দুঃস্বপ্ন দেখা থেকে মুক্তি পাবো কী করে?

    দুঃস্বপ্ন দেখা থেকে মুক্তি পাবো কী করে?

    Vice Professor Asked on November 25, 2016 in সাধারণ.
    Add Comment
    1 Answer(s)

      মানুষ দুঃস্বপ্ন দেখে বিবিধ কারণে। ভয়-ভীতি, অস্থিরতা, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, হতাশা, বিষণ্ণতা বিষয়গুলো দুঃস্বপ্ন দেখার কারণ হতে পারে। কয়েক রাত নির্ঘুম কাটালেও মানুষ দুঃস্বপ্ন দেখতে পারে। তবে যে কারণেই একজন মানুষ দুঃস্বপ্ন দেখে থাকুক, এটি কাটিয়ে ওঠার জন্য প্রথমে দুঃস্বপ্ন দেখার কারণটি নির্ণয় করে নিতে হবে। মানসিক স্থিরতাও দুঃস্বপ্নের প্রবণতা কমায়। দুঃস্বপ্নের হাত থেকে রেহাই পেতে দুশ্চিন্তা কমানো ও শৃঙ্খল জীবনযাপন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। রাতে সময়মতো ঘুমিয়ে পড়া উচিত। যোগব্যায়াম দুঃস্বপ্ন দেখা বন্ধ করতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
      জেনে নিন দুঃস্বপ্ন দূর করার পদ্ধতিঃ

      কড়া ওষুধ খাওয়ার ফলে দুঃস্বপ্নের পরিমান বেড়ে যেতে পারে। এ অবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধের মাত্রা কমানো বা পরিবর্তন করিয়ে নিতে হবে।

      অনেকের মধ্যে ‘স্লিপ অ্যাপনিয়া’ বা ঘুমের মাঝে নিশ্বাস বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপসর্গ দেখা যায়। একারণেও তাঁদের দুঃস্বপ্ন তৈরি হতে পারে। এর চিকিৎসা করলে দুঃস্বপ্নের পরিমাণ কমে যায়।

      শারীরিক অসুস্থতা এবং মানসিক কারণে দুঃস্বপ্ন তৈরি হতে পারে। দুশ্চিন্তা বা বিষণ্ণতা থেকে দেখা দিতে পারে নিয়মিত দুঃস্বপ্ন। এসব জটিলতার চিকিৎসা করানোই সবচাইতে ভালো উপায়।

      ঠিক সময়ে ঘুমানো এবং গভীর ঘুম দুঃস্বপ্ন দূর করতে সাহায্য করে। ভারী ব্যায়াম, যোগব্যায়াম এবং ধ্যান এক্ষেত্রে কাজে আসে।

      বেডরুমের পরিবেশ যেন ঘুমের সহায়ক হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শান্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। বেডরুমে অফিসের কাজকর্ম না নিয়ে আসাই উত্তম।

      এছাড়াও চা-কফি অর্থাৎ ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় বেশি রাত করে খাওয়া উচিত নয়। বিকেলের পর তো নয়ই। কারন এগুলো আপনার শরীরে থেকে যেতে পারে ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত যা ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।

      Professor Answered on November 25, 2016.
      Add Comment
    • RELATED QUESTIONS

    • POPULAR QUESTIONS

    • LATEST QUESTIONS

    • Your Answer

      By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.