মানসিকভাবে শক্ত হওয়ার উপায় কী?
মানসিকভাবে শক্ত হওয়ার উপায় কী?
মানসিকভাবে শক্ত হওয়ার উপায় আছে, তাই আজকে আমরা বলবো কিভাবে আপনি মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেন।
আমরা কিছুদিন আগে একটি পোস্ট করেছিলাম, যেখানে বলার চেষ্টা করেছি আপনি কিভাবে স্মার্ট এবং চালাক চতুর হয়ে উঠবেন। সেখানে এমন বিষয় আছে যেগুলো আপনাকে মানসিক ভাবে শক্ত হতে হেল্প করবে।
যদিও আজকের বিষয়টি মানসিকভাবে শক্ত হওয়ার উপায় কী, তবুও আপনি যদি ওই পোস্টটি পড়েন, তাহলে আজকের এই পোস্টটি আপনার জন্য আরো কার্যকারী হয়ে উঠবে।
কিভাবে মানসিকভাবে শক্ত হওয়া যায়
আপনার শক্তিশালী মস্তিষ্ক এবং শক্তিশালী শরীরের দরকার আছে। যখন আপনি চিন্তা করেন কিভাবে মানসিকভাবে শক্ত হওয়া যায়। সম্ভবত আপনি মস্তিষ্কের চর্চা এবং আপনার শারীরিক চর্চার দিকে নজর দিচ্ছেন না। স্বাস্থ্যের সর্ব সুখের মূল।
আপনি মানসিকভাবে শক্ত হওয়ার জন্য, আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে যে, কেন আপনি মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। আপনি কি এমন কোন কাজ করছিলেন যেগুলোর জন্য আপনি খুবই অসহায় বোধ করছেন? হতে পারে ব্যবসায় লস কিংবা ব্রেকআপ বা পারিবারিক সমস্যা।
মানসিক ভাবে শক্তিশালী হওয়ার জন্য সব সময় নিজেকে মোটিভেট রাখতে হবে, সেজন্য মোটিভেশনাল স্পিচ শুনুন। নিজেকে পজিটিভ রাখার চেষ্টা করুন। যা গঠন ঘটে গেছে, পিছনের অতীতে গিয়ে চিন্তা করা বন্ধ করুন। সামনের ভবিষ্যৎ দিয়ে ভাবুন এবং বর্তমানকে নিয়ে বাঁচুন।
মানসিকভাবে শক্ত হতে এখনই শারীরিক চর্চা করা শুরু করে দিন – এটি আপনার মন এবং শরীর দুটোই সুস্থ রাখবে।
মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকার তিন কৌশল
জীবনে চড়াই-উতরাই থাকেই। চরম অর্থনৈতিক দুর্দশা, জটিল কোনো রোগের আক্রমণ, প্রিয়জনের সঙ্গে বিচ্ছেদ ইত্যাদি কঠিন সময়গুলোতে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি আমরা। আর ভেঙে পড়াটা অস্বাভাবিকও নয়।
জীবনের এসব কঠিন মুহূর্তে নিজের প্রতি বিশ্বাস কমে যায়, উদ্বেগ তৈরি হয়। এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে বারবার নেতিবাচক চিন্তাই মাথায় আসে। আর এই নেতিবাচক চিন্তাগুলো আপনার ব্যবহারের ওপর প্রভাব ফেলে। তবে মনকে শক্ত রাখতে শিখলে এসব অনুভূতি, আচরণ, আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
নিজেকে মানসিকভাবে শক্তিশালী রাখতে তিনটি কৌশল জানিয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট সাইকোলজি টুডে।
১. বাস্তবতাকে মেনে নিন
মানসিকভাবে শক্তিশালী থাকার একটি অন্যতম সূত্র হলো বাস্তবতাকে মেনে নেওয়া। ধরুন, আপনি ট্রাফিক জ্যামে আটকে রয়েছেন। কিন্তু আর কিছুক্ষণ পরেই আপনার খুব জরুরি একটি মিটিং। খুব বিরক্ত লাগছে এই সময়। রাগ হচ্ছে, উদ্বেগ হচ্ছে এবং হতাশও লাগছে। এমন সময় আপনি কী করবেন? একটু আশপাশে তাকান। দেখবেন, আরো কিছু গাড়িও একইভাবে আটকে রয়েছে। সেসব গাড়িতে যাঁরা রয়েছেন, তাঁরাও কিন্তু আপনার মতোই অবস্থাতে পড়েছেন।
এভাবে ভাবলে দেখবেন নিজেকে একটু শান্ত করতে পারছেন, নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন। আসলে যখন অবস্থা পরিবর্তন করা যায় না, তখন বাস্তবতাকে মেনে নেওয়াটাই আপনাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করবে।
২. নেতিবাচক চিন্তা নিয়ন্ত্রণ
আপনার মনই আপনার সবচেয়ে বড় বন্ধু, আবার বড় শত্রুও। কথায় বলে, ‘বনের বাঘে খায় না, মনের বাঘে খায়’। কোনো কিছু নিয়ে বারবার নেতিবাচক চিন্তা করা মানসিক শক্তিকে নষ্ট করে দেয়।
ধরুন, যদি বারবার চিন্তা করতে থাকেন, ‘আমি কাজটি পারব না’ বা ‘আমাকে দিয়ে এই কাজ হবে না’। তাহলে আসলে যতটুকু পারতেন, সেটিও হবে না। তাই নেতিবাচক চিন্তা বা যেই চিন্তাগুলো করলে মন খারাপ হয়ে যায়, সেগুলো নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করুন।
নেতিবাচক চিন্তা দূর করতে মনে মনে ইতিবাচক অটোসাজেশন দিতে পারেন। নিজেকে বলতে পারেন, ‘ আমি পারব’, ‘আমি করব’, ‘আমার সব সমস্যার সমাধান হবে’।
৩. শান্ত থাকা
কঠিন পরিস্থিতিতেও শান্ত থাকার অভ্যাস খুব বড় গুণ। এই গুণটি আপনাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী করবে। যদিও বিষয়টি অতটা সহজ নয়। তবে নিজের ভেতরের অস্থিরতাকে নিয়ন্ত্রণ করে শান্ত থাকতে পারলে দেখবেন অনেক কঠিন বিষয়ও আপনার অনুকূলে চলে আসছে।