তৈলাক্ত ত্বক সুন্দর করার উপায় কী?
তৈলাক্ত ত্বক সুন্দর করার উপায় কী?
সুন্দর ত্বক, এবং তা আপনার ব্যক্তিত্বে অবশ্যই যোগ করে নতুন মাত্রা। নিয়মিত চেহারার চর্চা করলে অচিরেই আপনার ত্বকের ত্রুটি বিচ্যুতিগুলো সংশোধন হতে শুরু করবে, এবং আপনাই পাবেন আগের চাইতে অনেক বেশী সুন্দর একটি চেহারা ও ব্যক্তিত্ব। তবে এই চর্চাটা হওয়া চাই নিয়ম মাফিক। এবং অতি অবশ্যই সঠিক উপায়ে। মানুষ হিশাবে আমাদের চেহারার যেমন আলাদা, ভিন্ন যেমন শরীরের রঙ। ঠিক একই ভাবে মানুষ মাত্রই ত্বকের ধরনও ভিন্ন। সকলের ত্বকের ধরন এক হয় না, আবার বয়স ও লিঙ্গ ভেদেও ত্বকের ধরনে আসে পরিবর্তন। তাই চর্চার আগে জেনে নিতে হবে মূলত আপনার ত্বক কি ধরনের। এবং সেটার সাপেক্ষেই ত্বক চর্চার ধরন ও প্রসাধন সামগ্রী নির্ধারণ করতে হবে। তৈলাক্ত ত্বক দেখলেই সহজে বোঝা যায়। তৈলাক্ত ত্বককে ভালো ত্বক বলা হলেও এর সমস্যা সবচেয়ে বেশি। তবে এ ত্বক বেশি বয়স পর্যন্তও সজীব থাকে এবং বলিরেখাও সহজে পড়ে না। গরম কালে এ ত্বক থেকে বেশি পরিমাণে তেল বের হয়। তাই অন্যান্য ত্বকের তুলনায় এ ত্বকের যত্ন বেশি নিতে হয় এবং পরিষ্কার রাখতে হয়। দিনে-রাতে মিলিয়ে ৮/১০ বার মুখ ধুয়ে এ ত্বক পরিষ্কার করলে ভালো। তা না হলে ব্রণ, ব্ল্যাক হেডস, এ্যাকনে হবার আশংকা থাকে। ফলে মুখে দাগ সৃষ্টি হয়ে বিশ্রী হয়ে যায়। -এ জাতীয় ত্বক ফেস ওয়াশ বা বেসন দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার রাখা উচিত। -সবসময় হালকা গরম পানি দিয়ে ধোবেন এবং পরে নরম তোয়ালে বা গামছা দিয়ে মুখ ভালো ভাবে মুছে নেবেন। -মেক-আপ করার আগে কোনো অ্যাস্ট্রিনজেন্ট লোশন তুলোয় করে নিয়ে মুখে লাগাবেন। এর ফলে মুখ থেকে বেশি তেল বেরিয়ে মেক-আপ নষ্ট হবে না। -মুখে ব্রণ হলে হাত দিয়ে খোঁটাখুঁটি করবেন না। – বেশি তেল ঘি ভাজা-পোড়া মশলা খাবেন না। ডাক্তারের পরামর্শে ভিটামিন-এ, ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-সি মাঝে মধ্যে খেতে পারেন। – প্রতিদিন কমপক্ষে ৮ গ্লাস পানি পান করবেন। – রাতে ঘুমোবার আগে হালকা গরম পানি মশুর ডালের বেসন দিয়ে মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে শোবেন। শীতের দিনে গ্লিসারিন সমপরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে নিয়ে মুখে মেখে নিতে পারেন। গরম কালে কিছু দেয়ার দরকার হবে না। – ক্রিম জাতীয় জিনিস তৈলাক্ত মুখে না দেয়াই ভালো। এতে ব্রণ হওয়ার আশংকা খুব বেশি। – বাইরে থেকে ঘরে ফিরে অবশ্যই মুখমন্ডল খুব ভালো করে ধুয়ে নেবেন। তা না হলে বাইরের ধুলোবালি লোমকূপের গোড়ায় আটকে ব্রণ উঠতে পারে। প্রথমে হালকা গরম পানি দিয়ে, পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধোবেন। – সবসময় নিজের তোয়ালে ও চিরুনী পরিষ্কার রাখবেন। – সপ্তাহে দুদিন মুখে ফুটন্ত পানির ভাপ নিতে পারেন। ভাপ নেয়ার আগে মুখে কোনো নারিশিং ক্রিম ভালো করে মালিশ করে নেবেন। এতে ব্ল্যাক হেডগুলো (কালো মুখ ওয়ালা ব্রণ) নরম হয়ে উঠবে। তখন একটা স্টেরিলাইজড তুলো জড়ানো সরু কাঠি দিয়ে ব্ল্যাক হেডগুলোর চারপাশে চাপ দিলে ভেতর থেকে বেরিয়ে আসবে। তবে সাবধানে করতে হবে। নতুবা খোঁচা লেগে দাগ হতে পারে। একদিনে না বেরোলে জোর করে বের করতে যাবেন না। পরের দিন আবার চেষ্টা করবেন। – যদি ভাপ নিতে না চান বা অসুবিধে মনে করেন তবে গরম পানিতে সামান্য বোরিক পাউডার মিশিয়ে তুলো ভিজিয়ে সেক দিতে পারেন। তাতেও উপকার পাবেন। এতে ব্রণের মধ্যকার জিনিস বেরিয়ে যায়। তবে ব্রণে যেন কোনো আঘাত না লাগে সেদিকে খেয়াল করতে হবে। এক দিনে না বেরোলে দু-তিন দিনে বের করবেন। এক দিনে চেপে বের করতে গেলে ক্ষতি হতে পারে।