অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা মস্তিষ্কে কী কী প্রভাব ফেলে?
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা মস্তিষ্কে কী কী প্রভাব ফেলে?
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা মস্তিষ্কের জন্য একেবারে “নাইটমেয়ার”! এটা শুধু আপনার মনের শান্তি নষ্ট করে না, বরং মস্তিষ্কের উপরও বেশ কিছু নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আসুন, একটু বিস্তারিতভাবে দেখি কীভাবে দুশ্চিন্তা আমাদের মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে:
✺ স্মৃতিশক্তি দুর্বল হওয়া
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আপনার স্মৃতিশক্তি কমিয়ে দেয়। মনে রাখার ক্ষমতা কমে যায়, ফলে আপনি হয়তো ভুলে যাবেন কেন ফ্রিজ খুলেছিলেন! গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘমেয়াদী দুশ্চিন্তা হিপোক্যাম্পাসের আকার কমিয়ে দেয়, যা স্মৃতিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
✺ ঘুমের সমস্যা
দুশ্চিন্তা আপনার ঘুমের বারোটা বাজিয়ে দেয়। ঘুম না হলে পরের দিন অফিসে বা ক্লাসে জোম্বির মতো ঘুরবেন। ক্রমাগত দুশ্চিন্তা মস্তিষ্কের আরাম ও পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে, ফলে ঘুমের গুণগত মান কমে যায়।
✺ মনোযোগের অভাব
দুশ্চিন্তা আপনার মনোযোগ কমিয়ে দেয়। ফলে কাজের সময় আপনি হয়তো বারবার ফেসবুক চেক করবেন। দুশ্চিন্তা মস্তিষ্কের প্রিফ্রন্টাল কর্টেক্সকে প্রভাবিত করে, যা আমাদের মনোযোগ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নিয়ন্ত্রণ করে।
✺ মানসিক চাপ
দুশ্চিন্তা মানসিক চাপ বাড়িয়ে দেয়, যা আপনার মেজাজ খারাপ করে দেয়। ফলে আপনি হয়তো আপনার প্রিয়জনের সাথে অযথা ঝগড়া করবেন। মানসিক চাপের কারণে কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বেড়ে যায়, যা দীর্ঘমেয়াদে মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে।
✺ শারীরিক সমস্যা
দুশ্চিন্তা শুধু মস্তিষ্কেই নয়, শরীরেও প্রভাব ফেলে। উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। দীর্ঘমেয়াদী দুশ্চিন্তা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কার্যকারিতা কমিয়ে দেয়, ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
দুশ্চিন্তা কমানোর কিছু উপায়
- মেডিটেশন: প্রতিদিন কিছু সময় মেডিটেশন করুন। এটি মস্তিষ্ককে শান্ত রাখতে সাহায্য করে।
- ব্যায়াম: নিয়মিত ব্যায়াম করুন। এটি মানসিক চাপ কমাতে এবং মস্তিষ্ককে সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
- সৃজনশীল কাজ: ছবি আঁকা, গান শোনা বা বই পড়ার মতো সৃজনশীল কাজ করুন। এটি মস্তিষ্ককে ব্যস্ত রাখে এবং দুশ্চিন্তা কমায়।
- সামাজিক সংযোগ: প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটান। এটি মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।