অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে আপনি কিভাবে নিজের মাথা উঁচু রাখেন?
অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতিতে আপনি কিভাবে নিজের মাথা উঁচু রাখেন?
Add Comment
মাথা উঁচু রাখা অর্থ আমি সমস্যা সমাধান আর নিজের অবস্থানকে ধীর রাখা বুঝি।এই তো এক বছর আগেও যে কোনো পরিস্থিতে কখন যে মাথা নিচু হয়ে যেতো তা-ই টের পেতাম না। স্টার্ট উইথ হোয়াই বই পড়ার সময় দারুণ একটা বুদ্ধি মাথায় আসে। যে কোনো কঠিন পরিস্থিতে আমি ব্যক্তিগতভাবে ২/৩টি কৌশলের আশ্রয় নেই। এগুলো যে দারুণ সেটা আমি বলবো না, কিন্তু আমার বেশ কাজে লাগে।
- বিরতি নেয়া: যে কোনো পরিস্থিতিতে বুদ্ধি করে টুকরো বিরতি নিয়ে বিষয়টি থেকে দূরে সরে যাই আমি। এতে মস্তিষ্ক অবচেতনভাবেই একটু হালকা হওয়ার সুযোগ পায়। কঠিন পরিস্থিতিতে যতটা স্বাভাবিক থাকা যায়, ততই কৌশলী বুদ্ধি বের হয়।
- কাগজে কলমে লিখে ফেলা: আমরা যে কোনো সমস্যা বা পরিস্থিতিতে সব মাথায় গেঁথে রাখি। সব অংক মাথায় কষার চেষ্টা করি। আমি মাথার মধ্যে কোন ধরণের জটিল অংক করতেই রাজি না। আমাদের মস্তিষ্ক হচ্ছে অনেকটা জামাই আদর পাওয়া সেনসেটিভ একটা অঙ্গ। যত এর যত্ন নিবো ততই তার ধার বাড়ে। জটিল সমস্যাগুলো খাতায় লিখে সমস্যাগুলোর সমাধান নিয়ে আমাদের মস্তিষ্ককে ভাবনার সুযোগ দিতে হবে। আমরা মাথায় যত সমস্যা নিয়ে ভাববো ততই কিন্তু জটিলতর পরিস্থিতি তৈরির সুযোগ থাকে। মস্তিষ্ককে যত বেশি সমাধানমুখি করা যায় ততই মাথা ঠান্ডা থাকে কিন্তু।
- কানেক্টিং দ্য ডট: যে কোনো পরিস্থিতিতে সমস্যা, সংঘাত বা দ্বিধাকে যত মাত্রায় ভেঙ্গে দেখার চেষ্টা করবো আমরা ততই সমাধানের সূত্র বের করার দিকে ধাবিত হবো আমরা।
- জিম মরিয়ার্টি সিনড্রোম: শালর্ক হোমসের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল জিম মরিয়ার্টি। নিজের চিন্তা ভাবনাকে প্রোফেসর জিম মরিয়ার্টি কনসাল্টিং ক্রিমিন্যালদের মতই নিখুঁত ভাবে উপস্থাপন করতেন। বিষয়টা অনেকটা স্ক্রিপ্ট রাইটিংয়ের মত। যে কোনো সমস্যায় আপনি নিজেকে যদি স্ক্রিপ্ট রাইটার হিসেবে মনে করেন তাহলে অনেক সমাধানে নান্দনিক সমাধান পাওয়া যায়। স্ক্রিপ্ট রাইটার যেমন চরিত্রদের গতিবিধি পরিবর্তন করতে পারেন, আপনিও আপনার সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
- ব্যক্তিত্বকে প্রকাশ করা: যত বড়ই সমস্যা হউক না কেন, আপনি যদি সমস্যার মাত্রা ও প্রকরণ সম্পর্কে অন্যদের বোঝাতে পারেন তাহলে আপনি নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশ পায় দারুণ ভাবে। সহস্রবছর ধরে আমরা সাধারণ মানুষেরা কিন্তু অসাধারণ ব্যক্তিত্বদের পুজা করি, তাই নিজেকে তেমনই ভাবুন না!
- সমস্যা মডেলিং: পৃথিবীতে সত্যিকার অর্থে সৃজনশীল সমস্যা বা পরিস্থিতি ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। আপনার আগেও কঠিন পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ পড়েছিল। তারা কিভাবে সমাধান বের করে তাই খুঁজে দেখা যায়। এক্ষেত্রে যে কোন মানুষকেই চোখ বন্ধ করে মেন্টর বা গুরুজি বানিয়ে ফেলুন।
- স্যরি বলা শিখুন: সব সময়ই স্যরি বলে দায়িত্ব নিতে শিখুন। আপনি যদি দায়িত্বশীল হউন যে কোনো পরিস্থিতিই আপনার অনুকূলে!