সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রে গন্ধটাকে কীভাবে প্রাধান্য দেব?
বিভিন্ন গন্ধেরই সুগন্ধি বাজারে পাওয়া যায়, কড়া, হালকা ইত্যাদি। সুগন্ধি ব্যবহারের ক্ষেত্রে গন্ধটাকে কীভাবে প্রাধান্য দেব? –
গরমের দিনে, গুমোট আবহাওয়ায় অফিসে বা কর্মস্থলে খুব কড়া/উগ্র সুগন্ধি ব্যবহার করতে নেই। উগ্র সুগন্ধির ব্যবহার সহকর্মীদের কাজের প্রতি মনোযোগ নষ্ট করতে পারে এবং এমনকি শারীরিক অস্বস্তি ও অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে! এজন্য পশ্চিমা দুনিয়ার অনেক প্রতিষ্ঠানে উগ্র সুগন্ধির ব্যবহারই নিষিদ্ধ। তাই সাধারণভাবে কর্মস্থলে মৃদু সুবাসের হালকা সুগন্ধি ব্যবহার করুন।
সস্তা সুগন্ধি ব্যবহার না করে ভাল মানের দামি সুগন্ধিই ব্যবহার করা ভাল, কারণ সস্তা সুগন্ধি সাধারণত উগ্রগন্ধি হয়ে থাকে।
তবে কর্মস্থলের পরিবেশের ওপরও সুগন্ধির ধরণ নির্ভর করবে। বদ্ধ জায়গায় হালকা সুগন্ধি ব্যবহার করুন। আর আপনার কাজের স্থানটি যদি খোলামেলা হয়, তবে সুগন্ধি সামান্য কড়া হলেও ক্ষতি নেই।
আপনার কাজের ধরণটি যদি এমন হয় যে, অনেক গ্রাহকের সরাসরি সংস্পর্শে আসতে হয়, যেমন কোন ব্যাংকের ক্যাশ-পয়েন্টে বা কোন প্রতিষ্ঠানের গ্রাহক সেবা-দানকারী ফ্রন্ট-অফিসে, তবে হালকা সুগন্ধি ব্যবহার করুন। আর আপনার পেশাটি কোন বিজ্ঞাপনী সংস্থা, চলচ্চিত্র-নির্মাণ বা ফ্যাশন-ডিজাইনিংয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট হলে কড়া সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন।
মনে রাখবেন, ঘামের দুর্গন্ধ দূর করার ক্ষেত্রে অন্য কোন প্রকারের সুগন্ধি ডিউডোরেন্টের বিকল্প হতে পারে না। তাই একাজে ডিউডোরেন্টই ব্যবহার করুন।
শীত মওসুমে, সন্ধ্যার পার্টিতে কিংবা বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য মিষ্টি সুবাসযুক্ত একটু কড়া সুগন্ধি হলেও ক্ষতি নেই।
একান্ত প্রিয়জনের ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্যে অন্তরঙ্গ সময় কাটানোর জন্য উষ্ণ, উদ্দীপক সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। কাঁধে, গলার নীচে বা ঘাড়ের পেছনে সুগন্ধির হালকা উপস্থিতি আপনার প্রতি সঙ্গীর আকর্ষণ বাড়িয়ে দেবে নিঃসন্দেহে।
গন্ধের মাত্রা ও বৈশিষ্ট্য অনুসারে সুগন্ধি বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। সুগন্ধির মাত্রা নির্ভর করে এর মূল উপাদান সুগন্ধি-তেল (Aroma Oil)-এর পরিমাণের ওপর। সুগন্ধি-তেল সবচেয়ে কম থাকে আফটারশেভে আর সবচেয়ে বেশি থাকে খাঁটি সুগন্ধিতে (Parfum Extrait)। মাত্রা অনুসারে সুগন্ধির মধ্যবর্তী শ্রেণীগুলো হচ্ছে যথাক্রমে, ‘ও-দ্য-কলোন’ (Eau de Cologne), ‘ও-দ্য-তোয়লেত’ (Eau de Toilette) এবং ‘ও-দ্য-পাহ্ফা’ (Eau de Parfum)। যত বেশি মাত্রা–তত বেশি এর স্থায়িত্ব।
গন্ধের বৈশিষ্ট্য অনুসারে সুগন্ধি প্রধানত চার প্রকার: ফ্রেশ, ফ্লোরাল, ওরিয়েন্টাল ও উডি (কাঠ-গন্ধি)।