রাগ নিয়ন্ত্রণের সঠিক উপায় কী?
মানুষের আবেগ নানান ভাবে প্রতিফলিত হয়। তার একটি হল রাগ। ভুল বা অন্যায় কিছু দেখলে অনেকেই রেগে যান।
ভালোবাসা, দুঃখ-বেদনার মত রাগও একটি আবেগ। ছোট কিংবা বড় বিভিন্ন ঘটনায় আমরা রাগ প্রকাশ করি। কিন্তু এই আবেগটি বেশি প্রকাশ পেলে নানা বিপত্তি তৈরি হয়।
- বিষয় যেটাই হোক, এটা সত্য যে, নৈতিক শিক্ষা মানুষকে রাগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ভারসাম্যপূর্ণ হতে সাহায্য করে।
- যে জায়গায় রাগান্বিত হয়েছেন সেই জায়গা দ্রুত ত্যাগ করুন।
- কি কারনে রাগান্বিত হয়েছেন তা লিখে রাখুন, যখন শান্ত হবেন তখন বিবেচনা করুন।
- উল্টো গণনা শুরু করুন যেমন ২০, ১৯ ,১৮, ১৭,।
- নিঃশ্বাসে ব্যায়াম করুন, যেমন নিঃশ্বাস ভিতরে যাচ্ছে, বাহির হচ্ছে, তার দিকে খেয়াল করুণ।
- বলার আগে সময় নিন, কি বলছেন অবশ্যই ভেবে চিন্তে কথা বলুন।
- রাগের সময় মাথা ঠান্ডা রাখার চেষ্টা করুন, কাউকে মাইরের থেকে, কথার আক্রমণের কষ্ট বেশি হয়। আপনার কথার মাধ্যমে একজনের কলিজা ছিদ্র হয়ে যেতে পারে, সেটা ভাবুন।
- ক্ষমা করতে শিখুন,মনোবিজ্ঞান বলছে, যারা সহজে ক্ষমা করতে পারে তারা মানসিকভাবে অন্য অনেকের চেয়ে এগিয়ে। জীবনে চলার পথও তুলনামূলকভাবে সহজ, এবং অনেক শান্তিময় হয়।
- রাগান্বিত অবস্থায় নিজের ক্ষমতা প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন, ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও প্রতিপক্ষকে ক্ষমা করতে পারা অনেক বড় মানবিক গুণ। জীবনে চলার পথে অনেকের আচরণ বা উচ্চারণে আঘাত আসতে পারে, নিজের ক্ষমতাকে ভালবাসায় রূপান্তরিত করে ফিরিয়ে দিন।
- মানবিক হন, যারা জাত পাত ছোট বড় এসব দিয়ে বিচার করে না, তারা ভাবি সবাই মানুষ। মানবিক যারা তারাও সহজে রাগান্বিত হয় না।
- তাই মানবিক হন মানুষের পাশে দাঁড়ান মানুষ কে উপকার করার চেষ্টা করুন, বিনা স্বার্থে।
- রাগান্বিত হয়ে, তর্ক না করে, চুপ থাকুন।
- জ্ঞানীরা কখনো রাগান্বিত হয়ে, চিল্লাচিল্লি করে না।
- জ্ঞানীরা কখনো রাগান্বিত হয়ে, এমন কিছু করে না, যা পরে আফসোস করতে হয়।