10773
Points
Questions
23
Answers
5384
নিজেকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার জন্য শারীরিক, মানসিক ও আত্মিকভাবে উন্নতি করা জরুরি। এর জন্য আপনাকে কিছু নির্দিষ্ট অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
১. মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার উপায়
- আত্মবিশ্বাস বাড়ান – নিজের দক্ষতা ও শক্তিতে বিশ্বাস রাখুন।
- নেতিবাচক চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করুন – হতাশা ও ভয়কে দূরে সরিয়ে ইতিবাচক মানসিকতা বজায় রাখুন।
- ব্যর্থতাকে শিক্ষা হিসেবে নিন – ভুল থেকে শিখুন এবং সামনে এগিয়ে যান।
- একটি স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন – জীবনে কী চান, সেটি ঠিক করে সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করুন।
- নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখুন – রাগ, আবেগ ও ইচ্ছাকে সংযত করুন।
২. শারীরিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার উপায়
- নিয়মিত ব্যায়াম করুন – শক্তি ও সহনশীলতা বাড়ানোর জন্য শারীরিক কসরত করুন।
- সুস্থ খাবার খান – পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করুন এবং ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন।
- পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন – শরীর ও মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিন।
- শরীরের যত্ন নিন – নিয়মিত মেডিটেশন, যোগ ব্যায়াম এবং ডিটক্সিফিকেশন করুন।
৩. আত্মিক ও মানসিক স্থিরতা গড়ে তুলুন
- ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক চর্চা করুন – ধ্যান, প্রার্থনা বা মেডিটেশন মানসিক শান্তি দিতে পারে।
- নিজেকে জানুন – নিজের ভেতরের শক্তি ও দুর্বলতা বোঝার চেষ্টা করুন।
- সৎ ও নৈতিক জীবন যাপন করুন – ন্যায়বিচার ও সততা বজায় রাখুন।
- সহনশীলতা বাড়ান – কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈর্য রাখুন এবং সহজেই ভেঙে পড়বেন না।
৪. জ্ঞানের মাধ্যমে শক্তি অর্জন করুন
- নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করুন – বই পড়ুন, গবেষণা করুন এবং নিজেকে জ্ঞানে সমৃদ্ধ করুন।
- আলোচনা ও বিতর্কে অংশ নিন – বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশের জন্য বিতর্ক ও যুক্তি চর্চা করুন।
- নেতৃত্বের গুণাবলি অর্জন করুন – নিজের সিদ্ধান্ত নিজে নিন এবং অন্যদের সহায়তা করুন।
৫. সামাজিকভাবে শক্তিশালী হোন
- ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলুন – বিশ্বস্ত বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখুন।
- সাহায্য করতে শিখুন – সমাজের জন্য কিছু করুন, এতে আপনার ভেতর ইতিবাচক শক্তি আসবে।
- নিজেকে প্রকাশ করুন – নিজেকে গুটিয়ে না রেখে নিজের ভাবনা ও মতামত প্রকাশ করুন।
নিজেকে শক্তিশালী করে তুলতে হলে ধৈর্য, পরিশ্রম, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও জ্ঞানের চর্চা করতে হবে। আপনি যদি প্রতিদিন সামান্য উন্নতির চেষ্টা করেন, তাহলে সময়ের সাথে সাথে সত্যিকারের শক্তিশালী মানুষ হয়ে উঠবেন।
- 128 views
- 1 answers
- 0 votes
আন্তরিক ধন্যবাদ এমডি.হারুন উর রাশিদ ভাইকে, প্রশ্ন করেছেন- পৃথিবীতে মানুষের চাহিদা শেষ হয় না কেন?
পৃথিবীতে মানুষ নিজের চাহিদা নিজেই সৃষ্টি করে।
একটা সময় ছিলো টিভি ছিলো না, মোল্লাদের ধর্ম প্রচার থেমে ছিল না।
টিভি এলো।
মুসলিম ধর্মীয় নেতা বা মোল্লারা টিভির মতো আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাপারে প্রথমে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করেছিলেন মূলত ধর্মীয় ও সামাজিক কারণেই। প্রাথমিকভাবে তারা এটিকে হারাম বা নিষিদ্ধ মনে করতেন, কারণ টিভি বিভিন্ন ধরনের কনটেন্ট প্রচার করে, যার মধ্যে নাচ-গান, চলচ্চিত্র, নাটক বা অনৈতিক উপাদান থাকতে পারে, যা ইসলামের সংযম ও নৈতিকতার নীতির বিপরীত। এছাড়া, ইসলামে চিত্র বা জীবন্ত প্রাণীর ছবি আঁকা ও প্রদর্শনের ওপর ঐতিহাসিকভাবে কিছু নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ থাকায়, অনেক আলেম মনে করতেন যে টিভি দেখা ও ব্যবহার করা ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে অবৈধ হতে পারে।
তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে যখন প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং ইসলামী চিন্তাবিদদের একটি বড় অংশ বুঝতে পারেন যে টিভি শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়, বরং এটি দ্বীনের দাওয়াত, শিক্ষামূলক আলোচনা এবং ইসলামের প্রচারের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে, তখন তাদের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আসে। অনেক আলেম ও ইসলামী প্রতিষ্ঠান বুঝতে পারেন যে টিভিকে পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান না করে বরং এটিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করাই উত্তম পন্থা। এ কারণে তারা ইসলামিক অনুষ্ঠান, বক্তৃতা, ফতোয়া প্রদানের মতো কার্যক্রম টিভির মাধ্যমে প্রচার শুরু করেন। একইভাবে, পরবর্তীকালে সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবের মতো প্ল্যাটফর্মেও তারা ব্যাপকভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠেন, যা ইসলামের প্রচার ও শিক্ষা দেওয়ার জন্য অত্যন্ত কার্যকর প্রমাণিত হয়।
এটি প্রমাণ করে যে প্রযুক্তি নিজে ভালো বা খারাপ নয়, বরং এর ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে এর নৈতিকতা নির্ধারিত হয়। প্রথমদিকে যে জিনিসকে হারাম বলা হয়েছিল, পরবর্তীতে যখন সেটিকে ইসলামের সেবায় ব্যবহার করার সুযোগ তৈরি হলো, তখনই সেই নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেল। এটি প্রযুক্তির প্রতি মুসলিম সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির একটি বিবর্তনমূলক পরিবর্তন, যা সময় ও পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে গঠিত হয়েছে।
অতএব জীবনের মান উন্নয়নের স্বার্থে উদ্ভাবন যেমন অনিবার্য, তার সঙ্গে তালমিলিয়ে চাহিদার শেষ নাই।
- 129 views
- 1 answers
- 0 votes
১.প্রথমত গায়ে পড়ে কারো সাহায্য করতে যাবেন না। আর কারো সাহায্য করার পরে তার থেকে ভবিষ্যতে সাহায্য পাবার আশাও করবেন না;
২.কারো আশাকে নষ্ট করবেন না, হতে পারে এই আশাটাই ছিল তার শেষ সম্বল;
৩.নিজের ভুল বা দোষ স্বীকার করার মত মনোবল তৈরি করুন;
৪.যেটা আপনার দ্বারা করা সম্ভব না সেটা নিয়ে কাউকে প্রতিশ্রুতি দিবেন না;
৫.জানাকে মানায় রুপান্তরিত করতে না পারলে সে জানা অর্থহীন;
৬.দক্ষতা ছাড়া সততা শক্তিহীন;
৭.মানুষ নিজের কাছেই প্রথমে হেরে যায়;
৮.মুক্ত বিশ্বাস হচ্ছে সাফল্য অর্জনের ভিত্তি;
৯.যা করতে পারবেন না সে বিষয় বিনয়ের সাথে উল্লেখ করুন;
১০.সর্বাবস্থায় সকল বিষয়ে শুকরিয়া আদায় করুন, হয়তো আপনার চেয়েও খারাপ অবস্থায় কেউ আছে
- 122 views
- 1 answers
- 0 votes
উত্তর: আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে প্রথমে আমাদের বুঝতে হবে—আসলে আবেগ কী এবং কেন তা সৃষ্টি হয়।
আবেগ কোনো দুর্বলতা নয়, বরং এটি প্রকৃতির দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ সারভাইভাল টুল। যখন আমরা বা আমাদের প্রিয়জনরা বিপদে পড়ি, তখন আবেগ জাগ্রত হয় এবং আমাদের কিছু করার জন্য তাড়িত করে। এভাবেই আবেগ আমাদের সমস্যার সমাধানে সহায়তা করে। অর্থাৎ, আবেগ অনুভব করাটা প্রকৃতিরই পরিকল্পনার অংশ।
তবে, যেহেতু আবেগ অবচেতনের দ্বারা পরিচালিত হয়, তাই অনেক সময় এটি অযৌক্তিকভাবে প্রকাশিত হতে পারে। যেমন—একটি সিনেমা বা নাটকে নায়ক-নায়িকার দুঃখ-দুর্দশা দেখে আমরা অপ্রয়োজনীয়ভাবে আবেগতাড়িত হয়ে পড়ি। আবার, বাস্তব জীবনেও অনেক সময় এমন পরিস্থিতি আসে যেখানে আবেগ অনিয়ন্ত্রিত হলে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
তাই আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে চাইলে একটি সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে—
১. যখনই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়বেন, নিজেকে মনে করিয়ে দিন: “এটি প্রকৃতির একটি স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া, যা আমাকে কিছু করার জন্য তাড়িত করছে।”
২. এরপর ভাবুন—এই পরিস্থিতিতে আমার সত্যিই কিছু করার আছে কি না।- যদি কিছু করার থাকে, তবে সেটিই করুন।
- যদি কিছু করার না থাকে, তবে নিজেকে বলুন: “এটি প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে ঘটছে, কিন্তু আমার এখানে কিছুই করার নেই।”
এই অভ্যাসটি গড়ে তুলতে পারলে ধীরে ধীরে আপনি আবেগের নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে নিতে পারবেন।
আশা করি এই পদ্ধতিটি আপনার কাজে আসবে। আপনার আবেগ থাকুক আপনার নিয়ন্ত্রণে,আপনি নয়!
- 114 views
- 1 answers
- 0 votes
ধরুন, আপনার প্রিয় বন্ধুর সাথে আপনার ঝগড়া হল, এবং অকস্মাৎ আপনার বন্ধু আপনাকে কুৎসিত শব্দ ব্যবহার করে অপমান করল। আপনি অপমানিত বোধ করলেন। ভেবে দেখুন তো, আপনার হাতের কাছে কোনো জ্বলন্ত কয়লা থাকলে, সেই কয়লা কি আপনি আপনার বন্ধুর দিকে ছুঁড়তে যাবেন?
অবশ্যই নয়, কারণ সেই জ্বলন্ত কয়লা আপনার বন্ধুর ক্ষতি করার আগে, আপনার হাতটা পুড়িয়ে দেবে। আপনি যন্ত্রনায় আর্তনাদ করবেন।
ভগবান বুদ্ধ একবার বলেছিলেন যে রাগ হচ্ছে সেই জ্বলন্ত কয়লাটির মতো, যেটি আপনি ধরে থাকেন, এবং যার ফলে, আপনি নিজেই নিজের ক্ষতি করেন। তাই রাগ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য —
- রাগ করার সময় মনে রাখুন, আপনার রাগে আপনার ওপর পক্ষের কোনো ক্ষতি হয় না, সর্বনাশ আপনারই হয়।
- চোখ বন্ধ করুন। মনে মনে বলুন, “আমি রেগে যাই নি। আমি শান্ত আছি, এবং শান্ত থাকব। কারণ আমি নিজেকে ভালোবাসি।”
- একশ থেকে এক অবধি গুনতে পারেন, এই পরামর্শ আমি ছোটবেলায় শিক্ষক শিক্ষিকাদের থেকে পেয়েছিলাম।
- একটা খুব আনন্দের মুহূর্তের কথা মনে করুন, যাতে বর্তমান অশান্তির কথা ভুলে গিয়ে, আপনি সেই আনন্দময় মুহূর্তে চলে যেতে পারেন।
- প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে, পাঁচ মিনিট ধ্যান, বা মেডিটেশন করুন। চোখ বন্ধ করে কল্পনা করুন, এবং মনোনিবেশ করুন যেকোনো বিষয়ে। যখনই মন অশান্ত হবে, বা রাগ হবে, এটা করার অভ্যাস করুন। আপনার মন শান্ত হবে, সুস্থ হবে।
উপরিউক্ত উপায়গুলি অবলম্বন করলে, আমার মনে হয় আপনি সহজেই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে সফল হবেন।
ইংরেজি ভাষায় অ্যাঙ্গার (anger) এবং ডেঞ্জার (danger)-এর মধ্যে শুধু একটি বর্ণের তফাৎ রয়েছে। রাগ কোনো সমস্যার সমাধান করে না, বরং সমস্যা সৃষ্টি করে। তাই রাগ না করে, জীবনের প্রতি অনুরাগ বজায় রাখাই কাম্য। কাশিরাম দাশ-এর মহাভারতের অনুবাদ থেকে যুধিষ্ঠিরের একটি পরামর্শ উল্লেখযোগ্য —
- 114 views
- 1 answers
- 0 votes
একা থাকাটা অনেকের জন্যই স্বস্তিদায়ক হতে পারে, কারণ এতে নিজের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ মেলে। একা থাকলে—
- নিজেকে বুঝতে সহজ হয়: নিজের ভাবনা, অনুভূতি ও ইচ্ছাগুলো গভীরভাবে অনুধাবন করা যায়।
- চাপ কম লাগে: মানুষের ভিড়ে থাকার সামাজিক বাধ্যবাধকতা বা দায়িত্ব থেকে কিছুটা মুক্তি মেলে।
- সৃজনশীলতা বাড়ে: একা থাকলে লেখালেখি, গান গাওয়া বা নতুন কিছু শেখার জন্য সময় বের করা সহজ হয়।
- স্বাধীনতা বেশি পাওয়া যায়: অন্যের মতামত বা উপস্থিতির তোয়াক্কা না করেই নিজের ইচ্ছামতো কাজ করা যায়।
- মানসিক প্রশান্তি মেলে: হইচই, অপ্রয়োজনীয় আলোচনা বা অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তার মধ্যে না গিয়ে নিজের মনকে শান্ত রাখা যায়।
তবে একাকিত্ব আর স্বেচ্ছায় একা থাকা কিন্তু এক জিনিস নয়। তুমি যদি ইচ্ছা করেই কিছু সময় একা থাকতে ভালোবাসো, তাহলে সেটা স্বাভাবিক এবং উপকারীও হতে পারে! তুমি কী ধরনের একাকিত্ব উপভোগ করো?
- 115 views
- 1 answers
- 0 votes
খুবই সহজ- আপনি প্রাক্টিসিং মুসলিম হয়ে থাকলে অনেক বেশি সহজ যা বলার প্রয়োজন নেই — আমার জানা মতে সব মুসলমান জানেন
আর আপনি যদি অমুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে প্রথমত নিজেদের ধর্মে যে সমস্ত জ্ঞানী-পন্ডীত মানুষ রয়েছেন তাদের কাছে সরাসরি গিয়ে জিজ্ঞেস করুন এবং অনলাইনে নই প্রাক্টিকালি চেষ্টা করুন।
- 124 views
- 1 answers
- 0 votes
- মানুষ আপনার প্রতি যতটা আগ্রহ দেখায় আসলে ততটা আগ্রহী না তারা।
- যখন সফল হবেন তখন আপনার পাশে সবাই থাকবে, তবে সফল হওয়ার পূর্বের দুর্গম পথের সাথী কেউ হবে না।
- বিনামূল্যে কোনোকিছু দিলে সেটার মূল্য কেউ দিতে চাইবে না।
- বিজয়ীর পাশে সবাই থাকে কিন্তু ব্যর্থদের পাশে কেউ থাকে না।
- সবাই জাজমেন্টাল মনোভাব নিয়ে বসবাস করে।
- কৃতজ্ঞতাবোধ মনুষ্য নামক প্রাণীর মধ্যে নেই বললেই চলে।
- অন্যের অবস্থানে নিজেকে নিয়ে চিন্তা করতে সবাই নারাজ। কেউ সহানুভূতিশীল নয়। অনেকে তো সহানুভূতি কী সেটাই বুঝে না!
- সফল হওয়ার পূর্বে ব্যর্থতার গল্পগুলো না বলা শ্রেয়।
- সবাই শুধু নিজের কথা বলতে চায়, কেউ শোনতে চায় না।
- বিপদে পরিবার ছাড়া আর কাউকে পাশে পাবেন না।
- 125 views
- 1 answers
- 0 votes
মানসিক যত্ন নেওয়ার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস গড়ে তোলা যেতে পারে, যা মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করবে। নিচে কয়েকটি উপায় দেওয়া হলো—
১. নিজেকে সময় দিন
- নিজের জন্য সময় বের করুন, যেখানে আপনি নিজের অনুভূতিগুলো বুঝতে পারবেন।
- একা বা প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটান, যা আপনার মানসিক প্রশান্তি দেবে।
২. স্বাস্থ্যকর রুটিন গড়ে তুলুন
- পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন (৭-৮ ঘণ্টা)।
- পুষ্টিকর খাবার খান, যা মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা বাড়ায়।
- নিয়মিত ব্যায়াম বা হাঁটার অভ্যাস করুন।
৩. স্ট্রেস ও উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণ করুন
- মেডিটেশন বা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন।
- শখের কাজে সময় দিন, যেমন—বই পড়া, ছবি আঁকা, গান শোনা ইত্যাদি।
- প্রয়োজন হলে ডায়েরি লিখুন, এতে আবেগ প্রকাশ করা সহজ হয়।
৪. ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখুন
- নেতিবাচক চিন্তা এড়িয়ে চলুন এবং নিজেকে উৎসাহ দিন।
- কৃতজ্ঞতা প্রকাশের অভ্যাস গড়ে তুলুন (প্রতিদিন ৩টি ভালো জিনিস লিখে রাখুন)।
- নেতিবাচক মানুষ বা পরিস্থিতি থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন।
৫. প্রয়োজন হলে সাহায্য নিন
- সমস্যার কথা বন্ধু বা পরিবারের সঙ্গে শেয়ার করুন।
- যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে পেশাদার মনোবিদ বা কাউন্সেলরের সাহায্য নিন।
নিজের যত্ন নেওয়া মানে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক সুস্থতার প্রতিও যত্নশীল হওয়া। আপনি যদি কোনো বিশেষ সমস্যা অনুভব করেন, তাহলে নির্দ্বিধায় কথা বলুন—সমাধান আসবেই!
- 124 views
- 1 answers
- 0 votes
কম টাকায় ভালো ব্যবসা শুরু করতে চাইলে কিছু ব্যাবসার ধারণা দেওয়া যেতে পারে যেগুলো তুলনামূলকভাবে কম বিনিয়োগে শুরু করা সম্ভব এবং লাভজনক হতে পারে:
১. অনলাইন স্টোর বা ফ্রিল্যান্স মার্কেটপ্লেস
- অর্থ বিনিয়োগ: খুবই কম।
- ব্যবসার ধরন: আপনি ফ্রি বা কম দামে পণ্য (যেমন কসমেটিক্স, হোম ডেকোর, জামাকাপড়) কিনে অনলাইনে বিক্রি করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং জগৎও একটি চমৎকার সুযোগ হতে পারে, যেমন লেখা, ডিজাইনিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, বা গ্রাফিক ডিজাইন।
- লাভের সম্ভাবনা: এই ধরনের ব্যবসা দিয়ে দ্রুত লাভ অর্জন করা সম্ভব, তবে এটি নির্ভর করে আপনার দক্ষতা এবং বাজারের চাহিদার ওপর।
২. ফুড ডেলিভারি বা হোমকুকড ফুড
- অর্থ বিনিয়োগ: মাঝারি, তবে যদি আপনার রান্নার দক্ষতা থাকে এবং আপনি বাড়ি থেকে রান্না করে বিক্রি করেন, তবে বিনিয়োগ কম।
- ব্যবসার ধরন: হোম কুকড ফুড বা হালকা স্ন্যাকস তৈরি করে স্থানীয় বাজারে বা অনলাইনে বিক্রি করা। বর্তমানে ফুড ডেলিভারি সেবা বাড়ছে, আরও …
- 123 views
- 1 answers
- 0 votes