যৌন অক্ষমতা দূরীকরণে ঘরোয়া কোনো উপায় আছে কী?
যৌন অক্ষমতা দূরীকরণে ঘরোয়া কোনো উপায় আছে কী?
বর্তমান যুগে বেশীর ভাগ পুরুষের মধ্যে একটা সমস্যা বেশ প্রকট হয়ে উঠছে৷ দিন যত যাচ্ছে পুরুষের মধ্যে নপুংসকতা বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরুষের যৌন ইচ্ছা ক্রমশই কমে যাচ্ছে৷ কাজেই আপনার যৌন চাহিদা কমে যাওয়ার আগে থেকে আপনি সচেতন হয়ে যান৷ তবে জেনে নিন কেন আপনার মধ্যে থেকে এই চাহিদা ক্রম: ক্ষয়মান৷
এই কারণে ডাক্তারের কাছে যেতে কুণ্ঠিত বোধ করছেন? তবে চিন্তা করবেন না। কারণ এর চিকিৎসা আপনি এখন আপনার বাড়িতেও করতে পারেন৷ আর আপনি একবার এই সমস্যার সম্মুখীন হলে পরবর্তী সম্পূর্ণ জীবন আপনাকে এভাবে কাটাতে হবে এমন কোনো আশঙ্কাতে আপনি থাকবেন না৷
হোম রেমেডি পুরুষের এই সমস্যা সমাধানের জন্য এগিয়ে এসেছে৷ তারা যাতে আবার তাদের পূর্ণ যৌন ইচ্ছা ফিরে পায় তার উপায় বার করেছে হোম রেমেডি৷ যাদের মধ্যে এই অসুবিধা সবে মাত্র দেখা দিয়েছে তাদের ক্ষত্রে হোম রেমেডি কার্যকরী হতে পারে৷ কিছু কিছু ক্ষেত্রে হোম রেমেডি দ্বারা চিকিৎসা করা যায় কিন্তু সবক্ষেত্রে হোম রেমেডি প্রযোজ্য নয়৷
এবার আসুন জানা যাক যৌন অক্ষমতার প্রথম ধাপের চিকিৎসাতে দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার্য কি-কি সামগ্র্রী কাজে লাগতে পারে বা তা ব্যবহারে কি উপকার সাধিত হয়–
রসুন
যৌন অক্ষমতার ক্ষেত্রে রসুন খুব ভালো ফল দিয়ে থাকে ৷ রসুন কে ‘গরীবের পেনিসিলিন’ বলা হয় ৷ কারণ এটি অ্যান্টিসেপ্টিক এবং immune booster হিসাবে কাজ করে আর এটি অতি সহজলভ্য সব্জী যা আমারা প্রায় প্রতিনিয়ত খাদ্য হিসাবে গ্রহণ করে থকি ৷ আপনার যৌন ইচ্ছা ফিরে আনার ক্ষেত্রে এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী৷ কোনো রোগের কারণে বা দুর্ঘটনায় আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গেলে এটি আপনাকে তা পুনরায় ফিরে পেতে সাহায্য করে৷
এছাড়া যদি কোনো ব্যক্তির যৌন ইচ্ছা খুব বেশী হয় বা তা মাত্রাতিরিক্ত হয় যার অত্যধিক প্রয়োগ তার নার্ভাস সিস্টেমের ক্ষতি করতে পারে এমন ক্ষেত্রে ও রসুন খুবই কার্যকরী৷
প্রতিদিন দু থেকে তিনটি রসুনের কোয়া কাঁচা অবস্থায় চিবিয়ে খান৷ এতে আপনার যৌন ইচ্ছা কমে গিয়ে থাকলে তা বৃদ্ধি পাবে৷ এছাড়া গমের তৈরি রুটির সঙ্গে রসুন মিশিয়ে খেলে তা আপনার শরীরে স্পার্ম উত্পাদনের মাত্রা বাড়ায় এবং সুস্থ স্পার্ম তৈরিতে এটি সাহায্য করে৷
পেঁয়াজ
কাম-উত্তেজক ও কামনা বৃদ্ধিকারী হিসাবে পেঁয়াজ বহুদিন থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে৷ কিন্তু এটি কিভাবে এই বিষয়ে কার্যকরী তা এখনো পর্যন্ত সঠিক ভাবে জানা যায় নি৷
সাদা পেঁয়াজ পিষে নিয়ে তাকে মাখনের মধ্যে ভালো করে ভেঁজে নিয়ে তা প্রতিদিন মধুর সঙ্গে খেলে তা থেকে উপকার পাওয়া যায়৷ কিন্তু একটি বিষয় মনে রাখবেন, এটি খাওয়ার আগে ঘণ্টা দুয়েক সময় আপনার পেট খালি রাখবেন৷ এইভাবে প্রতিদিন খেলে স্খলন, শীঘ্রপতন বা ঘুমের মধ্যে ধাতুপতন (যাকে এক কথায় spermatorrhea বলা হয়) ইত্যাদি সমস্যার সমাধান হওয়া সম্ভব৷
এছাড়া পেঁয়াজের রসের সঙ্গে কালো খোসা সমেত বিউলির ডালের গুঁড়ো সাত দিন পর্যন্ত ভিজিয়ে রেখে তাকে শুকিয়ে নিন৷ এটির নিয়মিত ব্যবহার আপনার কাম-উত্তেজনা বজায় রাখবে এবং শারীরিক মিলনকালীন সুদৃঢ়তা বজায় রাখবে৷
গাজর :
১৫০ গ্রাম গাজর কুঁচি এক টেবিল চামচ মধু এবং হাফ-বয়েল ডিমের সঙ্গে মিশিয়ে দুমাস খেলে আপনার শারীরিক এই অক্ষমতা কম হতে পারে৷ কাজেই এখন আর দুশ্চিন্তা করবেন না৷
যৌন ক্ষমতা বাড়াতে আসুন যাদুমন্ত্রের কিছু খাবারের নাম জেনে নেওয়া যাক।
তা হলো- তরমুজ, কালো চকোলেট, অ্যাস্পারাগাস, ঝিনুক, কুমড়া বীজ, রসুন, বাঁধাকপি, কলা, আভোকাডো, বাদাম, ডিম, তৈলযুক্ত মাছ, মরিচ, আখরোট, ব্রকলি, গরুর মাংস, শিমের বীচি, সেলেরি, সয়া, মাকা গাছের শিকড়, গোজি বেরি, মধু, ডুমুর, সবুজ জলপাই, আমলকী, আলমণ্ড, আম, স্ট্রবেরি, পিচ ফল, আনারস।
মনে রাখবেন, খাবারগুলো আবার যেন অতিভোজনের পর্যায়ে চলে না যায়। পরিমিত খান।
এ-তো গেল কিছু উপকারী খাবারের তালিকা। সুখের নাগাল পেতে দু’জনই কিছু নিয়ম মেনে চলুন।
নিয়ম সমুহ
১. দুজনই রাগ নিয়ন্ত্রণ করুন
২. নিজেদের দুর্বলতাগুলো জানুন
৩. সঙ্গীর প্রতি নমনীয় থাকুন
৪. হাজারো ব্যস্ততার মধ্যে পরস্পরকে সময় দিন। এবং
৫. একে অপরের দোষ-গুণগুলোকে মানিয়ে নিয়ে, পরস্পরকে শ্রদ্ধা করে ভালবাসার বাঁধনে বাধুন।
সুখ ধরাছোঁয়ার বাইরের কিছু না। দেখবেন সুখের ঠিকানা আপনার হাতের মুঠোয়।