10773
Points
Questions
23
Answers
5384
বিনোদন বিনা জীবন সে তো রসহীন, প্রাণহীন, সৌন্দর্যহীন। বিনোদন আমাদের আত্মার খাবার। বিনোদন আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। বিনোদন আমাদের সুখে রাখে। বিনোদন আমাদের আত্মার উন্নতি সাধন করে।
তবে এক্ষেত্রে বিনোদনের ধরন নিয়ে ভাবা প্রয়োজন। আমার মতে, বিনোদন দুই প্রকার। এক – সস্তা বিনোদন, ২। উন্নত বিনোদন। সস্তা বিনোদন প্রেরণা; উন্নত বিনোদন অনুপ্রেরণা। প্রেরণা আমাদের অন্ধ করে; অনুপ্রেরণা আমাদের আলোকিত করে।
সস্তা বিনোদন বলতে আমি যা বুঝি —
- বাজে ভিডিও দেখা।
- বাজে গল্প করা।
- অনলাইন গেম খেলা।
- সোশ্যাল মিডিয়াতে অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা,
- অতিরিক্ত মুভি দেখা, ইত্যাদি।
উন্নত বিনোদন বলতে আমি যা বুঝি —
- বই পড়া।
- লেখালেখি করা।
- ভ্রমণ করা।
- গান শোনা।
- আবৃত্তি করা।
- অফলাইন খেলাধুলা করা।
- ছবি আঁকা
- ইউটিউবিং করা, ইত্যাদি।
যদি অবসরের জন্য সস্তা বিনোদন বাছাই করেন তবে আপনার জীবন হবে সস্তা। আপনার অন্তর্দৃষ্টি, কোনো কিছুর গভীরে যাওয়ার ক্ষমতা, আত্মার সমৃদ্ধি হবে না। আপনার জীবন হবে বিষাদময়। সুখের সন্ধান পাওয়া যাবে না। লোভ আর প্রতিযোগিতার মনোভাব তৈরি হবে। আপনার অন্তরাত্মা ঘন কালো মেঘে ঢাকা থাকবে, সূর্যের আলো প্রবেশ করতে পারবে না। আপনি থাকবেন অন্ধকারে আচ্ছন্ন।
আর যদি অবসরের জন্য উন্নত বিনোদন বাছাই করেন তবে আপনার জীবন হবে উন্নত। আপনার অন্তর্দৃষ্টি, কোনোকিছুর গভীরে যাওয়ার ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, আত্মার সমৃদ্ধি হবে। জীবন হবে সুখময়। সবকিছুতে সৌন্দর্য সৃষ্টি করতে পারবেন, আর সেই সৌন্দর্য আপনাকে আলোকিত, পুলকিত করবে প্রতি প্রাতে সূর্যের মতো।
যদি আমায় কেউ প্রশ্ন করেঃ পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ তিনটা বিনোদনের নাম বল???
আমি বলবঃ বই পড়া, লেখালেখি করা এবং ভ্রমণ করা।
এজন্য আমি সবাইকে বলতে চাই, আপনারা আপনাদের অবসর সময়ে উন্নত বিনোদন বাছাই করুন। এতে আপনার জীবন সুন্দর হবে, উন্নত হবে।
শ্রী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাথে সুর মিলিয়ে আমি বলব, অবিরত বাতাসে বলে যাব বর্তমান প্রজন্মের কানে কানে ———
অন্তর মম বিকশিত করো, অন্তরতর হে। নির্মল করো, উজ্জ্বল করো, সুন্দর করো হে।
আমার অবসরের বিনোদন পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিনোদন। বই আমার বউ, লেখালেখি আমার আত্মা, ভ্রমণ আমার শ্বশুরবাড়ি। আর ইউটিউবিং করি বইপোকা তৈরি করতে। সবই আমার আত্মা। আমার আত্মার অঙ্গ।
মহাসুখি, কোনো ধনকুব কোনোদিন, পারিবে না আমারে ধরিতে। আমি আলোকিত, পুলকিত প্রতি প্রাতে সূর্যের মতো।
- 40 views
- 1 answers
- 0 votes
প্রকৃতভাবে সুখী হতে হলে কিছু মৌলিক উপাদান প্রয়োজন। এগুলো মানুষের মনোভাব, জীবনযাপন, সম্পর্ক এবং অন্তর্দৃষ্টি থেকে উদ্ভূত হয়। কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো:
- আন্তরিক সম্পর্ক: পরিবারের সদস্য, বন্ধু, এবং ভালোবাসার মানুষের সাথে সৎ ও আন্তরিক সম্পর্ক সুখী জীবন গঠনে সহায়তা করে।
- নিজেকে জানার চেষ্টা: নিজের দুর্বলতা এবং শক্তি জানলে, নিজের প্রতি সদয় হওয়া এবং আত্মবিশ্বাসী
- 48 views
- 1 answers
- 0 votes
মুদ্রার দুই পিঠের মতো জীবনের দুই পিঠ। সুখ আর দুঃখ। একটা ছাড়া আরেকটাকে চিন্তা কি করা যায়? আমারতো মনে হয় না। অনেকেই আজকাল বলে আমি সর্বদা সুখে থাকি। মনকে ওই স্তরে নিয়ে গিয়েছি যেখান দুঃখের প্রবেশাধিকার নেই। আমার মনে হয় এটা জগতের সবচেয়ে বড় মিথ্যা কথা। বেঁচে থাকা মানেই উত্থান আর পতন, সুখ আর দুঃখ। জীবন অনন্তকালের জন্য আপনাকে যেকোনো একটা দিবে না। যে লোক সবকিছু হারিয়ে শেষ হয়ে গিয়েছে, বেঁচে থাকার সাহাস করে টিকে থাকলে জীবন থাকেও সুখ দেখাবে৷ যে মানুষটার জীবন পিকচার পারফেক্ট, জীবন চোখের পলকে তাকে দুঃখের মহাসমুদ্রে ঠেলে দিতে পারে।
জীবিত মানুষের বিপি দেখেছেন? একবার উপরে ওঠে একবার নীচে নামে। আর মৃত মানুষের পালস দেখেন সোজাসাপ্টা লাইন। বেঁচে থাকার মানেও আমাদের হার্টবিটের মতোন। কখনো উঠছে কখনো নামছে। পালস যদি সোজাসাপটা হয়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে আমি আর বেঁচে নেই।
আমি নিজেকে সুখি মনে করি কি? নাহ। তাহলে কি দুঃখি মনে করি? তাও না। আমি মনে করি আমি বেঁচে আছি। যদিও আজকাল সেটা নিয়ে আমি সন্দিহান হয়ে পড়ি। সত্যি বেঁচে আছিতো? নাকি হ্যান্ডমেইডস টেলের অফরেডের মতো বলে ফেলা উচিত “The life I am living is a paranoid delusion”!
আপনার প্রশ্নের উত্তর খুব স্পেসিফিক ভাবে বললে বলা যায় আমি নিজেকে ক্ষেত্রবিশেষে সুখী মনে করি আর বেশিরভাগ সময় দুঃখবিলাসে ভেসে বেড়াই। আর দশজনের সাথে আমার পার্থক্য নেই।
আমার মধ্যে সুখে থাকার কোনো রহস্য নেই। আর দশজনের মতোই। ধুরুন আজকে একজন ইনবক্সে আমার লিখা নিয়ে খুব সুন্দর একটা মন্তব্য করেছেন। আমি অসম্ভব খুশি হয়েছি। আবার আজকেই হটাৎ করে আবার মনে হলো, কিছুদিন আগে খুব সুন্দরভাবে একজন আমাকে ইগনোর করে আমার প্রকৃত অবস্থান দেখিয়ে দিয়েছে, হটাৎ একটু কষ্ট লেগেছে। তাহলে আজকের দিনে আমি কি সুখি না দুখী? আমি আসলে আজকে সাধারন আরেকটা মুখ। আমি প্রতিদিনই সাধারন আরেকটা মুখ। আমার মধ্যে কোনো রহস্য নেই।
আপনি যত পজিটিভ মানুষই হোন, আমি সবসময় সুখী একটা ডাহা মিথ্যে কথা। আপনার একজন প্রিয় মানুষ আপনাকে ছেড়ে চলে গেলে আপনার পজিটিভ জ্ঞান কি সেই শুন্যতা পূরণ করতে পারবে? কষ্ট লাগবে না? অবশ্যই লাগবে। আমাদের একটা দিনে কষ্ট লাগার মতো অনেক জায়গা থাকে। মানুষ হয়ে জন্মেছি এর থেকে মুক্তি নেই। এবং কষ্টমুক্ত হওয়াও আসলে উচিত নয়। আজীবন সুখে থাকলে, সেটা আসলে একসময় মিনিংলেস হয়ে পড়বে।
ধন্যবাদ।
আবার দেখা হবে।
- 49 views
- 1 answers
- 0 votes
চিন্তা-ভাবনা, বই পড়া, আর লেখালেখি— এই তিনটে বা এর যে কোনো একটাও যদি কারও অবসর যাপনের উপায় হয় তবে তাঁর একাকীত্ব ভালো লাগবে এমনটাই স্বাভাবিক । আমার অভিজ্ঞতায় একা থাকতে কিংবা সময় কাটাতে ভালো লাগে শুনে বিস্মিত হতে একমাত্র বহির্মুখীদের দেখেছি (যদিও আমি অন্ততঃ একজন বহির্মুখী মানুষকে জানি যে মানুষের সঙ্গের পাশাপাশি একা সময় কাটাতেও ভালোবাসে, তাই সবাইকেই একইরকম মনে করা উচিত নয়) । হয়তো অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক কারণ নিজে অন্তর্মুখী না হলে অন্তর্মুখীদের কিছু আচরণ, যথা তাঁদের একাকীত্বপ্রিয়তা, রহস্যময় বলে মনে হতেই পারে ।
বলা বাহুল্য, এর মধ্যে আদৌ রহস্যময় কিছু নেই । একাকীত্বপ্রিয় মানুষেরা মূলত তাঁদের মনের জগতে বিচরণ করতে ভালোবাসে । বাহ্যিক জগতের আবেদন যে তাঁরা অনুভব করে না এমন নয় কিন্তু মনোজগতে সময় কাটানোটা তাঁদের কাছে ঘরে ফেরার মতো, আর কথাতেই বলে “There’s no place like home.”
- 50 views
- 1 answers
- 0 votes
নিনজা টেকনিক? 😉
হ্যাঁ, একটা নিনজা টেকনিক আছে বৈ কি!
যখন অন্য কারুর প্রতি কোনো ব্যক্তির আচরণে ক্ষুব্ধ হই, তখন খুব জোরে একটা দীর্ঘশ্বাস নি। আর নিজেকে বলি,
“এই ঘটনা আমায় নিয়ে নয়। এই ক্ষেত্রে চুপ করে থাকাই শ্রেয়। কারণ আমি দুটো কথা বললে, কারুর আচরণ সাময়িক ভাবে পরিবর্তিত হলেও, কোনো ব্যক্তির মানসিকতা পরিবর্তন করার সাহস বা ক্ষমতা আমার নেই। সুতরাং নিজের শান্তি রক্ষার জন্য আমি চুপ করে থাকবো।”
যদি কোনো ব্যক্তির আমার প্রতি আচরণে আমি ক্ষুব্ধ হই, তাহলেও দীর্ঘশ্বাস নি। আর তারপর নিজেকে বলি,
“এই সময়ে আমার মতো, সেও রেগে আছে। তাই এখন কিছু বললেও সে তার বিবেক দিয়ে বিবেচনা করতে পারবে না, আর উল্টে আরো গন্ডগোল হতে পারে। রাগের মাথায় তাই আমি কিছু বলব না। আমার শান্তি আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ।”
আমার কয়েকটা কথা শুনে মনে হতেই পারে যে এই ভাবনা স্বার্থপর। হ্যাঁ, স্বার্থপর হতেই পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্বার্থপর হতে হয়।
আমি যখন ছোট ছিলাম, আমি খুব সহজে রেগে যেতাম। আর চুপ করে থাকতাম না। রাগের মাথায় যা মনে হত বলে দিতাম। মা চিরকাল আমায় বোঝাতেন যে কিছু কিছু ক্ষেত্রে চুপ করা মানেই জিতে যাওয়া। কিন্তু ওই যে, ছোট ছিলাম। তাই ভাবতাম চুপ করে যাওয়া মানে হেরে যাওয়া।
এই লকডাউনে আমি নিজেকে অনেকটা বদলাতে পেরেছি। মানসিক শান্তিকে গুরুত্ব দিয়ে নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখেছি।
আমি সবসময়ে নিজের মধ্যে এই গুণটা আয়ত্ত করার চেষ্টা করতাম। এমন একটা মানুষ হতে চাইতাম, যে নিজের আবেগের বশে নিজের শান্তি বিঘ্নিত না করে। বিভিন্ন মনোবিজ্ঞানের বই পড়ে, আমি এই পরিবর্তন আনতে অনেকটা সফল হয়েছি।
হ্যাঁ, আমি এখনো রেগে যাই, খুব স্বাভাবিক ভাবেই। কিন্তু রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। নিজের শান্তিকে গুরুত্ব দিতে পারি। আর কিছু কিছু ক্ষেত্রে নীরবতাকে জয় হিসেবে দেখতে পারি, বিশেষ করে যেখানে কথা বলা নিরর্থক। (ব্যতিক্রম অবশ্যই রয়েছে।)
- 45 views
- 1 answers
- 0 votes
সফলতা পাওয়ার জন্য কিছু মূলনীতি অনুসরণ করা দরকার, যা ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে অগ্রগতির জন্য সহায়ক। এখানে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ধাপ দেওয়া হলো:
১. নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
আপনার স্বপ্ন ও লক্ষ্য কী, তা পরিষ্কারভাবে ঠিক করুন। লক্ষ্য স্পষ্ট হলে পরিকল্পনা করা সহজ হয়।
২. পরিকল্পনা ও সময় ব্যবস্থাপনা
- স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা তৈরি করুন।
- সময়কে সঠিকভাবে কাজে লাগান।
- প্রতিদিনের কাজের তালিকা তৈরি করে তা অনুসরণ করুন।
৩. কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়
- সফলতা রাতারাতি আসে না, কঠোর পরিশ্রম ও ধৈর্য ধরে কাজ করতে হয়।
- ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিন এবং হাল ছাড়বেন না।
৪. দক্ষতা উন্নয়ন করুন
- আপনার ক্ষেত্রের প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করুন।
- নতুন কিছু শেখার মানসিকতা রাখুন।
৫. ইতিবাচক মনোভাব ও আত্মবিশ্বাস
- নিজেকে বিশ্বাস করুন এবং সবসময় ইতিবাচক চিন্তা করুন।
- নেতিবাচক মানুষ ও পরিবেশ এড়িয়ে চলুন।
৬. নেটওয়ার্কিং ও সঠিক পরিবেশ
- সফল মানুষদের সঙ্গে মেলামেশা করুন এবং তাদের কাছ থেকে শিখুন।
- ভালো পরামর্শদাতা বা মেন্টর খুঁজে নিন।
৭. নিয়মিত উন্নতি করুন
- প্রতিদিন নিজেকে একটু একটু করে ভালো করার চেষ্টা করুন।
- আত্মসমালোচনা করুন এবং ভুলগুলো শুধরে নিন।
আপনার জীবনের লক্ষ্য কী? আপনি কোন ক্ষেত্রে সফল হতে চান?
- 46 views
- 1 answers
- 0 votes
- আত্ম বিশ্বাস বৃদ্ধি: নিজের প্রতি বিশ্বাস রাখা এবং নিজেকে ভালোভাবে জানার চেষ্টা করা। এতে আত্মসম্মান এবং সুখ বৃদ্ধি পায়।
- মানসিক শান্তি: স্ট্রেস এবং উদ্বেগ থেকে মুক্ত থাকার জন্য ধ্যান বা শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করা। এতে মানসিক শান্তি আসে।
- ধন্যবাদ জানানো: প্রতিদিন যে সব ভালো জিনিস ঘটছে তার জন্য কৃতজ্ঞ থাকা। এতে সুখের অনুভূতি বেশি হয়।
- স্বাস্থ্য সচেতনতা: শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম, পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করা এবং পর্যাপ্ত ঘুমানো।
- ভালো সম্পর্ক: অন্যদের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা, পরিবারের সদস্যদের এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানো।
- নতুন কিছু শিখতে চেষ্টা করা: নিজেকে নতুন অভিজ্ঞতায় উদ্বুদ্ধ করা, এটি মানসিক স্বস্তি এবং সন্তুষ্টি আনতে সাহায্য করে।
- আত্মসন্তুষ্টি: যেসব কাজ আপনি ভালোবাসেন এবং উপভোগ করেন, সেগুলোর প্রতি মনোযোগ দেয়া।
সুখী হওয়ার কোনো নির্দিষ্ট পথ নেই, কিন্তু যদি এই অভ্যাসগুলো জীবনে অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তবে সুখের অনুভূতি বৃদ্ধি পেতে পারে।
- 48 views
- 1 answers
- 0 votes
জ্ঞান এবং বুদ্ধি একই জিনিস নয়, যদিও তারা সম্পর্কিত। তাদের মধ্যে কিছু মৌলিক পার্থক্য রয়েছে:
জ্ঞান (Knowledge): জ্ঞান হলো তথ্য, অভিজ্ঞতা এবং শেখার মাধ্যমে অর্জিত বিষয়। এটি সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ের গভীরতা ও বোঝাপড়ার উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে। জ্ঞান হতে পারে বই, শিক্ষামূলক কার্যক্রম, বা সরাসরি অভিজ্ঞতার মাধ্যমে অর্জিত। উদাহরণস্বরূপ, আপনি যদি পদার্থবিজ্ঞান শিখে থাকেন, তবে এটি আপনার জ্ঞান।
বুদ্ধি (Intelligence): বুদ্ধি হলো চিন্তা, সমস্যা সমাধান, এবং নতুন পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা। এটি আপনার মানসিক ক্ষমতা বা চিন্তা করার পদ্ধতি। বুদ্ধি সাধারণত মেধা বা চিন্তা করার দক্ষতা হিসেবে দেখা হয়, যা দ্রুত পরিস্থিতি বুঝতে এবং সমাধান বের করতে সাহায্য করে। উদাহরণস্বরূপ, আপনার যদি একটি কঠিন সমস্যা সমাধান করার দক্ষতা থাকে, তবে এটি আপনার বুদ্ধি।
পার্থক্য:
- জ্ঞান হল শেখা ও অভিজ্ঞতা অর্জনের মাধ্যমে পাওয়া তথ্য, কিন্তু বুদ্ধি হল সেই তথ্যকে বিশ্লেষণ ও কাজে লাগানোর দক্ষতা।
- জ্ঞান সময়ের সাথে বৃদ্ধি পায় এবং এটি বিশেষ কোনো বিষয়ে গভীর বোঝাপড়া তৈরি করে, যেখানে বুদ্ধি হলো দ্রুত এবং কার্যকরীভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা, যা যে কোনো পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য হতে পারে।
এটি বলা যায় যে, জ্ঞান
তথ্যের ভান্ডার এবং বুদ্ধি সেই তথ্যকে কাজে লাগানোর দক্ষতা।
- 54 views
- 1 answers
- 0 votes
স্মার্টনেস শুধু বুদ্ধিমত্তার বিষয় নয়, এটি ব্যক্তিত্ব, আত্মবিশ্বাস, জ্ঞান এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতার সমষ্টি। স্মার্ট হওয়ার জন্য আপনাকে সবসময় জিনিয়াস হতে হবে না; বরং কিছু সহজ কৌশল অনুসরণ করলেই স্মার্ট ব্যক্তিত্ব গড়ে তোলা সম্ভব। এই নিবন্ধে স্মার্ট হওয়ার কয়েকটি কার্যকরী এবং বাস্তবসম্মত উপায় আলোচনা করা হলো। (আরও)
১. জ্ঞান বৃদ্ধি করুন
জ্ঞানী ব্যক্তি স্বাভাবিকভাবেই স্মার্ট হয়ে ওঠেন। তাই আপনার প্রতিদিন কিছু না কিছু শেখার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- প্রতিদিন নতুন কিছু পড়ার চেষ্টা করুন।
- ইতিহাস, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি ও সাধারণ জ্ঞানের উপর নিয়মিত পড়াশোনা করুন।
- পডকাস্ট শুনুন এবং শিক্ষামূলক ভিডিও দেখুন।
- বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন, বিশেষত আত্মউন্নয়ন ও সৃজনশীল চিন্তা বিষয়ক বই।
২. যথাযথভাবে কথা বলার দক্ষতা বাড়ান
স্মার্ট ব্যক্তিদের একটি গুরুত্বপূর্ণ গুণ হলো তারা কীভাবে কথা বলেন।
- কথা বলার সময় আত্মবিশ্বাস… বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন
একটি আপভোট দিয়ে পাশেই থাকবেন 🙂
- 47 views
- 1 answers
- 0 votes
- নিজের সাথে অন্য কারুর (বিশেষ করে সমবয়সী বন্ধুদের) তুলনা।
- এই অভ্যাসটি খুব খারাপ এবং অস্বাস্থ্যকর। হাতের পাঁচটা আঙুল যেমন সমান নয়, ঠিক তেমন মানুষও একে অপরের থেকে আলাদা। তাই নিজের সাথে অপরের তুলনা করলে কোনো লাভ তো হয়ই না, বরং হীনমন্যতার কারণে ক্ষতি হয়।
- দীর্ঘসূত্রতা।
- গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলি ‘পরে করব’ বলে সরিয়ে রাখাকে ইংরেজি ভাষায় বলা হয় প্রক্রাস্টিনেশন (procrastination)। প্রতিদিন সকালবেলায় এলার্ম-এর আওয়াজ পেলে সেই এলার্ম আবার কিছু সময়ের জন্য পিছিয়ে দেওয়া ও এইভাবে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠব ভেবে দশটায় ঘুম থেকে ওঠা, এটার এক বড় উদাহরণ। এই দীর্ঘসূত্রতা জীবনে নিয়ে আসে হতাশা ও ব্যর্থতা। তাই এই অভ্যাস পরিত্যাগ করা প্রয়োজনীয়।
- অন্যকে হিংসা করা।
- সোশাল মিডিয়ার দৌলতে, কারুর জীবনে কী ঘটছে, সেটা জানা এই যুগে খুব একটা কঠিন কাজ নয়। তাই নিজের কাজ না করে, অন্যের জীবনে কী ঘটছে, মানুষ আজ সেই নিয়েই বেশী উদ্বিগ্ন। কে নতুন জামা কিনল, কে পুরস্কার পেল, কে গাড়ি কিনল — এইসব বিষয়ে জেনে, মানুষ অচিরেই ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়ে ও নিজের জীবন থেকে আনন্দ আহরণ করতে ভুলেই যায়।
- দিনের বেশিরভাগ সময় ইন্টারনেটে অতিবাহিত করা।
- সোশাল মিডিয়ার কথা বলতে গেলে, রবি ঠাকুরের একটি গানের কথা মনে আসে, “এরা পরকে আপন করে, আপনারে পর”। তাই ভিন্ন মহাদেশে বসবাসকারী বন্ধুটির সাথে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে যোগাযোগ রাখতে গিয়ে, আমাদের পরিবারের সদস্যদের সাথে মেলবন্ধনটা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। হাজার হোক, সোশাল মিডিয়া কিন্তু এক ভার্চুয়াল জগত, যেখানে আমরা যা দেখি আর যা প্রকৃত সত্য — এই দুইয়ের মধ্যে আকাশ পাতাল তফাৎ। সোশাল মিডিয়া অবশ্যই একটা ভালো অবলম্বন কিন্তু মনে রাখতে হবে, এই সোশ্যাল মিডিয়াই যেন জীবনের একমাত্ৰ ধ্যান জ্ঞান না হয়ে ওঠে।
- প্রশংসা না করা।
- মা কোনোকিছু রান্না করলে, কতজন তার সেই খাবারটির প্রশংসা করে? বাবার পরামর্শগুলো যখন জীবনে সহায়তা করে, তখন বাবাকে গিয়ে কতজন ধন্যবাদ জানায়? মানুষ ধরেই নেয় যে বাবা-মাকে ধন্যবাদ না জানলেও বা প্রশংসা না করলেও, তারা তাদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করবেন। কিন্তু প্রশংসা বা ধন্যবাদ জানালে, তাদের মন খুশিতে ভরে উঠবে। তাই ছোট ছোট অথচ ভালো কাজের জন্য কাউকে ধন্যবাদ জানানো বা প্রশংসা করা, সেটা পরিবারের সদস্যই হোক বা বন্ধু বান্ধব, অত্যন্ত জরুরী। এতে সম্পর্কের দৃঢ়তা বৃদ্ধি পায়।
- সন্তুষ্ট না থাকা।
- জীবনে সাফল্য, অর্থ — এইগুলির মূল্যায়ন করে অন্য লোকে, বাহ্যিক চাকচিক্য দেখে। কিন্তু অন্তরটাই যদি সারশূন্য হয়, তাহলে এই সাফল্যের কোনো অর্থই হয় না। তাই আর্থিক প্রাচুর্য থাকুক বা না থাকুক, সন্তুষ্টিই অন্তরের মুখ্য প্রাচুর্য। সন্তুষ্টিই সুখের উৎস, এবং সন্তুষ্টি একটি অভ্যাস, যেটি প্রতিনিয়ত করা উচিৎ।
আমার মতে, উপরিউক্ত খারাপ অভ্যাসগুলি আমরা নিজেদের অজান্তেই রপ্ত করে ফেলি। এই অভ্যাসগুলি যদি আমরা সচেতন ভাবে এড়িয়ে চলার চেষ্টা করি, আমাদের জীবন আরো সুখকর ও শান্তিময় হয়ে উঠবে।
- 47 views
- 1 answers
- 0 votes
- নিজের সাথে অন্য কারুর (বিশেষ করে সমবয়সী বন্ধুদের) তুলনা।