নখের কোণা ভেঙে যাচ্ছে, কীভাবে ঠিক হবে?
নখের কোণা ভেঙে যাচ্ছে, কীভাবে ঠিক হবে?
আসুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে নখ ভাঙ্গার হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
গ্লাভস পরুন
রান্না-বান্না, তরকারী কাটা কিংবা হাঁড়ি পাতিল ধোয়া যাই করুন না কেন অবশ্যই গ্লাভস পরে নিবেন। বিশেষ করে বাগান করার সময় অবশ্যই গ্লাভস পরে নেয়া উচিত। এতে হাতে ময়লা লাগে না এবং নখে চাপ পরে না। তাছাড়া গ্লাভস পরে নিলে বারে বারে ক্ষতিকর ডিটারজেন্ট ও ডিশ ওয়াসার লাগে না। ফলে নখ দূর্বল হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
ময়শ্চারাইজ
যখনই সময় পাবেন নখে পেট্রোলিয়াম জেলি, ক্যাস্টর ওয়েল অথবা অলিভ ওয়েল মাখুন। প্রতিদিন ঘুমাতে যাওয়ার আগে অন্তত একবার এভাবে নখে ও নখের আশেপাশের ত্বক ময়শ্চারাইজ করে নিন। এতে নখের ভঙ্গুরতা কমে এবং রুক্ষ ভাব দূর হয়।
অতিরিক্ত রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার বন্ধ করুন
সব সময় নেইল পলিশ লাগিয়ে রাখা অথবা ঘন ঘন নেইল পলিশ রিমুভার ব্যবহার করলে নখের ভঙ্গুরতা বেড়ে যায়। এধরণের রাসায়নিক পদার্থ গুলো নখের আদ্রতা কেড়ে নেয় এবং নখকে দূর্বল করে দেয়। তাই সব সময়ে নেইল পলিশ লাগিয়ে না রেখে মাঝে মাঝে বিরতি দিন। এতে নখের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
নিয়মিত নখ কাটুন
নির্দিষ্ট সময় পর পর সামান্য পরিমাণে হলেও নখ ছোট করুন। নখের কোণা ধারালো হয়ে গেলে নেইল ফাইলার দিয়ে ফাইল করে নিন। নিয়মিত নখ কিছুটা ছোট করে নিলে নখের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং ভাঙ্গার প্রবণতা কিছুটা কমে যায়।
দাঁত দিয়ে নখ কামড়াবেন না
দাঁত দিয়ে নখ কামড়ানোর অভ্যাস থাকতে আজই ত্যাগ করুন। কারণ সব সময় দাঁত দিয়ে নখ কাটলে নখ দূর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায় এবং নখের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হ্রাস পায়। তাই নখ ভাঙ্গা রোধ করতে দাঁত দিয়ে নখ কাটার অভ্যাস পরিত্যাগ করুন।
ভিটামিন ই যুক্ত খাবার খান
প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই যুক্ত খাবার রাখুন। এছাড়াও অন্যান্য ভটামিন যেমন ভিটামিন এ,সি,ডি ইত্যাদিও নখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তাই নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান যেগুলোতে প্রচুর ভিটামিন আছে। খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন ই পর্যাপ্ত না পেলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খেতে পারেন নিয়মিত। এতে শরীরের ভেতর থেকে নখে পুষ্টি পৌছাবে এবং নখ শক্ত ও স্বাস্থ্যজ্জ্বল হবে।
লবণ পানিতে নখ ভেজান
সপ্তাহে অন্তত একবার হালকা গরম পানিতে লবন মিশিয়ে নিয়ে আপনার নখ গুলো ডুবিয়ে রাখুন অন্তত ২০ মিনিট। এরপর ব্রাশ দিয়ে হালকা করে ঘষে নিন। সব শেষে শুকনো করে মুছে নিয়ে গ্লিসারিন বা ভেসলিন ম্যাসাজ করে নিন। এক সপ্তাহ পর পর একবার এভাবে লবণ পানিতে নখ ধুয়ে নিলে নখের স্বাস্থ্য ভালো হয় এবং নখের ভঙ্গুরতা কমে।