10773
Points
Questions
23
Answers
5384
নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হলে সবার আগে মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। কারণ, ভাগ্য মূলত আমাদের চিন্তা, সিদ্ধান্ত ও কর্মকাণ্ডের ফল। ভাগ্য পরিবর্তনের প্রথম ধাপ হলো:
- নিজের অবস্থান উপলব্ধি করা – কোথায় আছি, কেন এই অবস্থায় আছি, এবং কীভাবে পরিবর্তন সম্ভব, তা বোঝা দরকার।
- নেতিবাচক চিন্তা বাদ দেওয়া – “আমি পারব না” বা “আমার কপালে নেই”—এই ধরনের ধারণা বাদ দিয়ে “আমি পারব” এই বিশ্বাস গড়ে তুলতে হবে।
- নতুন লক্ষ্য স্থির করা – স্পষ্ট ও বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ করলে, ভাগ্য পরিবর্তনের দিশা পাওয়া সহজ হবে।
- নিয়মিত কাজ করা – পরিশ্রম, অধ্যবসায় ও ধৈর্য ছাড়া ভাগ্য বদলায় না। সঠিক পরিকল্পনা করে কাজ চালিয়ে যেতে হবে।
- শিক্ষা ও দক্ষতা বাড়ানো – নতুন কিছু শেখা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং জ্ঞান অর্জন ভাগ্য পরিবর্তনের অন্যতম হাতিয়ার।
- সুযোগ খুঁজে নেওয়া – সুযোগ নিজে এসে ধরা দেবে না, বরং সেটাকে খুঁজে বের করতে হবে এবং কাজে লাগাতে হবে।
- ভুল থেকে শেখা – ব্যর্থতাকে শিক্ষা হিসেবে গ্রহণ করতে হবে এবং আগের ভুল থেকে নতুন কৌশল বের করতে হবে।
অর্থাৎ, ভাগ্য পরিবর্তন করা মানে নিজেকে পরিবর্তন করা। নিজের চিন্তা, অভ্যাস ও কর্মকাণ্ড বদলাতে পারলেই ভাগ্যও বদলে যাবে।
- 70 views
- 1 answers
- 0 votes
নিজে মানি বা না ই মানি, উপদেশ দিতে একটু ভালোই পারি। তাই প্রশ্নকর্তাকে ধন্যবাদ।
১.আবেগকে প্রশ্রয় দিবেন না, বরং বাস্তবতাকে মেনে নিন।
২.হিংসা করবেন না, কারো ভালো দেখে এটা চাইবেন না যে সেটা ধ্বংস হোক। বরং ঈর্ষান্বিত হোন যেন আপনিও তার মতো হতে পারেন। ইর্ষা করতে দোষ নেই।
৩.বিরক্তি ভাবকে প্রশ্রয় দেয়া থেকে বিরত থাকুন।
৪.বিনা প্রয়োজনে অস্ত্র বা হাতিয়ারের সাহায্য নেয়া থেকে বিরত থাকুন।
৫.বর্তমানকে প্রাধান্য দেয়া বোধহয় একটু বেশিই জরুরি।
৬.সবসময় ঠোঁটে হাসি বজায় রাখুন
৭.কোন কাজ করার আগে “যদি না হয় ” এই চিন্তাটা না করাই বোধহয় ভালো।
৮.অন্যকারো জন্যে নিজের ভবিষ্যতকে ঝুঁকিতে ফেলবেন না, ভবিষ্যত অন্ধকার হলে কিন্তু সেই ব্যক্তিকেও কাছে পাবেন না
৯. হুট করে সিদ্ধান্ত না নিয়ে বরংং এক্টু ভাবুন। আর নিজে কোন সমাধান না পেলে কাছের মানুষদের জিজ্ঞেস করুন। তবে হুবহু কারো বুদ্ধি নিতে যাবেন না। সবার বুদ্ধি মিলিয়ে, নিজে চিন্তা ভাবনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নিন।
১০.সবশেষে, সবার আগে মা বাবার উপদেশকে প্রাধান্য দিন
- 71 views
- 1 answers
- 0 votes
মানবদেহে লোহিত রক্তকণিকা (Red Blood Cells বা RBCs) সংখ্যার একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকে, যা সাধারণত প্রতি মাইক্রোলিটার রক্তে পরিমাপ করা হয়।
পুরুষদের জন্য:
- সাধারণত প্রতি মাইক্রোলিটার রক্তে ৪.৭ থেকে ৬.১ মিলিয়ন RBC থাকে।
মহিলাদের জন্য:
- প্রতি মাইক্রোলিটার রক্তে সাধারণত ৪.২ থেকে ৫.৪ মিলিয়ন RBC থাকে।
তবে, এই সংখ্যা বিভিন্ন কারণে কিছুটা পরিবর্তিত হতে পারে, যেমন বয়স, স্বাস্থ্য অবস্থান এবং অন্যান্য ফিজিওলজিকাল ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে।
RBC গুলি শরীরের কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সহায়ক এবং তারা শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- 62 views
- 1 answers
- 0 votes
সুখ না খোঁজার মধ্যেই সবচেয়ে বেশী সুখ পাওয়া যায়।
আমি যখন কলেজে পড়ি তখন ভাবতাম ক্যাম্পাস ইন্টার্ভিউতে চাকরীটা পেয়ে গেলেই ব্যাস, আমি রাজা, ভুল ভাঙ্গতে বেশী সময় লাগেনি, যখন প্রেম করেছি তখন ভেবেছি দৈহিক সুখই বুঝি সব, দেখলাম তাও ভুল। যখন একটু উঁচু পদে উঠছি ভাবলাম এই যে ক্ষমতার অধিকারী হলাম— এই বুঝি সুখ, নাহ, তাও ভুল। প্রথমবার বিদেশ যাবার আগের রাত্রে ভালো ঘুম হয়নি, ভেবেছিলাম, ব্যাস, আজ রজনী অতিক্রান্ত হলেই কাল দেশ ছেড়ে বহুদুরের ইউরোপ যাবো, এই তো সুখ!! নাহ, তৃতীয়বারেই ভুল ভাঙ্গল। প্রথম নিজের রোজগারের ফ্ল্যাটে ঢোকবার সময় গৃহপ্রবেশের দিন মনে হোল এই তো সেই দিন যা বাবার থেকে পকেটমানি নেওয়ার সময় থেকে চেয়ে এসেছি- না, তাও পেলাম না সেই কাঙ্খিত সুখ। আর আমি এও জানি কাল সন্তানের যখন বুদ্ধি পাকবে, বাবা-মার ছত্রছায়া ছেড়ে ওর নিজস্ব জগত তৈরি হবে সেদিনও আসবে মনস্তত্ত্বের টানা-পোড়েন। স্নায়ু-পীড়া কি সুখ? না, বোধহয় না।
কি ভাবছেন? বায়রনীয় অ-সুখ?
নাহ, কোথায় বায়রন, কোথায় আমি। তবে এটুকু বুঝেছি মানুষ স্বভাবগতভাবেই বহু কু-প্রবৃত্তির সমাহার। কি কারনে মানুষ অসুখী সেটুকুর সামান্য অভিজ্ঞতা প্রাপ্ত করেছি। এটা সম্ভব হয়েছে, কারণ কী আমার চাওয়া, তা জানতে পারার জন্যে। এইভাবে ধীরে ধীরে অনেকগুলি উপভোগ্য বস্তুর দখল প্রতিষ্ঠা করেছি। আর এর জন্যে অংশত দায়ী হচ্ছে কিছু কামনার বস্তুকে সফলভাবে ত্যাগ করতে পারা, যেমন কিছু বিষয়ের নিশ্চিত জ্ঞান লাভ করা যে, সব কিছু অর্জন করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। আমি মুলত যা অসম্ভব বলে মনে করেছি তা-ই ত্যাগ করেছি। আমার এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ এই যে, আমি নিজের সম্বন্ধে ভাবনা কমিয়ে দিতে পেরেছিলাম। নিজেকে মনে হত, এবং যথার্থই মনে হত, আমি একটা হতভাগ্য উদাহরণ। ধীরে ধীরে আমার নিজের বিষয়ে, আমার ভুল-ত্রুটির বিষয়ে উদাসীন থাকতে শিখলাম। আমার আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু বাইরের বস্তুতে ঘনীভূত করতে আরম্ভ করলাম। যা হচ্ছে চলমান দুনিয়ার অবস্থা, জ্ঞানবিজ্ঞানের নানা শাখা-প্রশাখা আর স্নেহভাজন সহমর্মী ব্যক্তিরা। বাইরের জিনিসে মন দিলে অবশ্য সেসব আবার তাদের নিজস্ব ধরনের সম্ভাব্য মনোবেদনা বয়ে আনে। কিন্তু এই রকম মনোযন্ত্রণা জীবনের উৎকর্ষকে নষ্ট করতে পারে না, যেমন পারে নিজের প্রতি ঘৃণাজাত বেদনা। বাইরের প্রত্যেকটি কাজে অনুসন্ধিৎসা যে কোনও কাজে উৎসাহ দেয় এবং সেই অনুসন্ধিৎসা যতদিন সজীব থাকে ততদিন তা সম্পূর্ণভাবে অবসাদকে প্রতিরোধ করার কাজে লাগে। কিন্তু নিজের সম্বন্ধে কৌতূহল অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনও প্রেরণার সঞ্চার করে না।
তাই বলে নৈরাশ্যবাদকেই জীবনের পাথেয় করিনি, অতৃপ্তির মনস্তাত্ত্বিক কারণ অনেক এবং নানা ধরণের । কিন্তু তাদের মধ্যেও একটা মিল আছে। জন্ম-অসুখী তাকেই বলা হয় যে প্রথম জীবনে কোনও স্বাভাবিক কামনার সহজ পরিতৃপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে। পরে সেই একটিমাত্র কামনার পরিতৃপ্তিকেই অন্য আর সব কিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। ফলে সে তার জীবনকে একটিমাত্র দিকেই চালিত করেছে। কামনার সাথে প্রস্তুতির ওপরেই অতিরিক্ত গুরুত্ব দিয়েছে, তার সাথে যুক্ত আনুষাঙ্গিক উপকরণসমূহকে অগ্রাহ্য করে। বর্তমানে আর এক নতুন ব্যাপার দেখা যাচ্ছে, কোনও ব্যক্তি নিজেকে কোনও বিষয়ে অতি পরাজিত মনে করার ফলে কোনও পথেই তৃপ্তিকে খুঁজে না পেয়ে খুঁজতে শুরু করেছে চিত্তবিক্ষেপ আর বিস্মৃতিকে। এরপর সে সহজ আনন্দের অনুসারী হয়ে উঠবেই। এর অর্থ হল সে নিজেকে অর্ধমৃত করে জীবনকে সহনীয় করে তোলার চেষ্টা করে।
আত্মপ্রেমী এবং আত্মগর্বী লোক অন্তত বিশ্বাস করে সুখ লাভ করা সম্ভব, যদিও তা পাওয়ার জন্যে তারা ভুল পথ অবলম্বন করে। কিন্তু যে লোক নেশার পথে এগিয়ে যায়, যে নেশাই তা হোক সে সবকিছুর ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলে শুধুমাত্র বিস্মৃতি ছাড়া। তার ক্ষেত্রে প্রথম কর্তব্য হচ্ছে তাকে বুঝিয়ে দেওয়া যে, সুখ অবশ্যই প্রত্যেকের কাম্য। নিদ্রাহীন ব্যক্তি যেমন নিদ্রাহীনতার জন্যে গর্বিত, অসুখী ব্যক্তি তেমনি অসুখী হওয়ার জন্যে সবসময় গর্বিত থাকে। দারিদ্রের অহংকার, অতৃপ্তির অহংকার এসব কিছুই মনে হয় সেই লেজকাটা খেকশিয়ালের মতোই অহংকারের। যদি তা সত্যি হয় তাহলে তার প্রতিবিধান হল নতুন লেজ গজানোর শিক্ষা দান করা।
- 64 views
- 1 answers
- 0 votes
সুন্দর ভাবে জীবনযাপন করার জন্য মানসিক শান্তির প্রয়োজন আছে। মানসিক শান্তির জন্য জীবনে আপনাকে আমৃত্যু সৎ থাকতে হবে। কখনও মন্দ কাজ করা যাবে না। অন্যের ক্ষতি বা ক্ষতির চিন্তা করা যাবে না। মন্দ লোকদের সাথে মেশা যাবে না। সহজ সরল সুন্দর জীবনযাপন করতে হবে। নিজেকে দক্ষ ও যোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে। জীবনে সফল হতে হবে। দেশের জন্য, সমাজের জন্য, অসহায় ও দরিদ্র মানুষদের পাশে থাকতে হবে। মিথ্যা বলা যাবে না। প্রচুর পড়াশোনা করতে হবে। ভ্রমন করতে হবে।
ধূমপান করা যাবে না। মদ খাওয়া যাবে না। নারীদের সম্মান করতে হবে। পরিবারের প্রতি আপনার যা দায়িত্ব তা যথাযথভাবে পালন করতে হবে। বাবা মা এবং স্ত্রীকে সব সময় খুশি রাখতে হবে। জীবনে যত ভালো কাজ করবেন, তত মানসিক শান্তি পাবেন। আর মন্দ কাজ করলে পাবেন অশান্তি। পাবেন অপরাধবোধ। যা আপনাকে তিলে তিলে শেষ করে দিবে। আপনাকে হতে হবে একজন মানবিক মানুষ। আপনার মনুষ্যত্ব অন্যকে পথ দেখাবে। এসব বিষয় গুলো মেনে চললেই আপনার জীবন হবে আনন্দময়। দেখবেন, রাতে বালিশে মাথা রাখার সাথে সাথেই আপনার আনন্দময় ঘুম হবে।
- 74 views
- 1 answers
- 0 votes
মাঝেমধ্যে নিজেকে বোকা মনে হওয়া স্বাভাবিক একটি অনুভূতি। কিন্তু আপনি জানেন কি, সাইকোলজি এই অবস্থাকে নিয়ে কী বলছে? এটি আসলে বোকামির প্রমাণ নয়, বরং আপনার আত্মসচেতনতার একটি লক্ষণ!
Dunning-Kruger Effect
সাইকোলজিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা রয়েছে, যাকে বলা হয় Dunning-Kruger Effect। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, যারা কম জানে তারা নিজেদের সম্পর্কে বেশি আত্মবিশ্বাসী থাকে। তারা নিজেদের বুদ্ধিমত্তা এবং দক্ষতা সম্পর্কে অতিরিক্ত আশাবাদী। অন্যদিকে, যারা সত্যিই বুদ্ধিমান, তারা নিজেদের সীমাবদ্ধতা এবং জ্ঞানের অভাব সম্পর্কে সচেতন থাকে।
এই প্রক্রিয়াটি আমাদের শেখায় যে, মাঝে মাঝে নিজেকে বোকা মনে হওয়া আসলে একটি ইতিবাচক সংকেত। এটি নির্দেশ করে যে আপনি নিজের দক্ষতা ও জ্ঞান সম্পর্কে সচেতন হচ্ছেন এবং উন্নতির পথে এগিয়ে যাচ্ছেন।
আত্মসমালোচনা এবং উন্নতি
নিজেকে বোকা মনে করা মানে এই নয় যে আপনি সত্যিই বোকা। বরং, এটা একটি সুযোগ যে আপনি আপনার দুর্বলতা চিনে নিতে পারেন এবং সেখান থেকে শিখতে পারেন। হতাশ না হয়ে বরং নিজের দুর্বলতাগুলোকে শোধরানোর চেষ্টা করুন।
শেখার গুরুত্ব
আসল বোকা হলো সেই ব্যক্তি যে নিজের ভুল থেকে কিছু শেখে না। সুতরাং, যখন আপনি নিজেকে বোকা মনে করেন, তখন সেটাকে একটি ইতিবাচক অভিজ্ঞতা হিসেবে দেখুন। এটি আপনাকে আরও ভালোভাবে শিখতে এবং বেড়ে উঠতে সাহায্য করবে।
সুতরাং, পরবর্তীবার যখন আপনি নিজেকে বোকা মনে করবেন, মনে রাখবেন—এটি আপনার আত্মসচেতনতার একটি লক্ষণ। আপনার দুর্বলতা শোধরানোর চেষ্টা করুন এবং নিজেকে আরও উন্নত করুন। জীবন একটি অবিরাম শেখার প্রক্রিয়া, এবং আপনি সেই পথে আছেন!
- 69 views
- 1 answers
- 0 votes
উৎপাদনমুখী শিল্পের ক্ষেত্রে ‘ক্ষুদ্র শিল্প’ বলতে সেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানকে বুঝায় যেসব প্রতিষ্ঠানে জমি এবং কারখানা ভবন ব্যতিরেকে স্থায়ী সম্পদের মূল্য, প্রতিস্থাপন ব্যয়সহ ৫০ লক্ষ টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা কিংবা যেসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে ২৫-৯৯ জন শ্রমিক কাজ করে।
- 71 views
- 1 answers
- 0 votes
ইতিবাচক মনোভাব, ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা, মাঝে মধ্যে প্রিয় জনকে নিয়ে ঘুরতে বেড় হওয়ার মাধ্যমে ব্রেন সক্রিয় রাখার অন্যতম উপায়।
- 73 views
- 1 answers
- 0 votes
ক্যারিয়ারে ভালো করতে অবশ্যই। আগে নিজেকে জানতে হবে। নিজের সবচেয়ে বড় যুক্তিক্তসংগত ইচ্ছাগুলো শনাক্ত করতে হবে। আরও গভীরে গিয়ে নিজের অভ্যন্তরীণ ইচ্ছা এবং যুক্তিযুক্ত লক্ষ্যগুলোর মধ্যে। সংযোগ স্থাপন করতে হবে। লক্ষণগুলো শনাক্ত করতে কিছু সময় এবং প্রচেষ্টা লাগলেও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া।
(পেশাদার জীবনবৃত্তান্ত তৈরি)
সুযোগ সব জায়গায় আছে, তাই নিজেকে সব সময় একটি উন্নত মানের জীবনভান্তের সঙ্গে প্রস্তুত রাখতে হবে। জীবনবৃত্তান্ত মূলত আপনার বলার উপায় ‘আপনি আসলে কোন বিষয়ে দক্ষ, কী করতে ভালোবাসেন, আপনার দক্ষতা দিয়ে কীভাবে
নিজেকে সব সময় একটি উন্নত মানের জীবনবৃত্তান্তের সঙ্গে প্রস্তুত রাখতে হবে। জীবনবৃত্তান্ত মূলত আপনার বলার উপায় ‘আপনি আসলে কোন বিষয়ে দক্ষ, কী করতে ভালোবাসেন, আপনার দক্ষতা দিয়ে কীভাবে প্রতিষ্ঠানকে করতে পারেন’।
(প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য করতে পারেন।)
(দীর্ঘমেয়াদি পেশা বেছে নিন)
সচেতনতা ব্যক্তিগত উন্নতির একটি অপরিহার্য চাবিকাঠি। আপনার অভ্যন্তরীণ চিন্তাভাবনা, আপনার শক্তি, আপনার আকাঙ্ক্ষা এবং আপনার অসুবিধাগুলো সম্পর্কে সচেতন হওয়ার মাধ্যমে, আপনি যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন, তার সঙ্গে আপনি আপনার জীবনকে মানিয়ে নিতে পারেন। এতে আপনি অনেক সুবিধাও শাবেন। নিজের সম্পর্কে যা জানেন, সেই অনুসারে যদি দীর্ঘমেয়াদি পেশা বেছে নেন, তবে এটি আরও
ভালো। এমন একটি কর্মজীবনের পথ বেছে নেওয়া উচিত, যা আপনার বৈশিষ্ট্য এবং গুণাবলি সুবিধা দেয়।
(দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত থাকুন)
সফল পেশাদারদের সঙ্গে অন্যদের মুন পার্থক্য দায়িত্ববোধের জায়গায়। অনেক সময় এমন হয় কোনো একটি বিষয় সম্পর্কে আপনি জানেন, কিন্তু কাজের ক্ষেত্রে অনেক সময় প্রয়োগ। সময় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যায়। যখনই এমন কিছু ঘটবে, তখন তা আপনাকে মেনে নিতে
হবে। আপনার সব কর্মের জন্য দায়বদ্ধতা গ্রহণ করতে হবে। ভুলের জন্য কাউকে দোষারোপ করা যাবে না।
(সর্বদা নিজের মান বাড়ান)
মানুষ তাঁর চিন্তাভাবনা, বিশ্বাস ও আচরণ দ্বারা প্রভাবিত হয়। যদি আপনার মান উচ্চ হয়, তবে আপনি যা করতে পারবেন তার চেয়ে কম নিয়ে আপনি কখনোই সন্তুষ্ট হবেন না। উচ্চমানসম্পন্ন লোকেরা সাধারণের তুলনায় বেশি সফল হয়। তাই সব সময় নিজেকে একটু একটু করে উন্নত করার চেষ্টা করুন।
(নিজের অবস্থান তুলে ধরুন।)
ব্র্যান্ডিং আজকাল খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বড় বড় কোম্পানির মার্কেটপ্লেসে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করছে। এটি একটি পুরোনো ব্যবসায়িক কৌশল, যা প্রায় প্রতিটি পেশাদার কোম্পানিই গ্রহণ করে। আপনার ব্র্যান্ডিং হলো মার্কেটপ্লেসে আপনার ইমেজ। পেশাদার কর্মীদের তাঁদের নাম এবং পরিষেবাগুলো ব্র্যান্ড করা উচিত এবং ক্রমাগত এএটি উন্নত করা উচিত। তাই আপনি যে বিষয় নিয়ে কাজ করছেন তা নিয়ে ব্লগ শুরু করতে পারেন, পেশাদার সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল তৈরি করে কর্মক্ষেত্রে নিজের অবস্থান অন্যদের সামনে তুলে ধরতে পারেন।
(নিজস্ব নেটওয়ার্কিং তৈরি করুন)
- 70 views
- 1 answers
- 0 votes
সত্যি কথা বলতে কি আমরা যখন স্বাস্থ্যকর খাবারের কথা ভাবি তখন আমাদের মাথায় খেজুরের কথা আসে না। আর সেটাই অনাকাঙ্খিত ব্যাপার কারণ ফলটির অজস্র অনস্বীকার্য উপকারিতা রয়েছে।
শরীরের শক্তির মাত্রা বাড়িয়ে দেয়
ক্রমাগত চাপ আর মস্তিষ্কের কাজের জন্য আমরা দুপুরের মধ্যে ক্লান্তি অনুভব করি। কিন্তু আপনি যদি সারাদিন আপনার শক্তি ধরে রাখতে চান আর দুপুরের মতো বিকেলেও যদি উৎপাদনশীল থাকতে চান তাহলে আপনার খাবারে খেজুর যোগ করুন। এই ফলটিতে প্রচুর পরিমানে প্রাকৃতিক চিনি যেমন: গ্লুকোজ, ফ্রুকটোজ এবং সুক্রোজ রয়েছে। আর এগুলো আপনার প্রয়োজনীয় শক্তি বৃদ্ধি করতে পারে বলে ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব ফুড সায়েন্সেস এন্ড নিউট্রিশন এ প্রকশিত এক নিবন্ধে দেখা গেছে। গবেষণাটিতে দেখা গেছে পরিশ্রান্তির সময় কয়েকটি খেজুর চিবুলে তখুনি শরীরে শক্তির মাত্রা বেড়ে যায়। যখনই আপনি শ্রান্তি অনুভব করবেন তখনই এই কৌশলটি অবলম্বন করবেন।
কোলস্টেরলের মাত্রা কমায়
আপনার কোলস্টেরলের মাত্রা কমে যাবে যদিও খেজুর খুব মিষ্টি কিন্তু ওগুলোতে খুব কম স্নেহ পদার্থ রয়েছে। নিয়মিত খেজুর খেলে আপনার কোলস্টেরলের মাত্রায় ভারসাম্য থাকবে আর এগুলো আপনার ওজন কমতে সাহায্য করবে। উঁচু কোলস্টেরল শুধু আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয় কোলস্টেরল হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। দিনে দুটি খেজুর খেয়ে আপনি শুধুমাত্র আপনার শরীরের দেখভাল ই করবেন না বরং ভিতর থেকে শরীরকে রক্ষা করবেন।
পরিপাকতন্ত্র উন্নত করে
আপনার পরিপাকতন্ত্র আরো কার্যকর হবে। পরিপাকতন্ত্র আমাদের শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ আর এটি আমাদের সর্বোপরি স্বাস্থ্য তৈরি করতে পারে আর এতে সামান্য খুঁত থাকলে শরীর ভেঙ্গে যেতে পারে। খেজুর মুহূর্তের মধ্যে আপনার পরিপাকতন্ত্র ঠিক করতে পারে। খেজুরে দ্রবণযোগ্য আঁশ থাকে যা পরিপাকতন্ত্র নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত ভালো আর ওগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা কিছু খেজুর রাতভর ভিজিয়ে রেখে সকালে ওগুলো খাওয়ার নির্দেশ দেন যা খেজুরের প্রাকৃতিক স্বক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় আর আপনার পরিপাকতন্ত্রকে ভালোভাবে কাজ করতে সাহায্য করে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে
খাবারের সঙ্গে আমরা যে অতিরিক্ত সোডিয়াম ও লবন খাই কখনো কখনো তার ফল হলো উচ্চ রক্তচাপ। খেজুরে কোন সোডিয়াম থাকে না বরং ওগুলোতে প্রচুর পরিমানে পটাসিয়াম থাকে যা সোডিয়াম শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। এজন্য খেজুর রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে এতো ভালো কাজ করে। এজন্য আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে আর আপনি যদি অধিক প্রাকৃতিক সমাধান খুঁজতে থাকেন তাহলে ফলটির দিকে বেশি মনোযোগ দিন।
দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে
পরিপূর্ণ চোখের দৃষ্টিসহ কাউকে খুঁজে পাওয়া কঠিন। কম্পিউটার ও ফোনের স্ক্রিনে কাজ বা পড়ালেখা করার কারণে আমাদের চোখের স্বাস্থ্য আক্রান্ত হয়। সৌভাগ্যবশত অনেকগুলো প্রাকৃতিক এবং স্বাস্থ্যকর খাবার আছে যা আমাদের সাহায্য করতে পারে আর খেজুর ওগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই ফলটি বেশি মাত্রায় ভিটামিন এ থাকে যা আপনার চোখে যথোপযুক্ত মাত্রার পুষ্টি যোগায়। আর এতে আপনার দৃষ্টিশক্তি শক্তিশালী হয়। সুতরাং দৃষ্টিশক্তি খারাপ হওয়া যদি আপনার সবচেয়ে বড় সমস্যা হয় বা সমস্যাটি যদি সহনযোগ্য মাত্রার হয় তাহলে খেজুর আপনার চোখের অবস্থা অনেক ভালো করতে পারবে।
হাঁড়ের যত্ন নেয়
এটি কোন গোপন বিষয় নয় যে আমরা যতো বৃদ্ধ হই আমাদের হাঁড় ততো ভঙ্গুর হয়ে যায় আর এই সমস্যাগুলো সহজে ভালো হয় না। এতে প্রচন্ড ব্যাথা হয় শরীরে। শরীরে বিকলঙ্গতার সৃষ্টি হওয়াসহ অনেক অপ্রীতিকর ব্যাপার ঘটতে পারে। খেজুরে প্রচুর পরিমানে ফসফরাস, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম আছে। এই খনিজগুলো অস্টিওপেরোসিসসহ হাঁড়ের রোগগুলো ভালো করার ব্যাপারে সুপরিচিত। এজন্য, আপনি যদি আপনার হাঁড়কে অতিরিক্ত কিছু দিতে চান তাহলে খেজুর খাওয়া একটি ভালো কৌশল হিসেবে পরিগণিত হবে।
- 62 views
- 1 answers
- 0 votes