কিভাবে আমি নিজেকে অন্যের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তুলবো?
অন্যের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার প্রয়োজন নেই। সবার আগে নিজের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তুলুন। নিজে যখন নিজের পরম শক্তি দিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাজ করবেন দেখবেন নিজের অজান্তেই অন্যের কাছে এবং নিজের কাছেও গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন।
একটি জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট কখনোই অন্যের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার কথা ভাবে না। বরং অনেক সাধারন মানুষ অথবা ওই ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে কর্মরত অনেক কর্মচারী ডিস্ট্রিক ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন।
একজন বিচারকের কাছে একজন আসামী সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রচেষ্টা করে নিজেকে সৎ প্রমাণ করার জন্য। এখানেও আসামি বিচারকের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টাই করছে।
কোনো খাদ্য প্রস্তুতকারী সংস্থা সর্বদা গ্রাহকের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করে। যেহেতু গ্রাহক খাদ্য প্রশস্তকারী সংস্থাকে অর্থ দেবে তাই সে এ কাজ করছে।
চাকরিপ্রার্থী সর্বদা ইন্টারভিউয়ারদের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করে। টেবিলের ওপাশের আর এপাশের দুই রকমের প্রতিনিধিদের মধ্যে ফারাক হল একদল প্রতিনিধি চাকরি দেওয়ার ক্ষমতা রাখে এবং একজন প্রতিনিধি সেই চাকরি পাওয়ার অধিকার রাখে।
গ্রহণযোগ্যতা এসব কিছুই কিছু বিষয়ের উপর নির্ভরশীল। গ্রহণযোগ্যতা সেখানেই প্রয়োজন যেখানে কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আপনি যদি কোন আইন সম্বন্ধীয় সমস্যায় না পড়েন তাহলে কি কখনো উকিলের কাছে যাবেন?
আপনি যদি সাংবিধানিক কোনো সমস্যায় না পড়েন তাহলে কি ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এর কাছে যাবেন?
অর্থাৎ যার কাছে ক্ষমতা আছে যার কাছে সমস্যা সমাধান করার অধিকার আছে সর্বশেষ যার Signature এর দাম আছে তাকেই মানুষ গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। তার কাছেই মানুষ নিজেকে বেশি গ্রহণযোগ্য মনে করেন।
আপনার যদি কোন চাকরির প্রয়োজন না থাকে তাহলে কি ইন্টারভিউয়ারদের সামনে গিয়ে নিজের সুন্দর সুন্দর গুণাবলী প্রচার করবেন?… এর কোন কিছুই করবেন না, এটা সত্যি।
তাই, আপনি নিজের যোগ্যতা এবং গুরুত্ব বৃদ্ধি করার জন্য কাজ করুন।
অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে না থেকে নিজে চেষ্টা করুন সমস্যা সমাধানের জন্য।
আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হয়ে দৃঢ়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করুন।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করুন, প্রতিবাদ করুন।
সত্যের পথে চলুন। অন্যের কাছ থেকে অন্যায় সুযোগ নেওয়া বন্ধ করুন।
নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন।
এসব কিছু করলে দেখবেন আপনি নিজের কাছে আগের থেকে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছেন। আর নিজের কাছে যখন গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবেন, তখন দেখবেন অন্যেরা আপনাকে অনেক বেশি গ্রহণযোগ্য মনে করছেন।