আত্মসম্মান বাড়ানোর কিছু টিপস কী কী?
নিজের আত্মার প্রতি নিজের অপরিসীম শ্রদ্ধা। আত্মসম্মান আমাদের অন্যায় ও পাপ হতে রক্ষা করে। কারণ আত্মাই শ্রেষ্ঠ। আত্মার চেয়ে বড় কিছু কিছু হতে পারে না।
আত্মার সম্মান রক্ষা করা, সম্মান রক্ষার চেয়ে জরুরি। কারণ সম্মান বাহিরের জিনিস কিন্তু আত্মসম্মান হল ভিতরের জিনিস। সাধকের প্রিয় আত্মসম্মান।
আত্মসম্মান বাড়ানোর কিছু টোটকাঃ
- অনেক কথার অনেক দোষ, ভেবেচিন্তে কথা কোস।
- লোভ ও প্রতিযোগতা নামক ব্যভিচার থেকে যেন দূরে দূরে থাকি।
- তোষামোদ ও চালিয়াতি আত্মার পক্ষে ব্যভিচার সে কথা যেন মনে রাখি।
- সার্থকতা বা ফল লাভের কথা চিন্তা না করিয়া নিজের আত্নার সন্তুষ্টির জন্য যেন কাজ করি।
- লেখা, অনুভূতি, ভাব কিংবা জাগতিক কোনো বস্তু চুরি যেন না করি।
- ভিন্ন ধর্ম, ভিন্ন মত, ভিন্ন সংস্কৃতি, ভিন্ন ভাষা, ভিন্ন জাতির প্রতি হতে হবে যথেষ্ট শ্রদ্ধাশীল।
- কথা দিয়ে যেন কথা রাখি। ভেবেচিন্তে যেন লেনদেন করি।
- আত্মপ্রত্যয়ী যেন থাকি সবসময়। যা সত্য, যা ইতিবাচক, যা সুন্দর তা যেন করি প্রচার।
কবিতা – আত্মসম্মান – আকাশ
অনেক কথার অনেক দোষ
ভেবেচিন্তে কথা কোস,
তোষামোদ-চালিয়াতি, লোভ-প্রতিযোগিতা
এসব হল ব্যভিচার,
সে কথা যেন মনে রাখি।
আত্মপ্রত্যয়ী যেন থাকি
যা সত্য, যা ইতিবাচক, যা সুন্দর
তা যেন করি প্রচার।
চুরি যেন না করি,
ভাব, চিন্তা, অনুভূতি।
ভিন্ন ধর্ম, ভিন্ন মত, ভিন্ন সংস্কৃতি
যেন মোরা সবাই ভালোবাসি।
কথা দিয়ে যেন কথা রাখি
এ হোক মোদের সংকল্প।
জয় হোক আত্মার।
জয় হোক সাধকের।
আত্মসম্মান বিসর্জন দেয়া আত্মহত্যার সামিল। তবে দুঃখের বিষয় আমাদের কারো আত্মসম্মানের প্রতি নজর নাই। আমাদের নজর কেবল সম্মানের প্রতি। বাহিরের সম্মান পাইলেই ব্যাস্।
আমরা আত্মার সম্মানের কোনো প্রয়োজনবোধ করি না। সম্মানের জন্য আত্মসম্মান বিক্রি করতেও আমরা প্রস্তুত। হায়রে মানুষ, রঙের ফানুস, দম ফুরাইলেই শেষ।