বিজ্ঞান কি আত্মার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পেরেছে?
বিজ্ঞান কি আত্মার অস্তিত্ব প্রমাণ করতে পেরেছে?
দেহের মধ্যে কোথাও আত্মা নেই….দেহ- মন, অহং, চেতনা, দ্বারা গঠিত। দেহে রক্ত, হাড়, চামড়া, মাংস, মল, মূত্র ইত্যাদি আছে। দরকার পড়লে আপনার যে কোনো আত্মীয়র দেহ কেটে বা তাকে মেরে(মারার আগে ঘরে সিসি টিভি, যতগুলো পারেন ক্যামেরা রেখে দিন )পরীক্ষা করে দেখে নিন। কিছু দেহের মধ্য থেকে বেড়োবে না।
আত্মা মানে যিনি শুদ্ধ, মুক্ত, পবিত্র। অর্থাৎ তিনিই আছেন। তিনি পূর্ন। তাঁর থেকে কোনো অংশ নিয়ে নিলে, তিনি সর্বদা পূর্ন থাকেন। কিন্তু আপনার ১ কোটি টাকার মধ্য থেকে ৫ টাকা নিয়ে নিলে আপনি চ্যাঁচাতে শুরু করবেন। শ্রীকৃষ্ণ বা কোনো মহাপুরুষ যদি বলেন যে- আমি আত্মা। তবে তিনি অহং এর কথা বলেন না, বা ব্যক্তিগত আমির(যিনি বসুদেবের ছেলে, যিনি সুদর্শন চক্রধারী, যিনি দার্শনিক, যিনি রাজনীতি ভালো বোঝেন, যিনি ন্যায়পরায়ন, যিনি বাঁশি বাজাতে ভালোবাসেন, যিনি গোপীদের সঙ্গে নাচতে ভালোবাসেন) কথা বলেন না। তিনি বলেন শুদ্ধ চৈতন্য জ্ঞান স্বরুপ আত্মার কথা। যার বিনাশ নেই। তিনি অনন্ত জ্ঞান স্বরুপ, সেই জ্ঞান সদা সত্য, পাল্টায় না এবং যা যুগ যুগ ধরে থাকবে। সংসার পাল্টাতে থাকবে কিন্তু সেই সূক্ষ্য জ্ঞান স্বরুপ আত্মা জীবাত্মার দেহ ধারন করে জগতের কল্যান করবে, কখোনো কৃষ্ণ রুপে, কখনো গৌতম বুদ্ধ রুপে, কখোনো স্বামী বিবেকানন্দ রুপে, কখনো মহম্মদ রুপে।
যেমন রবি ঠাকুর যে গান লিখে গেছেন। সেইগুলি তাঁর শুদ্ধ চেতনার রুপ। রবি ঠাকুরের হয়তো ভালো গলা ছিল না। এবার সেই গানগুলির গভীর অর্থ বুঝতে পেরে কখনো ইন্দ্রানী সেন, শ্রাবনী সেন, আবার কখনো শান, আবার কখনো স্বামী সর্বগানন্দ মহারাজ, আবার কখনো রাঘব চট্টোপাধ্যায়ের গলার মাধ্যমে তাঁর গান পূর্নতা পেয়েছে। অর্থাৎ রবি ঠাকুর মিটে গেছেন। কিন্তু তাঁর যে শুদ্ধ বাস্তবমুখী চেতনা, সেটা অতি সূক্ষ্যের মাধ্যমে তাঁর গানে, কথায়, লেখার মাধ্যমে রয়ে গেছে।
সময়ের সাপেক্ষে পরিস্থিতি পাল্টায়, জগত পাল্টায়, মন পাল্টায়, কিন্তু আত্মা একই থাকে।