এমন আশ্চর্যজনক কী জানেন, যা বেশিরভাগ মানুষ জানে না?
এমন আশ্চর্যজনক কী জানেন, যা বেশিরভাগ মানুষ জানে না?
আমরা সবাই ব্যবহার না করলেও, নিশ্চয়ই নাম শুনেছি TOR নামক একটি “internet browser”-এর। কিন্তু, আমরা অনেকেই এটা জানি না যে The Onion Router, বা TOR-এর পৃথিবীতে আসার কারণ কি ছিল।
কেন তৈরি করতে হয়েছিল, এরকম একটা ব্রাউজার?
দেখো, অন্যান্য ব্রাউজার কি কারণে তৈরি হয়? বাকি ব্রাউজারদের টক্কর দিয়ে ইন্টারনেটে নিজেদের কর্তৃত্ব ফলানোর জন্য। বা। এদের নিজেদের ভাষায়, “to improve our browsing experience”।
কিন্তু, এই TOR তো আর কোনও সাধারন “browser” নয়! এটা একদমই আর পাঁচটা “browser”-এর মতো নয়। তাই, এটা তৈরি হওয়ার কারণও আর পাঁচটা “browser”-এর মতো হওয়ার কথা নয়, তাই না?
১৯৮৩ সালে যখন প্রথম ইন্টারনেট জিনিসটা এসেছিল, তখন কয়েক বছর লেগেছিল লোকজনের জিনিসটা ঠিক কি সেটা পুরোপুরি বোঝার জন্য।
কিন্তু, যখন বুঝে গেল, তখন বিদ্যুতের গতিতে বাড়তে লাগল এটা ব্যবহার করা “user”-এর সংখ্যা। ২০০০ সালে, এই সংখ্যাটা হয়েছিল প্রায় ৩৫ কোটি!
তো, যাই হোক, এই ইন্টারনেটটা তৈরি হয়েছিল দুনিয়ার যেকোনো কোণায় কখন কি হচ্ছে সেটা জানার জন্য। কিন্তু, এটা তৈরি করার সময়ে ঠিক “anonymity”, “secrecy”-নামক শব্দগুলোর কথা মাথায় রাখা হয়নি।
“Secrecy”-টা ছিল ঠিকঠাক মতোই, কিন্তু সাধারন লোকজনের মধ্যে তখনও “anonymity”, “secrecy”-র চাহিদা ছিল ন।
এই চাহিদাটা প্রথম জন্মাল US Federal Government-এর মধ্যে, যারা চাইল এমন একটা ইন্টারনেট পরিসেবা তৈরি করতে, যেটা শুধুই তাঁরা ব্যবহার করতে পারবে, ও যেটা সম্পুূর্ণরুপে তাদের “identity”, বা আরও ভালোভাবে বললে তাদের “IP Adress”-টাকে বাকি “user”-দের চোখের আড়ালে রাখবে।
বা, আগে যেমন বলছিলাম, ইন্টারনেটের দুনিয়ায় এরা “anonymous” হয়ে বাস করবে।
এই চাহিদা মেটানোর দায়িত্ব দেওয়া হল NRL, বা United States National Research Laboratory-র হাতে।
Paul Syverson নামের একজন গণিতজ্ঞ, আর Michael G. Reed এবং David Goldschlag নামের দুজন কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ মিলে তৈরি করলেন “Onion Routing”-এর ধারণাটা।
তাঁরা সেটার নাম দিয়েছিলেন, “Overlay Network”।
সাধারনত, ইন্টারনেট এরকম হয়ঃ
কিন্তু, এই তিন মূর্তি তৈরি করলেন, এটাঃ
মানে, এক প্রান্ত থেকে বসে বসে আরেক প্রান্তের খবর ঠিকই যজানা যাবে, কিন্তু জনসম্মুখে থাকা ইন্টারনেটের মাধ্যমে নয়, একটা সম্পুূর্ণ আলাদা “network”-এর মাধ্যমে।
ব্যাস, ইন্টারনেট দুনিয়া জেনে গেল “anonymity” কাকে বলে।
কিন্তু, কয়েক মাস পরে, আমেরিকার সরকার এই পুরো ব্যাবস্থাটার একটা বড়সড় গলদ দেখতে পেল।
পুরো দুনিয়া জানত যে আমেরিকা তাদের গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত কাজই একটা গোপন “network”-এর মাধ্যমে করছে।
কাজেই, যখনই লোকজন দেখতে পেত যে ইন্টারনেট দুনিয়ায় কোনও একটি IP address-এর হদিশ পাওয়া যাচ্ছে না, তখনই তারা বুঝতে পারত যে ওটা হচ্ছে US Federal Government।
এটা তো হতে দেওয়া যায় না! পুরো জিনিসটাই তো তাহলে জলে যাবে!
তাই, US Federal Government এই ব্যাবস্থার জন্মদাতা, NRL-কে বলল, পুরো জিনিসটাকে বাজারে ছেড়ে দিতে, বিনামুূল্যে। NRL বাধ্য হল সেটাই করতে।
জন্ম হল, বর্তমান দুনিয়ার সবথেকে বড় Darknet, TOR-নামক একটি ব্রাউজারের।