অন্তর্মুখীদের জীবনে কি কখনও প্রেম আসে না?
বেশি কিছু না, আপনি যদি প্রথম একটা ফেসবুক একাউন্ট খুলে থাকেন তাহলে এই রকম একটা পরিস্থিতিতে আপনাকে পড়তেই হবে আপনি ইন্ট্রোভারট নাকি এক্সট্রোভারট তাতে কিছু যায় আসে না! ফেসবুকে একটি প্রেম আসবেই বাধ্যতামূলক 🥲 সো, প্রথম লেসনে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে,
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে গড়ে ওঠা বেশিরভাগ রিলেশনশিপের অপর প্রান্তের ব্যক্তি তো জানেইনা যে সে কোন ধরনের মানুষের প্রেমে পড়েছে! তাই অন্তর্মুখীদের জীবনে প্রেম আসবে এটাই স্বাভাবিক। ঘটনা নাম্বার ২:
আমার এক বন্ধু যে কিনা হঠাৎ গ্ৰাম ছেড়ে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণের জন্য রংপুরে যায়, সেখানে গিয়ে যে বাসায় সে থাকতো তার বিপরীতে একজন বাড়িওয়ালা ভদ্রলোক খুবই সুখে শান্তিতে বসবাস করতেন। তিনি কোথাও বাইরে গেলে বাড়ির দরজায় সবসময় তালা মেরে দিতেন এবং যখন আবার ফিরে আসতেন তখন আবার তালা খুলে প্রবেশ করতেন। মূলত বলতে গেলে তিনি একপ্রকার সুখী মানুষই ছিলেন।
এই পুরো সময়টাতেই কেউ সেই বাসার বাইরেও আসতো না এবং বাইরে থেকেও কেউ ভিতরে প্রবেশ করতেও পারত না! তিনি মূলত ব্যাংকে চাকরি করেন সেই সুবাদে সারাদিন বাইরে থেকে দরজায় তালা ঝোলানো থাকে। (ভাবা যায় 🤔)
সেই বাড়ির মালিকের আবার সুন্দরী একটা মেয়ে ছিল। সারাদিন এভাবেই বাড়িতেই থেকে খেয়ে বড় হয়েছে সে। অনেকে হয়তো সেই সুন্দরীর দর্শনও পায়নি বহু বছর ধরে।
মাস মাঝখানেক অতিবাহিত হওয়ার পর আমার সেই বন্ধুর চোখে হঠাৎ করে একদিন সেই মেয়েটির সোনামুখখানী পড়ে
অনেক চেষ্টা আর কঠোর ধৈর্য ধারণ করার পর বন্ধু একদিন আবারো তার দেখা পায় সিগারেট কিনতে গিয়ে ফিরে আসার সময়। (হয়তো তার মা বাবার সঙ্গে গ্ৰামের বাড়িতে যাচ্ছিল)
হাতে সিগারেটের প্যাকেট সহ লুঙ্গি পরে পাশ কাটিয়ে যাওয়া সেই ছেলেটির অনেক প্রচেষ্টার পর সেই মেয়েটির সাথে সে একবার কথা বলার সুযোগ পায়। হঠাৎ বাড়ীর ছাদে কেন যেন এসেছিল মনে নেই, সেই ছাদের ২ মিনিটের প্রেমের প্রস্তাব সেই মেয়েটির জীবনে হয়তো নতুন কোন অভিজ্ঞতা ছিল।
সারা সপ্তাহে একবারও ছাদে না আসা মেয়েটির জীবনেও প্রেম চলে এলো, সে হয়তো কখনো ভাবতেও পারেনি তাঁর জীবনে এতো একাকিত্বের সাথে বড় হওয়ার পরেও প্রেম আসতে পারে
প্রেম সবার জীবনে একবার করা নাড়াবে। এখন সেই দিন কড়া নাড়ানোর পর আপনি দরজা খুলবেন নাকি তাড়িয়ে দিবেন সেটা আপনার ব্যাপার। আবাদত অন্তর্মুখীদের জীবনে প্রেম আসে এটাও নিঃসন্দেহে বিশ্বাস করে নেন 🙆