আকীকা এবং কোরবানির পশুর মধ্যে কোন পার্থক্য কি? আকিকার নিয়ম কি?
আকীকা এবং কোরবানির পশুর মধ্যে কোন পার্থক্য কি? আকিকার নিয়ম কি?
আকীকা এবং কোরবানির পশুর মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
পার্থক্য হলোঃ
কোরবানি হল, আল্লার নৈকট্য লাভের জন্য একটি পশুকে উত্সর্গ করা । যা ইসলাম ধর্মে ওয়াজিব। আর আকীকা হলো, সন্তান জন্মগ্রহনের পর আল্লাহর কাছে শুকরিয়া এবং খুশি প্রকাশের নামই হচ্ছে আকীকা । যা ইসলামে সুন্নাতে মুআক্কাদাহ।
আকীকার নিয়মঃ
১। ছেলে বা মেয়ে জন্মিলে সপ্তম
দিবসে তাহার নাম রাখিয়া আকীকা দিবে। ইহাতে সন্তানের বালা- মুসিবত দুর হয় এবং যাবতীয় আপদ- বিপদ হইতে নিরাপদ থাকে।
২। ছেলে হইলে আকীকায় দুইটি
বকরী বা দুইটি ভেড়া আর মেয়ে হইলে একটি বকরী বা ভেড়া জবাই করিবে।
৩। অথবা কোরবানীর গরুর মধ্যে ছেলের জন্য দুই অংশ এবং মেয়ের জন্য এক অংশ লইবে।
৪। সামর্থ না থাকিলে ছেলের পক্ষ
হইতে একটি বকরী আকীকা করাও জায়েজ। আকীকা না করিলে ও কোন অপরাধ হইবে না।
৫। জন্মের সপ্তম দিবসে আকীকা
করা মুস্তাহাব।
৬। যদি সপ্তম দিবসে করা সম্ভব না হয় তবে যেই দিনই করা হউক, যেই বারে সন্তান জন্ম হইয়াছে উহার আগের দিন করিবে। যেমন, শুক্রবারে
সন্তান হইয়া থাকিলে বুধবারে আকীকা করিবে। মোট কথা, হিসাব করিয়া সপ্তম দিবস ঠিক রাখিতে চেষ্টা করিবে।
৬। যেই প্রাণী দ্বারা কোরবানী
দুরস্ত নহে, উহা দ্বারা আকীকা ও
দুরস্ত নহে। আর যেই প্রানীর
কোরবানী দুরস্ত উহা দ্বারা আকীকা ও দুরস্ত হইবে।
৭। আকীকার গোস্ত কাচাঁ ভাগ
করিয়া দেওয়া, কিংবা রান্না করিয়া ভাগ করিয়া দেওয়া বা দাওয়াত করিয়া খাওয়ানো সবই জায়েজ। আকীকার গোস্ত বাপ, দাদা, নানা, নানী সকলেই খাইতে পারে।
সূত্রঃ ইসলামের দৃষ্টিতে সন্তান
প্রতিপালন।