10773
Points
Questions
23
Answers
5384
জ্ঞান হলো এমন একটি অবস্থা বা গুণ যেখানে একজন ব্যক্তি তথ্য, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা এবং বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে একটি বিষয় বা পরিস্থিতি সম্পর্কে সঠিক ধারণা লাভ করে। এটি মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা, পর্যবেক্ষণ, চিন্তা এবং বিশ্লেষণ ক্ষমতার সাথে সম্পর্কিত।
জ্ঞান অর্জন কেন করতে হবে:
- নিজের উন্নতি: জ্ঞান অর্জন করলে ব্যক্তি নিজে উন্নতি করতে পারে। নতুন বিষয় শিখে এবং দক্ষতা অর্জন করে সে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং পেশাগত জীবনকে আরও শক্তিশালী করতে পারে।
- সামাজিক অবদান: জ্ঞান অর্জন সমাজের উন্নতিতে সহায়ক হতে পারে। একজন সুশিক্ষিত ব্যক্তি সমাজে ভালো কাজ করতে পারেন, সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করতে পারেন এবং আরও অনেক কিছু করতে পারেন।
- ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা: জ্ঞান অর্জন ভবিষ্যৎ সফলতা নিশ্চিত করতে সাহায্য করে। শিক্ষিত ও জ্ঞানী ব্যক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রের সমস্যার সমাধান করতে সক্ষম হন এবং একটি সুদৃঢ় কর্মজীবন গঠন করতে পারেন।
- বিশ্বমানের যোগ্যতা: বিশ্বমানের যোগ্যতা অর্জনের জন্য জ্ঞান অর্জন অপরিহার্য। পৃথিবীকে আরও ভালভাবে বুঝতে এবং তার সঙ্গে মানিয়ে চলতে জ্ঞান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- আত্মবিশ্বাস: যখন আমরা নতুন কিছু শিখি, তখন আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে। জ্ঞান অর্জন আমাদের সামনে নতুন সুযোগের দরজা খুলে দেয় এবং আমাদের শক্তি বৃদ্ধি পায়।
এভাবে, জ্ঞান অর্জন একটি ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ এবং দেশকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হতে পারে।
- 84 views
- 1 answers
- 0 votes
আমি খুব যে সুখী, এমন দাবি করবো না। কিন্তু বেশকিছু কাজ নিজের জন্য করে থাকি যার কারণে মনে হয় আমি যারা সুখী তাদের মত কাজ করছি।
- প্রতিদিন সময় করে বই পড়ি। বই পড়া আমার জানার দুনিয়াকে যেমন বাড়িয়ে দেয়, তেমনি আমাকে বাস্তবের দুনিয়ার অনেক নেতিবাচক পরিস্থিতির হাত থেকে রক্ষা করে।
- সবকিছুর শেষে যে হ্যাপিনেস বা সুখ দরকার এমনটা মনে করি না। আমি আমার কাছে যেটা মনে হয়, সব খেলার শেষে কেউ জেতে বা কেউ জেতে না। কেউ আসলে হারে না। সবকিছুর শেষে তাই যে হাপিনেস লাগবেই এমনটা মনে না করাই ভালো। জীবনে চলার পথে সবকিছুর সমাপ্তি আসে না বা হয় না।
- আমি সময়কে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করি। একটা সময় ছিল যখন সময় আমাকে নিয়ন্ত্রণ করতো। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আগে সকাল ৯ টায় মিটিং মানে হচ্ছে আমাকে তাড়াহুড়ো করে সকাল ৮.৩০ টায় বের হতে হতো। আর আমি এখন সকাল ৭টায় বের হই, মিটিংয়ের ৪০ মিনিট আগে গিয়ে বসে থাকি। বই পড়ি, প্ল্যান করি, চা পান করি।এখন মিটিং সকাল আটটায় থাকুক, বা সাতটায় থাকুক আমি ঘুম থেকে উঠি ভোর পাঁচটায়। আমি জানি সাড়ে ছয়টায় বা সাতটায় বাসা থেকে বের হলে আমি মিটিংয়ে ২০ মিনিট বা ৪০ মিনিট আগে পৌঁছাতে পারবো।
- নিজেকে প্রতিদিন ভিন্ন ভিন্ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নিয়োজিত করি। যেমন হয়তো একদিন ২৫ মিনিট হাঁটি, তারপরের দিন হয়তো বা ৪০ মিনিট হাঁটি। তারপরের দিন হয়তোবা লিফটের বদলে সিঁড়ি দিয়ে হাঁটি।
- সুখে থাকা কিংবা ভালো থাকার দারুন একটা উপায় হচ্ছে নিজের হ্যাপিনেস আনন্দের কারণ গুলো অন্যের হাতে তুলে না দেয়া। যেমন, প্রেমিকার হাসি দেখে যদি আমার সুখ লাগে-ভালো লাগে তাহলে আমার সমস্যা আছে। প্রেমিকার যদি হাসি না থাকে মুখে তাহলে আমার দুঃখ আছে এটা কি মেনে নেয়া সম্ভব?
- প্রথম ছবিতে অধ্যাপক ড. বি এম মইনুল হোসেন, তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; দ্বিতীয় ছবি আমেরিকার ওয়াশিংটনে আমি ও আমার ফেলো বন্ধুরা।
- 91 views
- 1 answers
- 0 votes
মানুষ স্বভাবগতভাবে আশাবাদী এবং প্রত্যাশা দ্বারা পরিচালিত হয়। প্রত্যেক ব্যক্তি তার জীবনের নির্দিষ্ট কিছু দিক থেকে স্বাভাবিকভাবেই কিছু আশা করে। এই আশা বা প্রত্যাশাগুলো বিভিন্ন মানসিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে তৈরি হয় এবং সময়ের সাথে পরিবর্তিত হতে পারে।
১. মৌলিক চাহিদা পূরণের আশা
প্রত্যেক মানুষ তার জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ হবে বলে আশা করে, যেমন—
- খাদ্য (পর্যাপ্ত ও পুষ্টিকর খাবার)
- বসবাসের জন্য নিরাপদ আশ্রয়
- পর্যাপ্ত ওষুধ ও চিকিৎসা সুবিধা
- পরিধানের জন্য কাপড়
এসব চাহিদা পূরণ না হলে মানুষ দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করতে হয়।
২. নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার আশা
মানুষ সাধারণত নিরাপদ জীবনযাপন করতে চায় এবং আশা করে—
- তার জীবন ও সম্পদ রক্ষা পাবে।
- তার আশেপাশের সমাজে শান্তি বজায় থাকবে।
- সরকার বা সামাজিক ব্যবস্থাপনা তাকে সুরক্ষা দেবে।
- তার কর্মসংস্থান থাকবে, যাতে সে দুশ্চিন্তা ছাড়া জীবনযাপন করতে পারে।
যদি কোনো ব্যক্তি বা সমাজ নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে, তাহলে সে মানসিকভাবে অস্থির হয়ে পড়ে।
৩. ভালোবাসা ও সামাজিক সম্পর্কের আশা
মানুষ সামাজিক জীব, তাই সে ভালোবাসা ও সম্পর্কের আশা করে—
- পরিবার থেকে ভালোবাসা ও যত্ন পাওয়ার আশা।
- বন্ধুবান্ধব ও সমাজের কাছ থেকে গ্রহণযোগ্যতা ও শ্রদ্ধা পাওয়ার আশা।
- একাকিত্ব কাটানোর জন্য একজন জীবনসঙ্গী পাওয়ার আশা।
এটি মানুষের মানসিক ও আবেগিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৪. ব্যক্তিগত ও পেশাগত উন্নতির আশা
মানুষের স্বাভাবিক আশা হলো সে তার জীবনকে উন্নত করতে পারবে, যেমন—
- শিক্ষালাভ করে জ্ঞান অর্জন করা।
- ভালো চাকরি বা ব্যবসা করা।
- দক্ষতা বাড়িয়ে আরও সফল হওয়া।
- আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হওয়া।
এটি মানুষের আত্মসম্মানবোধের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কেউ যদি নিজের উন্নতির সুযোগ না পায়, তাহলে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়তে পারে।
৫. সুখ ও মানসিক প্রশান্তির আশা
প্রত্যেক মানুষ সুখী জীবনযাপনের আশা করে, যেমন—
- দুশ্চিন্তামুক্ত জীবন।
- পারিবারিক ও সামাজিক শান্তি।
- শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা।
- ভালো মুহূর্ত উপভোগ করা (যেমন—ভ্রমণ, বিনোদন, শখ পূরণ ইত্যাদি)।
সুখ মানুষের জীবনের মূল লক্ষ্যগুলোর একটি, তবে সুখের সংজ্ঞা ব্যক্তি ভেদে আলাদা হতে পারে।
৬. অন্যদের কাছ থেকে ন্যায্যতা ও নৈতিকতার আশা
মানুষ আশা করে যে—
- তার সাথে কেউ অন্যায় করবে না।
- সমাজে সুবিচার ও আইনশৃঙ্খলা বজায় থাকবে।
- অন্যরা তার প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে ও তার অধিকার রক্ষা করবে।
যদি কেউ ন্যায্যতা না পায়, তাহলে সে হতাশ বা বিদ্রোহী হয়ে উঠতে পারে।
৭. আধ্যাত্মিকতা ও জীবনের অর্থ খোঁজার আশা
বিভিন্ন মানুষ জীবনের অর্থ ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে চায় এবং আশা করে—
- সে ঈশ্বর বা পরলোক সম্পর্কে জানতে পারবে।
- তার জীবন নৈতিক ও সৎভাবে কাটবে।
- মৃত্যুর পর তার জন্য ভালো কিছু অপেক্ষা করছে।
আধ্যাত্মিকতা অনেক মানুষের জন্য মানসিক শান্তির একটি বড় উৎস।
উপসংহার
মানুষের জীবনে স্বাভাবিকভাবে কিছু আশা থাকা খুবই স্বাভাবিক এবং এসব আশা তার ব্যক্তিগত, সামাজিক ও মানসিক উন্নতির জন্য জরুরি। তবে প্রত্যাশা বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হলে হতাশা তৈরি হতে পারে। তাই একজন সচেতন ব্যক্তি তার আশা ও বাস্তবতার মধ্যে ভারসাম্য রাখতে চেষ্টা করে।
- 95 views
- 1 answers
- 0 votes
মন খারাপ হলে সহানুভূতিপূর্ণ উপায় হলো:
শ্বাস নিন – ধীরে ধীরে, নিজেকে শান্ত করুন। প্রিয় গান শুনুন – প্রিয় গান শোনা মন ভালো করতে পারে৷্ প্রিয় মানুষের সঙ্গে কথা বলুন – কাছের মানুষের সঙ্গে অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন। বাইরে হাঁটুন – প্রকৃতির সঙ্গে সময় পালন করায় ।্ প্রিয় কাজ করুন – জনিয়ে হতুড়ি খেলা বা পার্টি করুন, imagined your favorites। আৎম-উপলব্ধি করুন- নেতিবাচক ভাবনা দিয়ে চিংতা আবার ইতিবাচক ভাবো নিহিত ডাকুন।
- 80 views
- 1 answers
- 0 votes
মন ভালো রাখার জন্য কিছু সহজ কিন্তু কার্যকর উপায় রয়েছে, যা আপনার মানসিক সুস্থতা এবং শান্তি বজায় রাখতে সাহায্য করবে। এখানে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:
১. নিয়মিত ব্যায়াম:
ব্যায়াম মস্তিষ্কে ভালো অনুভূতি তৈরি করে এবং স্ট্রেস কমায়। হাঁটা, দৌড়ানো, যোগব্যায়াম বা অন্য কোনো শারীরিক কার্যক্রম মনকে প্রফুল্ল করতে সহায়তা করে।
২. ধ্যান ও মেডিটেশন:
নিয়মিত ধ্যান ও মেডিটেশন মানসিক শান্তি এবং ফোকাস উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি স্ট্রেস কমায় এবং মনকে স্থির রাখে।
৩. ইবাদত ও দোয়া:
ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে, আল্লাহর সাথে সংযোগ স্থাপন এবং দোয়া করা মনকে প্রশান্তি দেয়। নিয়মিত নামাজ এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করার মাধ্যমে আপনি শান্তি এবং নিরাপত্তা অনুভব করবেন।
৪. আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি:
নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস রাখতে শিখুন। নিজের সাফল্য ও শক্তি মনে রেখে হতাশা থেকে বেরিয়ে আসুন। নিজের ইতিবাচক গুণাবলী চিন্তা করুন এবং মনোযোগ দিন।
৫. সামাজিক সম্পর্ক তৈরি করুন:
পরিবার ও বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো মন ভালো রাখার জন্য সহায়ক। ভালো সম্পর্ক মনের শান্তি ও আনন্দ বাড়ায়। একে অপরের প্রতি সহানুভূতি এবং ভালোবাসা বজায় রাখা জরুরি।
৬. নতুন কিছু শিখুন:
কোনো নতুন শখ বা দক্ষতা শিখতে চেষ্টা করুন। এটি মনকে ব্যস্ত রাখে এবং নতুন কিছু শিখলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
৭. ধীর এবং গভীর শ্বাস নিন:
গভীর শ্বাস নেওয়া মনকে শান্ত রাখতে সহায়তা করে। এটি স্ট্রেস কমায় এবং শরীরকে শিথিল করে।
৮. পর্যাপ্ত ঘুম:
ভালো ঘুমের অভাব মানসিক অবসাদ এবং হতাশা সৃষ্টি করতে পারে। তাই, পর্যাপ্ত ঘুম নিন যাতে শরীর ও মন ভালো থাকে।
৯. বিরতি নিন:
কাজের মধ্যে বিরতি নিন এবং কিছু সময় নিজেকে দিন। সৃষ্টিকর্ম বা প্রকৃতি দেখতে বেরিয়ে গিয়ে আপনার মনকে প্রশান্তি দিন।
১০. শুভ চিন্তা করুন:
নেতিবাচক চিন্তা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখুন এবং সবকিছুতে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি রাখুন। ধীরে ধীরে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার মন অনেক বেশি শান্ত এবং সুখী হয়েছে।
১১. মজার কাজ করুন:
হাস্যকর ভিডিও দেখা, প্রিয় গান শোনা, সিনেমা দেখা বা কোনো মজার কাজ করার মাধ্যমে মন ভালো রাখতে পারেন। আনন্দ এবং হাসি মানসিক চাপ কমায়।
১২. তাদের সাহায্য করুন:
অন্যদের সাহায্য করলে মন ভালো থাকে। ভালো কাজ এবং মানুষের সাহায্য করায় অন্তর থেকে শান্তি পাওয়া যায়।
এই অভ্যাসগুলো নিয়মিতভাবে অনুসরণ করলে আপনি সহজেই মনকে ভালো রাখতে পারবেন। মন শান্ত, স্থির এবং সুস্থ রাখতে এটি খুবই কার্যকর।
- 90 views
- 1 answers
- 0 votes
মন খারাপ থাকা একটি স্বাভাবিক অনুভূতি, এবং এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে, যেমন ব্যক্তিগত সমস্যা, চাপ, হতাশা বা শারীরিক ক্লান্তি। মন ভালো করার জন্য কিছু কার্যকরী উপায় রয়েছে যা আপনাকে দ্রুত মানসিকভাবে শান্তি এবং সুখ অনুভব করতে সাহায্য করতে পারে। নিচে কিছু সহজ এবং কার্যকরী টিপস দেওয়া হলো:
—
### 1. **গভীর শ্বাস নিন এবং শান্ত থাকুন**
– গভীর শ্বাস নেওয়া (Deep Breathing) বা মেডিটেশন করুন। এটি আপনার মস্তিষ্ককে শান্ত করতে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।
– শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম: ৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন, ৪ সেকেন্ড ধরে রাখুন, এবং ৪ সেকেন্ডে শ্বাস ছাড়ুন। এটি কয়েকবার করুন।
### 2. **প্রিয় সঙ্গী বা বন্ধুর সাথে কথা বলুন**
– কাছের কারো সাথে আপনার অনুভূতি শেয়ার করুন। কথা বললে মন হালকা হয় এবং সমস্যার সমাধানও খুঁজে পাওয়া সহজ হয়।
– যদি কাউকে বলতে না চান, তাহলে ডায়েরি বা নোটবুকে আপনার অনুভূতি লিখে ফেলুন।
### 3. **প্রিয় গান শুনুন বা গান গান**
– সঙ্গীত মন ভালো করার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। আপনার প্রিয় গান শুনুন বা গান গাইতে শুরু করুন। এটি আপনার মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন (সুখ Hormone) নিঃসরণ করতে সাহায্য করে।
### 4. **হালকা ব্যায়াম বা হাঁটুন**
– ব্যায়াম বা হাঁটা শরীরে এন্ডোরফিন নিঃসরণ করে, যা মন ভালো করতে সাহায্য করে। এমনকি ১০-১৫ মিনিটের হাঁটাও আপনার মেজাজ পরিবর্তন করতে পারে।
– যোগব্যায়াম বা স্ট্রেচিংও খুব কার্যকর।
### 5. **প্রিয় কাজ করুন**
– আপনার পছন্দের কোনো কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন, যেমন বই পড়া, ছবি আঁকা, রান্না করা, গেম খেলা বা গার্ডেনিং করা।
– নতুন কিছু শেখা বা ক্রিয়েটিভ কাজে মনোনিবেশ করুন।
### 6. **প্রকৃতির সাথে সময় কাটান**
– প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটানো (যেমন পার্কে হাঁটা, গাছপালা দেখতে যাওয়া) মনকে শান্ত করে এবং মানসিক চাপ কমায়।
– সূর্যের আলো এবং তাজা বাতাস আপনার মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করে।
### 7. **হাসুন এবং ইতিবাচক চিন্তা করুন**
– হাসি আপনার মন ভালো করার সবচেয়ে সহজ উপায়। কোনো মজার ভিডিও দেখুন বা কৌতুক পড়ুন।
– নেতিবাচক চিন্তা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন এবং ইতিবাচক দিকগুলো নিয়ে ভাবুন।
### 8. **পর্যাপ্ত ঘুমান**
– ঘুমের অভাব মন খারাপের একটি বড় কারণ। পর্যাপ্ত ঘুম আপনার মস্তিষ্ককে রিচার্জ করে এবং মানসিক স্বাস্থ্য উন্নত করে।
– যদি রাতে ঘুম না আসে, তাহলে হালকা গান শুনে বা বই পড়ে ঘুমানোর চেষ্টা করুন।
### 9. **স্বাস্থ্যকর খাবার খান**
– স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর খাবার আপনার মেজাজ উন্নত করতে সাহায্য করে। ডার্ক চকলেট, ফল, বাদাম এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার (যেমন মাছ) মন ভালো করতে সাহায্য করে।
– ক্যাফেইন এবং চিনি কম খান, কারণ এগুলো মেজাজের ওঠানামা করতে পারে।
### 10. **অন্যের সাহায্য নিন**
– যদি মন খারাপের অনুভূতি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়, তাহলে একজন কাউন্সেলর বা সাইকোলজিস্টের সাহায্য নিন। তারা আপনাকে পেশাদার পরামর্শ দিতে পারবেন।
—
### মনে রাখবেন:
মন খারাপ হওয়া কোনো দুর্বলতার লক্ষণ নয়। এটি জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ। নিজের যত্ন নেওয়া এবং ইতিবাচক উপায়ে সমস্যা মোকাবিলা করাই হল আসল সাহস। নিজেকে সময় দিন এবং ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠুন।
- 98 views
- 1 answers
- 0 votes
সকালবেলার রুটিন আপনার দিনটি সুগম এবং কার্যকরীভাবে শুরু করতে সাহায্য করতে পারে। একটি কার্যকর এবং স্বাস্থ্যকর সকালবেলার রুটিনের জন্য নিচে কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো:
১. সকাল ৫:৩০ বা ৬:০০ – উঠুন
- খুব ভোরে উঠলে আপনার দেহ ও মন উজ্জীবিত থাকে। চেষ্টা করুন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর জন্য।
২. ৫-১০ মিনিট ধ্যান বা প্রার্থনা
- আপনার মানসিক শান্তি এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করতে এটি সহায়ক হতে পারে। প্রার্থনা, ধ্যান বা গহীন চিন্তা করার সময় দিন।
৩. হালকা এক্সারসাইজ বা স্ট্রেচিং (১০-১৫ মিনিট)
- সকালে হালকা ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং করলে আপনার শরীর চাঙ্গা হয় এবং দিনের জন্য শক্তি প্রস্তুত হয়। যেমন: যোগব্যায়াম, স্নান বা হাঁটা।
৪. পানি খাওয়ার অভ্যাস
- ঘুম থেকে উঠে এক গ্লাস পানি পান করুন। এটি শরীরের ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়া শুরু করে এবং আপনি দিনের জন্য চাঙ্গা অনুভব করবেন।
৫. সুস্থ প্রাতঃরাশ
- একটি পুষ্টিকর প্রাতঃরাশ খাওয়ার চেষ্টা করুন, যেমন: ডিম, ওটমিল, ফল, শুকনো ফল, এবং গ্রিন টি।
৬. দ্বিতীয় ধাপে কাজের পরিকল্পনা
- দিনের কাজের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরি করুন। যা আপনাকে কর্মক্ষেত্রে ফোকাস করতে সাহায্য করবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজটি আগে করুন।
৭. নিজের জন্য কিছু সময়
- সকালের সময়টি নিজের জন্য রাখুন। বই পড়া, সৃজনশীল কিছু করা বা নিজের প্রতি কিছু সদয় মনোভাব পোষণ করা।
৮. পরিষ্কার এবং সাজগোজ
- নিজের ত্বক পরিষ্কার করুন, হালকা সাজগোজ করুন এবং দিনের জন্য প্রস্তুত হোন।
- 81 views
- 1 answers
- 0 votes
আমাদের জীবনের আসল লক্ষ্য নির্ভর করে ব্যক্তিগত মূল্যবোধ, আগ্রহ, এবং জীবন দর্শনের ওপর। তবে সাধারণভাবে, জীবনের লক্ষ্য হতে পারে—
- আত্ম-উন্নয়ন – জ্ঞান অর্জন, দক্ষতা বৃদ্ধি, এবং নিজেকে ক্রমাগত উন্নত করা।
- মানুষের কল্যাণ করা – পরিবার, সমাজ ও বিশ্বের জন্য কিছু ভালো করা।
- সুখ এবং মানসিক শান্তি খোঁজা – এমন জীবনযাপন করা, যা আনন্দ ও সন্তুষ্টি দেয়।
- নৈতিকতা ও সততার সঙ্গে জীবনযাপন – সৎভাবে জীবন কাটানো এবং অন্যদের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া।
- নিজের স্বপ্ন পূরণ – যা ভালোবাসি, সেটার পেছনে ছোটা এবং লক্ষ্য পূরণ করা।
- 84 views
- 1 answers
- 0 votes
নিজের চিন্তাভাবনার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে আমাদের Five C এর সূত্র অনুসরণ করতে হবে।
ক্যাচ (Catch): কোনো চিন্তার ফাঁদে পড়েছি কিনা যাচাই করা। চিন্তাটাকে সুনির্দিষ্টভাবে সনাক্ত করা।
কন্ট্রোল (Control): চিন্তাগুলোকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা।
চ্যালেঞ্জ (Challenge): চিন্তাগুলোকে পরিবর্তনের লক্ষ্যে সেগুলোকে চ্যালেঞ্জ করা।
চেইঞ্জ (Change): ধীরে ধীরে চিন্তাগুলোকে পরিবর্তন করা।
চেরিস (Cherish): সবশেষে নিজের এই ইতিবাচক পরিবর্তনটি ধরে রাখার মাধ্যমেই এই পরিশ্রম পূর্ণতা পাবে।
নিজের মধ্যকার চিন্তার ফাঁদ থেকে বের হয়ে আসার জন্য Five C সূত্রটি আপনাকে সাহায্য করবে।
হ্যাপি রিডিং
- 116 views
- 1 answers
- 0 votes
|| কথাগুলো ভালো লাগলো তাই শেয়ার দিলাম, একটু সময় নিয়ে পড়বেন আশা করি। উপকৃত হবেন
।। মৃত্যু কোনো যুক্তি মানে না ||
গত ২৯ অক্টোবর, ২০২১ ব্যাঙ্গালোরের জনপ্রিয় অভিনেতা, সঙ্গীত শিল্পী এবং টেলিভিশন প্রেজেন্টার পুনীথ রাজকুমার মাত্র ৪৬ বছর বয়সে মারা যাবার পর প্রখ্যাত কার্ডিওলজিস্ট ডা. দেবী শেঠি ( Dr. Devi Shetty) একটি সবিস্তার বিবৃতি দিয়েছিলেন। পছন্দ হয়েছে খুব – তাই তাঁর বিবৃতির একটি বাংলা ভাবানুবাদ দেখে তা প্রকাশ করার চেষ্টা করছি।
ডঃ দেবী শেঠী লিখেছেন: গত কয়েক বছরে আমার ৮/৯ জন প্রিয় পরিচিত জন এবং কিছু সেলিব্রেটিকে চিরতরে হারিয়েছি। তারা চল্লিশের ঘরে ছিলেন এবং ‘শারীরিকভাবে ফিট’ থাকার অতিরিক্ত চেষ্টার কারণে তারা মারা গেছেন।
দুর্ভাগ্য হলো – তারা শুধু দেখতেই ছিলেন সুঠাম, সিক্স প্যাক বা এরকম। পুনীথও সে তালিকায় যুক্ত হলেন।
জীবনে যা কিছু হোক-সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো মধ্যপন্হা।
“জিরো ফিগার’ বা একশোর বাড়াবাড়ি কোনোটাই ঠিক না।
প্রতিদিন মাঝারি পরিমান ব্যায়াম দরকার-২০ মিনিট মত। সবকিছুই খেতে হবে, কোনো বিষাক্ততা অপসারণের দরকার নেই (no detoxification), কোনো কিটো মটো ডায়েট দরকার নেই, আপনার পূর্বসূরীরা যা খেতেন, সব খান, আপনার শহরে পাওয়া যায় এমন সব স্থানীয় এবং মৌসুমি খাবার – তবে অল্প পরিমানে। বিদেশি কিউই ফল, ক্যাল বা জলপাই তেলের দরকার নেই। ৭ ঘন্টার নিবিড় ঘুম চাই, শরীরের চাহিদা পূরণ প্রয়োজন তবে সেটা স্টেরয়েড বা ক্ষমতাবর্ধক ড্রাগের মাধ্যমে হওয়া চলবে না।
বেড়ে ওঠার সময় যা খেয়েছেন, সবই খান, তবে অল্প পরিমাণে; বিশ / তিরিশ মিনিট হালকা ব্যায়াম করুন আর একটু হাঁটুন নিয়মমত আর সাপ্লিমেন্ট খাওয়া বাদ দিন।
আপনারা কি বুঝতে পারছেন আমার বার্তা? কিছুই না, শুধু মধ্যপন্হা।
দিনে কিছু সময়ের নীরব ধ্যান যোগ করুন রুটিনে।
একটা খুব জরুরি বিষয় হলো – শরীরের ভাষা শোনা, বোঝা এবং শরীরকে গুরুত্ব দেয়া দরকার। বুঝতে হবে, নিজের শরীর, নিজের দায়িত্ব।
৪০ এর পর বেশ কিছু শরীরবৃত্তীয় পরিবর্তন শুরু হয়, ৫০ এর পর আরো বেশি, ৬০ এর পর শরীর শিথিল হতে থাকে, ৭০ এর পর বন্ধ হতে থাকে, ৮০ এর পর প্রতিটি বছর হলো বোনাস। তাই ৬০ মানে নতুন করে ৪০ বা বয়স হলো শুধুই একটি সংখ্যা – এসব কথা বলা বন্ধ করুন। এগুলো ঠিক কথা নয়। ৪০ বা ৫০ পরবর্তী সময়ে আপনার স্বাস্থ্য অটুট থাকলে কৃতজ্ঞতা অনুভব করুন, কিন্ত কাজের গতি একটু কমান যাতে হৃৎপিন্ডের গতি বহাল থাকে।
দয়া করে বোঝার চেষ্টা করুন – অবসরের সময় নির্ধারণের যৌক্তিক কারণ আছে। একসময় আপনার শরীর আর মন যে চাপ বইতে পারতো এখন আর ততটা পারবে না। বাহ্যত চমৎকার আছেন, ধন্যবাদ আপনার ‘জিন’ কে (genes), কিন্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গের (organs) অভ্যন্তরীণ ক্ষয় তো হচ্ছেই।
সুখী সুন্দর হোন, বাহ্যিক ভাবে নয়, অন্তর্গত ভাবেও।
|| ফুটনোট ১ ||
সারকথা হলো ৬টি নির্দেশনা:
▪️২০ মিনিট হালকা ব্যায়াম
▪️নিয়মিত নিয়ম মত হাঁটা
▪️সাত ঘন্টা নিবিড় ঘুম
▪️কিছু সময় একাকী ধ্যান
▪️সব খাবারই খাওয়া – কম পরিমানে
▪️শরীরের কথা শোনা ও সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া।
|| ফুটনোট ২ ||
কোনো তত্ত্বই সর্বজনীন না, যাঁরা একমত নন, সেটা তাঁদের অধিকার – সম্মান করি তাঁদের মতকে।
Be happy internally and not externally.
______________
মূল রচনাঃ Prof. Dr. Devi Shethy
- 97 views
- 1 answers
- 0 votes