10773
Points
Questions
23
Answers
5384
মন খারাপ থাকলে দ্রুত ভালো হওয়ার কিছু সহজ উপায় আছে, যা অনুসরণ করে আপনি নিজেকে হালকা ও সুস্থ বোধ করতে পারেন। প্রথমেই নিজের অনুভূতিগুলোকে স্বীকার করুন। মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক, এটাকে এড়িয়ে না গিয়ে বরং মেনে নিন। এরপর কিছু সময় নিজের জন্য বরাদ্দ করুন। একা থাকুন, গান শুনুন বা বই পড়ুন। এতে মস্তিষ্ক শান্ত হবে এবং আপনি নিজের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারবেন।
আপনি লাইফস্টাইল সম্পর্কিত আমার লেখাগুলো পড়তে পারেন এখান থেকে।
দ্বিতীয়ত, শারীরিকভাবে সক্রিয় হওয়া মন ভালো করার একটি কার্যকর উপায়। হাঁটাহাঁটি করুন, যোগব্যায়াম করুন বা হালকা ব্যায়াম করুন। এতে শরীরে এন্ডোরফিন নামক হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মনকে খুশি করে। তৃতীয়ত, কাছের মানুষদের সাথে কথা বলুন। আপনার অনুভূতি শেয়ার করলে মনে হালকা বোধ হবে। তাদের সমর্থন ও ভালোবাসা আপনাকে নতুন শক্তি দেবে।
চতুর্থত, নিজেকে ছোট ছোট লক্ষ্য নির্ধারণ করে দিন। কোনো কাজ শেষ করলে সন্তুষ্টি বোধ করবেন, যা মন ভালো করতে সাহায্য করবে। পঞ্চমত, প্রকৃতির সাথে সময় কাটান। গাছপালা, পাখির ডাক বা নদীর শব্দ মনকে শান্ত করে। সবশেষে, নিজের যত্ন নিন। পর্যাপ্ত ঘুমান, পুষ্টিকর খাবার খান এবং ইতিবাচক চিন্তা করুন। মন খারাপ কখনো স্থায়ী নয়, সময়ের সাথে সবকিছু ঠিক হয়ে যায়।
- 96 views
- 1 answers
- 0 votes
মানুষকে সেবা করার জন্য অর্থ ও মন—দুটোই গুরুত্বপূর্ণ, তবে নির্ভর করে কী ধরনের সেবার কথা বলা হচ্ছে।
- মন (মানবিকতা, সহানুভূতি, সদিচ্ছা): সেবার মূল ভিত্তি মন। যদি কারও প্রতি সহানুভূতি ও সেবা করার ইচ্ছা না থাকে, তবে অর্থ থাকলেও সে প্রকৃত সেবা দিতে পারবে না। মানবিকতা ছাড়া সেবা শুধুই আনুষ্ঠানিকতা হয়ে যায়।
- অর্থ (সম্পদ, সামর্থ্য): অর্থ অনেক সময় সেবার মাধ্যম হয়ে দাঁড়ায়। যেমন, দরিদ্রদের সহায়তা, চিকিৎসা প্রদান, শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়ন ইত্যাদির জন্য অর্থ অপরিহার্য।
তবে শুধুমাত্র অর্থ থাকলেই প্রকৃত সেবা সম্ভব নয়, যদি মনুষ্যত্ব ও সৎ উদ্দেশ্য না থাকে। তাই সেবার জন্য মন প্রথম, আর অর্থ দ্বিতীয়—কারণ মন থাকলে মানুষ সামর্থ্যের মধ্যেই সেবা করার পথ খুঁজে নেয়।
- 82 views
- 1 answers
- 0 votes
সফলতা অর্জন করার জন্য নির্দিষ্ট কোন বয়স নেই। সফলতা সময় ও পরিশ্রমের ওপর নির্ভর করে এবং এটি মানুষের উদ্দেশ্য, কাজের প্রতি নিষ্ঠা, এবং শেখার মনোভাবের ওপর ভিত্তি করে। আপনি যখন নতুন কিছু শিখবেন, চেষ্টা করবেন এবং নিজের কাজের প্রতি দায়িত্বশীল হবেন, তখন সফলতা আসবেই, তা যে কোনো বয়সে হতে পারে। কিছু মানুষের জন্য এটা তাড়াতাড়ি আসে, আবার কিছু মানুষের জন্য সময় বেশি লাগে, তবে আপনার অঙ্গীকার এবং মনোবলই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
- 102 views
- 1 answers
- 0 votes
চোখের নিচে কালি (Dark Circles) সাধারণত ঘুমের অভাব, স্ট্রেস, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম, পানিশূন্যতা, খাদ্যাভ্যাস, বংশগত কারণ বা শারীরিক সমস্যা থেকে হতে পারে। এটি দূর করতে কিছু কার্যকর উপায় অনুসরণ করা যায়।
১. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
- প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম প্রয়োজন।
- রাত জাগা বা অনিয়মিত ঘুমের কারণে চোখের নিচের রক্তনালী ফুলে যায়, ফলে কালি দেখা দেয়।
- ঘুমানোর আগে স্ক্রিন টাইম কমান এবং অন্ধকার ও শান্ত পরিবেশে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
২. পানিশূন্যতা দূর করুন
- দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
- শরীরে পানির অভাব হলে ত্বক শুষ্ক হয় ও চোখের নিচে কালি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।
- কফি বা চায়ের পরিবর্তে ডাবের পানি, লেবু পানি বা ডিটক্স ওয়াটার পান করুন।
৩. সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করুন
- আয়রন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খান (পালং শাক, গাজর, ডিম, বাদাম, মাছ, দুধ, ফলমূল)।
- ভিটামিন C (লেবু, কমলা, আমলকি) ও ভিটামিন E (বাদাম, সূর্যমুখী তেল) সমৃদ্ধ খাবার খান, যা ত্বক উজ্জ্বল করে।
- লবণ ও প্রসেসড ফুড কম খান, কারণ এগুলো শরীরে পানি ধরে রাখে, ফলে ফোলাভাব দেখা দেয়।
৪. ঠান্ডা থেরাপি ব্যবহার করুন
→ ঠান্ডা চা ব্যাগ (Tea Bags) ব্যবহার করুন
- গ্রীন টি বা ব্ল্যাক টি ব্যাগ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন, তারপর চোখের ওপর ১০-১৫ মিনিট রাখুন।
- এটি রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে চোখের ফোলাভাব কমায় ও কালি হালকা করে।
→ বরফ বা ঠান্ডা চামচ প্রয়োগ করুন
- দুটি চামচ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করুন এবং চোখের ওপর ৫-১০ মিনিট ধরে রাখুন।
- বরফ মোড়ানো কাপড় বা কোল্ড কম্প্রেস ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়।
৫. প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন
→ আলুর রস (Potato Juice)
- কাঁচা আলু ব্লেন্ড করে রস বের করুন। তুলো দিয়ে চোখের নিচে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন, তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- আলুর মধ্যে থাকা এনজাইম ও ভিটামিন C চোখের কালো দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।
→ শসার টুকরো (Cucumber Slices)
- ফ্রিজে ঠান্ডা করা শসার টুকরো চোখের ওপর ১৫ মিনিট রাখুন।
- শসার মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও সিলিকা থাকে, যা ত্বক সতেজ করে।
→ টমেটোর রস ও লেবুর রস
- ১ চা চামচ টমেটোর রস + ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে তুলো দিয়ে চোখের নিচে লাগান।
- ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। (লেবুর রস সংবেদনশীল ত্বকে চুলকানি সৃষ্টি করতে পারে, তাই সাবধানতা অবলম্বন করুন)।
৬. চোখের ব্যায়াম ও ম্যাসাজ করুন
- চোখ ঘুরানো, পামিং, ব্রাউ প্রেসার ব্যায়াম করলে চোখের চারপাশের রক্তসঞ্চালন বাড়ে।
- বৃঙ্গাসন ও শবাসন যোগব্যায়াম করলে স্ট্রেস কমে, ফলে ডার্ক সার্কেল কমতে পারে।
- নারকেল তেল বা বাদাম তেল দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করুন প্রতিদিন রাতে, এটি চোখের চারপাশের ত্বক মসৃণ করে।
৭. মেডিকেল ট্রিটমেন্ট (যদি প্রয়োজন হয়)
যদি ঘরোয়া পদ্ধতিতে কাজ না হয়, তাহলে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শে নিচের চিকিৎসা নিতে পারেন:
✅ ভিটামিন K বা রেটিনল সমৃদ্ধ আই ক্রিম ব্যবহার করুন।
✅ কেমিক্যাল পিল বা লেজার থেরাপি করলে দ্রুত ডার্ক সার্কেল হালকা হয়।
✅ যদি আয়রনের ঘাটতির কারণে হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শে আয়রন সাপ্লিমেন্ট নিতে পারেন।সংক্ষেপে: কীভাবে চোখের নিচের কালি দূর করবেন?
✔ ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমান।
✔ প্রচুর পানি পান করুন।
✔ ভিটামিন C ও আয়রনযুক্ত খাবার খান।
✔ ঠান্ডা চা ব্যাগ, বরফ বা শসা ব্যবহার করুন।
✔ আলুর রস বা টমেটোর রস লাগান।
✔ হালকা ম্যাসাজ ও চোখের ব্যায়াম করুন।
✔ ডাক্তারের পরামর্শ নিন, যদি ঘরোয়া উপায়ে কাজ না হয়।- 95 views
- 1 answers
- 0 votes
মন ও ব্রেনকে রিস্টার্ট করার জন্য এখানে কিছু উপায় আলোচনা করা হলো:
শারীরিক ব্যায়াম:
* প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিটের জন্য মাঝারি তীব্রতার ব্যায়াম করুন। এটি রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ায়।
* যোগা বা তাই চি এর মতো হালকা ব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে এবং মনকে শান্ত করতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত ঘুম:
* প্রতিদিন ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ঘুমের অভাব মন ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে।
* ঘুমের আগে হালকা গরম দুধ পান করা বা বই পড়ার অভ্যাস করতে পারেন।
স্বাস্থ্যকর খাবার:
* প্রচুর ফল, সবজি, এবং শস্য খাদ্য তালিকায় যোগ করুন।
* ফাস্ট ফুড ও চিনি যুক্ত খাবার ত্যাগ করুন।
* পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করুন।
মানসিক চাপ কমানো:
* ধ্যান বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করে মানসিক চাপ কমানো যায়।
* নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করে শখের প্রতি মনোযোগ দিন।
* সামাজিক সমর্থন এবং বন্ধু-বান্ধবদের সাথে সময় কাটানো মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।
নতুন কিছু শিখুন:
* নতুন ভাষা শিখুন বা বাদ্যযন্ত্র বাজানো শুরু করুন।
* নতুন দক্ষতা অর্জন মন ও মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে সাহায্য করে।
* বই পড়া বা পডকাস্ট শোনা জ্ঞান বৃদ্ধি করে এবং মনকে সতেজ রাখে।
প্রকৃতির সান্নিধ্যে সময় কাটান:
* পার্কে হাঁটাহাঁটি বা বাগানে সময় কাটানো মনকে শান্ত করে।
* সবুজ প্রকৃতির মাঝে কিছুক্ষণ সময় কাটালে মানসিক চাপ কমে।
* সূর্যের আলো ভিটামিন ডি এর উৎস, যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যকে উন্নত করে।
অন্যান্য টিপস:
* ক্যাফেইন ও অ্যালকোহল পরিহার করুন।
* নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান।
* পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং নিজের যত্ন নিন।
এসব উপায় অবলম্বন করে আপনি আপনার মন ও ব্রেনকে সতেজ রাখতে পারেন এবং তার কার্যকারিতা বাড়াতে পারেন।
- 97 views
- 1 answers
- 0 votes
হ্যাঁ, রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করা অবশ্যই ভালো এবং এটি একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস। এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা হলো—
✅ দাঁতের ক্ষয় রোধ করে – দিনের বেলা খাওয়া-দাওয়া করার ফলে দাঁতে খাবারের ছোট ছোট অংশ আটকে যায়। যদি রাতে ব্রাশ না করা হয়, তাহলে তা ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে অ্যাসিডে পরিণত হয়ে দাঁতের ক্ষয় ঘটাতে পারে।
✅ মুখের দুর্গন্ধ দূর করে – রাতে ব্রাশ না করলে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি পায়, যা সকালে মুখে দুর্গন্ধের কারণ হতে পারে।
✅ মাড়ির স্বাস্থ্য ভালো রাখে – ব্রাশ না করলে দাঁতে প্লাক জমে, যা পরবর্তীতে মাড়ির রোগ (জিঞ্জিভাইটিস) সৃষ্টি করতে পারে।
✅ মুখের পিএইচ ব্যালেন্স ঠিক রাখে – সঠিকভাবে ব্রাশ করলে মুখে ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ কমে, ফলে মুখের স্বাভাবিক পিএইচ ব্যালেন্স বজায় থাকে।
- 88 views
- 1 answers
- 0 votes
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল।
সকাল আনুমানিক ৯টা বেজে ৩০ মিনিট। চোখ ডলতে ডলতে ঘুম থেকে উঠে শুনি সাভারের রানা প্লাজা ধ্বসে পড়েছে। এরই মাঝে বিশ্ববিদ্যালয়য়ের পাশের গ্রামের এক ছোট ভাই দৌড়ে এসে জানালো তার এক আত্মীয়া ওখানের আশেপাশে কোন একটা ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। আর সাতপাঁচ না ভেবে প্রস্তুত হয়ে বেরিয়ে পড়লাম আমরা তিনজন।
রাস্তায় এসে দেখি কোন যানবাহন নেই। ক্যাম্পাস থেকে সাভার প্রায় ৪.৫ কিলোমিটার দূরে। কোন উপায় না পেয়ে হাঁটা ধরলাম। পথিমধ্যে আরেক ছোটভাইয়ের সাথে দেখা হয়ে গেলো, ওর পুরো শরীর রক্তে ভেজা, জানালো আমরা যার খোঁজে যাচ্ছি সে নিরাপদ আছে। অর্ধেক পথ এসে গেছি দেখে মনে হল ঘটনাটা দেখে আসা যাক।
বিধ্বস্ত ভবনের সামনে উপস্থিত হয়ে যা দেখেছিলাম তা রীতিমত শিউরে ওঠার মতো।
পুরো নয়তলা ভবন যেন একটা স্যান্ডউইচ। দুর্ঘটনার সময়ে ভবনটিতে তিন হাজারের উপর লোকজন ছিল যার পুরোটাই বলতে গেলে গার্মেন্টস শ্রমিক। একের পর এক আহত, নিহত মানুষকে সেখান থেকে বের হচ্ছে যা দেখে দাঁড়িয়ে থাকা মুশকিল।
ভাবলাম গিয়ে কাজে হাত লাগানোটাই ঠিক হবে। অতিরিক্ত ভিড়ের জন্য ঘটনার কেন্দ্রে আর সেদিন ঢুকতে পারিনি। তবে কাজের লোকের অভাব ছিল না। যে যার মতো উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলো। শুধু শুধু ভিড় না বাড়িয়ে হেঁটে হেঁটে আবার ক্যাম্পাস ফিরে আসলাম, তবে খারাপ লাগছিল এই ভেবে দুর্দিনে কাজে লাগতে পারলাম না।
দুই দিন বাদে ৮/১০ জনের একটা গ্রুপ তৈরি করে, কিছু যন্ত্রপাতি কিনে সকাল সকাল আবার ঘটনাস্থলে গিয়ে পৌঁছলাম। তখনও সেখানে লোকের অভাব ছিল না। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলো। দুপুর পর্যন্ত কাজ করে মনে হলো আমাদের এমন কোন অভিজ্ঞতা নেই যা দিয়ে ওখানে সাহায্য হবে। তাছাড়া তখন কাজটা এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে অনভিজ্ঞরা থাকা মানেই বাড়তি ঝামেলা।
সাথে থাকা সমস্ত সরঞ্জাম ওখানের লোকদের দিয়ে আমরা চলে গেলাম সাভার অধরচন্দ্র উচ্চ বিদ্যালয়ে যেখানে বেওয়ারিশ লাশগুলো রাখা ছিল। এবার লেগে গেলাম লাশ শনাক্তকরণের সাহায্যে। নিখোঁজ হওয়া মানুষগুলোর আত্মীয়স্বজন সেখানে দিনরাত অপেক্ষা করে থাকতো খোঁজ পাওয়ার আশায়। আমরা ওনাদের দেয়া তথ্যের সাথে লাশ মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করতাম।
সেখানে রাখা বেশির ভাগ লাশই ছিল বীভৎস, এতোটাই বীভৎস যে ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। প্রথম দিন লাশগুলো দেখার পর ঘণ্টা খানেক পায়ের কাঁপুনি থামেনি। চেহারা দেখে কাউকে চেনার উপায় ছিল না।
এরপরও আশায় বুক বেঁধে থাকতো সবাই, হয়তো তার আত্মীয়কে খুঁজে পেয়ে যাবে। খাওয়া গোসল বাদ দিয়ে দিনের পর দিন অনেকেই পড়ে ছিল আশেপাশে। ঘণ্টা পার হতেই ত্রাণবাহী গাড়ি চলে আসতো। সেখান থেকে পাওয়া টুকটাক শুকনা খাবারেই কাজ চালিয়ে নিতো সেই হতভাগা মানুষগুলো। আমরাও খেয়েছি কয়েকদিন সেই ত্রাণের খাবার।
দুর্বল হৃদয় দিয়ে সেখানেও টিকতে পারলাম না। ঘটনার কেন্দ্রে একদিনের কাজের অভিজ্ঞতা থেকে মনে হয়েছিল পর্যাপ্ত সাপ্লাই থাকার পরেও মাঝে মধ্যেই সেখানে কিছু সরঞ্জামের ঘাটতি পড়ে। শুরু করে দিলাম এবার তহবিল সংগ্রহের কাজ। সাভারের আশেপাশে ঘুরে ঘুরে টাকা সংগ্রহ করে কিছু যন্ত্রপাতি কিনে সেখানে দিয়ে আসতাম।
এভাবে গেল আরও বেশ কিছু দিন।
মনে হলো এটাতেও কাজের কাজ হচ্ছে না। এবার প্লান করা হলো বেশ বড় পরিসরে টাকা সংগ্রহ করে ক্ষতিগ্রস্থদের কোনভাবে সাহায্য করা যায় কিনা। কয়েকজন দায়িত্ব নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করতে লাগলো। আর দলের বাকিরা তহবিল সংগ্রহের দায়িত্বে। বেশ ভালো সংগ্রহ হয়েছিল, বণ্টনও হয়েছিল সুন্দরভাবে।
টাকা তুলতে গিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা হয়েছিল।
- কিছু মানুষের কাছ থেকে এতটাই তিক্ত মন্তব্য শুনতে হয়েছে যে ঐ সময়ে আমাদের অনেকেই কান্না করে দিত। ভালো একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে যাবার পরেও আমাদের সরাসরি বাটপার, ভণ্ড বানিয়ে দিত।
- পর্যাপ্ত টাকা তুলতে না পেরে যখন হতাশ হয়ে যাচ্ছিলাম তখনই ঘটলো একটা আশ্চর্য ঘটনা। একটা বাজার হয়ে বের হচ্ছি। মাটিতে বসে থাকা এক ভিক্ষুক আমাদের কাছে এসে জানতে চাইলেন আমরা কেন টাকা তুলে বেড়াচ্ছি। পুরো বিষয়টা শুনে উনি উনার পুরো দিনের ইনকাম আমাদের দিয়ে দিয়েছিলেন। অনেক বলেও সেই টাকা ফিরিয়ে দিতে পারিনি। এই উদারতা দেখে বাকরুদ্ধ না হয়ে থাকা যায়না।
- এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বাসে যেতে হতো। ঢাকা শহরের মতো জায়গাতে বেশির ভাগ বাসেই আমরা বিনা পয়সাতে যাতায়াত করেছিলাম। সেই রসকষহীন, কাঠখোট্টা বাস সুপারভাইজার টাকা তো নেয়ই নি বরং দান পর্যন্ত করেছে।
- সাভার অঞ্চলে তখন যানবাহনের অবস্থা খুবই খারাপ। হেঁটে হেঁটেই অনেক জায়গাতে যাওয়া লাগতো। স্কুল কলেজের পাশ দিয়ে যাবার সময় দেখতাম শিক্ষার্থীরা শরবত, পানি, স্যালাইন, শুকনা খাবার নিয়ে স্কুল-কলেজ গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছে ক্লান্ত পথচারীদের অপেক্ষায়।
এখান থেকে পাওয়া কিছু ধারণাঃ
- হুট করেই সাজানো জীবন এলোমেলো হয়ে যেতে পারে। একে গ্রহণ করার মতো মানসিক শক্তি থাকা চাই।
- ভালো কাজ করতে গেলে সবসময় প্রশংসা পাবেন না, অনেক ক্ষেত্রেই জুটবে তিরস্কার।
- অন্যের জন্য কিছু একটা করুন, আত্মতৃপ্তি নিয়ে ঘুমোতে যেতে পারবেন।
- জীবনে টাকা পয়সার যথেষ্ট দরকার আছে। ‘অর্থ-সম্পদ ঝামেলার বস্তু’- এগুলো বিত্তবানদের কথাবার্তা।
- আমোদ ফুর্তি করে কাটিয়ে দিবো- জীবন এতোটাও সোজা নয়।
- দরিদ্র মানুষগুলোর জন্য দরিদ্রের মন কাঁদে, অল্প সংখ্যক বিত্তবানের মনে সামান্য সহানুভূতি তৈরি হয় মাত্র।
- চাইলেই সবাই মিলেমিশে জীবনকে সুন্দর করে তুলতে পারি।
- মারা যাবো এটাই স্বাভাবিক, বেঁচে আছি এটাই বরং মনে হয় অস্বাভাবিক।
এগুলো ঠিক কেমন ধরনের ধারণা ঠিক জানিনা নাজমুল ভাই। এছাড়া অবশ্য কিছু ভাবতেও পারছি না।
#Collcted
- 78 views
- 1 answers
- 0 votes
মন ও ব্রেনকে রিস্টার্ট করার অর্থ হলো মানসিক চাপ কমানো, ফোকাস পুনরুদ্ধার করা এবং নতুনভাবে শক্তি সঞ্চয় করা। এটি করার জন্য কিছু কার্যকর উপায় নিচে দেওয়া হলো—
১. ডিজিটাল ডিটক্স করুন
কিছু সময়ের জন্য মোবাইল, ল্যাপটপ ও অন্যান্য স্ক্রিন ব্যবহার কমিয়ে দিন। সোশ্যাল মিডিয়া ও নিউজ থেকে বিরতি নিলে মস্তিষ্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।
২. পর্যাপ্ত ঘুম নিন
ভালো ঘুম মস্তিষ্ককে পুনরায় সক্রিয় করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন।
৩. মেডিটেশন ও ধ্যান করুন
ধ্যান ও জিকির করলে মন শান্ত হয় এবং ব্রেনকে রিস্টার্ট করা সহজ হয়। প্রতিদিন অন্তত ১০-১৫ মিনিট নিরিবিলি ধ্যান করুন।
৪. প্রকৃতির সাথে সময় কাটান
বাইরে গিয়ে সবুজ প্রকৃতি উপভোগ করুন। এটা ব্রেনের জন্য খুব ভালো রিস্টার্ট বাটন হিসেবে কাজ করে।
৫. পানি ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান
পর্যাপ্ত পানি পান করুন ও স্বাস্থ্যকর খাবার খান। চিনিযুক্ত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।
৬. শারীরিক ব্যায়াম করুন
হাঁটা, দৌড়ানো বা হালকা ব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ে এবং মন সতেজ হয়।
৭. নতুন কিছু শিখুন বা পড়ুন
কুরআন তেলাওয়াত করুন, ভালো বই পড়ুন, নতুন ভাষা বা স্কিল শেখার চেষ্টা করুন।
৮. সৃষ্টিকর্তার সাথে সংযোগ বৃদ্ধি করুন
নামাজ পড়ুন, দোয়া করুন এবং আত্মার প্রশান্তি অর্জনের জন্য আল্লাহর দিকে মনোনিবেশ করুন।
৯. ডিপ ব্রিদিং বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন
ধীরে ধীরে গভীর শ্বাস নিন ও ছাড়ুন। এটি ব্রেনকে তাৎক্ষণিকভাবে রিল্যাক্স করতে সাহায্য করে।
১০. জীবনকে সহজ করুন
অপ্রয়োজনীয় কাজ ও চিন্তা বাদ দিন। যা গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়ে ফোকাস করুন।
আপনার জন্য কোন পদ্ধতিটি সবচেয়ে কার্যকর মনে হয়?
- 106 views
- 1 answers
- 0 votes
জ্ঞান হলো এমন এক বৈশিষ্ট্য, যার মাধ্যমে কোনো বিষয় সম্পর্কে সঠিক উপলব্ধি, বুঝ ও পরিপূর্ণ সচেতনতা লাভ করা যায়। ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে জ্ঞান দুই প্রকার:
- দ্বীনি জ্ঞান (ইসলামী জ্ঞান): যা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর দেয়া জ্ঞান, যেমন কুরআন, হাদিস, ফিকহ, আকাইদ ইত্যাদি।
- দুনিয়াবি জ্ঞান (পার্থিব জ্ঞান): যেমন বিজ্ঞান, গণিত, চিকিৎসা, প্রকৌশল ইত্যাদি, যা মানুষের জীবনকে সহজ ও উন্নত করতে সাহায্য করে।
ইসলামে জ্ঞান অর্জনের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা
১. কুরআন ও হাদিসে জ্ঞান অর্জনের নির্দেশ
- আল্লাহ তাআলা বলেন:
“পড়ো তোমার প্রভুর নামে, যিনি সৃষ্টি করেছেন।” (সূরা আলাক: ১)
এই আয়াত দ্বারা বোঝা যায়, ইসলামে জ্ঞানের গুরুত্ব কত বেশি। - রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য ফরজ।” (ইবন মাজাহ: ২২৪)
অর্থাৎ, প্রতিটি মুসলমানের জন্য ধর্মীয় ও দুনিয়াবি উপকারী জ্ঞান অর্জন বাধ্যতামূলক।
২. জ্ঞান মানুষকে মর্যাদার আসনে আসীন করে
- আল্লাহ বলেন:
“যারা ঈমান এনেছে এবং যাদের জ্ঞান দান করা হয়েছে, আল্লাহ তাদের মর্যাদা বাড়িয়ে দেবেন।” (সূরা মুজাদালাহ: ১১)
তাই একজন জ্ঞানী ব্যক্তি অজ্ঞ ব্যক্তির তুলনায় আল্লাহর কাছে বেশি সম্মানিত।
৩. সত্য-মিথ্যা, ভালো-মন্দের পার্থক্য বোঝার জন্য
জ্ঞান ছাড়া মানুষ সত্য-মিথ্যা, সঠিক-ভুলের পার্থক্য বুঝতে পারে না। ইসলামী জ্ঞান থাকলে মানুষ সঠিক আকিদা ও আমল অনুসরণ করতে পারে এবং শয়তানের ধোঁকা থেকে বাঁচতে পারে।
৪. জ্ঞান দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতার চাবিকাঠি
- রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
“যে ব্যক্তি জ্ঞান অনুসন্ধানের জন্য কোনো পথ ধরে, আল্লাহ তাকে জান্নাতের পথে পরিচালিত করেন।” (মুসলিম: ২৬৯৯) - ইসলামী ও দুনিয়াবি জ্ঞান অর্জন করলে মানুষের জীবনে উন্নতি আসে এবং আখিরাতেও সফলতা লাভ করা যায়।
কোন জ্ঞান অর্জন করা উচিত?
- ফরজ-আইন জ্ঞান: যেমন তাওহিদ, সালাত, রোজা, হালাল-হারাম ইত্যাদি সম্পর্কে মৌলিক জ্ঞান।
- ফরজ-কিফায়া জ্ঞান: যেমন চিকিৎসা, প্রকৌশল, কৃষি, ব্যবসা ইত্যাদি, যা সমাজের কল্যাণে কাজে লাগে।
- আখলাক ও আধ্যাত্মিক জ্ঞান: যা ধৈর্য, নম্রতা, ভালো চরিত্র গঠনে সাহায্য করে।
উপসংহার
ইসলাম জ্ঞান অর্জনকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছে এবং এটাকে ইবাদতের অংশ হিসেবে গণ্য করেছে। দ্বীনি ও দুনিয়াবি উভয় জ্ঞান অর্জন করা উচিত, যাতে আমরা সঠিক পথে চলতে পারি এবং দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হতে পারি।
- 98 views
- 1 answers
- 0 votes
১. সুখী হতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমান
গবেষণায় দেখা গেছে, সুস্বাস্থ্য, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা এবং মানসিক সুস্থতার জন্য ঘুমের কোন বিকল্প নেই। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি। ভাল ঘুম না হলে আপনার মেজাজ সবসময় খিটখিটে থাকবে। ফলে, মানুষের সাথে আপনার আচরণ খুব একটা ভাল হবে না। মানুষ আপনার থেকে দূরে থাকবে। ফলাফল হিসাবে আপনার মানসিক অস্থিরতা আরও বেশি বৃদ্ধি পাবে।
ভাল ঘুমের জন্য যে কাজগুলো করতে পারেন –
- ঘুমানোর এবং ঘুম থেকে উঠার একটি নির্দিষ্ট টাইম সেট করুন। সে সময় সব ধরণের কাজ থেকে বিরত থাকুন।
- প্রতিদিন একই টাইমে ঘুমানো এবং ঘুম থেকে উঠার চেষ্টা করুন।
- ভাল ঘুমের জন্য প্রয়োজনে গোসল করে নিন, বই পড়ুন বা এমন কিছু করুন যারা দ্বার আপনি মানসিকভাবে শান্তিতে থাকবেন।
- রুমের পরিবেশ ঘুমের জন্য উপযুক্ত করে তুলেন। রুম অন্ধকার, ঠাণ্ডা এবং শান্ত রাখার চেষ্টা করুন।
২. সুখী থাকতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন
ব্যায়াম কেবল আপনার দেহকে সুস্থ রাখে না, বরং আপনার মনকেও সুস্থ রাখে। প্রতিদিন ব্যায়াম করলে আপনার মানসিক যন্ত্রণা, উদ্বেগ, বিষণ্ণতা ইত্যাদি দূর হয়ে যাবে। রাতে খাবারের পর প্রতিদিন কিছু সময় হাটার চেষ্টা করুন। এছাড়া, সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রতিদিন ব্যায়াম করুন।
৩. সুখী থাকতে স্যোশাল মিডিয়ার ব্যবহার বন্ধ করুন
Guilford Press এর এক গবেষণায় দেখান হয় স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারকারীরা অন্যদের থেকে অনেক বেশি একাকীত্ব অনুভব করে এবং সবসময় ডিপ্রেশনে থাকে। অপর দিকে Sage Journals এর এক গবেষণায় উঠে আসে আরও ভয়ংকর তথ্য।
স্যোশাল মিডিয়ায় আসক্ত ৮ থেকে ১২ বছর এবং ১৩ থেকে ১৮ বছরের কিশোর কিশোরীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার অনেক বেশি। প্রতিবছর ৪০ হাজার আমেরিকান আত্মহত্যা করে শুধু মাত্র এই ডিপ্রেশনের কারণে। আসুন এবার একটু খেয়াল করি স্যোশাল মিডিয়া আমাদের কিভাবে ডিপ্রেশনে রাখে।
আপনার ফ্রেন্ড লিস্টে হয়তো এমন কিছু ফ্রেন্ড রয়েছে যারা যেকোনো রেস্টুরেন্টে গেলে সে ছবি পোস্ট করে, কোন চাকরি পেলে পোস্ট করে কিংবা তার কোন সফলতা। এখন সারাক্ষণ এসব দেখার ফলে আপনার সবকনশাস মাইন্ডে না পাওয়ার একটা হতাশা কাজ করতে থাকে। আপনি কোন কিছু শো অফ করতে পারছেন না এরকম চিন্তা মনের মধ্যে সারাক্ষণ ঘুরপাক খেতে থাকে। ফলাফল প্রতিনিয়ত ডিপ্রেশন বাড়তে থাকে।
৪. সুখী থাকতে স্বাস্থ্যকর খাবার খান
স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আপনার স্বাস্থ্য যদি ভাল না থাকে, তাহলে আপনি যত কোটি টাকার মালিক হন কিংবা যত সফলতাই আসুক সুখী হতে পরবেন না। সুস্বাস্থ্যের জন্য ভাল খাবারের কোন বিকল্প নেই। আর যদি মদ ও ধূমপানে আসক্ত থাকেন তাহলে তা পরিহার করুন। জেনে নিন, যে ৭টি কারণে আপনার ধূমপান ত্যাগ করা উচিত।
আপনার খাবার আপনার দেহের উপর প্রভাব ফেলে। খাবার আপনার মনের মধ্যেও প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। যেমন –
- কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার – এ জাতীয় খাবারে সেরোটোনিন উপাদান রয়েছে। এই উপাদান “ভাল লাগার” হরমোন নিঃসৃত হয়।
- প্রোটিন – প্রোটিনে ডোপামিন এবং নোরপাইনফ্রিন রয়েছে। ডোপামিন আমাদের মস্তিষ্কের সাথে দেহের সংযোগ স্থাপন করে। ডোপামিন হরমোন আমাদের আনন্দ ও খুশি-ভাব উৎপন্ন করে। চর্বিযুক্ত মাংস, হাঁস, ডাল এবং দুধে অনেক প্রোটিন থাকে।
- ভাজা খাবার – ভাল থাকতে হলে ভাজা পোড়া খাবার পরিহার করুন। এ-সব খাবার আপনার হতাশার একটি কারণ।
৫. সুখী হতে হলে তুলনা করা বন্ধ করুন
আপনি যতদিন নিজেকে অন্যের সাথে তুলনা করবেন তত দিন আপনি অসুখী থাকবেন। আপনার মধ্যে যা আছে তাই নিয়ে খুশি থাকার চেষ্টা করুন। পৃথিবীতে এমন অনেক ব্যক্তি আছে যাদের দুটি চোখ অন্ধ কিন্তু তারপরেও তারা সুখী। আবার অনেকের এই মূল্যবান দুটি চোখ থাকা সত্ত্বে সে চোখ দিয়ে শুধু দুখের অশ্রু ঝরে।
অন্যের সাথে নিজেকে তুলনা না করে, আপনার নিজের মধ্যে যা আছে তা দিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যান। পৃথিবীর সকল সফল ব্যক্তিরা পরিশ্রমের মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছে।
৬. পরিবার ও প্রকৃতির সাথে সময় ব্যয় করুন
২০১৬ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, সবুজ প্রকৃতির সাথে ৩০ মিনিট সময় ব্যয় করার দ্বারা ব্লাড প্রেশার কমার পাশাপাশি ডিপ্রেশনও কমে যায়। সবুজ প্রকৃতির জন্য প্রয়োজনে আপনার বাড়ির ছাদ কিংবা বারান্দাকেও বেছে নিতে পারেন। তবে, সেখানে যেন গাছ এবং মুক্ত বাতাসের সংস্পর্শ থাকে।
প্রকৃতির পাশাপাশি নিজের পরিবারের সাথে সময় কাটান। পরিবারের সাথে সময় কাটানোর দ্বারা পরিবারের সাথে আপনার সম্পর্ক বৃদ্ধি পাবে। আপনার মাঝে থাকা হতাশা কেটে যাবে। পশ্চিমা সমাজে বর্তমানে হতাশা আর আত্মহত্যার অন্যতম একটি কারণ এই পরিবার-হীনতা।
৭. লক্ষ্য ঠিক করুন
লক্ষ্য ঠিক করার দ্বারা আপনি আপনার জীবনের একটি অর্থ ঠিক করলেন। অনেকে বেচে থাকার কোন অর্থ খুঁজে পায় না। কিন্তু আপনি যখন লক্ষ্য ঠিক করবেন তখন বেচে থাকার অর্থ খুঁজে পাবেন।
- 86 views
- 1 answers
- 0 votes