অলসতা কাটানোর উপায় কী?
অলসতা, আমাদের জীবনের অপরিহার্য অংশ হয়ে গেছে। কত কত ইম্পর্টেন্ট টাস্ক আমরা অন-টাইমে শেষ করতে পারিনা এই অলসতা বা আইলসামির কারণে, তার ইয়ত্তা নেই।
এই সমস্যা’তে আমি নিজেও ছিলাম। ইম্প্রুভমেন্টের আরো অনেক জায়গা আছে বাট আমাকে অলসতা থেকে বাঁচতে দুইটা জিনিস হেল্প করছে।
১। আমার গোল
২। Eat That Frog কনসেপ্ট
EAT THAT FROG এই নামে Brian Tracy’র একটা বিখ্যাত বই আছে৷ EAT THAT FROG কনসেপ্ট দিয়ে বুঝানো হয়, আপনার দিনের মোস্ট ইম্পর্টেন্ট টাস্কগুলো আগে আগে শেষ করে ফেলা যে টাস্কগুলো কিনা অনেক বেশি ভ্যালু এড করবে আপনার পারসোনাল লাইফ, আপনার প্রফেশনাল লাইফ কিংবা ক্যারিয়ারে।
এখন, যে কাজ আমাদের যত বেশি বেনিফিটেড করে, আমাদের লাইফে পজেটিভ ইমপ্যাক্ট বেশি রাখে, সে কাজের প্যারাটাও একটু বেশি, তাই না? আর এই প্যারাটাই হলো ‘দ্য ফ্রগ’।
ধরুন, কোনো এক হতভাগা ঘুম থেকে উঠলো। এন্ড, তাকে একটা ব্যাঙ খেতে হলো। অনেক বিশ্রী না ব্যাপারটা? ধরেই নেয়া যায়, সকাল সকাল ব্যাঙের মতন অখাদ্য যেহেতু খেয়েছে, সারাদিনে অন্তত ব্যাঙ এর মতন আর কোনো অখাদ্য তাকে খেতে হবে না।
আপনার কাছে করতে একটু আনইজি লাগে, নিজের Comfort Zone স্যাক্রিফাইস করতে হয়, কিন্তু যার পজেটিভ ইমপ্যাক্ট অনেক বেশি এবং সারাদিনে এটাই সবচাইতে ইম্পর্টেন্ট কাজ ছিলো। এমন কোনো কাজ যদি আপনি সকাল সকাল করে ফেলেন,
দেখবেন, তাহলে সারাদিন একটু হালকা হালকা, চিল চিল লাগবে। একটা ইনার স্যাটিসফেকশন কাজ করবে।
Eat That Frog এর কনসেপ্ট এটাই। আপনার সবচাইতে ইম্পর্টেন্ট কাজটা দিয়ে সকাল শুরু করা এবং ক্রমান্বয়ে প্রায়োরিটি অনুযায়ী কাজগুলো শেষ করা। এভাবে Procrastination (আইলসামি) থেকে বাঁচা যায়।
দুইটা মোস্ট ইম্পর্টেন্ট কাজের মধ্যে যেটা একটু বেশি প্যারার, সেটা দিয়েই সকাল শুরু করা প্রোডাক্টিভিটি অনেক বেশি বাড়িয়ে দেয়৷ আই মীন, দুইটা ব্যাঙের মধ্যে Ugliest ব্যাঙটা আগে খেতে হবে। আপনার টাস্কটা যত্ত বেশি ইম্পর্টেন্ট, যত বেশি প্যারাদায়ক, সেটাকেই আগে করে ফেলুন। ছোটোখাটো কাজ যেটার ইম্প্যাক্ট খুবই কম, শুরুতেই সেসব কাজে হাত দিয়ে এনার্জি লস করবেন না এবং নিজেকে অনেক কাজ করছেন বলে শান্তনা দিবেন না।
আর, প্রোডাক্টিভ একটা লাইফ লিড করার জন্যে আপনার লাইফে আপনি কী করতে চান, আপনার লাইফের মিশন-ভিশন কী তা ঠিক করার জরুরি। এবং সে মিশন কমপ্লিট করার জন্যে ছোটো ছোটো করে সুনির্দিষ্ট গোল বা টার্গেট সেট করাও জরুরি। একটু বসুন। নিজের সাথে কথা বলুন। জীবনের মানে বের করুন। নিজের পটেনশিয়াল বুঝার ট্রাই করুন।
এবং আগামীকাল থেকেই শুরু করে দিন প্র্যাক্টিস। ইন শা আল্লাহ, বেটার একটা দিন কাটাতে পারবেন।