অহংকার কীভাবে কমানো সম্ভব?
অহংকার পতনের মূল কারণ, যার কাছে অহংকার আছে সে কোন না কোন এক সময় এমন ভাবে পতন হবে সে কোনদিন ভেবেও নাই।
কতদিন বাঁচবেন এই জীবনে, অহংকার করে ও বা কি লাভ, আজ আছি কাল নাই, হয়তো ৬০ -৭০ বছর বাঁচবো বর্তমান বয়স যদি ২০-২৫ ধরি তাহলে তো আপনার জীবনের ১ ভাগ শেষ, আর ২ ভাগের মধ্যে ২৫-৪৫ বছরের মধ্যে বিয়ে, ছেলেমেয় ইত্যাদিতে জীবন চলে যাবে। পরে ভাগ তো অসুস্থ কিংবা বুড়ো হয়ে থাকতে হবে। এই ছোট্ট জীবনে এতো অহংকার করে লাভ টা কি।
হা ধরে নিলাম আপনার অনেক টাকা আছে, কিংবা আপনার অনেক যৌবন আছে অনেক সুন্দর আপনার জন্য অনেক মেয়ে পাগল। এগুলো তো একটা পযায়ে শেষ হয়ে যাবে। তখন আপনি যা নিয়ে অহংকার কিংবা বড়াই করতেন সে গুলো তো ।
আকাশের মতো অসীম কি আছে, সাগরের মতো গভীর কি বা আছে।
কিছু দিন আগে একটা নাসার একটা ভিডিও দেখেছি সেখানে আমাদের পৃথিবী হলো একটা মার্বেল এর মতো ছোট্ট বিন্দু। সেখানে কি আপনার আমার অস্তিত্ব কি আছে একটু ভেবে দেখুন।
অহংকার যদি ও বা থাকে তাহলে কি করে কমানো যায় এগুলো দেখতে পারেন যেটা ভালো লাগে সেগুলো রেখে বাকিটা পরিহার করুন।
- কি নিয়ে এতো অহংকার করি আমরা কি আছে আমাদের এতো অহংকার করার।
- ছেলে হলেঃ
- যদি টাকা পয়সা কিংবা নিজের চেহারা কিংবা ফিগার নিয়ে অহংকার থাকলে তাহলে আপনাকে একটা জিনিস বলতে চাই, আপনি অসুস্থ হলে আপনার ফিগার আপনার চেহেরাটা কেমন হয় একটু ভেবে দেখুন। টাক পয়সা থাকলে অনেকের অহংকার চলে আসে আমার এটা আছে, ওটা আছে তর কি আছে হেন তেন হাবিজাবি আরও কত কিছু কি। আরে ভাই খালি পকেটে রাস্তায় বাহির হোন তাহলে বুঝতে পারবেন টাকা ছাড়া আপনি কে। চেষ্টা করুন মন থেকে এসব বিতাড়িত করতে। কি করে করবেন মানুষের সাথে সুন্দর ভাবে কথা বলুন, টাকা ছাড়া থাকতে চেষ্টা করুন, দামী জিনিস কে এবোট করতে পারেন সিম্পল জীবন উপভোগ করুন আজ আছি কাল নেই।
- মেয়ে হলেঃ বড়ই অদ্ভুত প্রাণী হলো মেয়ে মানুষ। একটা মেয়ে পারে সব কিছু করতে পারে। একটা মেয়ের পেটে জন্ম নেয় একজন ভালো মানুষ আবার সে মেয়ে গর্ভে জন্ম নেয় একজন কুলাঙ্গার। কারও মা চাই না তার ছেলে খারাপ হোক। পরিস্থিতি সাথে সে অনেক কিছু হয়ে যায়। এইটা সবার জন্য না এই এই উওর টা। খারাপ লাগলে পরিহার করুন। যদি মেয়েরা চামড়া সুন্দর হয় না চেহারাটা মোটামুটি ঠিক থাকে তাহলে তো পুরো খেইল খতম পয়সা হজম। সে এতে ভাব এতো অহংকারী হয়ে ওঠে মনে হয় সে অনেক কিছু আরে একটু থামুন রূপের করিও না এতো অহংকার একদিন সে রুপ যাবে জ্বলে। সবাই এক না যারা এই টাইপের তাদের জন্য বলা। সাবধান হন। বর্তমান সময়ে তো নেকাব পড়া মেয়েরা বেশি ছেলেদের আকষ্মিক করতেছে। অনেক মেয়ে দেখবেন পর্দার আড়ালে এতো ভালো মানুষ মুখস এর আড়ালে এক রকম এর বাহিরে এক রকম ছবিটা দেখুন।
- তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি (তোমাদের ডাকে) সাড়া দেব। যারা আমার ইবাদত নিয়ে অহংকার করে তারা শীঘ্রই লাঞ্ছিত হয়ে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সুরা মুমিন : আয়াত ৬০)
যারা আল্লাহ তাআলার দাসত্বকে লজ্জাবোধ করবে কিংবা আল্লাহকে প্রভু বলে মেনে নিতে অহংকার করবে, তাদের পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা হজরত ঈসা আলাইহিস সালাম ও ফেরেশতাদের উদাহরণ উল্লেখ করে ঘোষণা দেন-
>> মসীহ (ঈসা) আল্লাহর বান্দা হবেন, তাতে তার কোনো লজ্জাবোধ নেই এবং ঘনিষ্ঠ ফেরেশতাদেরও (আল্লাহর দাসত্ব করবে তাদেরও) লজ্জাবোধ নেই। বস্তুতঃ যারা আল্লাহর দাসত্ববোধকে লজ্জাবোধ করবে এবং অহংকার করবে, তিনি তাদের সবাইকে (পরকালে) নিজের কাছে সমবেত করবেন।
অতঃপর যারা ঈমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, তিনি তাদেরকে পরিপূর্ণ সওয়াব দান করবেন, বরং স্বীয় অনুগ্রহে আরও বেশী দেবেন। পক্ষান্তরে যারা লজ্জাবোধ করেছে এবং অহংকর করেছে তিনি তাদেরকে দেবেন বেদনাদায়ক শাস্তি। আল্লাহকে ছাড়া তারা কোনো সাহায্যকারী ও সমর্থক পাবে না। (সুরা নেসা : আয়াত ১৭২-১৭৩)
- নিজেকে সবসময় ছোট ভাবতে শিখুন।
- কোন বিষয় নিয়ে আপনার ভিতরে অহংকার সৃষ্টি হয়েছে সেটা মানুষকে প্রকাশ করিবেন না।
- যা নিয়ে অহংকার শুরু হয়েছে সেটা খাতায় লিখে রাখুন। তারপর সেটার কথা একদম মনে করবেন না পারলে ২১ দিনের জন্য চ্যালেঞ্জ নিন আশা করি অনেক টা পরিবর্তন আসবে।
- কাউকে ছোট করে দেখবেন না।
- সব শ্রেণীর মানুষের সাথে কথা বলুন,পারলে তাদের সাথে আহার ও করুন।
- উপরে এই দুই আয়াত গুলো ভালো করে লক্ষ্য করুন।
শেষ কথা অহংকার পতনের মূল, এই দুনিয়ায়তে আজকে আছি কালকে নেই অহংকার কার সাথে করবেন। মারা গেলে তো সবই শেষ তাহলে অহংকার করে লাভ টা কি হবে।