10773
Points
Questions
23
Answers
5384
একদিন এ কারো প্রতি ভালোবাসা, ভালোলাগা, অনুভূতি বা স্মৃতি কিছুই সৃষ্টি হয় না। সেই হিসেবে যতদিন এ স্মৃতি তৈরি করেছেন এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দিন বা সময় লাগবে সব ভুলতে (যদিও পারে না) এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে। আর পুরোপুরি ভুলা যায় না। কারণ আমাদের ব্রেইনের নিউরনে তা সেভ হয়ে গেছে।
এখন তাহলে একটা মুছতে আরেক টা লাগবে? কখনো না! একজন এর স্মৃতি মুছতে আপনার দীর্ঘদিন সময় লাগবে যদি তার প্রতি আপনার অগাধ বিশ্বাস, ভরসা, এবং আকর্ষণ হয়ে থাকে।
আর এসব দূর করতে একা থাকা যাবে না। সবসময় কোনো কাজে, কিছু করতে, দেখতে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। বই, শখের কাজ বা ক্রাফটস এর কোনো কিছু করতে পারেন। কম্পিউটার, ইডিট, ক্রিয়েট,অনলাইনে কিছু করতে পারেন। লেখালেখি, ফটোইডিট, ব্লগ ইত্যাদি লিখতে পারেন। ডিজিটাল স্কিল এর দিকে মনোযোগ দিতে পারেন।
আসলে আপনার মনকে যদি আপনি এই টপিকস থেকে দূরে রাখতে পারেন তবে আপনি অতিদ্রুত স্বাভাবিক হতে পারবেন। আপনার সাব-কনশাস মাইন্ড দিয়ে , “””আমি ভালো আছি, ভালো থাকব,কেউ আমাকে কাঁদাতে পারবে না “””৷ এরকম চিন্তা বারবার করুন।
মানুষ দুনিয়ায় একা এসেছে। যা পাই আমরা তা প্রকৃতি দেয়।আবার প্রকৃতি কেড়ে নেয়। তাই এত স্বল্প সময় এ নিজেকে ভালোবাসুন আর নিজেকে প্রমাণ করতে চেষ্টা করুন , আমি শক্তিশালী, আমি সুখী,আমার সব আছে।
- 59 views
- 1 answers
- 0 votes
কঠোর পরিশ্রম সৌভাগ্যের প্রসূতি। সৌভাগ্য নিয়েই পৃথিবীতে কোনো মানুষের জন্ম হয় না। কর্মের মাধ্যমে তার ভাগ্য গড়ে নিতে হয়। পরিশ্রমই সৌভাগ্য বয়ে আনে। উদ্যম, চেষ্টা ও শ্রমের সমষ্টিই সৌভাগ্যের চাবিকাঠি। বারে বারে ব্যার্থতার পর ও লেগে থাকার মানসিকতা নিয়ে মেধা ও শ্রমের সমন্বয় ঘটালে সফলতা আসবেই। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে কঠিন কাজও সহজ হয়।
জীবনে উন্নতি করতে হলে পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। পরিশ্রম ছাড়া কেউ কখনো তার ভাগ্যকে গড়ে তুলতে পারেনি। যে জাতি যত বেশি পরিশ্রমী, সে জাতি তত বেশি উন্নত। যে কাজ একবার শুরু করছেন, তা নিয়ে দ্বিধান্বিত হবেন না।
সফল হওয়ার অদম্য ইচ্ছা আর পরিশ্রম দিয়ে সেই কাজ করে যান। আমার অভিজ্ঞতায় বলতে পারি, শিক্ষালয়, কর্মস্থল, পেশাজীবন ও খেলাধুলাসহ জীবনের সর্বত্রই অনেক প্রতিভাবান লোকের দেখা মেলে। কিন্তু মনে রাখবেন, শুধু প্রতিভা দিয়েই সফলতা অর্জন হয় না। সফলতার জন্য প্রতিভার সাথে প্রয়োজন ধৈর্য, প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি ও পরিশ্রম। একাগ্রচিত্তে পরিশ্রম করে যান সফলতা একদিন আপনার দরজায় কড়া নাড়বে।
যদি আপনি কোনো প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী হন, তাহলে আপনার ন্যায়নিষ্ঠা, একাগ্রতা ও নিপুণতা আপনার দলের অন্যদের উৎসাহ-উদ্দীপনা ও প্রেরণা জোগাবে। বড় কিছু অর্জনের জন্য যতটা সম্ভব কঠোর পরিশ্রম করে যান।
জীবনে সফল হতে যে ৭টি ধাপ মেনে চলবেন
- সবার আগে নিজেকে গুরুত্ব দিন
- সামনে এগিয়ে যাওয়া থামাবেন না
- অন্যরা কী ভাবছে তা ভাবার দরকার নেই
- দৃষ্টিভঙ্গি বদলান
- ইতিবাচক মানুষের চারপাশে থাকুন
- মাথা খাটান
- নিজেকে মাঝে-মধ্যে ছুটি দিন
#শিক্ষামূলক আর্টিকেল এবং নানান টিপস পেতে ভিজিট করুন অনুপ্রেরণার গল্প।
- 75 views
- 1 answers
- 0 votes
একদিন এক কৌতূহলী ছেলে এক জ্ঞানী বৃদ্ধের কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, “জীবনে সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস কী?”
বৃদ্ধ ধীরস্থিরভাবে উত্তর দিলেন, “জীবনে সবচেয়ে মূল্যবান জিনিস হলো সময়।”
ছেলেটি ভ্রু কুঁচকে বলল, “সময়? টাকা, খ্যাতি, কিংবা ক্ষমতা নয়?”
বৃদ্ধ হেসে বললেন, “না, কারণ টাকা তুমি উপার্জন করতে পারো, খ্যাতি অর্জন করতে পারো, ক্ষমতাও পেতে পারো। কিন্তু সময়? একবার চলে গেলে, তা আর ফিরে আসে না।”
ছেলেটি ভাবল, তারপর বলল, “কিন্তু টাকা দিয়ে কি সময় কেনা যায় না?”
বৃদ্ধ আরও হাসলেন। “টাকা দিয়ে তুমি ঘড়ি কিনতে পারো, কিন্তু সময় নয়। এবং যদি সময় কিনতে পারতে, তার কোনো মূল্য থাকত না যদি তুমি এটি সঠিকভাবে ব্যবহার করার বুদ্ধি না রাখতে।”
“তাহলে আমি কীভাবে আমার সময়কে সর্বোচ্চ কাজে লাগাব?” ছেলেটি জিজ্ঞেস করল।
বৃদ্ধ একটু থেমে বললেন, “সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর মূলমন্ত্র হলো এটি এমন কাজে ব্যবহার করা যা তোমার চারপাশের মানুষ এবং পৃথিবীকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। নিজের স্বার্থের বাইরে গিয়ে অন্যকে সাহায্য করো। এমন কিছু শিখো যা তোমাকে আরও সমৃদ্ধ করবে। তোমার আবেগ আর স্বপ্নের পেছনে ছুটো। আর সব সময় মনে রেখো, প্রতিটি মুহূর্তই একটি উপহার। এটিকে অপচয় কোরো না।”
ছেলেটি গভীরভাবে চিন্তা করল। “সময়কে কীভাবে উপহার হিসেবে দেখা যায়?”
বৃদ্ধ বললেন, “প্রতিটি সূর্যোদয় একটি নতুন সুযোগ, প্রতিটি দিন তোমার অমলনামার একেকটি পৃষ্টা। তুমি কীভাবে এটি লিখবে, সেটি তোমার হাতে। তুমি যদি জীবনের ছোট ছোট মুহূর্তগুলো উপভোগ করতে পারো, যদি অন্যদের জন্য কিছু করে যাও, তবে প্রতিটি দিনই তোমার কাছে বিশেষ হয়ে উঠবে।”
সেদিন থেকে ছেলেটি তার সময়কে নতুন দৃষ্টিতে দেখতে শিখল। সে প্রতিটি দিন এমনভাবে কাটাতে লাগল যেন সেটি তার জীবনের সেরা দিন। সে মানুষের পাশে দাঁড়াল, নতুন কিছু শিখল, নিজের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে গেল।
বছর শেষে, বৃদ্ধ তাকে দেখে বললেন, “দেখো, তুমি সময়কে যেভাবে ব্যবহার করেছ, সেটিই তোমার জীবনের গল্পকে বিশেষ করে তুলেছে। এটা চালিয়ে যাও। কারণ জীবন সত্যিই সুন্দর, যদি আমরা সময়কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারি।”
তোমার প্রতিটি মুহূর্তই মূল্যবান। এটি এমন কাজে ব্যয় করো যা তোমার হৃদয় ও আত্মাকে পূর্ণ করে, এবং পৃথিবীকে একটি সুন্দর জায়গায় পরিণত করে। সময়ের সঠিক ব্যবহারই জীবনকে অর্থপূর্ণ করে।
- 83 views
- 1 answers
- 0 votes
এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে খুঁজতে একটি টেড বক্তব্য খুঁজে পাই।
টম চি নামের এক ভদ্রলোকের এভরিথিং ইস কানেক্টেড নামের একটি স্পিচ দেখা মুগ্ধ হতে হবে। প্রায় ১৭ মিনিটের মত দারুন এই বক্তব্যটি প্রায় ২৫ লাখ বার দেখা হয়। ভিডিওটির মূল বিষয় সবকিছুই সংযুক্ত। আসলেই কি তাই? প্রতিদিন আমরা বেঁচে থাকি, এরপরে মৃত্যু আসলে সব শেষ। আসলেই কি? টম চি অন্যভাবে ভাবাচ্ছেন আমাদের।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে টম চি গবেষক হিসেবে পেশাজীবন শুরু করেন। টম জানাচ্ছেন, মহাবিশ্বের প্রতিটি জিনিস পরস্পরের সাথে কানেক্টেড। কয়েক কোটি বছর আগের ছোট ছোট জীবাণু পরিবর্তিত হয়ে এখন যেমন গাছে পরিণত হয়েছে। তেমনি আমাদের প্রতিটি শ্বাসও ভবিষ্যতের জীবনের প্রাণের উৎস হিসেবে কাজ করছে। আমরা সবাই সংযুক্ত।
স্পিচটি থেকে যা জেনেছি:
-রং দিয়ে জীবনের গল্প লিখতে হয়
-আমরা সবাই সংযুক্ত। আমাদের রক্তপরিবহনে আয়রন করার সৃষ্টি হচ্ছে, সেই আয়রন পরিবর্তিত হয়ে কার্বন হয়ে প্রকৃতিতে যাচ্ছে। সেই কার্বন গাছের মাধ্যমে অক্সিজেনে পরিবর্তিত হয়ে আবার আমাদের কাছেই ফিরছে।
-আমাদের প্রতিটি শ্বাস, প্রতিটি হৃদস্পন্দন, প্রতিটি ভাবনার জোর আমরা যেদিন বুঝব সেদিন থেকে আমাদের মধ্যে পরিবর্তন আসবেই।লেখাটির মূলসূত্র এখানে।
- 90 views
- 1 answers
- 0 votes
ধন্যবাদ আপনাকে প্রশ্ন করার জন্য।
এই প্রশ্নের এক কথায় উত্তর হবে—— “মেডিটেশন”।
আগে কখনো ভাবিনি যে আমাকে কখনো এতোটা কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে, যেই পরিস্থিতি টা আস্তে আস্তে কাটিয়ে উঠছি এই মূহুর্তে।
দেখুন, আগে বাস্তব সম্পর্কে আমার কোন ধারণা ছিল না। আমি ভাবতাম, খেয়ে দেয়ে, গল্প করে আড্ডা দিয়ে বেশ মজা করে জীবন কেটে যাবে। আমার এই ভাবনার সময় পাশ থেকে উপরওয়ালা হয়তো হেসে ছিল, আর তখনই হয়তো ঠিক করে ছিল, দাঁড়া তোর একটা পরীক্ষা নেওয়া যাক।
হ্যাঁ, আমি ও জীবনে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি, এবং সেটাকে সামলেও উঠছি। আর শুধু আমি নয়, প্রতিটা মানুষ কেই জীবনে কোন না কোন সময় কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়।
আমি যেভাবে সামলেছি এই পরিস্থিতি সেটা বলব——
1.মেডিটেশন। আমি একটা সময় নাস্তিকের ভান করতাম, নিজেকে নাস্তিক মনে করতাম। কিন্তু যখন সমস্যায় পড়লাম তখন নাস্তিকতা উধাও হয়ে গেল।এখন বুঝতে পারি আগে আমি কতটা ভুল ছিলাম। আমরা যখন সমস্যায় পড়লাম তার পর থেকে ভেঙ্গে না পড়ে নিয়ম করে মেডিটেশন করা শুরু করলাম।
মেডিটেশন করার অর্থ হল, মনের যত্ন নেওয়া। মন কে ধীর,স্থির,ও শান্ত রাখা। আর মন শান্ত থাকলে সেখানে হতাশা প্রবেশ করতে পারে না।
তাই আমি মেডিটেশন করি প্রতিদিন যাতে করে কঠিন পরিস্থিতিতে ভেঙ্গে না পড়ি তার জন্য।
2.এখন এটা ভাবি, আমার সামনে যে পরিস্থিতি উপস্থিতি হয়েছে, সেই পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে আমার করণীয় কী?
যদি দেখি আমি ইচ্ছা করলে সেই সমস্যা সমাধান করতে পারব তাহলে সেটা নিয়ে অযথা না ভেবে, সময় নষ্ট না করে তার সমাধানের কাজে লেগে যায়।
আর যদি দেখি, পরিস্থিতি আমার হাতের বাইরে তাহলে সেটা মাথার থেকে পুরোপুরি বার করে অন্য কাজে মন দিই।
কিন্তু মাথার থেকে বার করতে চাইলে বার করা যায় না, এর জন্যই দিনের পর দিন মেডিটেশন করতে হবে, প্রস্তুতি নিতে হবে আগের থেকে।
3.পরিস্থিতি যত কঠিন ই হোক না কেন আমি সেটা ওভার কাম করবই এই বিশ্বাস আমার মনে এখন তৈরি হয়ে গেছে। আমার নিজের প্রতি বিশ্বাস এখন অগাধ।
4. আমার মন সব সময় ভাল রাখতে আমি আকাশের সঙ্গে অনেক গল্প করি, যখন কোন সমস্যা আসে তখন একভাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকি, এবং প্রকৃতির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করি। এতে মনে শান্তি আসে, আমি মনে জোর ফিরে পায়। এই সময় আমার একা থাকতে ভালো লাগে। নিজের সঙ্গে কথা বলি।
5.এখন যত কঠিন পরিস্থিতি ই আসুক না কেন এটা বুঝে গেছি, একটু ধৈর্য্য ধরলে সব আবার শান্ত হবে। রাতের পর নতুন সূর্য উদিত হবেই। তাই এই সময় ইতিবাচক কথা ভাবি।
6. আজ একটা রহস্য বলব সবাই কে খারাপ পরিস্থিতি থেকে বার হওয়ার।
আমরা যখন কোন সমস্যার সম্মুখীন হই, তখন আমাদের মাথায় সব সময় খারাপ চিন্তা ঘুরপাক খায়, আমরা সেই সময় কেবল নেতিবাচক চিন্তা করি।
কিন্তু আপনি যদি এই সময় একটু কষ্ট করে, একটু মন কে শান্ত করে ইতিবাচক চিন্তা করতে পারেন, তাহলে আপনি খুব সহজে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।
আসলে আমরা যখন যেটা ভাবি, আমাদের জীবনে তখন সেটাই ঘটে। খারাপ সময় আসলে, সেই খারাপ পরিস্থিতির মধ্যেই আমরা বিচরণ করি ফলে সেটাই আমাদের জাপটে ধরে।
তাই একটু লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন, যে মানুষটি ভালো সময়ের মধ্যে দিয়ে যায়, তাঁর সমনে সব কিছু ভালো হয়ে ধরা দেয় । তার কারণ সে তো ঐ সময় ভালো কিছু ভাবছে, আনন্দে আছে তাই সে আরও আনন্দে থাকার রাস্তা খুঁজে পাচ্ছে।
তাই ভাবনাকে সব সময় সুন্দর রাখতে হবে।খারাপ পরিস্থিতি থেকে বার হওয়ার এটা একটা রহস্য বলতে পারেন।
7.আমি এখন এটা বুঝে গেছি, বা জেনেছি, আমাদের কথার প্রতিধ্বনি আমাদের কাছে ফিরে আসে। আপনি সব সময় সমৃদ্ধির কথা ভাবুন, আপনার জীবনে অবশ্যই সমৃদ্ধি ধরা দেবে। আপনি যেটা ভাববেন, সেটাই আপনার জীবন।
তবে বিশ্বাস করতে হবে মন থেকে।
8.নিজের আগের সব চিন্তা ভাবনা পাল্টেছি। এখন আমি আমার আত্মা কে সুন্দর রাখতে, কোন মানুষ কে আঘাত দিয়ে কথা বলি না, আমি সব সময় চেষ্টা করি সবার সঙ্গে সুন্দর ব্যবহার করার। এতে আত্মার উন্নতি ঘটে।
আপনি যদি কঠিন পরিস্থিতির সময় সব কিছু সাধারণ ভাবে না ভেবে, একটু গভীর ভাবে ভাবেন, তাহলে দেখতে পাবেন, প্রতিটা সমস্যার মধ্যেই তার সমাধান লুকিয়ে আছে। আমরা সেই মূহুর্তে সমস্যা টাকে সমস্যা রূপেই দেখি তাই সমাধান টা আমাদের নজর এড়িয়ে যায়।
উপরের সব পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করে আমি এখন কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে মোকাবিলা করি।
ধন্যবাদ ।ভালো থাকবেন।
- 121 views
- 1 answers
- 0 votes
“পৃথিবী একটি বই এবং যারা ভ্রমণ করে না তারা কেবল একটি পৃষ্ঠা পড়ে।”
– হিপ্পোর অগাস্টিন
অক্টোবর 2017 থেকে জানুয়ারী 2018 এর শেষ পর্যন্ত, আমি দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়া ভ্রমণ করেছি, যার মধ্যে মায়ানমার, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম ছিল।
আমার তিন মাসের ভ্রমণের পর, এটি একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা ছিল যেমনটি আমি আবিষ্কার করেছি এবং/অথবা ক্রমাগত নিম্নলিখিত মূল্যবান শিক্ষার কথা মনে করিয়ে দেয়া হয়েছিল।
১। বুদ্ধির বিকাশ।
“জীবনের শুরু হয় অলসতাকে পরিত্যাগ করার মাধ্যমে।”
– নিল ডোনাল্ড ওয়ালশ
আমার অবকাশের জন্য, একমাত্র ব্যবস্থা করেছিলাম আমার বিমান ভাড়ার টিকিট বুকিং এবং স্থানীয় হোস্টেলে প্রথম দুই রাত।
আমার মূল লক্ষ্য ছিল অন্যান্য ভ্রমণকারীদের সুপারিশের জন্য জিজ্ঞাসা করে স্বতস্ফূর্তভাবে ভ্রমণ করা।
যা বিনা বাধায় অবাধে ভ্রমণের সুযোগ দেয়।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আমি এমন একটি শহর খুঁজে পাই যা আমি বিশেষভাবে পছন্দ করতাম, আমার থাকার সময় বাড়ানোর বিকল্প আছে। এটা সম্ভব হবে না যদি আমি আগে থেকেই আমার সমস্ত আবাসনের পরিকল্পনা করে থাকি।
এইভাবে অন্বেষণ করে, আমি আমার দ্বিতীয় উদ্দেশ্য অর্জনের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিলাম – নিজেকে অন্যদের সাথে কথা বলতে এবং বন্ধুত্ব করতে বাধ্য করে। আমি নিজে যাচ্ছি, আমি নতুন মানুষের সাথে দেখা করার আরও সুযোগ তৈরি করেছি। যদি আমি কোন বন্ধুর সাথে ভ্রমণ করি, আমি অন্যদের সাথে কথোপকথন শুরু করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করব না।
আকর্ষণীয় লোকদের সাথে দেখা করার কৌতূহল ছিল উত্তেজনাপূর্ণ কারণ তাদের বিস্ময়কর গল্প আছে। এবং আমার ভ্রমণে, আমি সারা বিশ্ব থেকে অগণিত মানুষের সাথে দেখা করেছি যার মধ্যে নিম্নলিখিত দেশগুলি রয়েছে:
- ফ্রান্স
- স্পেন
- হল্যান্ড
- চীন
- সিঙ্গাপুর
- সুইডেন
- যুক্তরাজ্য
- পোল্যান্ড
- ডেনমার্ক
- ইসরাইল
- আয়ারল্যান্ড
- দক্ষিণ কোরিয়া
- জার্মানি
- অস্ট্রেলিয়া
- কানাডা
আমরা দীর্ঘস্থায়ী স্মৃতি তৈরি করেছি এবং একসঙ্গে আনন্দদায়ক এবং অবিস্মরণীয় ছবি তুলেছি। তাদের অবদানের কারণে, আমার যাত্রা অনেক বেশি অর্থবহ এবং ঘটনাবহুল ছিল।
যেহেতু তারা এখন আমার নেটওয়ার্কের অংশ, আমি তাদের সাথে সম্পর্ককে আরও গভীর করার জন্য নিয়মিত যোগাযোগ করি।
নিজের উপর এবং আমার ক্ষমতার উপর পূর্ণ আস্থা রেখে, আমি জানতাম যে আমি যেকোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে পারি। অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে ইচ্ছুক ছিলাম যা আমার অভিজ্ঞতাকে বৃদ্ধি করেছে।
এবং অতীতে ফিরে দেখি, আমার ট্রিপ আমি যতটা পরিকল্পনা করতে পারতাম তার চেয়ে ভাল হয়েছে।
অনেক সময়, জীবন আমাদের উপর অপ্রত্যাশিত বাধা ছুঁড়ে দেয়, আমাদের চরিত্রকে শক্তিশালী করার জন্য।
অপ্রত্যাশিত বাধা থেকে পালিয়ে যাবেন না। বরং সেই বাধাগুলো মোকাবেলা করুন। যেখানে সবচেয়ে বড় অসুবিধা আছে, সেখানে সবচেয়ে বড় উন্নয়ন অর্জনের সুযোগ আছে।
সেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে, আপনি বিকশিত হবেন এবং একটি শক্তিশালী মানুষে পরিণত হবেন।
২। মন উন্মুক্ত রাখা।
যখন ছাত্র প্রস্তুত হবে তখন শিক্ষক উপস্থিত হবেন। ”
– বুদ্ধ
আমার ভ্রমণকে পুরোপুরি উপভোগ করতে, আমাকে শিখতে আগ্রহী হতে হয়েছিল।
আমি আমার আগ্রহ অনুসরণ করেছি এবং শিক্ষানবিসের মানসিকতা গ্রহণ করেছি।
নতুন দেশে থাকায়, আমি তাদের সংস্কৃতি এবং চিন্তাভাবনার সাথে পরিচিত ছিলাম না। মানিয়ে নেওয়ার জন্য, আমি স্থানীয়দের অনুসরণ করেছি এবং তারা কিভাবে বসবাস করে সে সম্পর্কে জেনেছি।
সেই উন্মুক্ত দৃষ্টিকোণ দিয়ে, আমি নিম্নলিখিত কাজগুলি করে আমার ভ্রমণের পূর্ণ সুবিধা নিতে সক্ষম হয়েছিলাম:
- নতুন রীতি শেখা
- সুস্বাদু এবং বিদেশী রান্না খাওয়া
- উত্তেজনাপূর্ণ এবং সাহসী ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত
- স্থানীয়দের সাথে দেখা করা এবং তাদের জীবনযাপন এবং সত্তা বোঝা
ফলস্বরূপ, আমি নতুন জ্ঞান এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি।
এমন কিছু সময় ছিল যখন আমি কিছু সম্পর্কে অনেক কিছু জানতাম। কিন্তু নম্রতা এবং শেখার আগ্রহ নিয়ে, আমি চুপ করে থাকি এবং অন্যদের কথা শুনি।
তারা হয়তো প্রজ্ঞা ধারণ করতে পারে যা আমি জানি না।
এইভাবে, আমি আরও তথ্য সংগ্রহ করার জন্য আমার অভ্যন্তরীণ মস্তিষ্কে স্থান তৈরি করি।
বড় হওয়ার জন্য, আপনাকে অবশ্যই আপনার চারপাশের সবকিছু থেকে শিখতে ইচ্ছুক হতে হবে। কারণ জীবন আপনাকে সবসময় শিক্ষা দিচ্ছে।
বুঝতে পারবেন, এই পৃথিবীতে কেউই সবকিছু জানে না। নতুন মানসিকতা এবং বিশ্বাস গ্রহণ করার জন্য আপনার মনের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।
এই চিন্তার প্রক্রিয়া আপনার ব্যক্তিগত বিকাশকে ত্বরান্বিত করবে।
৩। তুমি কখনো একা নও।
“একজন মানুষ যা করতে পারে অন্য মানুষ তা করতে পারে।”
– চার্লস মোর্স
দক্ষিণ -পূর্ব এশিয়ার জটিল শহরগুলির চারপাশে আমার পথ চলা, আমি দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখতে শিখেছি।
যদিও আমি বেশিরভাগ সময় একা ভ্রমণ করতাম, আমি ক্রমাগত নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলাম যে আমি আসলে কতটা সংযুক্ত ছিলাম।
লোকাল বাসে উঠার সাথে সাথে আমি অন্যান্য যাত্রীদের লক্ষ্য করলাম।
ভাষা এবং সাংস্কৃতিক বাধা সত্ত্বেও, তারা যোগাযোগ করতে এবং কাছাকাছি পেতে সক্ষম হয়েছিল।
সেই সাধারণতার কারণে, আমরা অনায়াসে বন্ধন আবদ্ধ হতে সক্ষম হয়েছিলাম।
আমরা স্বভাবতই একে অপরের দিকে হাসলাম এবং নিজেদের পরিচয় দিলাম। মিথস্ক্রিয়া সম্পর্কে মোটেও বিশ্রী মনোভাব পোষণের কিছু নেই।
যাইহোক, কষ্টের সময়ে, সেই অন্তর্দৃষ্টি হারানো সহজ এবং তার পরিবর্তে মনে হতে পারে আমি যাত্রায় একা।
কিন্তু যখনই আমি একটি নতুন সমস্যার সম্মুখীন হই, আমি নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিই যে আমি এই অভিজ্ঞতা অর্জনকারী প্রথম ব্যক্তি নই।
অন্যরা আগে আমার অবস্থায় ছিল।
তাদের অনন্য পটভূমি এবং পরিস্থিতি সত্ত্বেও, তারা তাদের অতিক্রম করতে সক্ষম হয়েছিল।
এটি আমাকে আশা এবং অনুপ্রেরণা দেয়।
কারণ একজন ব্যক্তি যা করতে পারে, অন্য ব্যক্তিও আরও অনেক কিছু করতে পারে।
দৃষ্টিভঙ্গি থাকা মানে ভুক্তভোগী মানসিকতায় না পড়া – নিজেকে, অন্যকে, বা বর্তমান পরিস্থিতিকে দায়ী করা। এটি আপনাকে আপনার জীবনের দায়িত্ব নিতে এবং সরাসরি আপনার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে দেয়।
বুঝুন অন্যরা আগে আপনার পরিস্থিতিতে ছিল এবং সেই একই বাধাগুলি জয় করেছে।
এটি কেবল জীবনের উপত্যকায় নয়, চূড়ায়ও প্রযোজ্য।
জীবন উভয় দিয়েই পূর্ণ, আপনাকে পুরো মানব অভিজ্ঞতা বর্ণালীর মুখোমুখি হওয়ার দুর্দান্ত সুযোগ দেয়।
৪। সহজ-সরল জিনিসের প্রশংসা করুন।
“একজন মানুষ তার প্রয়োজনের সন্ধানে সারা পৃথিবী ভ্রমণ করে, এবং এটি খুঁজে পেতে বাড়ি ফিরে আসে।”
– জর্জ মুর
আমার ভ্রমণের সময়, আমি গ্রামাঞ্চল পরিদর্শন করার সুযোগ পেয়েছিলাম।
পাহাড়ের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাওয়া এবং কাঁচা মরিচ, চাল, এবং বাঁশের অবিরাম ক্ষেত্র দেখে, আমি অবাক হয়েছিলাম যে ছোট গ্রামীণ গ্রামগুলি কত সুন্দর।
তারা দক্ষিণ চীনের সরল জীবনধারা সম্পর্কে আমার শৈশবের স্মৃতি জাগিয়ে তুলেছিল। স্থানীয়দের সাথে মেলামেশা সামান্য প্রয়োজনের সাথে জীবনযাপনের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে।
পশ্চিমা সমাজের কাছে, তারা “দরিদ্র” বলে বিবেচিত হবে। কিন্তু আমার কাছে, তারা তাদের বন্য স্বপ্নের বাইরে “ধনী” ছিল।
এত কম সম্পদ থাকা সত্ত্বেও, তারা সম্পূর্ণরূপে সন্তুষ্ট ছিল। এটি পশ্চিমা বিশ্বের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি সম্পর্কে অজ্ঞতার জন্যও সাহায্য করে।
তারা সুখী এবং পরিপূর্ণ জীবন যাপনের জন্য তাদের প্রয়োজনীয় সবকিছু ব্যবহার করেছিল।
পরিবার এবং স্বাস্থ্যের মতো অপরিহার্য বিষয়ের উপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে, সেই গ্রামবাসীরা তাদের অর্থপূর্ণ জীবনের সংজ্ঞা দিয়েছিল।
সম্পর্কের ক্ষেত্রে, যারা তাদের নিকট যারা গুরুত্বপূর্ণ তাদের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে তারা মালিকানা এবং অগ্রাধিকার নেয়।
খাবারের জন্য, তারা তাদের নিজস্ব ফল এবং শাকসবজি এবং গরু, মুরগি এবং শূকর হিসাবে প্রাণী পালন করে।
জৈব বা প্রক্রিয়াজাত খাদ্য বলে কিছু নেই। তাদের কাছে, এটি কেবল একটি খাবার।
একটি সম্প্রদায়ের মধ্যে বসবাস করে, তারা অর্থের পরিবর্তে একটি বিনিময় ব্যবস্থার সাথে পণ্যগুলির জন্য ব্যবসা করেছিল।
এবং ব্যায়ামের জন্য, কোনও জিম সদস্যতার প্রয়োজন নেই। পুরুষ এবং মহিলারা ক্ষেতে কাজ করে শ্রমে অংশ নেয়। তারা সারা দিন প্রয়োজনীয় বিরতি দিয়ে ভোরবেলা কাজ শুরু করে।
ফলস্বরূপ, তারা দুর্দান্ত শারীরিক আকৃতিতে রয়েছে।
এই ধরণের জীবনধারা সরলতা এবং জরুরীতার অনুভূতি তৈরি করে।
কাজের জন্য তাদের প্রেরণা হলো বেঁচে থাকা।
এবং তার উপর ভিত্তি করে তারা কতটা দক্ষতার সাথে মাতৃ প্রকৃতি থেকে স্বাধীনভাবে ভারসাম্য রক্ষা করে।
এটি সবই তাদের প্রাপ্ত সম্পদের স্তরে নেমে আসে।
তারা নিজেদের এবং তাদের সম্প্রদায়ের সমর্থনের উপর নির্ভর করতে শেখে।
৫। নিজেকে ধরে রাখা বন্ধ করুন।
“এখন থেকে কুড়ি বছর আপনি যে কাজগুলো করেননি তার চেয়ে আপনি যে কাজগুলো করেছেন সেগুলো দেখে আপনি আরো হতাশ হবেন। তাই দড়ির পাল ফেলে দিন। নিরাপদ বন্দর থেকে দূরে পাল ফেলুন। আপনার পালের মধ্যে জীবিকা বাতাস ধারণ করুন। অন্বেষণ করুন। স্বপ্ন দেখুন। আবিষ্কার করুন। ”
– মার্ক টোয়েন
দীর্ঘ ভ্রমণে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে, আমি সমান্তরাল চিন্তায় নিজেকে সীমাবদ্ধ করেছিলাম। তারা নিম্নলিখিত ফলাফল অন্তর্ভুক্ত করছি:
- আমার ক্যারিয়ার/ব্যবসার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ব্যবধান থাকা
- ধারাবাহিক আয় হারানো
- আমার পেশাগত বিকাশকে এগিয়ে নিতে প্রয়োজনীয় দক্ষতা তৈরি করা নয়
- আমার বিদ্যমান গ্রাহকদের অবহেলা করা
- আমার উদ্যোগ না বাড়া
- পরিবার এবং বন্ধুদের থেকে দূরে সময় কাটানো
কিন্তু সেই প্রভাবগুলির কিছু কমানোর জন্য, আমি এমন ক্রিয়াকলাপে নিযুক্ত ছিলাম যা আমার অনুপস্থিতি সত্ত্বেও আমার ক্লায়েন্টদের সেবা করার অনুমতি দিয়েছে।
এছাড়াও, আমি প্রয়োজনীয় দক্ষতা (বিক্রয়, বিপণন, নেতৃত্ব ইত্যাদি) অনুশীলন করেছি যা আমাকে কর্মশক্তিতে আরও মূল্যবান করে তোলে।
সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়ার বিপরীতে, অসংখ্য সুবিধা রয়েছে যেমন:
- আমার গভীরতম আকাঙ্ক্ষাগুলি অনুসরণ করার স্বাধীনতা থাকা
- মজাদার এবং উত্তেজনাপূর্ণ প্রকল্পগুলিতে কাজ করা
- নতুন এবং আকর্ষণীয় জায়গায় ভ্রমণ
- আমার স্বাভাবিক সামাজিক বৃত্তের বাইরে মানুষের সাথে দেখা করা
- নিজের সম্পর্কে আরো শেখা – চাওয়া, অপছন্দ এবং বিশ্বাস।
আপনি জীবনে যেখানেই থাকুন না কেন, এই গুরুত্বপূর্ণ সত্যটি উপলব্ধি করুন:
আপনি এখনকার মতো কম দায়বদ্ধ হবেন না।
আপনি জীবনের অগ্রগতি হিসাবে, আপনি আরো বাধ্যবাধকতা এবং কাজ অর্জন করবেন। আপনার জীবনযাত্রা এবং সহ-নির্ভরতার কারণে আপনার ব্যয় সম্ভবত বৃদ্ধি পাবে।
আপনি যা চান তা করতে “অবসরপ্রাপ্ত” না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না। সেই সময় হয়তো আর আসবে না।
এবং যদি তা হয় তবে আপনার সম্ভবত সেই যুবকদের কিছু ক্রিয়াকলাপে জড়িত থাকার সুযোগ থাকবে না। অথবা তা আপনার জন্য আরও খারাপ হবে, আপনার সেই প্রচেষ্টাগুলি চালানোর জন্য অনুপ্রেরণার অভাব হতে পারে, কারণ আপনি সেগুলি এতদিন স্থগিত করেছিলেন।
পরিবর্তে, আপনি এখন জীবন উপভোগ করার জন্য আপনার কর্মজীবন এবং/অথবা ব্যবসার মধ্যে সংক্ষিপ্ত-অবসর গ্রহণ করতে পারেন।
যখন আমরা আমাদের লক্ষ্য এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার উপর খুব বেশি মনোযোগী হই, তখন আমরা আমাদের গভীরতম আকাঙ্ক্ষার প্রতি দৃষ্টি হারাতে পারি।
সত্যিই আমরা করতে চাই এমন জিনিস বন্ধ করার প্রবণতা আছে আমাদের।
পটভুমিতে থাকা জন্য আমাদের নিম্নলিখিত কথাগুলি মনে করিয়ে দেওয়া প্রয়োজন:
“আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কি?”
“আমি কেন প্রথম থেকে শুরু করলাম?”
“আমি কিসের জন্য এত পরিশ্রম করছি?”
এই প্রশ্নগুলির উত্তর আপনার মধ্যে সচেতনতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে এবং অপরিহার্য বিষয়গুলিতে মনোযোগী করিয়ে দেবে যা আপনাকে অর্থ এবং পরিপূর্ণতা দেবে।
শেষ কথা
ভ্রমণ আপনার অনন্য কর্মকাণ্ড গুলি আবিষ্কার করার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যকলাপ হতে পারে।
আপনি যে নিকটবর্তী শহরে এখনো যান নি, সেখানে গিয়ে শুরু করতে পারেন।
এটি আপনাকে তাজা চোখে পৃথিবীকে দেখতে দেবে। আবার শিক্ষানবিশ হতে শিখাবে। জীবন আপনাকে যা শিখিয়েছে তা শিখতে থাকুন।
এটি অর্জন করা এবং আরও বেশি চেষ্টা করা আপনার জন্য দুর্দান্ত কিছু। যাইহোক, এতে আপনি দৈনন্দিন কর্মকান্ডে ধরা পড়বেন না এবং আপনার কাছে জীবনযাত্রার অর্থ কী সে সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি হারাবেন না।
জীবন সীমিত।
আজ, আপনি সর্বকালের সর্বকনিষ্ঠ এবং সর্বকালের সবচেয়ে বয়স্ক।
আপনি যে মূল্যবান উপহারকে জীবন বলছেন তার পূর্ণ সুবিধা নিন।
আশা করি এটা কাজে লাগবে।
আমি 1,000,000 মানুষকে সাহায্য করার মিশনে আছি। কিন্তু আপনার সাহায্য ছাড়া আমি এটা করতে পারব না। যদি আপনার একটি সেকেন্ড থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে আপভোট দিন এবং এই উত্তরটি যে কারো সাথে শেয়ার করুন যাতে আপনি মনে করতে পারেন এটি মূল্যবান এবং সহায়ক হবে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ! আমি এটার খুব প্রশংসা করি!
আমার সেরা কোরা উত্তরগুলি এখানে দেখুন
।
- 93 views
- 1 answers
- 0 votes
সত্যি বলতে কি, জীবনের মূল্য ঠিক আইনস্টাইনের Theory of Relativity-র মতো। আপনি নিধারিত কোনো মূল্য নির্বাচন করতে পারবেন না। সময় ও পরিস্থিতি আপনার জীবনের মূল্য নির্ধারণ করে দিবে।
বুঝতে একটু কঠিন লাগছে তো ?
নিচের উদহারণ একটু মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, তবে আমার পক্ষে সহজ হবে আপনাকে বুঝতে। [উদহারণটি শিব খেরার “তুমিও জিতবে” বইটি থেকে সংগ্রহ করা ]
একটা ছেলে তার বাবাকে জীবনের মূল্য সম্পর্কে জিজ্ঞেস করল। তার বাবা সরাসরি উত্তর দেওয়ার পরিবর্তে ছেলেটির হাতে একটা পাথর দিয়ে বলল মার্কেটে গিয়ে এটি বিক্রি করতে। যদি কেউ পাথরটির দাম জিজ্ঞেস করে, তাহলে মুখে কিছু না বলে দুইটা আঙ্গুল দেখাবে।
বাজারে পাথরটি বিক্রি করতে গেলে এক মহিলা বলল পাথরটির দাম কত? আমি এটি আমার বাগানে রাখতে চাই। ছেলেটি মুখে কিছু না বলে দুই আগুল দেখালো। মহিলাটি বলল দুইশ টাকা? আমি এটি নিব।
ছেলেটি বাড়িতে ফিরে এসে তার বাবাকে জানালো একজন মহিলা পাথরটি নিতে চায়, দুশত টাকার বিনিময়ে।
বাবা বলল পাথরটি যাদুঘরে নিয়ে যাও, কেউ কিনতে চাইলে মুখে কিছু না বলে দুই আঙ্গুল দেখাবে।
মিউজিয়ামে পাথরটি নিয়ে যাওয়ার পর একজন পাথরটি কিনতে চাইলো। দাম জিজ্ঞেস করলে ছেলেটি মুখে কিছু না বলে দুই আঙ্গুল দেখালো।
ঐ মানুষটি বলল দুই হাজার টাকা? আমি এটি নিতে চাই। ছেলেটি অবাক হয়ে গেলো। দৌঁড়াতে দৌড়াঁতে বাড়ি ফিরে তার বাবাকে জানালো।
তার বাবা বলল, আর এক জায়গায় তোমাকে পাথরটি নিয়ে যেতে হবে। আর তা হচ্ছে একটি মূল্যবান পাথরের দোকানে। দোকানের মালিককে পাথরটি দেখাবে এরপর দাম জানতে চাইলে মুখে কিছু না বলে দুই আঙ্গুল দেখাবে।
ছেলেটি পাথরটি নিয়ে মূল্যবান পাথরের দোকানে গেলো। দোকানদার দেখে বলল এটি কোথায় পেয়েছ?
এটি পৃথিবীর দুর্লভ এবং মূল্যবান পাথর গুলোর মধ্যে একটা। এটি অবশ্যই আমার দরকার। দাম কত এটির? ছেলেটি মুখে কিছু না বলে দুই আঙ্গুল দেখালো।
দোকানার বলল আমি এটি দুই লক্ষ টাকার বিনিময়ে নিতে চাই।
ছেলেটি কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলল।
বাড়িতে এসে তার বাবাকে জানালো। তার বাবা এবার ছেলেটিকে বলল, তুমি কি তোমার জীবনের মূল্য বুঝতে পেরেছ?
নিজেকে মূল্যহীন ভেবে সারাজীবন পার করে দিতে পারি আমরা। মিশতে পারি এমন সব মানুষের সাথে, যাদের কাছে আমাদের জীবনের মূল্য খুব একটা বেশি না। যারা আমাদের মূল্যায়ন করতে পারবেনা অথচ সবগুলো মানুষই একটি মূল্যবান পাথরের মত।
সবাই অসীম সম্ভাবনা নিয়ে জন্ম নিই আমরা। নিজেকে বাজারে বিকিয়ে দিব নাকি মূল্যবান কোথাও দেখতে চাইবো, নিজেকে কোন পরিবেশে পৌঁছাতে সক্ষম হবো তা নির্ণয় করবে।
এটাই জীবনের মূল্য ঠিক একটি আপেক্ষিক তত্ত্ব।
- 78 views
- 1 answers
- 0 votes
জীবন কখনোই উদ্দেশ্যহীন নয়। আমরা প্রত্যেকে পৃথিবীতে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে আসি। আমিও ব্যতিক্রম নই। যদিও আমার জীবনে তেমন কোনো বৃহৎ বা স্থূল লক্ষ্য নেই, তবু একটি গভীর ও পবিত্র আকাঙ্ক্ষা আমার মনকে সবসময় তাড়া করে। আমি বিশ্বাস করি, এই পৃথিবীতে আমাদের প্রেরণের পেছনে কোনো না কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ আছে। তাই আমি চাই, আমার প্রতিটি কাজ, প্রতিটি পদক্ষেপ সেই কারণকেই বাস্তবে রূপ দিক।
আমার একমাত্র ইচ্ছা, আমার জীবন এমনভাবে পরিচালিত হোক যেন আমি আমার স্রষ্টার প্রিয় হয়ে উঠতে পারি। এই পৃথিবীর সৌন্দর্য, আকর্ষণ বা ভোগ-বিলাসের মাঝে নিজেকে হারিয়ে না ফেলে, আমি এমন কিছু করতে চাই যা আমার স্রষ্টার সন্তুষ্টি অর্জন করবে। পৃথিবীর ক্ষণস্থায়ী জীবনের পেছনে সময় ব্যয় না করে, চিরন্তন জীবনের সফলতা অর্জনই আমার আসল লক্ষ্য। আমি চাই, আল্লাহ আমাকে এমন কিছু করার তাওফিক দিন, যা তাঁর প্রিয় বান্দাদের মধ্যে আমাকে অন্তর্ভুক্ত করবে।
জীবনের প্রতিটি অধ্যায় যেন হয় আত্মশুদ্ধি ও ইবাদতের এক নীরব অঙ্গীকার। আমি চাই, আমার এই পৃথিবীতে প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্ত এমন কিছু দিয়ে পূর্ণ হোক যা আমাকে আমার মূল উদ্দেশ্যের পথে নিয়ে যাবে—আমার প্রিয় রবের সামনে তাঁর প্রিয় দাস হিসেবে ফিরে যাওয়ার পথে।
এই আকাঙ্ক্ষাই আমার জীবনের একমাত্র দিশারি। হয়তো আমার লক্ষ্য ছোট বা সাধারণ মনে হতে পারে, কিন্তু এই ছোট ইচ্ছার মাঝে লুকিয়ে আছে এক অসীম দুনিয়া। আল্লাহ যেন আমাকে এই লক্ষ্য পূরণের শক্তি ও দৃঢ়তা দান করেন। আমিন।
আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন।
© মুহাম্মাদ ইবরাহিম
১৪–০১–২৫ ইংরেজি
- 85 views
- 1 answers
- 0 votes
মানুষের সর্বোচ্চ ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত,,,,আর সর্বনিম্ন ৬ ঘন্টা । তবে মানুষের মস্তিষ্কে একসাথে ৪ ঘন্টা করে ২ বারে ঘুম পূর্ণ করলেই হয়। এখন সে একবারে ঘুমালেও পারে।
কথাটি হলো ৮ঘন্টা ঘুমানোর তা দিনে হোক বা রাতে।
তাই সবাই রাত জাগুক বা দিন। ৮ ঘন্টা ঘুম ঠিক রাখবেন,,, শরিরের এমনিই ঠিক থাকবে।।
- 99 views
- 1 answers
- 0 votes
- দোয়া এবং প্রার্থনা: আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া এবং অন্তর থেকে দোয়া করা শান্তি এনে দিতে পারে।
- গভীর শ্বাস নেওয়া: শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করে মনকে শান্ত করা যেতে পারে।
- পছন্দের কাজ করা: এমন কিছু করা যা আপনি পছন্দ করেন, যেমন গান শোনা, বই পড়া বা প্রিয় কোনো কাজ করা।
- আলোচনা করা: আপনার অনুভূতিগুলো কারো সাথে শেয়ার করা, যেমন একটি বিশ্বস্ত বন্ধু বা পরিবারের সদস্য।
- হালকা ব্যায়াম: হাঁটতে যাওয়া বা যোগ ব্যায়াম করা, যা মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করতে পারে।
- মনের মধ্যে ইতিবাচক চিন্তা আনুন: আপনার মন খারাপ হওয়ার কারণ খুঁজে না দেখে, ভালো কিছু ভাবতে চেষ্টা করুন।
এই উপায়গুলোর মধ্যে যেটি আপনার জন্য সবচেয়ে কার্যকর, তা অনুসরণ করুন।
- 79 views
- 1 answers
- 0 votes