থাকতে শিখুন: অধ্যবসায়ী সাফল্যের মূল চাবিকাঠি।
আশা করি আমি আপনাদের কিছু আকর্ষণীয় পরামর্শ প্রদান করেছি ।
- 94 views
- 1 answers
- 0 votes
হ্যাঁ, বিজ্ঞানের সাথে নীতিবিদ্যার গভীর সম্পর্ক আছে। যদিও তারা ভিন্ন শাখা, কিন্তু একে অপরকে প্রভাবিত করে। বিজ্ঞান বাস্তবতা বিশ্লেষণ করে, আর নীতিবিদ্যা বলে কোন কাজ ন্যায়সংগত বা অনৈতিক।
বিজ্ঞান যদি রাস্তা হয়, তাহলে নীতিবিদ্যা তার ট্রাফিক নিয়ম। রাস্তা চালু থাকলেই গাড়ি চলতে পারে না; নিয়ম থাকলে তবেই সেটি নিরাপদ হয়।
১. বিজ্ঞানের ভূমিকা – “যা সত্য” তা বোঝানো
বিজ্ঞান বাস্তবতাকে ব্যাখ্যা করে, কিন্তু এটি বলে না কোনটা ভালো বা খারাপ।
উদাহরণ: বিজ্ঞান আমাদের বলে পরমাণু শক্তি ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়, কিন্তু এটিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা উচিত কি না – সেটি নীতিবিদ্যার বিষয়।
বিজ্ঞান জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং দেখাতে পারে, কিন্তু এটি নৈতিক কি না, তা বিজ্ঞান নির্ধারণ করে না।বিজ্ঞান শুধু ব্যাখ্যা দিতে পারে, কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা নেই।
২. নীতিবিদ্যার ভূমিকা – “যা ন্যায়সংগত” তা নির্ধারণ
নীতিবিদ্যা (Ethics) নৈতিকতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয় কোনটি সঠিক বা ভুল।
উদাহরণ:- বিজ্ঞান বলে ধূমপান করলে ক্যানসার হয়। কিন্তু তবুও ধূমপান নিষিদ্ধ করা উচিত কি না – সেটি নীতিবিদ্যার প্রশ্ন।
- বিজ্ঞান বলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) মানুষের কাজের বিকল্প হতে পারে। কিন্তু AI দিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত কি না, তা নীতিবিদ্যার আলোচ্য বিষয়।
৩. বিজ্ঞানের নৈতিক দিকনির্দেশনা প্রয়োজন কেন?
বিজ্ঞান শক্তিশালী হাতিয়ার – এটি ভালো বা খারাপ দুইভাবেই ব্যবহার করা যায়। যদি নীতিবিদ্যা না থাকে, তাহলে বিজ্ঞান বিপজ্জনক হতে পারে।
উদাহরণ:
মানব ক্লোনিং – এটা কি নৈতিক?
জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং – অভিজাত শ্রেণির জন্য সুপারহিউম্যান তৈরি করা নৈতিক কি না?
পরমাণু অস্ত্র – এটা বৈজ্ঞানিক বাস্তবতা, কিন্তু নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য কি?বিজ্ঞান শুধু ক্ষমতা দেয়, কিন্তু তা ব্যবহার করা উচিত কি না – সেটি নীতিবিদ্যা নির্ধারণ করে।
৪. বিজ্ঞানের আবিষ্কার নীতিবিদ্যার উন্নতি ঘটায়
✅ বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কার সমাজের নৈতিক মানদণ্ড পরিবর্তন করতে পারে।
🔹 একসময় দাসত্ব ছিল স্বাভাবিক, কিন্তু বিজ্ঞান দেখিয়েছে যে সব মানুষ সমানভাবে সক্ষম। ফলে দাসত্ব নিষিদ্ধ হয়েছে।
🔹 সমকামিতা নিয়ে ধর্মীয় নীতিবিদ্যার বিরোধিতা থাকলেও, বিজ্ঞান দেখিয়েছে এটি জেনেটিক বৈচিত্র্যের অংশ। ফলে সমাজে গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে।
🔹 মানসিক অসুস্থতাকে একসময় ‘পাপ’ মনে করা হতো, কিন্তু মনোবিজ্ঞানের উন্নতির ফলে এটি চিকিৎসাযোগ্য রোগ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।👉 এখানে দেখা যায়, বিজ্ঞান নীতিবিদ্যার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে সাহায্য করে।
📌 ৫. নীতিবিদ্যার অনুপস্থিতিতে বিজ্ঞানের বিপর্যয়
✅ নীতিবিদ্যা না থাকলে, বিজ্ঞান মানবতার জন্য ভয়ংকর হতে পারে।
🔹 নাৎসি বিজ্ঞানীরা মানব পরীক্ষায় নিষ্ঠুর গবেষণা চালিয়েছে।
🔹 সোভিয়েত ইউনিয়নে বিজ্ঞানকে রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল।
🔹 ফেসবুক ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞানের অগ্রগতির ফল, কিন্তু এটি গোপনীয়তা ও নৈতিকতার প্রশ্ন তুলেছে।👉 সঠিক নীতিবিদ্যা না থাকলে, বিজ্ঞানের ব্যবহার বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।
📌 ৬. বিজ্ঞান বনাম ধর্মীয় নীতিবিদ্যা – সংঘর্ষের ইতিহাস
✅ বিজ্ঞানের নতুন আবিষ্কার অনেক সময় ধর্মীয় নীতিবিদ্যার সাথে সংঘর্ষে আসে।
🔹 গ্যালিলিও বলেছিলেন পৃথিবী সূর্যের চারপাশে ঘোরে – গির্জা এটিকে নৈতিকভাবে ভুল ঘোষণা করে তাকে গৃহবন্দী করেছিল।
🔹 চার্লস ডারউইনের বিবর্তনবাদকে এখনো ধর্মীয় গোষ্ঠীগুলো চ্যালেঞ্জ করে।
🔹 মানুষের অঙ্গ প্রতিস্থাপন ও IVF একসময় ধর্মীয়ভাবে নিষিদ্ধ ছিল, কিন্তু এখন সমাজ এটিকে গ্রহণ করেছে।👉 এখানে দেখা যায়, নীতিবিদ্যার মানদণ্ড বিজ্ঞানের আবিষ্কারের সাথে পরিবর্তিত হয়।
📌 ৭. বিজ্ঞানের অভাব নীতিবিদ্যার দুর্বলতা তৈরি করতে পারে
✅ নীতিবিদ্যার ভিত্তি যদি শুধুমাত্র আবেগ বা ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর হয়, তবে এটি বিজ্ঞানবিরোধী হয়ে উঠতে পারে।
🔹 বিশ্বজুড়ে টিকা বিরোধী আন্দোলন ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে, অথচ বিজ্ঞান প্রমাণ দিয়েছে যে টিকা জীবন বাঁচায়।
🔹 মধ্যযুগে গির্জা দাবি করেছিল মহামারী ঈশ্বরের শাস্তি; বিজ্ঞান দেখিয়েছে এটি ভাইরাসের কারণে ঘটে।
🔹 অনেক সমাজে এখনো নারীদের শিক্ষার অধিকারকে ‘নৈতিকভাবে ভুল’ বলা হয়, কিন্তু বিজ্ঞানের অগ্রগতি দেখিয়েছে যে নারীশিক্ষা উন্নয়নের জন্য অপরিহার্য।👉 এখানে দেখা যায়, বিজ্ঞান নীতিবিদ্যাকে আধুনিক ও বাস্তবসম্মত করে তোলে।
📌 ৮. কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) – বিজ্ঞানের জন্য নতুন নৈতিক চ্যালেঞ্জ
✅ AI উন্নতির ফলে বিজ্ঞানকে নতুন নৈতিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
🔹 যদি AI মানুষের চেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত নিতে পারে, তাহলে কি মানবশাসন বিলুপ্ত করা উচিত?
🔹 যদি AI নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে যায়, তাহলে মানব জাতির ভবিষ্যৎ কী?
🔹 কর্মসংস্থান হারানোর নৈতিকতা কীভাবে ব্যাখ্যা করা হবে?👉 এখানে দেখা যায়, বিজ্ঞানের উন্নতির সাথে নীতিবিদ্যা নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।
📌 ৯. চিকিৎসা ও জৈবপ্রযুক্তিতে নৈতিক দ্বন্দ্ব
✅ চিকিৎসা বিজ্ঞানে উন্নতি নৈতিকতা নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে।
🔹 ক্লোনিং কি গ্রহণযোগ্য?
🔹 গর্ভপাত নৈতিক নাকি অনৈতিক?
🔹 কৃত্রিম অঙ্গপ্রত্যঙ্গের মাধ্যমে কি মানুষকে সাইবর্গ বানানো উচিত?👉 এগুলো বিজ্ঞানের বাস্তবতা, কিন্তু এর ব্যবহারের নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ।
📌 ১০. পরিবেশ বিজ্ঞান ও নৈতিকতা
✅ বিজ্ঞান দেখিয়েছে যে মানব কার্যকলাপ জলবায়ু পরিবর্তন ঘটাচ্ছে, কিন্তু নৈতিক সিদ্ধান্ত প্রয়োজন সমস্যার সমাধানে।
🔹 জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে কার্বন ট্যাক্স কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
🔹 পরিবেশ রক্ষার জন্য শিল্প বন্ধ করা উচিত কি না?
🔹 পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমরা কি দায়বদ্ধ?👉 এখানে দেখা যায়, বিজ্ঞানের তথ্য থাকলেও, সিদ্ধান্ত নেওয়া নীতিবিদ্যার দায়িত্ব।
📌 ১১. উপসংহার – বিজ্ঞান ও নীতিবিদ্যা পরস্পর পরিপূরক
🔹 বিজ্ঞান সত্যের অনুসন্ধান করে, আর নীতিবিদ্যা ন্যায় বিচারের পথ দেখায়।
🔹 নতুন আবিষ্কার নীতিবিদ্যার উন্নতি ঘটায়, আবার সঠিক নীতিবিদ্যা বিজ্ঞানকে মানবকল্যাণের পথে রাখে।👉 তাই, বিজ্ঞান ও নীতিবিদ্যা পরস্পর সম্পৃক্ত এবং একে অপরকে পরিচালিত করে।
- 88 views
- 1 answers
- 0 votes
মানুষের জীবনে কষ্টের উপস্থিতি একটি চিরন্তন সত্য। কষ্টের কারণ এবং তা জীবনে কেন আসে, তা একেকজনের দৃষ্টিভঙ্গি অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে। তবে কিছু সাধারণ দিক রয়েছে যা এই প্রশ্নটির উত্তর খুঁজতে সাহায্য করতে পারে:
১. জীবনের অন্তর্গত বাস্তবতা
জীবন কখনোই নিখুঁত নয়। সুখ-দুঃখ, আনন্দ-কষ্ট, লাভ-ক্ষতি—এসব জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। জীবনের এই দ্বৈত প্রকৃতি মানুষকে কষ্টের মুখোমুখি করে।
২. পরিবর্তন এবং চ্যালেঞ্জ
জীবন প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল। এই পরিবর্তন অনেক সময় মানুষের মনোভাবের সাথে মেলে না, ফলে কষ্টের সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি, জীবনের প্রতিটি ধাপে নতুন চ্যালেঞ্জ আসে, যা মানসিক ও শারীরিকভাবে কষ্টকর হতে পারে।
৩. মানবীয় আকাঙ্ক্ষা
মানুষের চাওয়া-পাওয়া কখনোই শেষ হয় না। অনেক সময় মানুষ যা চায়, তা না পেলে হতাশা ও কষ্ট অনুভব করে। অতিরিক্ত আকাঙ্ক্ষা ও প্রত্যাশা মানুষকে মানসিক যন্ত্রণায় ফেলে দেয়।
৪. সম্পর্কের জটিলতা
মানুষ সামাজিক জীব। পরিবার, বন্ধু, সহকর্মী, এবং সমাজের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রক্রিয়ায় অনেক সময় ভুল বোঝাবুঝি, বিচ্ছেদ, বা হতাশার সম্মুখীন হতে হয়। এসব সম্পর্কের জটিলতা কষ্টের প্রধান উৎস হতে পারে।
৫. শারীরিক ও মানসিক সমস্যা
রোগব্যাধি, দারিদ্র্য, বা মানসিক চাপ মানুষের কষ্টের আরেকটি বড় কারণ। শারীরিক অসুস্থতা বা মানসিক বিষণ্নতা মানুষকে দুর্বল করে তোলে এবং জীবনের প্রতি নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করে।
৬. পূর্বনির্ধারিত নিয়তি (ধর্মীয় বা দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি)
অনেক ধর্ম এবং দার্শনিক মতবাদে বলা হয় যে, কষ্ট জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং এটি আমাদের শিক্ষা দেয়, আমাদের শক্তিশালী করে। কষ্ট ছাড়া সুখের মূল্য বোঝা কঠিন।
৭. জীবনের অস্থায়িত্ব
জীবন এবং এর সমস্ত উপাদান অস্থায়ী। প্রিয়জনের মৃত্যু, কাজ হারানো, বা জীবনযাত্রায় বড় কোনো পরিবর্তন মানুষের জন্য কষ্টের কারণ হতে পারে। এই অস্থিরতাই জীবনের অনিবার্যতা।
কষ্টের অর্থ এবং সম্ভাবনা
কষ্ট অনেক সময় মানুষের জন্য শেখার এবং উন্নতির সুযোগ তৈরি করে। এটি ধৈর্য, নম্রতা এবং সহানুভূতি শেখায়। কষ্ট মানুষকে জীবনের গভীর অর্থ খুঁজে পেতে সাহায্য করে।
কষ্ট মোকাবিলার উপায়
- ধৈর্য ও ইতিবাচক মনোভাব: কষ্টকে মেনে নেওয়া এবং ধৈর্যের সাথে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
- সহানুভূতি ও সম্পর্ক: ভালো সম্পর্ক বজায় রাখা এবং অন্যের সহায়তা নেওয়া।
- আত্মউন্নয়ন: কষ্ট থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করা।
- ধ্যান ও প্রার্থনা: মানসিক শান্তি খোঁজার জন্য ধ্যান বা প্রার্থনার পথ অবলম্বন করা।
- সাহায্য নেওয়া: বিশেষজ্ঞ মনোবিদ বা কাউন্সেলরের সাহায্য নেওয়া।
শেষ কথায়
কষ্ট জীবনের অংশ, তবে এটি চিরস্থায়ী নয়। সময়ের সাথে সাথে কষ্ট কেটে যায় এবং জীবন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করে। জীবনকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করলে কষ্ট অনেকটাই হালকা হয়ে আসে।
- 81 views
- 1 answers
- 0 votes