আঙ্গুর চারা উৎপাদন করার জন্য কি নীতি অনুসরন করতে হবে?
আঙ্গুর চারা উৎপাদন করার জন্য কি নীতি অনুসরন করতে হবে?
উৎপাদন পদ্ধতি: আঙ্গুরের বংশ বৃদ্ধি বীজ এবং কলমের মাধ্যমে হতে পারে। বীজের মাধ্যমে বংশবিস্তার করা হলে মাতৃগাছের গুণাগুণ সঠিকভাবে বজায় থাকে না। কলমের মাধ্যমে বংশবিস্তার করলে মাতৃগাছের গুণাগুণ যথেষ্ট বজায় থাকে৷ তাই বীজের পরিবর্তে কলমের মাধ্যমে বংশবিস্তার বা চাষাবাদ করাই উত্তম। তিনটি পদ্ধতিতে (কাণ্ডের কাটিং, গ্রাফটিং ও বাডিং) আঙ্গুরের কলম করা যায়।
জমি তৈরি ও গর্ত খনন পদ্ধতিঃ পানি জমে থাকবে না অথবা পানি নিকাশের ব্যবস্থা রয়েছে এমন বেলে দো-আঁশ মাটির জমি আঙ্গুর চাষের জন্য নির্বাচন করা হয়ে থাকে। বাগান তৈরির পূর্বে জমি ভালভাবে চাষ করে মাটি ঝুরঝুরা করে নিতে হবে। তারপর চারা রোপণের জন্য মাদা বা গর্ত তৈরি করতে হবে। ২.৫০ মিটার দূরে দূরে সারি করতে হবে এবং পানি নিকাশের জন্য দুই সারির মাঝখানে ৫০ সে.মি. নালা করতে হবে। প্রতিটি সারিতে ১.৫ মিটার দূরে ৭৫ সেন্টিমিটার (২.৫ ফুট) আকারের গর্ত করতে হবে। চারা রোপণের ১৫ দিন পূর্বে গর্তের মাটির সাথে নিম্নলিখিত হারে সার মিশাতে হবে এবং সারমিশানো মাটি দ্বারা গর্ত ভরাট করতে হবে। সার পরিমাণ গোবর বা আবর্জনা পঁচা ৪০ কেজি সরিষার খৈল ১০০ গ্রাম ইউরিয়া ১০০ গ্রাম টিএসপি ৫০০ গ্রাম এমপি ৪০০ গ্রাম চারা রোপণ: প্রতি মাদায় বা গর্তে সুস্থ, সবল ও সতেজ চারা রোপণ করতে হয়। চারা রোপণের পর হালকা সেচ দিতে হবে। চারাটি যাতে সোজা হয়ে বাড়তে পারে সেজন্য একটি কঞ্চি বা খুঁটি চারার সাথে হালকা করে বেঁধে দিতে হবে। বাংলাদেশে সারা বছরই আঙ্গুরের চারা রোপণ করা যায় তবে মার্চ-এপ্রিল মাস চারা রোপণের উপযুক্ত সময়। ফল সংগ্রহ করার পদ্ধতি আঙ্গুর গাছের সমুদয় ফল গাছে পরিপূর্ণভাবে পাকার পর সংগ্রহ করা উচিত। আঙ্গুরের থোকা এমনভাবে কাটা উচিৎ যাতে হাতের ছোঁয়ায় ফলের উপরের পাউডার জাতীয় পদার্থ নষ্ট হয়ে না যায়।