সফলতার অভ্যাস কী কী?
বিয়ের দিন হতে তৃতীয় বিবাহ বার্ষিকী:
- যাও! দুষ্টু ! কেউ দেখে ফেলবে!
 - কালো শাড়ী, সঙ্গে কালো টিপটা পরো। খুবই চমৎকার লাগে।
 - রেডি হও, বিকেলে ঘুরতে যাব, সিনেমাও দেখব।
 - …আরে ধুত, পিংকি ভাবি কত মোটা! ওর চাইতে তোমাকে কত সুন্দর লাগে! সত্যিই? দাঁড়াও চা করে নিয়ে আসি।
 - …. এই তোমার জন্য… হঠাৎই পছন্দ হয়ে গেল, কিনে ফেললাম….
 
চতুর্থ হতে সপ্তম বিবাহ বার্ষিকী:
- বাচ্চা ধর! সারাটা সময় বাচ্চা নিয়ে কত কষ্ট করি.. তোমার কোন খেয়াল নেই!
 - ভালো লাগছে না। তুমি আমার শরীরের দিকে লক্ষ্য রাখ না! দ্রুত ঘুমাও!
 - বাচ্চার কাপড়-চোপড়গুলো পরিষ্কার করে দাও!
 - বাইরে কেন গিয়েছিলে? ফোন দাও! ****টা কে? তার সাথে কী আলাপ শুনি?
 - এখন কয়টা বাজে শুনি? অফিস ছুটি হয় কয়টায়… কিসের এত দেরী?
 
অষ্টম হতে ১২ তম বিবাহ বার্ষিকী:
- বাবুর ভর্তির ব্যাপারে কি করলে? আমি কিন্তু যে কোন স্কুলে পড়াবো না।
 - তুমি অন্য রুমে ঘুমাও! দিনে দিনে যে মটকু হচ্ছ তাতে রাতে নাক ডাকবে না কেন?
 - কালকে থেকে সকালে হাঁটবে। এক্সারসাইজ করবে।
 - আবার চায়ে চিনি নিয়েছ? মাংস একটুকরার বেশী পাবে না। সব্জি খাও!
 - “একদম কোন লুকোচুরি করবেনা। সত্য কথা বলবে। মনে রেখ আমি কিন্তু তোমার স্ত্রী”
 
১৩ তম হতে ২০ তম বিবাহ বার্ষিকী:
- আজ পর্যন্ত একটা নিজেদের বাড়ি হল না! বাড়িটা কবে হবে শুনি?
 - বাচ্চাটাও থাকে না, তুমিও থাক না! সারাদিন খুবই একা লাগে। তোমাকে ফোন দিলে অফিসে ব্যস্ত পাই। সত্যিই খুব একা লাগে। তাড়াতাড়ি চলে এস!
 - সাড়া শরীর কেমন জ্বালাপোড়া করে। একটু মাথা ও পিঠটা ম্যাসেজ করে দাও না!
 - এ্যই, আমি মরে গেলে কী তুমি আবার বিয়ে করবে? ****কে বিয়ে করিও!
 - অবার ঢং…! সিনেমা দেখবে! ধর্মকর্মে মন দাও!
 
২১ হতে ৩০ তম বিবাহ বার্ষিকী:
- আমাদের সন্তানটা যে ****এর সাথে টাংকী মারে, শুনেছি নাকি মন দেয়া নেয়া চলছে! কোন খোঁজ খবর রাখ? তার আর রাখবে কেন? তার সম্পর্কে ভালোকরে খোঁজ নিও তো!
 - ঔষধটা ঠিকমত খেয়েছ?
 - আমার কিছুই লাগবে না। তোমার শরীরটা যেন ভালো ও সুস্থ থাকে।
 - এই একটু ****আনবে? খেতে খুবই ইচ্ছে হচ্ছে।
 - মৃত্যুটা যেন এক সাথেই হয়, অথবা তোমার আগে যেন মারা যাই।।।।।।