10773
Points
Questions
23
Answers
5384
তাহলে এই লেখা পড়ুন…
“যাই ঘটুক না কেন, বেঁচে থাকুন।
মরার আগে মরবেন না।
নিজেকে হারাবেন না, আশা হারাবেন না,
দিক হারাবেন না।
বেঁচে থাকুন, নিজের সাথে, আপনার শরীরের প্রতিটি কোষের সাথে, আপনার ত্বকের প্রতিটি ফাইবার নিয়ে।
বেঁচে থাকুন, শিখুন, অধ্যয়ন করুন, ভাবুন, পড়ুন, গড়ুন,
উদ্ভাবন, তৈরি, কথা, লিখুন, স্বপ্ন, নকশা।
বেঁচে থাকো, তোমার ভেতরেও বেঁচে থাকুন, বাইরেও বেঁচে থাকুন, পৃথিবীর রঙে নিজেকে ভরিয়ে দিন,
নিজেকে শান্তিতে পূর্ণ করুন, নিজেকে আশায় পূর্ণ করুন।
আনন্দে বেঁচে থাকুন।
জীবনে শুধু একটা জিনিসই নষ্ট করা উচিত নয়, আর সেটা হল জীবন…
ভার্জিনিয়া উলফ
“Whatever happens, stay alive.
Don’t die before you’re dead.
Don’t lose yourself, don’t lose hope,
don’t loose direction.
Stay alive, with yourself, with every cell of your body, with every fiber of your skin.
Stay alive, learn, study, think, read, build,
invent, create, speak, write, dream, design.
Stay alive, stay alive inside you, stay alive also outside, fill yourself with colors of the world,
fill yourself with peace, fill yourself with hope.
Stay alive with joy.
There is only one thing you should not waste in life, and that’s life itself…
- 69 views
- 1 answers
- 0 votes
ক্ষুদ্র শিল্প বলতে সেইসব শিল্পকে বোঝায় যেখানে উৎপাদন, উৎপাদন এবং পরিষেবার প্রক্রিয়া ছোট পরিসরে সম্পন্ন করা হয় ।
ক্ষুদ্র শিল্পের মূলধন ৫০ লক্ষ টাকা থেকে ১০ কোটি টাকা হয়ে থাকে।
- 74 views
- 1 answers
- 0 votes
বিনয়ী হওয়া একটি মহৎ গুণ, যা ব্যক্তিত্বকে আকর্ষণীয় এবং শ্রদ্ধেয় করে তোলে। বিনয়ী হওয়ার মাধ্যমে আপনি অন্যদের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন এবং জীবনে সাফল্য অর্জন করতে পারেন। নিচে কিছু উপায় দেওয়া হলো, যা আপনাকে বিনয়ী হতে সাহায্য করবে:
১. অহংকার ত্যাগ করুন:
- নিজের সাফল্য বা দক্ষতা নিয়ে গর্ব করা স্বাভাবিক, তবে অহংকার ত্যাগ করুন। মনে রাখবেন, প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু শেখার আছে।
- অন্যদের মতামত ও অভিজ্ঞতাকে সম্মান করুন।
২. শুনতে শিখুন:
- বিনয়ী ব্যক্তিরা অন্যদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। কথা বলার চেয়ে শোনার মাধ্যমে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারেন এবং অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে পারেন।
- অন্যদের কথা বলার সুযোগ দিন এবং তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিন।
৩. ভুল স্বীকার করুন:
- ভুল করা মানুষের স্বভাব। যদি আপনি কোনো ভুল করেন, তা স্বীকার করুন এবং ক্ষমা চান। এটি আপনার বিনয় ও আত্মবিশ্বাসকে প্রকাশ করে।
- ভুল থেকে শিখুন এবং উন্নতির চেষ্টা করুন।
৪. অন্যদের প্রশংসা করুন:
- অন্যদের সাফল্য ও ভালো কাজের প্রশংসা করুন। এটি আপনার বিনয় ও উদারতা প্রকাশ করে।
- অন্যদের কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দিন এবং তাদের উৎসাহিত করুন।
৫. নিজেকে অন্যের জায়গায় রাখুন:
- সহানুভূতিশীল হোন এবং অন্যের অনুভূতি ও পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করুন। এটি আপনাকে বিনয়ী ও মানবিক করে তুলবে।
- অন্যদের সাহায্য করুন এবং তাদের সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসুন।
৬. নিজের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করুন:
- প্রত্যেকেরই কিছু না কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। নিজের সীমাবদ্ধতা স্বীকার করুন এবং তা উন্নত করার চেষ্টা করুন।
- অন্যদের কাছ থেকে শেখার মানসিকতা রাখুন।
৭. নম্রভাবে কথা বলুন:
- কথা বলার সময় নম্র ও শান্ত থাকুন। উচ্চস্বরে বা রাগান্বিত হয়ে কথা বলবেন না।
- অন্যদের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়লে যুক্তিপূর্ণ ও শান্তভাবে মতামত প্রকাশ করুন।
৮. অনুশীলন করুন:
- বিনয়ী হওয়ার জন্য নিয়মিত অনুশীলন প্রয়োজন। প্রতিদিনের জীবনে ছোট ছোট কাজের মাধ্যমে বিনয়ের অভ্যাস গড়ে তুলুন।
- ধ্যান বা আত্ম-প্রতিফলনের মাধ্যমে নিজের আচরণ ও চিন্তাভাবনা নিয়ে চিন্তা করুন।
৯. অন্যদের কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দিন:
- দলগত কাজে অন্যদের অবদানকে স্বীকৃতি দিন এবং তাদের কৃতিত্বকে সামনে আনুন।
- নিজের কৃতিত্বকে অতিরঞ্জিতভাবে উপস্থাপন করা এড়িয়ে চলুন।
১০. আধ্যাত্মিকতা বা মূল্যবোধের চর্চা করুন:
- ধর্ম বা আধ্যাত্মিকতা বিনয়ী হতে সাহায্য করতে পারে। অনেক ধর্ম ও দর্শনে বিনয়কে মহৎ গুণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
- নিয়মিত প্রার্থনা, ধ্যান বা আত্ম-প্রতিফলনের মাধ্যমে নিজের আত্মাকে শান্ত ও বিনয়ী করুন।
উপসংহার:
বিনয়ী হওয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা নিয়মিত চর্চা ও আত্ম-সচেতনতার মাধ্যমে অর্জন করা যায়। বিনয়ী ব্যক্তিরা অন্যদের কাছে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা পায় এবং জীবনে সাফল্য অর্জন করে। এই গুণটি আপনার ব্যক্তিত্বকে আরও উন্নত করবে এবং সামাজিক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করবে।
- 81 views
- 1 answers
- 0 votes
মনস্তত্ত্ব এমন একটি জগৎ, যেখানে মানুষের আচরণ, আবেগ ও চিন্তার অদ্ভুত সব দিক খুঁজে পাওয়া যায়। কিছু মনস্তাত্ত্বিক তথ্য সত্যিই বিস্মিত করে! যেমন—
১. মস্তিষ্ক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে, তারপর আমরা সেটার যুক্তি খুঁজি
- আমাদের অবচেতন মন আগে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে, তারপর আমরা সেটার যুক্তি বের করি।
- গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ অনেক সময় যুক্তির চেয়ে আবেগের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়।
2. মিথ্যা বলার সময় মস্তিষ্ক বেশি পরিশ্রম করে
- সত্য কথা বলা সহজ, কারণ এতে আলাদা করে কল্পনা করতে হয় না।
- কিন্তু মিথ্যা বলতে হলে মস্তিষ্ককে কল্পনা করে গল্প বানাতে হয়, যা বেশি এনার্জি খরচ করে।
৩. স্মৃতির বিশাল অংশই ভুল বা পরিবর্তিত হয়
- আমরা যা মনে করি সত্য, তা অনেক সময়ই বিকৃত বা পরিবর্তিত হয়ে যায়।
- প্রত্যক্ষদর্শীদের স্মৃতিও অনেক সময় ভুল প্রমাণিত হয়, কারণ মস্তিষ্ক ফাঁকা জায়গাগুলো নিজের মতো করে পূরণ করে নেয়।
৪. নেগেটিভ ঘটনা বেশি মনে থাকে
- মস্তিষ্ক নেতিবাচক স্মৃতিগুলোকে বেশি গুরুত্ব দেয়, কারণ এগুলো টিকে থাকার জন্য জরুরি ছিল (এভোলিউশনারি কারণে)।
- এজন্য সমালোচনা বা খারাপ ঘটনা বেশি দিন মনে থাকে, ভালো ঘটনা সহজে ভুলে যাই।
৫. একাকীত্ব শারীরিক ব্যথার মতো অনুভূত হয়
- ব্রেইন স্ক্যান গবেষণায় দেখা গেছে, একাকীত্ব বা প্রত্যাখ্যানের অনুভূতি মস্তিষ্কে একই জায়গায় সক্রিয় হয়, যেখানে শারীরিক ব্যথার প্রতিক্রিয়া হয়।
- তাই একাকীত্ব সত্যিকারের কষ্টের মতো অনুভূত হয়।
৬. অচেনা মানুষের চোখে চোখ রাখলে অদ্ভুত অনুভূতি হয়
- গবেষণায় দেখা গেছে, ১০ মিনিট অচেনা কারও চোখে চোখ রেখে তাকিয়ে থাকলে কিছু মানুষ বিভ্রান্তিকর অনুভূতি বা হ্যালুসিনেশনও পেতে পারে!
৭. আমরা নিজেদের কণ্ঠস্বর অন্যদের চেয়ে আলাদা শুনি
- আমাদের কণ্ঠস্বর অন্যরা যেমন শোনে, আমরা তেমন শুনতে পাই না।
- আমাদের নিজের কণ্ঠ মাথার ভেতর কম্পনের মাধ্যমে শুনি, তাই রেকর্ড করা কণ্ঠ শুনলে অদ্ভুত লাগে।
এই তথ্যগুলো আমাকে বিস্মিত করে, কারণ এগুলো দেখায় যে আমরা অনেক সময় নিজেদের এবং আশপাশের বাস্তবতাকে ভুলভাবে বুঝি! আপনার কোন তথ্যটা সবচেয়ে মজার বা অবাক লাগছে?
- 72 views
- 1 answers
- 0 votes
নানা জায়গা থেকে যা পড়ে বুঝেছি, নিজের বন্ধু হতে নিচের কাজগুলো করা যায়।
১. ভালো বই পড়ার মাধ্যমে। নিজেকে দারুণ দারুণ বই উপহার দিন। একেকটি বই আপনাকে একেক দুনিয়াতে নিয়ে যাবে।
২. একা একা ঘোরাঘুরির মাধ্যমে। প্রচুর ঘোরাঘুরির সুযোগ জীবনে তৈরি করতে হবে। একা ঘোরার মধ্যে যে আনন্দ আর চিনতে পারার ক্ষমতা বাড়ে তা অনন্য।
৩. মেডিটেশন, ধ্যান বা ইয়োগা করার মাধ্যমে। ব্যায়ামের মাধ্যমে নিজের শরীরের ওপর নিয়ন্ত্রন তৈরি হয়। সুস্থ শরীর আপনার ভালো বন্ধু এটা বিশ্বাস করুন।
৪. সেলফ ও নিজেকে চেনার মাধ্যমে। ‘আমি দুঃখি” নাকি “আমার দুঃখবোধ হচ্ছে”, এই বাক্যদ্বয় একজন মানুষের মনস্তত্বকে পরিচয় করাতে যথেষ্ট। নিজের ভালো বন্ধু হতে চাইলে “আমার দুঃখবোধ হচ্ছে” এভাবে ভাববেন।
- 70 views
- 1 answers
- 0 votes
খারাপ সময়েও ভাল থাকার জন্য আমাদের বাস্তব জীবনে নিয়মিত অভিনয় করে যেতে হয় । জীবনে খারাপ সময় আসতেই পারে, কিন্তু এই সময়গুলো পার করার জন্য কিছু কার্যকরী উপায় রয়েছে।
বিশেষত যখন আমাদের মনে হতাশা, উদ্বেগ বা দুশ্চিন্তা গ্রাস করে, তখনই আমাদের মানসিক শান্তি বজায় রাখার জন্য কিছু পরামর্শ অনুসরণ করা জরুরি। এই পোষ্টে খারাপ সময়েও ভাল থাকার জন্য এমন কিছু কার্যকর উপায় তুলে ধরা হবে যা আপনাকে এই কঠিন সময়েও সঠিক পথে পরিচালিত করবে।
খারাপ সময় বলতে কী বোঝায় এবং এটা কেন আসে
আমাদের জীবন কোন না কোন কারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়। এটি ব্যক্তিগত সম্পর্ক, পেশাগত জীবনের চাপ, শারীরিক অসুস্থতা বা মনস্তাত্ত্বিক সমস্যার কারণে হতে পারে।
যখনই আমরা অনুভব করি যে, পরিস্থিতি আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখনই আমাদের মন ও মস্তিষ্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তবে মনে রাখতে হবে, খারাপ সময় আসবে এবং চলে যাবে। এটি একটি প্রাকৃতিক অংশ, যা জীবনের অস্থিরতা এবং পরিবর্তনকে নির্দেশ করে। এই সময়গুলোর সাথে আমাদের মানসিকভাবে খাপ খাইয়ে চলা গুরুত্বপূর্ণ।
খারাপ সময়েও ভাল থাকার জন্য ইতিবাচক মনোভাব রাখা
খারাপ সময় একেবারে কোনো ব্যক্তির জীবন থেকে বাদ যায় না। জীবন কখনও মসৃণ থাকে না, এবং এটি আমাদের সকলের জন্য একটি কঠিন সময় নিয়ে আসে। তবে, খারাপ সময়ের মধ্যে থেকেও ভাল থাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় হলো ইতিবাচক মনোভাব রাখা।
যখন আমরা মনে করি সব কিছু বিপর্যস্ত, তখন ইতিবাচক মনোভাব আমাদের শক্তি প্রদান করতে পারে এবং আমাদের মনোযোগ সঠিক দিক দিয়ে পরিচালিত করতে সহায়ক হয়। ইতিবাচক মনোভাব আমাদের জীবনে সবচেয়ে শক্তিশালী হাতিয়ারগুলোর মধ্যে একটি।
এটি আমাদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খারাপ সময়ের মধ্যে, যখন আমাদের চারপাশে হতাশা এবং বিপর্যয় দেখা যায়, তখন একটি ইতিবাচক মনোভাব আমাদের সামনে সঠিক দিক দেখায়। এটি আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং বিভিন্ন সমস্যার সমাধান খোঁজার জন্য নতুন উপায় তৈরি করতে সহায়তা করে।
খারাপ সময়েও ভাল থাকার জন্য কিছু কার্যকর পদক্ষেপ অনুসরণ করা যেতে পারেঃ
- ধীর গতিতে চলুনঃ খারাপ সময়েও ভাল থাকার জন্য কোন কাজ তাড়াহুড়ো না করে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলুন। মনোযোগ দিন আপনার শ্বাসপ্রশ্বাসের প্রতি এবং প্রতি মুহূর্তে শান্ত থাকার চেষ্টা করুন।
- দেহের যত্ন নিন: শারীরিক সুস্থতা মানসিক সুস্থতার সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। নিয়মিত ব্যায়াম করুন, ভালো খাওয়া-দাওয়া করুন এবং পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন।
- দয়ালু হনঃ খারাপ সময়েও ভাল থাকার জন্য নিজেকে এবং অন্যদের প্রতি দয়ালু থাকুন। সহানুভূতিশীল মনোভাব আপনাকে খুশি রাখে এবং অন্যদেরও শান্তি দেয়।
- সামাজিক সম্পর্ক বজায় রাখুনঃ খারাপ সময়েও ভাল থাকার জন্য বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সাথে যোগাযোগ রাখুন। একাকীত্ব খারাপ সময়ের মধ্যে আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে।
- পরিবর্তন গ্রহণ করাঃ জীবন পরিবর্তনের সাথে চলে, এবং এই পরিবর্তনগুলি সবসময় আমাদের জন্য সুখকর নয়। তবে, পরিবর্তনকে সঠিকভাবে গ্রহণ করতে পারলে এটি আমাদের জীবনের অংশ হতে পারে। খারাপ সময়ও এক ধরনের পরিবর্তন এবং এটি আমাদের শেখার, বেড়ে ওঠার এবং নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখার সুযোগ দেয়। এটি মানসিক শক্তি এবং স্থিতিশীলতা তৈরি করতে সহায়ক হয়।
- আশা বজায় রাখাঃ খারাপ সময়ের মাঝে আশার আলো গুরুত্বপূর্ণ। যখন আমাদের মনে হয় যে সবকিছু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, তখন আমাদের আশাবাদী মনোভাব সবকিছু বদলে দিতে পারে। একটি ছোট্ট আশার সঞ্চার আপনার জীবন পরিবর্তন করতে সক্ষম। আশা রাখুন যে খারাপ সময় একদিন শেষ হবে এবং ভালো দিন আসবে।
- দীর্ঘমেয়াদী মানসিক সুস্থতাঃ খারাপ সময় পার করার পরও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে দীর্ঘমেয়াদী অভ্যাস প্রয়োজন। এটি কোনো একদিনের কাজ নয়, বরং একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। আপনার প্রতিদিনের অভ্যাসে ইতিবাচক মনোভাব রাখা, নিজের সাথে সদয় থাকা এবং নিজের বিকাশে মনোযোগ দেওয়া উচিত। দীর্ঘমেয়াদে, এই অভ্যাসগুলো আপনাকে প্রতিকূলতার মধ্যেও সুস্থ এবং শক্তিশালী রাখতে সহায়ক হবে।
- সংগ্রামের মধ্যে আশা খোঁজাঃ সংগ্রাম আমাদের জীবনের অঙ্গ, এবং খারাপ সময়ের মধ্যে আমরা যখন হতাশ হয়ে পড়ি, তখন আমাদের আশা হারিয়ে ফেলার ঝুঁকি থাকে। তবে, সংগ্রামের মধ্যে আমরা অনেক কিছু শিখি, এবং এই শেখা আমাদের জীবনে নতুন পথে এগিয়ে যেতে সহায়তা করে। যে মুহূর্তে আমরা মনে করি কিছুই ভালো হচ্ছে না, সেদিনই একটি ছোট্ট আশা আমাদের পুরো পরিস্থিতি বদলে দিতে পারে।
জীবনে খারাপ সময় আসবে, কিন্তু সেগুলো আমাদের স্থায়ীভাবে পরাজিত করতে পারবে না যদি আমরা ইতিবাচক মনোভাব রাখতে পারি। ভালো থাকার জন্য আমাদের উচিত, যে কোনো পরিস্থিতিতে আশাবাদী হওয়া, কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা, এবং দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতা বজায় রাখার জন্য সচেতন থাকা।
খারাপ সময়ও শেষ হয়ে যায়, এবং আপনি যদি ইতিবাচক মনোভাব রাখেন, তবে এই সময়টি আপনার জন্য আরো অনেক কিছু শেখার সুযোগ হয়ে উঠবে।
- 67 views
- 1 answers
- 0 votes
বাংলাদেশে অল্প টাকায় ছোটখাটো কিছু ব্যবসা শুরু করা যেতে পারে। এখানে কিছু সম্ভাবনা:
- ফুড স্টল বা স্ন্যাকস বিক্রি: আপনি অল্প টাকায় সস্তা স্ন্যাকস, যেমন চা, বিস্কুট, সিঙ্গারা, ফুচকা ইত্যাদি কিনে বিক্রি করতে পারেন। এটি প্রাথমিকভাবে শুরু করার জন্য ভাল একটি ব্যবসা হতে পারে।
- ফুলের ব্যবসা: ফুলের দোকান বা ফুলের প্যাকেট বিক্রি করা একটি সহজ এবং লাভজনক ব্যবসা হতে পারে। ছোট বাজেটে ফুল কিনে, শহরের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা সম্ভব।
Also Read…
ফেসবুক থেকে লাইভ ভিডিও গুলো কি মুছে ফেলা হবে? কিভাবে এগুলো সংরক্ষণ করব?ফেসবুক থেকে লাইভ ভিডিও গুলো কি মুছে ফেলা হবে? কিভাবে এগুলো সংরক্ষণ করব?https://easyanswer.top/1767/- বই বা স্টেশনারি বিক্রি: স্কুল বা কলেজে পড়ুয়া ছাত্রদের জন্য স্টেশনারি আইটেম, যেমন পেন, পেন্সিল, খাতা ইত্যাদি বিক্রি করা হতে পারে।
- কসমেটিক্স বা হেলথ প্রোডাক্টস: ছোট কসমেটিক্স আইটেম (যেমন সাবান, টুথপেস্ট, শ্যাম্পু) কিনে তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা সম্ভব।
- মোবাইল রিচার্জ বা ইন্টারনেট ডেটা সেবা: আপনি মোবাইল রিচার্জ বা ইন্টারনেট ডেটা সেবা প্রদান করতে পারেন, যা জনপ্রিয় এবং স্বল্প বাজেটে শুরু করা যায়।
এগুলো সবই ছোট পরিসরে শুরু করার উপযোগী ব্যবসা, তবে লাভ হতে পারে যদি আপনার প্রোডাক্ট বা সেবাটি সঠিক জায়গায় এবং সঠিক সময়ে পৌঁছায়।
- 80 views
- 1 answers
- 0 votes
জ্ঞানী হতে হলে আপনাকে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে—
১. নিয়মিত পড়াশোনা করুন
বই হলো জ্ঞানের প্রধান উৎস। ইতিহাস, দর্শন, বিজ্ঞান, সাহিত্য—বিভিন্ন বিষয়ের বই পড়ুন। কেবল পাঠ্যবই নয়, বরং মননশীল বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
২. প্রশ্ন করুন ও বিশ্লেষণ করুন
যেকোনো বিষয় নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করুন। কেন, কীভাবে, কোন প্রেক্ষাপটে—এসব প্রশ্ন করুন এবং নিজের মতো করে বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করুন।
৩. পর্যবেক্ষণ শক্তি বাড়ান
চারপাশের ঘটনা, মানুষের আচরণ, প্রকৃতির পরিবর্তন—এসব খুঁটিয়ে দেখুন। একজন জ্ঞানী মানুষ সাধারণ মানুষের দেখার বাইরে থাকা বিষয়গুলোকেও বুঝতে পারে।
৪. যুক্তিবাদী ও সমালোচনামূলক চিন্তাধারা গড়ে তুলুন
সবকিছু অন্ধভাবে বিশ্বাস করবেন না। যেকোনো তথ্যের সত্যতা যাচাই করুন, বিভিন্ন উৎস থেকে তথ্য সংগ্রহ করুন এবং যৌক্তিক চিন্তাভাবনা করুন।
৫. নতুন দক্ষতা শিখুন
বিভিন্ন বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করুন—ভাষা, প্রযুক্তি, সৃজনশীল লেখা, গণিত বা যে কোনো কাজে পারদর্শী হওয়ার চেষ্টা করুন।
৬. ধৈর্য ধরুন ও ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন
জ্ঞান অর্জন রাতারাতি সম্ভব নয়। আপনাকে ধৈর্য ধরে, নিয়মিত চেষ্টা করতে হবে।
৭. বিজ্ঞজনদের সংস্পর্শে থাকুন
যারা জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ, তাদের সাথে আলোচনা করুন, তাদের চিন্তাধারা বুঝতে চেষ্টা করুন। গুরুজনদের পরামর্শ নিন।
৮. আত্মসমালোচনা করুন
নিজের ভুল স্বীকার করুন এবং তা থেকে শিক্ষা নিন। সত্যিকার অর্থে জ্ঞানী হতে চাইলে অহংকার ত্যাগ করতে হবে।
৯. নিজের অনুভূতিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করুন
জ্ঞানী মানুষ শুধু বুদ্ধিতে নয়, আবেগকেও বুদ্ধিমত্তার সাথে সামলাতে জানে। রাগ, দুঃখ, আনন্দ সবকিছুকে সঠিকভাবে পরিচালনা করুন।
১০. নিয়মিত লিখুন ও ভাব প্রকাশ করুন
নিজের চিন্তাভাবনা লিখুন, ডায়েরি রাখুন, কবিতা বা প্রবন্ধ লিখুন। এতে চিন্তাগুলো সুগঠিত হবে, যা আপনার জ্ঞানকে আরও গভীর করবে।
সর্বোপরি, কখনোই শেখার আগ্রহ হারাবেন না। প্রতিনিয়ত শেখার মানসিকতা ধরে রাখলে আপনিও একদিন সত্যিকারের জ্ঞানী হয়ে উঠবেন!
- 99 views
- 1 answers
- 0 votes
জীবনে একবার হলেও পড়া উচিত এমন দশটি কালজয়ী উপন্যাসের তালিকা দেওয়া হলো, যা সাহিত্য, দর্শন ও জীবনের গভীর অর্থকে অনুধাবন করতে সহায়ক—
১. “ব্রাদার্স কারামাজভ” – ফিওদর দস্তয়েভস্কি
রাশিয়ান সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ দার্শনিক উপন্যাসগুলোর একটি। নৈতিকতা, ধর্ম, ন্যায়বিচার ও পারিবারিক দ্বন্দ্ব নিয়ে এটি গভীর আলোচনা করে।
২. “১৯৮৪” – জর্জ অরওয়েল
একটি ভবিষ্যতবাদী ডিসটোপিয়ান উপন্যাস, যেখানে একনায়কতন্ত্র, নজরদারি ও স্বাধীনতার সংকট তুলে ধরা হয়েছে। বর্তমান সময়ের জন্যও প্রাসঙ্গিক।
৩. “মিডলমার্চ” – জর্জ এলিয়ট
উনিশ শতকের ইংল্যান্ডের সামাজিক বাস্তবতা ও মানব চরিত্র বিশ্লেষণের এক অনবদ্য সাহিত্যকীর্তি। এটি প্রেম, উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও ব্যক্তিগত সংগ্রামের এক অসাধারণ চিত্রায়ন।
৪. “ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ার্স অব সলিটিউড” – গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ
ম্যাজিক রিয়ালিজম ধারার অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। বুয়েন্দিয়া পরিবারের সাত প্রজন্মের কাহিনি মানবসভ্যতার নানা দিক ফুটিয়ে তোলে।
৫. “ক্রাইম অ্যান্ড পানিশমেন্ট” – ফিওদর দস্তয়েভস্কি
অপরাধবোধ, নৈতিকতা ও মুক্তির লড়াই নিয়ে লেখা রাশিয়ান সাহিত্যের অন্যতম সেরা উপন্যাস।
৬. “টু কিল আ মকিংবার্ড” – হার্পার লি
যুক্তরাষ্ট্রের বর্ণবৈষম্য, ন্যায়বিচার ও মানবতার ওপর ভিত্তি করে লেখা এক হৃদয়স্পর্শী উপন্যাস।
৭. “দ্য গ্রেট গ্যাটসবি” – এফ. স্কট ফিটজেরাল্ড
আমেরিকান ড্রিম, বিলাসবহুল জীবন ও ভঙ্গুর সম্পর্কের প্রতিচ্ছবি।
৮. “আন্না কারেনিনা” – লিও টলস্টয়
ভালোবাসা, সংসার, সামাজিক মর্যাদা ও আত্মপরিচয়ের গভীর বিশ্লেষণ।
৯. “দ্য ক্যাচার ইন দ্য রাই” – জে. ডি. স্যালিঞ্জার
কিশোরদের মানসিক দোদুল্যমানতা ও আত্মপরিচয়ের সংকট নিয়ে লেখা কালজয়ী সাহিত্যকর্ম।
১০. “দ্য মাস্টার অ্যান্ড মার্গারিটা” – মিখাইল বুলগাকভ
রাশিয়ান স্যাটায়ারিকাল উপন্যাস, যেখানে শয়তানের মস্কো সফরের মাধ্যমে সমাজের নানা অসঙ্গতি উন্মোচিত হয়।
এই উপন্যাসগুলো শুধু সাহিত্য নয়, বরং জীবনকে নতুনভাবে বুঝতে শেখায়।
- 77 views
- 1 answers
- 0 votes
আমাদের জীবনে আমরা সবাই মানিসক সমস্যার মুখোমুখি হই। আমােদর কারো রাগের সমস্যা রয়েছ আবার কারো সম্পর্কের সমস্যা রয়েছে। আমাদের মাঝে কেউ কেউ হয়তো বন্ধু-বান্ধব বা আত্নীয়ের দ্বারা প্রতারিত হয়েছি, অথবা কেউ কেউ শৈশবে মানসিক আঘাত পেয়েছি বা অন্যের বিকৃত রুচির শিকার হয়েছি। আমাদের হয়তো বা কোনো শারীরিক রোগ হতে পারে, আবার কেউ কেউ দৈনন্দিন জীবনের চাপ সামলাতে পারে না। এই সকল সমস্ত সমস্যা মানিসক স্বাস্থ্যের অধীনে রয়েছে। আমােদর সকলের এই সমস্যাগুলো সমাধান করা অতীব জরুরী। অন্যথায়, অদূর ভবিষ্যতে আমরা এই সমস্যাগুলো থেকে সৃষ্ট নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হব।
মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি বা স্থিতিশীল রাখার জন্য আমাদের সবাইকে জীবনের স্তম্ভ গুলোকে ঠিক রাখতে হবে বা তাদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে হবে।
জীবেনর স্তম্ভঃ
নিচে আমাদের জীবনের ৮ টি প্রয়োজনীয় জীবনের স্তম্ভ নিয়ে বিস্তারিতভাবে বলা হলোঃ
জীবনের উদ্দেশ্যঃ
আমাদের অবশ্যই আমাদের জীবেনর জন্য একটা উদ্দেশ্য নির্ধারণ করতে হবে। যা আমাদের অনেক দূরে যেতে সাহায্য করবে। ৩০ বছরের জন্য একটা পরিকল্পনা সেট করার চেষ্টা করতে হবে।
কোন একটা কাজ করাঃ
জীবনের এক্টি প্রবাহ বা জৈবিক ছন্দ বজায় রাখার জন্য, আমােদর প্রত্যেকের একটি চাকরি করা দরকার। ২৫ বা ৩০ বয়সের যে কেউ চাকরি না থাকলে হতাশায় ভোগেন। একজন শিক্ষার্থীর জন্য স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়া হল তার কাজ।
বন্ধুদের সাথে সম্পর্কঃ
আমাদের প্রত্যেকের ভালো বন্ধু থাকা দরকার যারা আমাদের ভালো পথে পরিচালিত করে।
পরিবারঃ
পরিবারের সদস্যদের সাথে ভালো সম্পর্ক আমাদের সুখী থাকতে সাহায্য করে।
আসক্তি কাটিয়ে ওঠাঃ
আমাদের অবশ্যই মাদক, স্যোশাল মিডিয়া, জুয়া, খাবার, যৌনমিলন ইত্যাদির যেকোনো আসক্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে হবে।
শারীরিক অসুস্থতাঃ
দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক অসুস্থতা মানসিক রোগের দিকে পরিচালিত করে।
দ্বিতীয় জীবনঃ
আমােদর সবারই দ্বিতীয় জীবন প্রয়োজন।
দ্বিতীয় জীবন কী?
যে জিনিসগুলো আমাকে সক্রিয় করে তোলে বা আমি করতে ভালোবাসি।
যেমনঃ বই পড়া, খেলাধুলা করা, ভ্রমণ। আমার ক্ষেত্রে বই পড়া দ্বিতীয় জীবন।
আচরণগত প্যাটার্ন সংশোধনঃ
ঘুম, নিয়মিত পুষ্টিকর খাদ্যাভাস, শারীরিক ব্যায়াম, মেডিটেশন করার অভ্যাসের প্রয়োজন।
আশা করি আপনার জীবনের স্তম্ভগুলোর মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকলে আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে।
হ্যাপি রিডিং📚
- 78 views
- 1 answers
- 0 votes