অবচেতন মন থেকে চেতন মন কিভাবে করবো?
অবচেতন মন থেকে চেতন মন কিভাবে করবো?
কিছু শ্রেনীর ছাত্র আছে, যারা পরীক্ষার আগের রাতে সব ফাঁকিবাজির খেসারত তুলে সব পড়ে, এরা পরীক্ষায় ভালো করে। অন্তত তাদের চেয়ে, যারা পড়েই নাই।
আর কিছু শ্রেনীর ছাত্র আছে যারা বছরের শুরু থেকে পড়ে, আর পরীক্ষার আগের রাতে চোখ বুলিয়ে যায়। এরা সবচেয়ে ভালো করে।
প্রথম শ্রেনীর ছাত্ররা পড়াটা স্টোর করেছে RAM এ, আর দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্ররা করেছে ROM এ। RAM কে ধরতে পারেন চেতন মন, আর ROM হবে তাহলে অবচেতন মন।
তবে একটা পার্থক্য আছে। ROM হলো, জায়গা বেশি, শক্তি কম। RAM হলো শক্তি বেশি, জায়গা কম। আমাদের মনের দুই অংশের ক্ষেত্রে সেটা একেবারেই আলাদা। অবচেতন মনের জায়গাও বেশি, শক্তিও। আইসবার্গ মডেলের কথা শুনেছেন তো নাকি?
তাই, চেতন মনে আনার কোনো কাহিনী নাই। আপনি যখন কোনো কিছু ইনপুট দেন, সেটা চেতন মনেই যায়। কিন্তু চেষ্টা করতে হয় অবচেতন মনে ঢোকানোর। অবচেতন মন সবসময় সক্রিয়, বিষয়টা এরকম না যে আপনাকে কিছু করার জন্যে অবচেতন মন থেকে চেতন মনে আনতে হবে। র্যাম-রমের সাথে আরেকটা পার্থক্য এখানে।
তার মানে কি অবচেতন মন ডাইরেক্ট কাজ করে?? জ্বী, অবশ্যই। পরীক্ষার হলে কোনো একটা প্রশ্নের উত্তর খুব ভালোভাবে জানা থাকলে দেখবেন আপনার খেয়াল করার আগেই উত্তর লেখা শেষ। এইটা অবচেতন মনের কারসাজি।
তাই, চেতন মনে আনতে হবে না। অবচেতন মনে বেশি ইনপুট দেওয়ার চেষ্টা করুন, আর অবচেতন মন সরাসরি আপনার অজান্তেই যেন কাজ সমাধা করে ফেলতে পারে সেই অভ্যাস করুন। আশা করা যায়, ভালো কিছু হবে।
ধন্যবাদ, আসসালামু আলাইকুম।