সামাজিক মাধ্যমের সঠিক ব্যবহার কিভাবে করা যায়?
সঙ্গ দোষে লোহা ভাসে কিংবা সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। অর্থাৎ আপনি কেমন ভালো হয়ে ওঠবেন কিংবা কেমন ভালো হবেন বা খারাপ হবেন সেটা নিয়ন্ত্রণ করে আপনি যাদের সাথে ঘোরাফেরা করেন বা যাদেরকে ফলো করেন।
আচ্ছা আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় কাদের ফলো করেন কিংবা কাদের ভিডিও, পোস্ট দেখেন?
আপনি ভবিষ্যতে কেমন মানুষ হয়ে ওঠবেন সেটার প্রভাব কিন্তু এগুলোর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়।
আচ্ছা আপনি নিজেকে প্রশ্ন করেন তো আপনি দৈনিক কত ঘন্টা। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেন? আমি চার ঘণ্টা ব্যবহার করি!
ফেসবুকে/ইউটিউবে আপনি প্রতিদিন যে সময়টা দেন সেসময়ে আপনি কি নতুন কিছু জানার, শেখার চেষ্টা করেন নাকি ফানি আর ফালতু ভিডিও, মিমি, প্রোপাগান্ডা পোস্ট,কপি, শেয়ার করে মূল্যবান সময় নষ্ট করে নিজেকে স্মার্ট প্রমাণ করার চেষ্টা করেন। যদি এমনটা হয়ে থাকে তাহলে আমি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ফেসবুক/ইউটিঊবের মাধ্যমে কিভাবে প্রোডাক্টিভ থাকা যায়।
প্রথম কাজ হচ্ছে ফেসবুকে আপনার যে সকল বন্ধু ফালতু, আজাইরা, প্রোপাগান্ডা কপি, শেয়ার করে পোস্ট করে তাদের Unfollow করে দিন। কারণ তার পোস্ট থেকে তো আপনি কিছু শিখতেই পারবেন না বরং আপনার মূল্যবান সময়টুকু অযথা নষ্ট হবে।
দ্বিতীয় কাজ হচ্ছে ভালো ভালো স্কিল ডেভেলপমেন্ট, শিক্ষামূলক, মাস্টারপিস ইউটিউব চ্যানেল, ফেসবুক পেইজ, গ্রুপ গুলোতে Following দিয়ে কাস্টমাইজ করে Favorite দিয়ে রাখা। সবচেয়ে ভালো ভালো কিছু ইউটিউব চ্যানেল পেজ এবং গ্রুপের নাম ও তাদের কার্যপ্রণালী সম্পর্কে পরবর্তী পোস্টে বিস্তারিত বলবো।
তো আপনি যখন এই দুইটা কাজ শেষ করবেন তখন কি হবে জানেন! আপনি ইউটিউব, ফেসবুকে ঢোকা মাত্রই আপনার নিউজ ফিড, স্টোরি, ভিডিও সব জায়গায় আপনার চাহিদা অনুযায়ী ভালো ভালো শিক্ষামূলক, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, লাইফ হ্যাকস , ইংরেজি শেখার বিভিন্ন কনটেন্ট দেখতে পাবেন। সেটা কিন্তু নির্ভর করছে আপনি কোন চ্যানেল, পেজ আর গ্রুপ গুলোতে জয়েন আছেন।
তো শুরু করা যাক সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রোডাক্টিভ জীবন। সোশ্যাল মিডিয়াতে সময়টাকে নেগেটিভ ভাবে ইউজ না করে পজিটিভ ভাবে ইউজ করা যাক।