|
দ্বিতীয় বিয়ে করতে হলে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়?
দ্বিতীয় বিয়ে করতে হলে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়?
Add Comment
একজন মুসলিম বৈধ প্রয়োজনে দ্বিতীয় বিয়ে করতে পারে।
মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ ধারার ৬ মতে, দ্বিতীয় বিয়ের ক্ষেত্রে সালিসি পরিষদের কাছ হতে অনুমতি না নিলে বিয়ে নিবন্ধন হবে না। অনুমতির জন্য ফি দিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে ও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিয়ের অনুমতি প্রদানে যেসব বিষয়ের প্রতি বিবেচনা করা হবে তার মধ্যে অন্যতম হলো:
(১) বর্তমান স্ত্রীর বন্ধ্যাত্ব
(২) শারীরিক মারাত্মক দুর্বলতা
(৩) দাম্পত্য জীবন সম্পর্কিত শারীরিক অযোগ্যতা
(৪) দাম্পত্য অধিকার পুণর্বহালের জন্য আদালত হতে প্রদত্ত কোনো আদেশ বা ডিক্রি বর্জন
(৫) মানসিকভাবে অসুস্থতা ইত্যাদি।
যা যা করতে হয় :
– মুসলিম পাবিরারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ অনুযায়ী পূর্বাহ্নে সালিসি পরিষদের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি না নিয়ে কোনো পুরুষ একটি বিয়ে বলবৎ থাকাকালে আর একটি বিয়ে করতে পারবেন না। পূর্বানুমতি গ্রহণ না করে এই জাতীয় কোনো বিয়ে হলে তা মুসলিম বিয়ে এবং তালাক (রেজিস্ট্রেশন আইন ১৯৭৪ সালের ৫২নং আইন মোতাবেক রেজিস্ট্রি হবে না)।
– বিয়ের অনুমতির জন্য নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনপত্রে প্রস্তাবিত বিয়ের কারণ ও বর্তমানে স্ত্রী বা স্ত্রীদের সম্মতি নেওয়া হয়েছে কি না তা উল্লেখ করতে হবে।
– আবেদনপত্র পাঠানোর পর চেয়ারম্যান আবেদনকারী এবং তার বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীদের তাদের নিজ নিজ প্রতিনিধি মনোনয়ন করতে বলবেন। সালিসি পরিষদ যদি মনে করে যে, প্রস্তাবিত বিয়েটি প্রয়োজন এবং ন্যায়সঙ্গত তাহলে কোনো শর্ত থাকলে সে সাপেক্ষে প্রার্থীর বিয়ের অনুমতি মঞ্জুর করতে পারে।
– আবেদনপত্র সম্পর্কে সিদ্ধান্তকালে সালিসি পরিষদ এই সিদ্ধান্তের কারণসমূহ লিপিবদ্ধ করবে এবং কোনো পক্ষ নির্দিষ্ট ফি জমা দিয়ে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সহকারী জজের পুনর্বিচারের জন্য আবেদন করতে পারবে। এতে সহকারী জজের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে ও এর বৈধতা সম্পর্কে কোনো আদালতে প্রশ্ন উত্থাপন করা যাবে না।
– বর্তমান স্ত্রী বা স্ত্রীদের প্রাপ্য মুয়াজ্জল অথবা দেনমোহরের টাকা তৎক্ষণাৎ পরিশোধ করবে। সে টাকা ওভাবে পরিশোধ করা না হয়, তাহলে বকেয়া ভূমি রাজস্ব রূপে আদায় করা হবে। ধন্যবাদ