10773
Points
Questions
23
Answers
5384
১. সব সময় ইতিবাচক চিন্তা করা
নিজেকে সুখী রাখতে নেতিবাচক চিন্তা ছেড়ে দিতে হবে। সুখী হতে চাইলে সবসময় ইতিবাচক চিন্তাকে গুরুত্ব দিতে হবে। ইতিবাচক চিন্তা মানুষকে খারাপ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে।
২. ভুলে যাওয়া শিখুন
কেউ যদি আপনার সঙ্গে খারাপ আচরণ করে আর আপনি সেটা দীর্ঘদিন মনে রাখেন, তাহলে নিজে নিজে কষ্ট পাবেন। তখন আপনার দুয়ারে সুখ ধরা দেবে না। সুখী হওয়ার জন্য, অন্যরা যা বলেছে, তা ভুলতে শেখা গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি জীবনে সুখী হতে চান, তবে আপনাকে অন্যের জিনিসগুলো ভুলে যাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতেই হবে।
৩. নিজেকে কারও সঙ্গে তুলনা না করা
অন্যের সঙ্গে নিজেকে তুলনা না করলে খুব সহজেই সুখী হওয়া যায়। বর্তমানে অনেকেই তাদের কাছে থাকা জিনিসগুলোর গুরুত্ব বোঝেন না। এই ধরনের মানুষ শুধু অন্যরা যা করছেন, নিজেও সেটা করতে চান। আমাদের এই অভ্যাসই আমাদের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যেদিন এই অভ্যাসটি পরিবর্তন করতে পারবেন, সেদিন থেকেই আপনি সুখী হতে শুরু করবেন।
৪. অন্যের নিকট থেকে কিছু পাওয়ার আশা করা বন্ধ করা
অন্যের কাছ থেকে কিছু পাওয়ার আশা করা বন্ধ করুন। অন্যের থেকে প্রত্যাশা সবসময় দুঃখের কারণ হয়। তাই সুখী হওয়ার জন্য এটি পরিহার করা উচিৎ। আপনি যদি কারও জন্য কিছু করে থাকেন, তবে তার বিনিময়ে একই আচরণ আশা করবেন না।
৫. সম্পর্কে বিনিয়োগ করুন
একাকিত্বের চেয়ে খারাপ কিছু নেই। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে মন ভালো থাকে। তাই সময় পেলেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন বা বাইরে বেড়াতে যান। এতে সময় ভালো কাটবে।
৬. নিজের জন্য সময় বাড়ান
বর্তমানে আমরা এতটাই ব্যস্ত যে নিজেকে নিয়ে ভাবার সময় পাই না। মনোবিদরা বিশ্বাস করেন, প্রতিদিন নিজেকে সময় দেওয়া বাড়িয়ে দিলে এমনিতেই মানসিক চাপ কমে যাবে।
৭.নির্ঝঞ্ঝাট থাকা
গবেষণায় দেখা গেছে, অগোছালো জীবন অনেক বেশি মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। তাই সুখে থাকতে জীবনের সকল ঝামেলা দূরে রাখা এবং স্বচ্ছ জীবনযাপন করার চেষ্টা করুন।
- 87 views
- 1 answers
- 0 votes
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দিনের ভালো শুরু করার জন্য কিছু জরুরি অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। প্রথমেই ধীরে ধীরে চোখ খুলে শুয়ে শুয়ে কিছুক্ষণ স্বাভাবিকভাবে শ্বাস নিন এবং আল্লাহকে নতুন দিনের জন্য শুকরিয়া আদায় করুন।
এরপর ধীরে ধীরে বিছানা থেকে উঠুন এবং এক গ্লাস হালকা গরম পানি পান করুন। এটি শরীরকে হাইড্রেট করবে এবং হজম প্রক্রিয়া উন্নত করবে। চাইলে পানি পান করার পর সামান্য স্ট্রেচিং করতে পারেন, যা শরীরকে চাঙা করবে।
তারপর ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ও দাঁত ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে নিন। নামাজ পড়লে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায়, তাই ফজরের নামাজ আদায় করুন। নামাজ শেষে কিছুক্ষণ প্রাকৃতিক বাতাসে হাঁটা বা মেডিটেশন করলে মন ভালো থাকবে।
সকালের খাবার অবশ্যই পুষ্টিকর হওয়া দরকার। তাই প্রোটিন ও ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খান, যা সারাদিনের শক্তি যোগাবে। পাশাপাশি, দিনের পরিকল্পনা ঠিক করে নিন, যাতে সময় নষ্ট না হয় এবং কাজের গতি বাড়ে।
এই ছোট ছোট অভ্যাসগুলো মানলে দিনটি ভালোভাবে শুরু হবে এবং মন-মেজাজও থাকবে ফুরফুরে।
- 87 views
- 1 answers
- 0 votes
আজকাল ফেসবুক, টুইটার, ইন্সটাগ্রামের যুগে প্রচুর কি-বোর্ড যোদ্ধা দেখা যায়। তারা তক্কে তক্কে থাকে কখন এমন কোন পোস্ট পাবে যেটাতে গিয়ে তারা পোস্ট প্রদানকারীকে গালাগাল করতে পারবে। আমি নিজেই এমন একটি ঘটনার স্বীকার হয়েছি কিছুদিন আগে। বিশেষত ধর্ম নিয়ে কিছু লিখলে তো ধরে নিন যাই লিখবেন, একদল মানুষ সেটার মূল অর্থ না বুঝে এসে বিনাকারণে গালাগালি করবেই। এখন তাই বলে কি এদের সাথে ফেসবুকে যুদ্ধ করতে বসবেন বিশাল বিশাল রচনা লিখে কমেন্টে?
আমাদের খুব বড় একটা সমস্যা হচ্ছে আমরা পরমত কে সম্মান করতে জানি না। আপনার সাথে আমার মতের অমিল হতেই পারে এবং এত এত মানুষের দুনিয়ায় সেটা না হওয়াই বরং অস্বাভাবিক। তাই বলে কি আমি আপনার কল্লা দাবি করবো? অথবা কমেন্টে গিয়ে আপনার পরিবার তুলে গালাগাল করবো? না! আমি পাশ কেটে যাবো অথবা ভদ্র ভাষায় নিজের মতামতের ভিন্নতা তুলে ধরবো। একজন শিক্ষিত এবং অশিক্ষিতের মধ্যে এই হচ্ছে ফারাক।
দুঃখের বিষয় আমাদের আশেপাশে এই অশিক্ষিত অভদ্র মানুষের সংখ্যা প্রচুর, যারা কি-বোর্ডে আকাশকুসুম যুক্তি দিতে ওস্তাদ, গালাগালি করতে ওস্তাদ কিন্তু সামনে এসে একটা শব্দ উচ্চারণ করার মুরোদ নেই এদের। উলটো দেখা যাবে আপনাকে সালাম দিচ্ছে ভক্তিভরে। ইন্টারনেট-সোশাল মিডিয়ার সহজলভ্যতার কারণে এইসব বিষযুক্ত মানুষ যাদের কথা বলার যোগ্যতা নাই তারাও এখন একটা কন্ঠ পেয়েছে আর বিষ ঢালছে।
এদের শায়েস্তা করার উপায় হচ্ছে একদম অগ্রাহ্য করা এদের উপস্থিতি। গালাগালি করছে? গলা ফাটাচ্ছে? করতে দিন। যদি এদের সাথে তর্কে জড়ান আপনাকে নিজের পর্যায়ে নামায়ে এরপর এরা তর্ক করবে। এরথেকে নিজেদের বোকার স্বর্গে বসবাস করুক নিজের মতন।
পাঁঠার সাথে তর্কে জড়ালে উত্তর তো ব্যা ব্যা বাদে অন্যকিছু আসবে না, নাকি?
- 97 views
- 1 answers
- 0 votes
- সময় থাকতে আশপাশের মানুষের মূল্য বোঝে দূরত্ব বাড়ার আগেই তাদেরকে সময় দেয়া।
- সবসময় সবকিছুর সাথে নিজেকে তুলনা না দেয়া।
- অন্যের কারণে নিজের মানসিক শান্তি নষ্ট না করা।
- প্রতিদিন কিছুটা হলেও নিজেকে সময় দেয়া।
- খারাপ সময়ে নিজেকে দোষারোপ না করে নিজের জন্য নিজেকে সাহস জোগানো।
- উপকারী ব্যক্তির প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।
- ভুল মানুষের সাহচর্য এড়িয়ে চলা।
- বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক থাকা।
- নিজের ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক সিদ্ধান্তে অন্য কোন ব্যক্তির উপর নির্ভরশীল না হওয়া বা অন্য কোন ব্যক্তিকে না জড়ানো।
- নিজের ব্যর্থতার দায় অন্য কাউকে না দেয়া।
- নিজের ব্যক্তিগত হতাশা এবং সংকীর্ণতা অন্য মানুষের উপর উগরে না দেয়া।
- অতীত নিয়ে হা-হুতাশ করে বর্তমানকে নষ্ট না করা।
- শত ব্যস্ততায়ও পরিবারকে সময় দেয়া।
- কাউকে “Taken for granted” হিসেবে না নেয়া।
- সর্বদা আপনার খেয়াল রাখা, যত্ন নেয়া মানুষটির প্রতিও খেয়াল রাখা, তার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা।
- অন্যায়ের সাথে আপোষ না করা।
- অন্যের বিপদে এগিয়ে আসা।
- সর্বদা নিজের স্বার্থ নিয়ে না ভাবা।
- সর্বদা লাভ-ক্ষতির হিসেব না করা।
- নেতিবাচক মনোভাব বিশিষ্ট মানুষকে বন্ধু হিসেবে নির্বাচন না করা।
- অভাবী মানুষদের গোপনে সাহায্য করা।
- পরচর্চা এবং পরনিন্দা না করা এবং পরচর্চা ও পরনিন্দাকারীদের যথাসম্ভব এড়িয়ে চলা।
- কারও প্রতি আবেগে অন্ধ হয়ে না যাওয়া।
- নিজের জীবনের নিয়ন্ত্রণ অন্য মানুষের উপর হারিয়ে না ফেলা।
- ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়া।
- সময় থাকতেই সময়ের মূল্য বোঝা।
- অপ্রয়োজনীয় ব্যয় না করা।
- সঠিক সময়ে সঠিকভাবে খাবার গ্রহণের অভ্যাস করা।
- শরীরের যত্ন নেওয়া।
- পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা।
- নিয়মিত শরীর চর্চা করা।
- রাস্তা-ঘাট, যানবাহন ও যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলা।
- রাস্তায় মূত্র ত্যাগ না করা।
- মাদক এবং সকল ধরনের নেশা থেকে নিজেকে বিরত রাখা।
- পরম করুণাময়ের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকা।
- 100 views
- 1 answers
- 0 votes
মন খারাপ থাকলে দ্রুত ভালো হওয়ার কিছু উপায় আছে যা আপনার মানসিক অবস্থা শিথিল করতে এবং ভালো অনুভব করতে সাহায্য করতে পারে।
১. শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম (Breathing Exercises):
গहरी শ্বাস-প্রশ্বাস গ্রহণ করে আপনার মনের চাপ কমানো যেতে পারে।
- ৪-৭-৮ পদ্ধতি: ৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন, ৭ সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখুন, তারপর ৮ সেকেন্ড ধরে ছাড়ুন।
- এটা আপনার শরীরকে শান্ত করবে এবং মন খারাপ কমাতে সহায়তা করবে।
২. শরীরচর্চা বা হালকা ব্যায়াম:
জামা বা সোজা হাঁটা বা ছোট দৌড়ানো আপনার শরীরে এন্ডোরফিন (এটি আমাদের “ফিল-গুড” হরমোন) মুক্তি করে। এটি আপনার মন ভালো করে তুলবে।
৩. পছন্দের মিউজিক শুনুন:
আপনার প্রিয় গানগুলো শুনে মন ভালো হতে পারে। মিউজিক শোনার মাধ্যমে আপনার মুড বদলাতে পারে, বিশেষ করে যদি গানগুলো মজাদার বা শান্তির সুরে হয়।
৪. ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক পরিবেশে সময় কাটান:
প্রাকৃতিক দৃশ্য (যেমন, পার্কে হাঁটাহাঁটি, গাছপালা দেখতে) মনকে শান্ত করে এবং মানসিক চাপ কমায়।
৫. কারও সাথে কথা বলুন:
কখনো কখনো মন খারাপ হলে, কোনো ভালো বন্ধুর সাথে বা পরিবারের সদস্যের সাথে কথা বলা অনেক সহায়ক হতে পারে।
৬. হাসুন:
হাসি আমাদের শরীরকে শিথিল করে এবং মানসিক চাপ কমায়। এমন কোনো কমেডি ভিডিও দেখুন যা আপনাকে হাসাতে পারে।
৭. ধ্যান বা মেডিটেশন:
মেডিটেশন মন শান্ত করার জন্য অত্যন্ত কার্যকর। আপনি কিছু সময় নিজের মধ্যে মনোযোগ দিতে পারেন এবং নিজের অনুভূতিগুলি বুঝতে পারেন।
৮. নতুন কিছু করুন:
কোনো নতুন শখ শুরু করা, যেমন পেইন্টিং, রান্না বা কিছু সৃষ্টি করা মনকে বিভ্রান্ত করতে এবং ভালো অনুভব করতে সাহায্য করতে পারে।
৯. নিজের জন্য কিছু ভালো করবেন:
নিজেকে কোনো কিছু ছোট উপহার দিন। হতে পারে কিছু মিষ্টি খাবার বা আপনি যে কিছু সময় আগে থেকে করতে চেয়েছিলেন কিন্তু সুযোগ পায়নি, সেটা করা।
- 84 views
- 1 answers
- 0 votes
সুখী হওয়ার জন্য সবার নিজের জীবনের অভিজ্ঞতা, দৃষ্টিভঙ্গি, এবং চাহিদা ভিন্ন হতে পারে, তবে কিছু সাধারণ অভ্যাস ও চিন্তা-ধারা রয়েছে যা বেশিরভাগ মানুষের জন্য সহায়ক হতে পারে।
এখানে কিছু উপায় তুলে ধরা হলো, যা আপনি এবং আপনার পরিচিতরা প্রয়োগ করে সুখী হতে পারেন।
১. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা (Gratitude):
- প্রতিদিনের ভালো জিনিসগুলোর জন্য কৃতজ্ঞতা অনুভব করা।
- ছোট বা বড়, সব ধরনের ভালো মুহূর্তে মনোযোগ দিন, যেমন সুস্থতা, বন্ধুবান্ধব, অথবা কিছু সুন্দর মুহূর্ত।
২. সম্পর্কের গুরুত্ব (Healthy Relationships):
- আপনার পরিবার, বন্ধু এবং প্রিয় মানুষদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখুন।
- ভালো মানসিক সম্পর্ক সুখী জীবন গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৩. নিজেকে ভালোবাসা (Self-love):
- নিজেকে গ্রহণ করা, নিজের ভুলগুলো মেনে নেওয়া, এবং নিজের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া।
- শরীর, মন এবং আত্মবিশ্বাসে ভাল লাগা বাড়াতে কাজ করুন।
৪. জীবনের উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য (Purpose or Goals):
- একটি উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য থাকা, যা আপনাকে প্রেরণা দেয়।
- নিজেকে চ্যালেঞ্জ করুন এবং কিছু নতুন অর্জনের চেষ্টা করুন, যা আপনাকে উন্নতি এবং সন্তুষ্টি দেবে।
৫. শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য (Physical and Mental Health):
- নিয়মিত ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন।
- মানসিক স্বাস্থ্য কেয়ার (যেমন, মেডিটেশন বা থেরাপি) খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৬. সময়ের মূল্য দেওয়া (Time Management):
- জীবনের মূল্যবান সময় ভালোভাবে ব্যয় করুন। কাজ, বিশ্রাম এবং আনন্দের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখুন।
- সময়ের মধ্যে ছোট ছোট আনন্দ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করুন।
৭. ইতিবাচক চিন্তা (Positive Thinking):
- আপনার মনোভাব ইতিবাচক রাখুন এবং ছোট ছোট সমস্যা থেকেও কিছু ভালো কিছু খুঁজে বের করুন।
- নিজের সফলতাগুলো এবং শক্তিগুলোর দিকে মনোযোগ দিন।
৮. অন্যকে সাহায্য করা (Helping Others):
- অন্যকে সাহায্য করতে পারলে, তা আপনার নিজস্ব সুখের অনুভূতি বাড়ায়।
- দান বা সেবা করার মাধ্যমে আপনি আত্মতৃপ্তি পেতে পারেন।
৯. আনন্দে সময় কাটানো (Pursuing Joy):
- যেসব কাজ আপনাকে আনন্দ দেয়, যেমন পছন্দের শখ, প্রকৃতি উপভোগ বা হালকা হাস্যরসের ভিডিও দেখা – সেগুলোর জন্য সময় বের করুন।
১০. প্রকৃতির সাথে সময় কাটানো (Time in Nature):
- প্রকৃতির মধ্যে কিছু সময় কাটালে মন শান্ত থাকে, এবং এটি সুখী থাকার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
- 88 views
- 1 answers
- 0 votes
বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত বাস্তব উদ্দেশ্য চাইলে হাতের কাছেই আমাদের জৈবিক উদ্দেশ্য রয়েছে— স্বল্পমেয়াদে নিজের অস্তিত্ব রক্ষা ও দীর্ঘমেয়াদে বংশবৃদ্ধির মাধ্যমে নিজের জিনোমের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা । পৃথিবীতে প্রাণের উন্মেষের সাথে-সাথেই এই উদ্দেশ্যের উদ্ভব হয়েছে । বলতে গেলে “প্রাণ” এবং “নিষ্প্রাণ”এর মধ্যে সাধারণ অর্থে প্রভেদই করা হয় উদ্দেশ্যময়তা ও উদ্দেশ্যহীনতার মাধ্যমে । কেউ চাইলে এই উদ্দেশ্যকে জীবনের অর্থ হিসেবে গ্রহণ করতেই পারেন ।
কিন্তু অভিজ্ঞতায় বলে যে বাস্তবিক এবং প্রতিষ্ঠিত হলেও খুব কম মানুষই এমন উদ্দেশ্যকে যথেষ্ট এবং অর্থপূর্ণ বলে মনে করেন । কিন্তু কেন? এই উদ্দেশ্য তো সমগ্র মানবজাতির জন্য, এমনকি সমস্ত প্রাণী তথা যা কিছু প্রাণ, সবার জন্য । এরকম একটা নৈর্ব্যক্তিক, বিষয়গত (objective) উদ্দেশ্যই কি আমরা কামনা করি না?
নিশ্চই করি না, কারণ করলে তথাকথিত “অপ্রমাণিত কাল্পনিক” উদ্দেশ্যের প্রয়োজন পড়তো না । কিন্তু যদি বিষয়গত উদ্দেশ্যে আমাদের মন না ভরে তবে মানতে হয় যে “উদ্দেশ্য” হিসেবে গ্রাহ্য হতে হলে এমন কিছুর প্রয়োজন যা আমাদের জৈবিক উদ্দেশ্যে অনুপস্থিত । সেই “এমন কিছু” হল বিষয়ীর উপস্থিতি । কারণ যে উদ্দেশ্যে বিষয়ীর (subject) নিজের কোনো অবদান নেই, তা বিষয়ীর কাছে অর্থবহ হবে কী করে? একজন ঝাড়ুদারের সন্তানকে সমাজ বিধান দিতে পারে যে ঝাড়ুদার হওয়াই তাঁর জীবনের উদ্দেশ্য, কিন্তু এই উদ্দেশ্য তাঁর জীবনকে পূর্ণতা দেবে কিনা সেটাও সমাজ ঠিক করতে পারে কি? নাকি সেখানে ব্যক্তিগত উপলব্ধিই প্রধান বলে গণ্য হওয়া উচিত?
অর্থাৎ যাকে আমরা “অপ্রমাণিত কাল্পনিক” উদ্দেশ্য বলছি তা আসলে বিষয়ীগত (subjective) উদ্দেশ্য, যা বিষয়ী দ্বারা নির্ধারিত এবং বিষয়ীর “স্বাক্ষর” বহন করে । তৃতীয় ব্যক্তির দৃষ্টিকোণ থেকে এই উদ্দেশ্য ভিত্তিহীন, কাল্পনিক মনে হতে পারে কিন্তু বিষয়ীর দৃষ্টিকোণ থেকে সেটাই তাঁর জীবনকে পরম অর্থবোধ প্রদান করতে পারে ।
সুতরাং, উদ্দেশ্য কাল্পনিক না বাস্তব তাতে কী আসে যায়? জীবনকে পরিপূর্ণতা দেওয়াই উদ্দেশ্যের একমাত্র উপযোগিতা নয় কি?
- 77 views
- 1 answers
- 0 votes
ফালতু বেশি কিছু বলব না। যদি সত্যি উন্নতির কোন রাস্তা থাকতো তাহলে মানুষ, এত রকম রাস্তা দেখাতো না। কঠিন বাস্তবের সঙ্গে এক হাত লড়ুন। অভাব কষ্ট অপমান থেকে চাহিদা তৈরি করুন, তৈরি করুন কাটায় লংকা বাটার ন্যায় যন্ত্রনার অনুভূতি। একই ভুল বারবার করুন, কারোর উপদেশ নয়, নিজের উপদেশ সৃষ্টি করুন। আসলে যে গাছটা অনেক বন্যার সাক্ষী ছিল, জরাজিন্য বাতাবিহীন আজও মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে। তার বাস্তবের প্রতিকূল অবস্থা সে বলেনি কাউকে । তবুও আমরা লিখে ফেলি ।আপনাকেও লেখা হবে, নিজেকে তৈরি করুন।
- 93 views
- 1 answers
- 0 votes
1। সালাদ
যেকোন সবজির সালাদ তৈরি করে নিন তারপর প্রতিটা খাবারের সাথে সালাত রাখুন । সালাদের সাথে টক দিই মিশিয়ে খেলে শরীরের ওজন দ্রুত কমাতে সহায়তা করে ।
২। গ্রীন টি
গ্রীন টি পান করুন কারন গ্রীন টিতে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট নামক উপাদান যা ওজন কমাতে সহায়তা করে । যাদের ওজন ওবেশি তারা প্রতিদিন ২-৪ কাপ গ্রীন টি পান করুন তাহলে খুব ভালো ফলাফল পেয়ে যাবেন ।
3। খাবার আগে পানি পান করা
ওজন কমানোর জন্য পানি পান করা খুবই উপকারী হিসেবে কাজ করে । কারণ পানি শরীরে বিষাক্ত পদার্থ বের করে আনতে সাহায্য করে । তাই খাবার অগে প্রচুর পানি পান করে নিতে হবে । কারন অতিরিক্ত পানি পান করলে ক্ষিদে কম লাগে বেশি পরিমানে খাওয়া হয়না ।
- 104 views
- 1 answers
- 0 votes
অনেকেই দিয়ে দিয়েছেন উত্তরটা। আমার কাছে যে কয়টি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ—
- সর্বদা অন্যের সাথে নিজের তুলনা না দেয়া: পৃথিবীতে অধিকাংশ মনোকষ্ট, হিংসা, লোভের জন্ম অন্যের সাথে নিজের তুলনা দিতে গিয়ে! নিজের সাথে নিজেকে তুলনা দিবেন, অনেক ভালো থাকবেন।
- অতীতের ব্যর্থতা আর কষ্টকে মাটিচাপা দেয়া: অতীতে পাওয়া কষ্ট এবং হতাশাকে পুষে রাখলে, তা আপনাকে যুগ যুগ ধরে পিছনে টেনে ধরবে! আপনি হাজার চাইলেও সামনে এগুতে পারবেন না! কাজেই ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যান।
- অল্পতেই তুষ্ট থাকার অভ্যেস করা: সারাক্ষণ “আমার এই নেই, সেই নেই” নিয়ে পড়ে না থেকে, নিজের যা আছে তার সদ্ব্যবহার করা এবং সন্তুষ্ট থাকুন।
- অন্যের সাফল্যে খুশি হওয়া: অন্যের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত না হয়ে, তাকে অভিবাদন করতে শিখুন, তাতে সন্তুষ্ট থাকুন! আপনার নির্দিষ্ট সময় আসলে, আপনিও সফল হবেন।
- বিভিন্ন মতাদর্শের মানুষকে গ্রহণ করতে শিখা: ভিন্ন মতের মানুষদের গ্রহণ করতে শিখুন! সবাই একই দৃষ্টিতে সবকিছুকে দেখবে, এটা আশা করাটা বোকামি! পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেও ভিন্ন মত পোষণ করা যায়। কারও সাথে মতের অমিল হলেই তাকে ঘৃণা করতে হবে এমনটা নয়!
মোট কথা নিজেকে এবং অপরকে ভালো রাখতে এবং ভালোবাসতে শিখুন, সকল নেতিবাচক মানসিকতাকে পরিহার করে চলুন! খুব ছোট ছোট এসব অভ্যেসই আপনার জীবনে আমূল পরিবর্তন এনে দিবে!
- 93 views
- 1 answers
- 0 votes