জীবনের সংজ্ঞা কী?
জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত একা একা নিতে হয়।জীবনে সব থেকে কঠিন মূহর্ত গুলোতে কাউকে পাশে পাওয়া যায় না।ফ্যামেলী হোক,ফ্রেন্ড হোক সবাই একটা না একটা অজুহাত খুঁজে কেটে পড়ে।তখন নিজেকে ছাড়া আর কাউকে পাওয়া যায় না।
যারা নিজের মনের কথা বা নিজের মনকে ফলোহ্ করে,তারাই নিজের সত্যিকারে অর্থে প্রতিভা খুঁজে বের করতে পারে।বাকিরা ফলোহ্ করে অন্যদেরকে॥অন্যরা যা করছে নিজেরাও তাই করে।অথচ আমরা সবাই আলাদা॥শুধু চেহারা নয়,আঙ্গুলের চাপ পর্যন্ত।মস্তিক্য বা চিন্তা ধারার ক্ষমতা এক হবে কিভাবে?অনদের ফলোহ্ করতে গিয়ে,অন্যদের মত করতে গিয়ে নিজের সত্যিকারের প্রতিভাকে কাজে লাগানো হয় না।আর নিজের মনকে ফলোহ্ করতে গিয়ে আমরা একা হয়ে পড়ি।কাউকেই পাশে পাই না।
একা একা চলাও কঠিন।দেখন ,সত্যিকারের লক্ষ্য না থাকলে একা একা চলা যায়?বারবার পথ হারিয়ে যায়।এজন্য যারা একা চলে তাদের একটা নির্দিষ্ট লক্ষ্য থারে।তারা বুঝে যায় তাদের কি করতে হবে।বাকিরা স্রোত যেদিকে যায় সেদিকেই যায়।স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্তে থাকে।আর এভাবে জীবনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় থেকে বঞ্চিত হয়।ভালো কিছুর অভিজ্ঞতা ও অর্জন করতে পারে না।
সম্মানহীন মানুষটাই অন্যের কাছে নিজের সম্মান খুঁজে।অন্যরা কি ভাববে এসব বিষয় বেশি ফোকাস করে।একা চলা শিখে গেলে অন্যরা কি ভাববে এসব নিয়ে নিজের এনার্জি নষ্ট করতে হয় না।সত্যিকারের কোনটা ভালো তাকে ফোকাস দেয়া যায়।
আমাদের অনেকের নিজেদের সময় বেশি নষ্ট হয় অন্যদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে গিয়ে।অথচ যার মনোযোগ আকর্ষণ করার চেষ্টা করি সে হয়ত আমাদের লাইফে একটু আ্যপেক্ট ফেলতে পারবেনা,নিজের কোনো কাজেই কাজে আসবে না।উল্টো নিজের সময় এবং শ্রম নষ্ট হবে।আমাদের মনোযোগ দেয়া প্রয়োজন ওই সব বিষয় বা ওই সব মানুষের প্রতি।যাদের সাথে আমাদের জীবন জড়িত।
তৃতীয় ব্যক্তি কি ভাবলো,না ভাবলো তাতে সত্যিকারের অর্থে কিছুই যায় আসে না।আর একা চলতে পারা মানুষগুলো এটা সবার আগে শিখে যায়।একা চলাও সহজ নয়।তাই বলে এরা সম্পর্কের মানে ভুলে যায় না।যার সাহায্যের দরকার তার দিকে হাত বাড়িয়ে দাও।শুধু অপ্রয়োজনীয় জায়গায় নিজের সময় ও শ্রম নষ্ট করে না।দূর্বল ও অন্যদের সাহায্য করে এগিয়ে যেতে চায়।যারা একা চলতে পারে তাদের মনোবল অনেক বেশি।একা চলতে গেলে হয়ত অন্য কারো সাহায্য পাবেন না।তারপরও এগিয়ে যেতে হবে।
একা চলতে গেলে প্রথমত কাউকে পাওয়া যাবে না,দূর থেকে মজা নিবে,হাসাহাসি করবে,অবহেলা করবে।এরপর আসতে আসতে যখন নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাবেন,একটু একটু সফলতা পাবেন,আসতে আসতে সবাইকে পাশে পাওয়া শুরু করবেন।
চারপাশে অনেক ফেক মানুষ দেখতে পাবেন।ফেক মানুষরা অনেক সহজে সম্মান ও ভালোবাসা পায় দেখতে পাবেন।এসব দেখে নিজের মনোবল না ভেঙ্গে নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যেতে হবে।কারন মনে রাখবেন নকল জিনিস বেশিদিন টিকবে না।সত্যকারের মানুষরাই একসময় বিজয়ের হাসি হাসে।সময় লাগে হয়ত,সত্যকারের মানুষরাই সত্যিকারের সম্মান পায়।সত্যিকারের ভালোবাসা পায়।
বেশিরভাগ মানুষরাই অনকে ফলোহ করতে পচন্দ করে।ইউনিক কিছু ফলহ্ করতে পচন্দ করে।কিন্তু ইউনিক কিছু হতে চেষ্টা করে না।ইউনিক হতে চেষ্টা করতে গেলে হয়ত একা হয়ে যেতে পারে।তারপর ও ইউনিক কিছু করতে হবে তার পিছনে সময় দিতে হবে।একসময় ঠিক ওই মানুষগুলোই আপনাকে ফলোহ্ করা শুরু করবে।যে মানুষগুলোকে আপনি পাশে পান নাই।একা চলা মানুষগুলোই অন্যকে বেশি সম্মান করতে জানে।অন্যকে বেশি ভালোবাসতে জানে।অন্যের দোষ গুলো না খুঁজে গুন গুলোর প্রশংসা করতে জানে।
আপনি যদি একা চলতে থাকা মানুষগুলোর একজন হয়ে থাকেন তাহলে বিশ্বাস হারাবেন না।কারন যারা আপনাকে অবিশ্বাস করে তারাই একদিন বিশ্বাস করবে।যারা আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে তারাই আবার ফিরে আসবে।কারন তারা বিশ্বাস করে সে উপরে নয় হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে।অভিনয়টা ঠিক করতে জানে না।তারা বাস্তব জীবনের পরিকল্পনা করতে জানে।তাই আমি আবার ফিরে গেলে সে আমাকে গ্রহণ করে নিবে।
তারা আমাদের মত কুলঙ্কার গুলোকে সুযোগ করে দেয়।তারা জানে আমরা অন্যায় করছি তারা জানে আমরা অভিনয় করছি।
তবুও আমাদের ভুল গুলোকে শোধরে নিতে চায়।তারা আমাদেরকে ভালোবাসতে বাসতে একসময় আমাদের ভুলগুলোকেও ভালবাসতে থাকে।একটা সময় আমরা প্রতারণা করি।তাদের বিশ্বাসগুলোকে ভেঙ্গে চুরমার করে দেই।তাতে তারা কষ্ট পায়।তারা সৃতি থেকে পালিয়ে বেড়ায়।একটা সময় তারা হেরে যায়।তারা কেউ কেউ মরনের পথও খুঁজে নেয়।আবার কেউ জীবন্ত লাশ হয়ে বেঁচে রয়।নিজের জন্য নয়,শুধু পরিবার আর সমাজটুকুর কথা ভেবে।
সবশেষে তারাই হেরে যায় আমরা জিতে যাই।না না,আমরা হেরে যাই তারা জিতে যায়।কারন বেঁচে থাকার বাকি দিনগুলোতে আমাদের বেঁচে থাকার প্রতিটা ধাপে এর মাসুল দিতে হয় কোন না কোন ভাবেই।হয়ত ব্যপারটা কেউ উপলব্ধি করতে পারে কেউ হয়ত পারে না।এটাই সার্থপর মানুষ।তারা না দিচ্ছে সম্পর্কটা রাখতে না দিচ্ছে পুরোপুরি বিচ্ছেদ করতে।
তুমি যখন অন লাইনে থাকো,যখন তোমার নামের পাশে সবুজ বাতি জ্বলে।তখন আমার অন্তর কেঁপে উঠে।মনে হতো এই বুঝি আমাকে মনে পড়ল,এই বুঝি আমাকে মেসেজ দিবে।তারপর ঘন্টারপর ঘন্টা যাওয়ার পর যখন দেখি তোমার কোনো মেসেজ নাই তখন ভেবেই নেই তুমি হয়ত মহা ব্যস্ত।ভুলে হয়ত একটিভ দেখাচ্ছে।আমি ফেজবুক পোষ্ট দেখতে দেখতে যখন দেখি অন্য কারো ছবিতে তোমার রিয়েক্ট তখন আমার ভেতরে কি হয় তুমি জানো না।তখন ভেবেই নিই তুমি হয়ত আমার জন্য না।
আমার মন খারাপের পোষ্ট দেয়ার পর ও যখন তোমার কোনো রিয়েক্ট পাই না তখন ভেবেই নিই তুমি হয়ত আমার জন্য না।আমি মেসেজ ডেলিভারি হওয়ার পর ঘন্টার পর ঘন্টা যখন দেখি সিন হয় না তখন ভেবেই নিই তুমি হয়ত আমার জন্য না।আমাদের সম্পর্ক শুরু হবার পর হাজার বার অনুরোধ করলেও রিলেশনশীপ স্ট্যাটাস দেও না।তখন তুমি আমাকে এই বলে বুঝতে দিতে যে তোমার বন্ধুরা দেখলে অনেক ঝামেলা হয়ে যাবে।তখন এক দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে বুঝে নেই যারা ভালোবাসার জন্য জীবন দেয় সেদিকে তোমার মতো প্রেমিকা সামান্য আবদারগুলো রাখতে পারে না।
সামান্য কিছু চাওয়ার অপরাধে হাজারো অপমান করে।সত্যি আমার তার কাছে ভালোবাসার শব্দটা চাওয়া কি খুব বড় কিছু চাওয়া।একটিভ দেখার পর ও একটা মেসেজের রিপ্লেই এক ঘন্টা বা দুই ঘন্টা পর দেয়াটা সবচেয়ে বড় অসহ্যকর।আমি তোমার থেকে চেয়ে যা কিছু না পাই সেগুলো যখন অন্য কাউকে দিতে দেখি সেটা মেনে নেয়াটা সত্যি অনেক বড় কষ্টকর।যখন দেখি সব কিছু করার পর ও তোমার থেকে কোন কিছু পাওয়ার আশা থাকে না তখন ঠিকই বুঝি তুমি আমার জন্য না।আসলেই তুমি আমার জন্য না।তাও আমার মন দিন শেষে তোমাকেই চায়।
আমি ভালোবাসার কোনো অর্থ খুঁজে পাই না।একজন মানুষকে কতটুতু ভালোবাসালে সে ছেড়ে যাওয়ার পর আত্বভূতী দিতে হয় আমি সেটাও জানি না।কিন্তু তবুও আমি কাউকে ভালোবেসেছি।খুব ভালেবেসেছি।নিজের সবটুকু দিয়ে ভালোবেসেছি।সে ছেড়ে যাওয়ার পর আমি আর কাউকে ভালোবাসার সাহস করতে পারিনি।ভালোবাসার এই চার অক্ষরের শব্দটি শুনলে আমার চোখের সামনে তার চেহারাটা ভেসে উঠে।সে চলে যাওয়ার ৬ বছর পরও আমার ভেতর থেকে সে হারায়নি।আর কখনো হারাবেও না।কিন্তু মানুষের ধয্য ঠিক কতটা দূর্বল হলে কেউ ছেড়ে যাওয়ার পর নিজেরে খুন করতে হয় তা কেবল আমার কাছে রহস্য।
আমাদের সম্পর্কের কেবল দুই মাস হয়েছিল আর এই দুই মাসে আমাকে ৫ বার ছেড়ে চলে গেলো।আর ফিরে এসে বলত কতটা ভালোবাসো সেটা টেষ্ট করছি।এটি প্রথম ভালোবাসা ছিলো।আমার একটা ইচ্ছে যাকে প্রথম ভালোবাসবো তাকেই বিয়ে করব।অবশেষে তাকে বিয়ে ও করেছি।ভেবেছিলাম বিয়ের পর হয়ত ছেড়ে যাওয়ার মানে টা হারিয়ে যাবে।কিন্ত বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতে সে আমাকে জীবনের মানে শিখিয়ে গেছে।
সে হয়ত ভেবেছিলো।
তাকে হারাবার ঝন্ত্রণা আমাকে তিলে তিলে শেষ করে দিবে।কিন্তু সে এটা জানে না তার যাওয়াতে আমি বুঝে গেছি কিভাবে নিজেকে নিয়ে নিজে ভাবতে হয়।কিভাবে মনের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকতে হয়।আর কিভাবে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে হয়।কেউ জীবন থেকে চলে যাওয়া মানে হেরে যাওয়া নয়।বরং ভুল গুলো শোধরিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাও।পোষ্টের ভুল গুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখি নিবেন।