আত্মতৃপ্তির জন্য মানুষ কী কী করে?
মোটামুটি ভাবে মানুষ চারটা ধাপের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হতে পারে, কেউ প্রথম টিতে সারা জীবন থেকে যায় পরবর্তী গুলোতে যেতে পারে না কারণ এই বিষয় সর্ম্পকে তার কোন স্পষ্টতা নাই এই কারণে।
কেউ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত সব ধাপে অতিবাহিত করে এবং তার আত্মাকে তৃপ্ত করে।
শারীরিক পর্যায় – ব্যায়াম, পুষ্টি, ঘুম, ইত্যাদির মাধ্যমে একটি সুস্থ শরীরকে পুষ্ট করা। এই ধাপের মানুষজন তার আত্মাকে তৃপ্ত করার জন্য এই সমস্ত কাজ বেশি করে থাকে।
মানসিক পর্যায় – শিক্ষা, সমস্যা সমাধান, সৃজনশীলতা ইত্যাদির মাধ্যমে বিশ্বকে জড়িত করার মাধ্যমে সে তার আত্মাকে তৃপ্ত করে থাকে এই ধাপের মানুষজন সারাদিন এই সমস্ত কাজে বেশি ফোকাস দেন এবং শারীরিক পর্যায়ে তেমন একটি ফোকাস তাদের থাকেনা তবে যতটুকু দরকার শুধুমাত্র ততটুকুই।
বুদ্ধিজীবী পর্যায় – জ্ঞান বৃদ্ধি, জ্ঞান বন্টন ইত্যাদি কাজের মাধ্যমে সে জড়িত থাকে এবং সে তার আত্মাকে এখানেই তৃপ্ত করে। অভিজ্ঞ হওয়ার পরেও সে আরো জ্ঞান খোঁজার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং সেখানেই মনোনিবেশ করে।
আধ্যাত্মিক পর্যায় – মানব অস্তিত্বের অর্থ এবং উচ্চতর উদ্দেশ্য অনুসন্ধান করার মাধ্যমে সে তার আত্মাকে তৃপ্ত করে। তাঁর কাছে এটাই সবথেকে বড় জগত বলে মনে হয় এবং উপরের তিনটি ধাপ কিন্তু স্থায়ী না এটাই কিন্তু স্থায়ী ধাপ হিসেবে তারা মনে করে।
এই চারটি পর্যায়ের মাধ্যমে মানুষ তার আত্মাকে তৃপ্ত করে, এখানকার বিভিন্ন ধরনের ঘটনা এবং আচার আচরণের মাধ্যমে সে জীবন অতিবাহিত করে।
আমি এবং আপনিও উপরের এই চারটি ধাপের যেকোনো একটিতে অবস্থান করছি এবং নিজেদের আপনাকে তৃপ্ত করছি বিভিন্ন ধরনের কার্যকলাপ এর মধ্য দিয়ে।
ধরুন ফুটবল খেলা আপনার খুব ভালো লাগে এবং আপনি নিয়মিত খেলেন আপনার কাছে এখন এটাই একটি বড় জগত হয়ে গিয়েছে, আপনি দিনরাত এটা নিয়েই স্বপ্ন দেখেন এবং এর মধ্যেই পড়ে থাকেন তাহলে, এটা হচ্ছে শারীরিক পর্যায় আপনি আপনার আত্মাকে তৃপ্তি করছেন।
আবার একজন সৃষ্টিকর্তার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করছে এবং সবসময় সৃষ্টিকর্তার প্রত্যেকটা আদেশ নিয়মিত পালন করছে এবং সে কাজগুলো সাথে জড়িত থেকে তার আত্মাকে তৃপ্তি করে। এটা হচ্ছে আধ্যাত্মিক পর্যায়, যার মাধ্যমে সে সমস্ত কিছুকে বিশ্বাস করে।