মহিমান্বিত হতে চাওয়ার মধ্যে জীবনের প্রকৃত অর্থ কী?
মহিমান্বিত হতে চাওয়ার মধ্যে জীবনের প্রকৃত অর্থ কী?
মহিমান্বিত হতে চাওয়ার মধ্যে জীবনের প্রকৃত অর্থ খোঁজা এক গভীর দর্শন। কেউ যদি শুধুমাত্র খ্যাতি, ক্ষমতা বা সামাজিক স্বীকৃতির জন্য মহিমান্বিত হতে চায়, তাহলে সেটি একধরনের বাইরের আকর্ষণ, যা সাময়িক তৃপ্তি দিতে পারে কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে আত্মতুষ্টি আনে না।
কিন্তু যদি মহিমান্বিত হওয়া মানে হয় মানুষের কল্যাণে কিছু করা, জ্ঞান বা সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে নতুন কিছু সৃষ্টি করা, বা এমন কিছু রেখে যাওয়া যা পরবর্তী প্রজন্মকে আলোকিত করবে—তাহলে সেটিই প্রকৃত অর্থ বহন করে।
প্রকৃত মহিমার মানে কী হতে পারে?
১. নিজেকে উৎকর্ষিত করা – সত্যিকারের মহিমা আসে নিজের সীমাবদ্ধতা অতিক্রম করার মাধ্যমে।
২. অন্যদের উপকার করা – প্রকৃত সম্মান আসে তখনই, যখন মানুষকে সত্যিকারভাবে সাহায্য করা যায়।
3. নিজের নীতিতে অটল থাকা – কেবল বাহ্যিক সাফল্য নয়, আদর্শ ধরে রাখা গুরুত্বপূর্ণ।
৪. সৃষ্টিশীল কিছু রেখে যাওয়া – সাহিত্য, বিজ্ঞান, দর্শন বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে অবদান রাখা।
শেষ কথা
মহিমান্বিত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা যদি শুধুমাত্র অহংকার বা বাহ্যিক স্বীকৃতির জন্য হয়, তাহলে তা জীবনের প্রকৃত অর্থ বহন করে না। কিন্তু যদি এটি হয় নিজেকে ও সমাজকে ভালো কিছু দেওয়ার জন্য, তাহলে সেটি অর্থপূর্ণ হয়ে ওঠে।