আপনার জীবনের ভুল থেকে আমি কি শিক্ষা নিতে পারি ?
আপনার জীবনের ভুল থেকে আমি কি শিক্ষা নিতে পারি ?
আমার জীবনের ভুল থেকে আমি অসংখ্য শিক্ষা পেয়েছি। সত্যি কথা বলতে, আজও প্রতিনিয়ত শিখে চলেছি। এই শেখার শেষ হয়তো নেই, তাও কিছু শিক্ষা সকলের সাথে ভাগ করে নিচ্ছি।
১) তাৎক্ষণিক কোনো আচরণ বা কাজ-কর্মের ওপর ভিত্তি করে কাউকে বিচার করা উচিত না। আপনি জানেন না, আপনার উল্টো দিকের মানুষটি কোন পরিস্থিতিতে কিরকম আচরণ করেছে। হতেও তো পারে, আপনি নিজে এই পরিস্থিতির শিকার হলে তার বহিঃপ্রকাশ আরও খারাপ ভাবে হতো। দুজন মানুষের জীবনের গল্পটা কিন্তু সম্পূর্ণ আলাদা। তাই উপসংহার এক হবে এরকম প্রত্যাশা না করাই শ্রেয়।
২) নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা গুলোকে ইন্ধন না জুগিয়ে, মাঝে মধ্যে সুন্দর, সৃজনশীল, পজিটিভ চিন্তা ভাবনা গুলোকে একটু মদত দিন। উদ্বেগ বা টেনশন কিন্তু আসলে সেই chain reaction এর মতো। একবার শুরু হলে থামানো প্রায় অসম্ভব।
৩)’লোকে কি ভাববে’ এই ভেবে নিজের রাতের ঘুম নষ্ট করা উচিত নয়। বিশ্বাস করুন, লোকের আরও অনেক কাজ আছে, সব সময় সবাই যে অন্যকে নিয়ে ভাবতে থাকেন, তা কিন্তু নয়। আর যদি বা ধরেও নিলাম যে অন্য কেউ সর্বক্ষন আপনার কাজের দোষ ত্রুটিই ধরতে থাকে, তাহলে কিন্তু আপনার এই অতিরিক্ত চিন্তা তাকে তার কাজ থেকে বিরত করতে পারবে না। তাই, যতক্ষন না আপনার কাজ অন্য মানুষের ক্ষতি করছে, ততক্ষণ নির্দ্বিধায় এগিয়ে চলুন। কে বলতে পারে, আপনি হয়তো আপনার অজান্তেই ইতিহাসের এক সুন্দর অধ্যায় রচনা করে চলেছেন।
৪) সবসময় নিজেকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন “Idle brain is devil’s workshop”। আমাদের ব্রেনটা নন স্টপ রেডিও স্টেশনের মতো। ভালো চ্যানেল গুলো বেছে নিয়ে, আপনার পছন্দের গানের ছন্দে মেতে উঠুন। আর সত্যি যদি সাময়িক ভাবে কাজ খুঁজে না পান, আমার একটা ছোট্ট পরামর্শ আছে।
একটু চোখ মেলে দেখুন, আপনার আশেপাশে এরকম বহু মানুষ খুঁজে পাবেন যারা নিজদের জীবনের অস্তিত্বটুকু বজায় রাখার জন্য হয়তো আপনার দিকেই তাকিয়ে আছে। নিজের যেটুকু সামর্থ্য তা দিয়েই না হয় একটা দিন তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। আমি নিশ্চিত, ওদের যতটা না আনন্দ লাগবে, তার থেকে অনেক বেশি আনন্দ আপনি পাবেন।