10773
Points
Questions
23
Answers
5384
মানুষের দুর্বলতা বিভিন্ন রকমের হতে পারে, যা মানসিক, শারীরিক, আবেগিক বা চারিত্রিক দিক থেকে প্রকাশ পায়। এখানে কিছু সাধারণ দুর্বলতার ধরন দেওয়া হলো—
১. মানসিক দুর্বলতা
- আত্মবিশ্বাসের অভাব – নিজের সক্ষমতা নিয়ে সন্দেহ করা।
- অতিরিক্ত চিন্তা (Overthinking) – সব কিছু নিয়ে অতিরিক্ত ভাবা এবং সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করা।
- মনোযোগের অভাব – সহজেই বিভ্রান্ত হয়ে যাওয়া এবং কাজে একাগ্রতা ধরে রাখতে না পারা।
- পরিবর্তনকে ভয় পাওয়া – নতুন কিছু গ্রহণ করতে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া।
২. আবেগিক দুর্বলতা
- অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা – সহজেই কষ্ট পাওয়া বা হতাশ হয়ে পড়া।
- রাগ নিয়ন্ত্রণের অভাব – হঠাৎ রেগে যাওয়া বা বিরক্ত হয়ে যাওয়া।
- অন্যের উপর নির্ভরশীলতা – আত্মনির্ভরশীল হতে না পারা।
- ক্ষমা করতে না পারা – অতীতের ক্ষোভ ধরে রাখা।
৩. চারিত্রিক দুর্বলতা
- সিদ্ধান্তহীনতা – কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করা বা বারবার সিদ্ধান্ত বদলানো।
- অসততা – সত্য না বলা বা নিজের ভুল স্বীকার করতে না পারা।
- অতিরিক্ত আত্মকেন্দ্রিকতা – শুধু নিজের স্বার্থ দেখার প্রবণতা।
- পরিশ্রম করতে অনীহা – অলসতা বা কঠোর পরিশ্রম এড়িয়ে যাওয়া।
৪. সামাজিক দুর্বলতা
- লজ্জাশীলতা বা আত্মসচেতনতা – মানুষের সামনে সহজে কথা বলতে না পারা।
- মানুষের ওপর অতিরিক্ত নির্ভর করা – নিজে সিদ্ধান্ত নিতে না পারা বা সবসময় অন্যদের অনুমোদন চাওয়া।
- অপরকে সন্তুষ্ট করার প্রবণতা – নিজেকে ভুলে গিয়ে শুধু অন্যদের খুশি করার চেষ্টা করা।
৫. শারীরিক দুর্বলতা
- অল্প পরিশ্রমেই ক্লান্ত হয়ে যাওয়া – শারীরিকভাবে দুর্বলতা অনুভব করা।
- স্বাস্থ্যকর অভ্যাসের অভাব – অনিয়মিত ঘুম, ভুল খাদ্যাভ্যাস বা শরীরচর্চার অভাব।
প্রত্যেক মানুষের দুর্বলতা থাকে, কিন্তু সেগুলো চিহ্নিত করে কাজ করলে এগুলোই শক্তিতে পরিণত হতে পারে। আত্মউন্নতির মাধ্যমে ধীরে ধীরে দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।
- 59 views
- 1 answers
- 0 votes
I১. আর্থিক, মানসিক, শারীরিক ভাবে নিজেকে শক্তিশালী করুন।
২. পরিবারকে সময় দিন।
৩. বই পড়া অভ্যাস করুন।
৪. সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে (গান, কবিতা,ছবি আঁকা, নাচ) অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করুন।
৫. মানুষ ও পশুপাখিদের সাহায্য করুন।
৬. আপনার ফ্রি সময়েই একমাত্র সোস্যাল মিডিয়ায় আসুন।
৭. ভালো শ্রোতা চেষ্টা হওয়ার করুন ।
৮. রাগ, ইমোশন, যৌনতা (সময় ও স্থানভেদে) কন্ট্রোল করুন।
৯. ধনী বা দরীদ্র , ছেলে বা মেয়ে, সমকামী বা বিষমকামী সকলকে সন্মান করুন।
১০. মোবাইল, ল্যাপটপ, কম্পিউটারে গেম না খেলে। মাঠে গিয়ে খেলুন।
১১. ক্ষমা করতে শিখুন।
১২. শরীরচর্চা করুন।
১৩. পরিমাণ অনুসারে জল পান করুন।
১৪. হাসুন।
১৫. শুধুমাত্র পয়েন্ট গুলো না পড়ে , কথাগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন ।
- 56 views
- 1 answers
- 0 votes
ব্যবসায় উদ্যোক্তা (Entrepreneur) হতে হলে সঠিক পরিকল্পনা, দক্ষতা ও মনোবল প্রয়োজন। নিচে ধাপে ধাপে উদ্যোক্তা হওয়ার প্রক্রিয়া দেওয়া হলো—
১. সঠিক মানসিকতা তৈরি করুন
- উদ্যোক্তা হতে হলে ঝুঁকি নেওয়ার মানসিকতা থাকতে হবে।
- ব্যর্থতা থেকে শিখতে হবে এবং ধৈর্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে।
- আত্মবিশ্বাসী হন এবং নিজের ওপর বিশ্বাস রাখুন।
২. একটি নির্দিষ্ট ব্যবসায়িক ধারণা (Business Idea) বেছে নিন
- কোন সমস্যার সমাধান করতে চান তা ঠিক করুন।
- আপনার আগ্রহ, দক্ষতা ও বাজার চাহিদা মিলিয়ে আইডিয়া বাছাই করুন।
- প্রতিযোগিতা ও বাজার বিশ্লেষণ করুন।
৩. মার্কেট রিসার্চ করুন
- বাজারে চাহিদা কেমন তা যাচাই করুন।
- প্রতিযোগীদের কীভাবে কাজ করছে তা বুঝুন।
- সম্ভাব্য গ্রাহকদের চাহিদা ও প্রবণতা জানুন।
৪. ব্যবসায়িক পরিকল্পনা (Business Plan) তৈরি করুন
- লক্ষ্য নির্ধারণ করুন (স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি)।
- পণ্য বা পরিষেবার বিবরণ তৈরি করুন।
- আর্থিক পরিকল্পনা (বাজেট, বিনিয়োগ, মুনাফা ইত্যাদি) করুন।
৫. প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ সংগ্রহ করুন
- নিজস্ব সঞ্চয় ব্যবহার করতে পারেন।
- বিনিয়োগকারী খুঁজতে পারেন (Angel Investors, Venture Capitalists)।
- ক্ষুদ্র ঋণ, ব্যাংক লোন বা Crowdfunding প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারেন।
৬. ব্যবসার আইনি বিষয় ও লাইসেন্স নিশ্চিত করুন
- ট্রেড লাইসেন্স নিন।
- ট্যাক্স ও ভ্যাট রেজিস্ট্রেশন করুন।
- প্রয়োজনীয় সরকারি অনুমোদন ও নিয়মনীতি মেনে চলুন।
৭. পণ্য বা পরিষেবা উন্নত করুন
- বাজার চাহিদা অনুযায়ী পণ্য বা পরিষেবা উন্নয়ন করুন।
- মান নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করুন।
৮. মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং করুন
- ডিজিটাল মার্কেটিং ব্যবহার করুন (Facebook, Instagram, YouTube, Google Ads)।
- ওয়েবসাইট ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম তৈরি করুন।
- গ্রাহকদের জন্য আকর্ষণীয় অফার দিন।
৯. বিক্রয় কৌশল ও নেটওয়ার্কিং তৈরি করুন
- সরাসরি বিক্রয় ও অনলাইন বিক্রয়ের কৌশল তৈরি করুন।
- ভালো কাস্টমার সার্ভিস নিশ্চিত করুন।
- ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক তৈরি করুন (Networking & Collaboration)।
১০. উন্নতি ও সম্প্রসারণ করুন
- ব্যবসার অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করুন।
- নতুন বাজার ও সুযোগ খুঁজুন।
- প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলুন।
আপনার যদি নির্দিষ্ট কোনো ব্যবসায় আগ্রহ থাকে, তাহলে তা জানালে আমি আরও নির্দিষ্ট গাইডলাইন দিতে পারবো।
- 63 views
- 1 answers
- 0 votes
আমি বর্ণান্ধ। আমি পৃথিবীকে সাদা-কালো দেখতে পাই।
মজা করছিলাম। পৃথিবীকে আমি সাদা কালো দেখি না।
তবে, আমি সত্যিই বর্ণান্ধ। আমার লাল-সবুজ বর্ণান্ধতা আছে।
এখন জীবনের বড়ো ধাক্কার ঘটনায় আসি।
আমার যে বর্ণান্ধতা আছে সেটা কলেজে ভর্তি হওয়ার সময়েই জানতাম।
তখন কলেজের দ্বিতীয় বছরের শেষ সেমিস্টার চলছে। আমি ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং করছি। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি, দুর্গাপুর থেকে । কয়েকদিনের ছুটিতে বাড়িতে ছিলাম তখন। একদিন সকালে NTPC অর্থাৎ ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশনের একটি বিজ্ঞাপন দেখলাম। চাকরির নোটিফিকেশন।
আর তাতে লেখা আছে, “Candidates with any kind of colorblindness will not be eligible to apply… ” । সেটা দেখে তো আমার মাথা একদম ঘুরে গেলো।
মাথার উপর আকাশ ভেঙে পড়লো যেন। পায়ের নিচে থেকে যেন মাটি সরে গেলে যেমন হয় আর কী! যে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশুনা করছি সেই ইঞ্জিনিয়ারিং করে চাকরি পাবো না? কারণ আমি বর্ণান্ধ?
শুরু করলাম ইন্টারনেট ঘাঁটাঘাঁটি। সত্যিই কি ইলেকট্রিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরে চাকরি পাবো না? মোটামুটি দেড় বছর চললো এরকম রিসার্চ। ততদিনে বুঝতে পারলাম, বর্ণান্ধতা নিয়ে ইলেকট্রিকাল সেক্টরে আমি সত্যিই চাকরি পাবো না।
অধিকাংশ চাকরি জয়েন করার আগে মেডিকেল টেস্ট হবে আর সেখানে বর্ণান্ধতা থাকলে প্রার্থীপদ বাতিল হয়ে যাবে। আর তার কারণ হলো নিরাপত্তার সমস্যা।
যেমন ধরুন, আমি লাল-সবুজ বর্ণান্ধ। অর্থাৎ আমি কোথাও কোথাও লাল আর সবুজের মধ্যে পার্থক্য করতে পারি না। আর ইন্ডাস্ট্রিতে লাল আর সবুজকে এমার্জেন্সি অ্যালার্ম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাই সাধারণভাবে বর্ণান্ধ প্রার্থীকে মেডিকেল টেস্টে বাতিল করে দেওয়া হয়।
ভাবতে পারেন? একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে যে ইঞ্জিনিয়ারিং করতে এসেছিল, তাড়াতাড়ি একটা চাকরি পাওয়ার জন্যে, পরিবারকে আর্থিক দিক থেকে সাপোর্ট করার জন্যে, তার স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা মুহূর্তের মধ্যে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে গেলো।
বিভিন্ন কোম্পানির HR কে মেইল করতে লাগলাম। কোনো উত্তর আসতো না। ইন্টারনেটে সার্চ করেও খুব বেশি একটা তথ্য পাওয়া যেতো না। খুব কম মানুষই এই বর্ণান্ধতা সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল।
রাত্রি বেলা সবার আড়ালে কান্না করতাম। এক দুজন বন্ধু ছাড়া কাউকে বলতে পারি নি এটা। মা বাবা কে তো কোনোদিন বলতে পারিনি। কিই বা বলতাম। বর্ণান্ধতা- তারা কি বুঝতে পারবে? কি করে বুঝবে? যে বর্ণান্ধতা মাত্র ৮ শতাংশ লোকের হয়, তার সাথে কতজনের পরিচিতি হবে?
যাই হোক, কী আর করা। পথভ্রষ্ট হয়ে গেলাম। সামনে একেবারে অন্ধকার। একেকদিন উপরওয়ালাকে দোষ দিতাম। ভাবতাম পৃথিবীর আট শতাংশ লোকের মধ্যে আমাকেও কেন যুক্ত করা হলো। এত ‘স্পেশাল’ করা হল কেন? একেক দিন ভাবতাম SSC CGL পরীক্ষার জন্যে পড়াশুনা শুরু করে দেবো। একেক দিন ভাবতাম WBCS এর প্রস্তুতি নেবো। আবার এও মাথায় ঘুরতো এত কষ্ট করে ইঞ্জিনিয়ারিং করতে এসে নন-টেকনিক্যাল সেক্টরে চাকরি করব?
কিছুতেই কুলিয়ে উঠতে পারছিলাম না। কী করব বুঝতে পারছিলাম না।
তবে হ্যাঁ, একটা মৃদু আলো ছিলো। মোটামুটি দেড় বছর ইন্টারনেটে রিসার্চ করে এটা জানতে পেরেছিলাম IT সেক্টরে বর্ণান্ধতা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না। ওরা প্রার্থীদের মেডিকেল টেস্ট করে না।
আর সেই ক্ষীণ আশার আলো নিয়ে Coding শিখতে শুরু করলাম। যদি কোনো একটা জায়গায় চাকরি হয়ে যায়। ছোটোখাটো IT কোম্পানিতে হলেও হবে। কমপক্ষে মা বাবা কে তো বলা যাবে চাকরি পেয়েছি। কিছু টাকা তো বাড়িতে দিতে পারবো। কারণ, আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো সবাই। অর্থনৈতিক দিক থেকে আমার বাড়ি তখন খুবই দুর্বল।
যাই হোক, ইন্টারভিউ দিতে দিতে আর বাতিল হওয়ার ধাক্কা খেতে খেতে প্রথমে IBM কোম্পানিতে চাকরি হলো। প্যাকেজ খুব ভালো না। তবুও কিছু তো একটা হলো, এই ভেবে সান্ত্বনা দিলাম নিজেকে। আর এরকম ভাবে আরও কয়েকটা ইন্টারভিউ দিয়ে অষ্টম সেমিস্টারের শুরুতে চাকরি হলো একটা MNC তে। Qualcomm – Wikipedia (Qualcomm – Wikipedia) । হয়তো অনেকেই নাম শুনেছেন। অধিকাংশ মোবাইলের প্রসেসর তৈরী করে এই কোম্পানিটি। প্রসেসরের বাণিজ্যিক নাম Snapdragon চিপসেট।
এই ছিলো আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা। আর তার থেকে বেরিয়ে আসার গল্প।
তবে হ্যাঁ, জীবনের এই ধাক্কা অনেক কিছু দিয়েছে আমাকে। অনেক কিছু বুঝতে শিখিয়েছে আমাকে। বর্ণান্ধতা নিয়ে ইন্টারনেটে রিসার্চ করার সময়ে ইংলিশ Quora তে খুবই অ্যাক্টিভ ছিলাম। তখন অনেক উত্তর লিখতাম বর্ণান্ধতা বা Color Blindness নিয়ে। এতটাই রিসার্চ করেছিলাম আর ইংলিশ Quora তে উত্তর লিখছিলাম যে Color Vision Deficiency নামের যে টপিক আছে, সেই টপিকের Most Viewed Writer হিসেবে এখনো আমার নাম দেখানো হয়।
English Quora তে এখনো পর্যন্ত 100 জনেরও বেশি ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র আমাকে মেসেজ করে তাদের বর্ণান্ধতার কথা জানিয়েছে। গাইড নেওয়ার জন্যে যোগাযোগ করেছে। 100 জন সংখ্যাটা কম মনে হতে পারে, তবে এটাও মাথায় রাখা প্রয়োজন মাত্র আট শতাংশ মানুষের এই বর্ণান্ধতা হয়। তাদের মধ্যে কতজনই বা ইঞ্জিনিয়ারিং করে?
শেষে একটা ইংলিশ Quote দিয়ে লেখাটা শেষ করি। বিখ্যাত আমেরিকান ঔপন্যাসিক Cormac McCarthy লিখেছেন, “Anyway, you never know what worse luck your bad luck has saved you from…” যার তর্জমা করলে এরকম দাঁড়ায়, আমরা যেটাকে খারাপ সময় বা দূর্ভাগ্য বলি সেটাই হয়তো আমাদের জীবনে সর্বশ্রেষ্ঠ জিনিস এনে দেবে। সেই তথাকথিত সাময়িক দূর্ভাগ্য হয়তো আমাদের জীবন আরো নিকৃষ্ট হওয়ার পথ থেকে আগলে রাখে।
ধন্যবাদ।
সাবধানে থাকুন। সুস্থ থাকুন।
✍️ রশিদ (Rashid) (রশিদ (Rashid))
- 66 views
- 1 answers
- 0 votes
★ কম কথা বলার চেষ্টা করুন।
★ কিছু বলার পুর্বে হিসাব কষে নিন, লাভ হবে নাকি ক্ষতি হবে।
★ কথা বলার সময় গোঁজামিলের আশ্রয় নিবেন না।
★ ঠাট্টার ছলেও মিথ্যা বলবেন না।
★ জনসম্মুখে স্মার্টফোন ব্যবহার করবেন না।
★ নিজের প্রশংসা করবেন না।
★ এমন কিছু বলবেন না, যা নিজে করেন না।
★ সকলকে সম্মান দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
★ অন্যকে হেয় করার উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন না।
★ সন্দেহ মূলক কথা এড়িয়ে চলুন।
★ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সম্মান অর্জন করার চেষ্টা করবেন।
আশা করা যায় এগুলো করলে আপনার সম্মান আল্লাহ বাড়িয়ে দিবেন।
আমার লেখাগুলা ভালো লাগলে সাপোর্ট দিয়ে পাশে থাকবেন
- 55 views
- 1 answers
- 0 votes
ছোট ছোট পাপ/খারাপ কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখুন। একেবারে ছোট দিয়েই শুরু করুন। যেমন মিথ্যা কথা বলা বন্ধ করুন, অপচয় করা বন্ধ করুন, মানুষকে আঘাত দিয়ে কথা বলা বন্ধ করুন।
এর পরে খারাপ বা নিষিদ্ধ জিনিস ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। যেমন যদি কোন খারাপ কিছু পান করার অভ্যেস থাকে তাহলে সেটা আস্তে আস্তে ছেড়ে দিন। সূদ খেলে বা সূদ দিলে তা থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করুন।
অতীতে’র কোন কথা বা ব্যবহারে কারো সাথে মনোমালিন্য হলে তার থেকে মাফ চেয়ে আসুন। কথা বলুন, কথা শুনুন। আত্মীয়দের সাথেও সম্পর্ক ঠিক করুন। প্রতিদিন মায়ের সাথে যথাসম্ভব মন খুলে কথা বলুন।
এক্সট্রিম লেভেলের শান্তি হিসেবে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামের মতো শো অফ করার পথগুলো বন্ধ করুন। অপ্রয়োজনীয় বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ কমিয়ে দিন। বই পড়া শুরু করুন। বিতর্কিত টপিক্স এড়িয়ে চলুন।
- 55 views
- 1 answers
- 0 votes
বর্তমানে অনলাইনে অনেক লাভজনক ব্যবসার সুযোগ রয়েছে। আপনার দক্ষতা, বিনিয়োগের পরিমাণ, ও সময় অনুযায়ী সঠিক ব্যবসাটি বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। কিছু লাভজনক অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া নিচে দেওয়া হলো:
১. ই-কমার্স ও ড্রপশিপিং
- নিজস্ব ই-কমার্স স্টোর খুলতে পারেন (Shopify, WooCommerce)।
- ড্রপশিপিং মডেলে ব্যবসা করলে পণ্য মজুদ করতে হবে না, সরাসরি সরবরাহকারীর কাছ থেকে ক্রেতার কাছে পাঠানো যাবে।
২. ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি
- ই-বুক, কোর্স, ডিজিটাল টেমপ্লেট (CV, Resume, Invitation card), ওয়েবসাইট থিম ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন।
- প্ল্যাটফর্ম: Gumroad, Teachable, Udemy, Etsy।
৩. ফ্রিল্যান্সিং ও সার্ভিস বেইজড বিজনেস
- গ্রাফিক ডিজাইন (Logo, Vector Tracing, UI/UX Design)
- কনটেন্ট রাইটিং ও কপিরাইটিং (SEO Writing, Blog Writing)
- ডিজিটাল মার্কেটিং (Facebook Ads, SEO, Google Ads)
- ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ও প্রোগ্রামিং (WordPress, Shopify, App Development)
৪. এফিলিয়েট মার্কেটিং
- Amazon, ClickBank, বা CJ Affiliate-এর মাধ্যমে কমিশন ভিত্তিক পণ্য বিক্রি করতে পারেন।
- ব্লগিং বা ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে প্রচার করা যায়।
৫. ইউটিউব ও কনটেন্ট ক্রিয়েশন
- ইউটিউব, টিকটক, বা ইনস্টাগ্রামে কনটেন্ট তৈরি করে মনিটাইজ করতে পারেন।
- স্পন্সরশিপ, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও কোর্স বিক্রি করে আয় করা সম্ভব।
৬. প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড (POD)
- নিজস্ব ডিজাইন তৈরি করে টি-শার্ট, মগ, পোস্টার, ব্যাগ, ফোন কেস ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন।
- প্ল্যাটফর্ম: Printify, Redbubble, Teespring।
৭. অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট ও সফটওয়্যার সার্ভিস
- মোবাইল অ্যাপ, ওয়েব অ্যাপ বা SaaS (Software as a Service) ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
৮. স্টক ফটোগ্রাফি ও মোবাইল ফটোগ্রাফি বিক্রি
- Shutterstock, Adobe Stock, Alamy-তে ছবি বিক্রি করতে পারেন।
৯. অনলাইন কোচিং ও মেন্টরশিপ
- একাডেমিক টিউশন, ক্যারিয়ার কোচিং, সফট স্কিলস প্রশিক্ষণ ইত্যাদি করতে পারেন।
- প্ল্যাটফর্ম: Zoom, Google Meet, Udemy, Skillshare।
১০. সাবস্ক্রিপশন ভিত্তিক ব্যবসা
- পেইড মেম্বারশিপ ও এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট বিক্রি করতে পারেন (Patreon, Substack)।
আপনার স্কিল, আগ্রহ ও বিনিয়োগ ক্ষমতা অনুযায়ী উপযুক্ত ব্যবসা বেছে নিন। যদি কোনো নির্দিষ্ট ব্যবসা নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান, তাহলে বলুন!
- 55 views
- 1 answers
- 0 votes
মানসিক চাপ কমানোর কিছু সহজ ও কার্যকর উপায় হলো—
১. শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম করুন
গভীর শ্বাস নেওয়া ও ধীরে ধীরে ছাড়ার মাধ্যমে শরীরে অক্সিজেনের প্রবাহ বাড়ে এবং মস্তিষ্ক শান্ত হয়। ৪-৭-৮ শ্বাস-প্রশ্বাসের পদ্ধতি চেষ্টা করতে পারেন (৪ সেকেন্ড শ্বাস নিন, ৭ সেকেন্ড ধরে রাখুন, ৮ সেকেন্ডে ছাড়ুন)।
২. পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
ঘুমের অভাব মানসিক চাপ বাড়ায়। প্রতিদিন ৭-৯ ঘণ্টা গভীর ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম নেওয়ার চেষ্টা করুন।
৩. শরীরচর্চা করুন
নিয়মিত হাঁটা, দৌড়ানো বা যোগব্যায়াম মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। ব্যায়াম করলে এন্ডরফিন নামক “হ্যাপি হরমোন” নিঃসৃত হয়, যা মন ভালো রাখতে সহায়ক।
৪. সংগীত শুনুন
শান্ত ও মৃদু সুরের সংগীত শোনা মানসিক প্রশান্তি এনে দিতে পারে। বিশেষ করে প্রাকৃতিক শব্দসমৃদ্ধ সংগীত ভালো ফল দিতে পারে।
৫. পছন্দের কাজ করুন
যা করতে ভালো লাগে (যেমন বই পড়া, আঁকাআঁকি, বাগান করা), সেসব কাজে নিজেকে ব্যস্ত রাখলে মানসিক চাপ কমে।
৬. মেডিটেশন ও যোগব্যায়াম চর্চা করুন
প্রতিদিন ১০-১৫ মিনিট ধ্যান করলে মানসিক শান্তি বাড়ে এবং দুশ্চিন্তা কমে যায়।
৭. পরিবারের ও বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান
প্রিয়জনদের সঙ্গে কথা বলা বা সময় কাটানো মানসিক প্রশান্তি দেয় এবং একাকীত্ব দূর করে।
৮. পুষ্টিকর খাবার খান
সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন, বিশেষ করে ফল, সবজি, বাদাম ও পর্যাপ্ত পানি পান করুন। ক্যাফেইন ও অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার কমানোর চেষ্টা করুন।
৯. সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিরতি নিন
অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা মানসিক চাপের কারণ হতে পারে। তাই মাঝে মাঝে ডিজিটাল ডিটক্স করুন।
১০. ইতিবাচক চিন্তা করুন ও কৃতজ্ঞ থাকুন
প্রতিদিন অন্তত তিনটি ভালো বিষয়ের কথা লিখুন, যেগুলোর জন্য আপনি কৃতজ্ঞ। এতে মন ভালো থাকবে এবং নেতিবাচক চিন্তা কমবে।
এই পদ্ধতিগুলো মেনে চললে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে যাবে। আপনি কোন পদ্ধতিটি চেষ্টা করতে আগ্রহী?
- 61 views
- 1 answers
- 0 votes
ব্যবসা শুরু করতে ব্যবসায়ী হয়ে জন্মাতে হয় না। ব্যবসা শুরু করতে একটি ব্যবসায়ী মানসিকতা লাগে। আপনার যদি ব্যবসায়ী মানসিকতা থাকে দেখবেন আপনার চারপাশের পরিবেশ থেকে আপনার জন্য ব্যবসায়ী সারঞ্জাম আপনার মাথায় চলে এসেছে।
মূলত আমরা ভাবি ব্যবসা হয় পরিশ্রমে। মূলত ব্যবসা হয় ব্রেইনে। মানুষের মাথার ভেতরে ব্যবসা।আপনি যখন ব্যবসায়ী মানসিকতার হবেন তখন আপনি ২০০০ টাকার একটি পণ্য কিনে দামের হিসেব না করে তখন ভাববেন আপনি এই পণ্যটি কত টাকায় উৎপাদন করতে পারবেন এবং ২০০০ টাকা বিক্রি করলে কত টাকা লাভ থাকবে। আপনি এক কেজি ফল কিনে ৩০০ টাকা বিল দিয়ে চলে না গিয়ে হিসেব করবেন এক কেজি ফল ২৫০ টাকায় কিনে ৩০০ টাকায় বিক্রি করে সব খরচ বাদ দিলে আপনার কত টাকা লাভ থাকবে? দিনে ৩০ কেজি ফল বিক্রি করলে মাসশেষে কত টাকা আয় হবে।
আপনি কী ব্যবসা করবেন, কোনটি দিয়ে শুরু করবেন সেটা আপনার চেয়ে বেশি কেউ জানে না। আপনার ব্রেইনের কাছে জিজ্ঞেস করেন। সে আপনাকে সঠিক পথ দেখিয়ে দেবে। তবে আমি আপনাকে কিছু গাইডলাইন দিচ্ছি।
বাজার চাহিদা
যে ব্যবসাই করুন না কেন বাজারে বা আপনার ক্রেতামহলে তার চাহিদা কতটুকু আর অন্য ব্যবসায়ীরা কতটুকু পূরণ করতে পারছে তা আপনাকে বের করতে হবে। এখানে যত বেশি গ্যাপ থাকবে তত বেশি আপনার লাভবান হওয়ার চান্স থাকবে।
কোয়ালিটি
বাঙালি সস্তা খোঁজে এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসুন। বর্তমানে কোয়ালিটিফুল প্রোডাক্ট দিয়ে ব্যবসা না করলে দীর্ঘদিন ব্যবসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না।
ধৈর্য্য
আপনার ধৈর্য্য না থাকলে আপনি ব্যবসা করতে পারবেন না। দেখবেন আপনার বন্ধু শিক্ষাজীবন শেষ করে ৩০ হাজার টাকা বেতনের চাকরি করছেন আর আপনি মাসশেষে ৫ হাজারে আটকে আছেন। ধৈর্য্য ধরে থাকুন। ৫ হাজার থেকে এক লক্ষ হতে শুধু সময়ের ব্যবধান।
এই যে ধরুণ আমি আমার ই-কমার্স সাইটটা নিয়ে কাজ করছি ২ বছর ধরে। শুরুতে কেউ সায় দিতো না। মাঝেমধ্যে অর্ডার পেতাম, মাঝেমধ্যে কোনো অর্ডার ছিল না। এখন বেশ ভালো করছি। ডায়বেটিস রোগীদের নিয়ে আমি কাজ করছি।
তাই লেগে থাকুন। একসময় ব্যবসা হবেই।
লেখাটি ভালো লাগলে আপভোট দিয়ে ফলো করে সাথে থাকুন। ধন্যবাদ।
- 63 views
- 1 answers
- 0 votes
নতুন ব্যবসার জন্য এমন কিছু আইডিয়া দিতে পারি যা কম মূলধনে শুরু করা যায় এবং অনলাইনে বা অফলাইনে চালানো সম্ভব। আপনার আগ্রহ ও দক্ষতার কথা মাথায় রেখে নিচের আইডিয়াগুলো দেওয়া হলো—
অনলাইন ব্যবসার আইডিয়া:
- ব্লগিং ও এফিলিয়েট মার্কেটিং: নিজের ব্লগ তৈরি করে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ও গুগল অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয় করা।
- কন্টেন্ট রাইটিং সার্ভিস: বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ব্লগ, এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সির জন্য লেখা তৈরি করা।
- ই-কমার্স (ড্রপশিপিং বা প্রিন্ট-অন-ডিমান্ড): বিনা স্টকেই প্রোডাক্ট বিক্রি করা যায়।
- ফ্রিল্যান্সিং: কপি রাইটিং, SEO, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন বা ওয়েব ডেভেলপমেন্টের কাজ করা।
- ইউটিউব চ্যানেল: ইনফরমেটিভ বা এডুকেশনাল ভিডিও বানিয়ে মনিটাইজ করা।
- সাইবার সিকিউরিটি কনসালটেন্সি: ইথিক্যাল হ্যাকিং শিখে সিকিউরিটি অডিট ও পরামর্শ দেওয়া।
অফলাইন ব্যবসার আইডিয়া:
- সিকিউরিটি এজেন্সি: নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে প্রফেশনাল নিরাপত্তা সেবা দেওয়া।
- স্টার্টআপ কফি শপ বা ছোট ফুড বিজনেস: জনপ্রিয় খাবার বা কফি ব্যবসা চালানো।
- বইয়ের দোকান বা লাইব্রেরি ক্যাফে: পাঠকদের জন্য ক্যাফেসহ বই পড়ার স্থান তৈরি করা।
- হোম সার্ভিস বিজনেস: ইলেকট্রিশিয়ান, প্লাম্বার, বা ক্লিনিং সার্ভিসের মতো সেবা দেওয়া।
- লোকাল লজিস্টিক বা কুরিয়ার সার্ভিস: অনলাইন শপগুলোর জন্য ডেলিভারি সেবা প্রদান করা।
- পোল্ট্রি বা মাছের খামার: দেশি ব্রয়লার মুরগি বা মাছ চাষের ব্যবসা।
- অর্গানিক কৃষি ও হাইড্রোপনিক্স: শহরে বা গ্রামে অর্গানিক সবজি বা মাশরুম চাষ করা।
আপনার আগ্রহ কোন দিকে? অনলাইন, অফলাইন, নাকি দুটোই?
- 54 views
- 1 answers
- 0 votes