আপনার জীবনে করা ভুল থেকে আমাকে একটি পরামর্শ দিবেন?

    আপনার জীবনে করা ভুল থেকে আমাকে একটি পরামর্শ দিবেন?

    Train Asked on October 28, 2024 in অনুসরণ.
    Add Comment
    1 Answer(s)

      আপনি যে-ই হোন, যে রকম হোন, যে-ই কাজই করুন- সেটা মানুষের কাছে তেমন বড় কোনো ব্যাপার না।
      তবে আপনার কর্ম, আপনার আচার-ব্যবহার, আপনার রুচিবোধ, আপনার সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল সব কিছুকে ছাড়িয়ে যে জিনিসটা অপরকে সবচে বেশি আকৃষ্ট করবে তা হলো- আপনার গায়ের রঙ, আপনার শরীরের মাপ, আপনার উচ্চতা, আপনার চেহারা।
      প্রথমে কথাটা হয়ত একটু অদ্ভূত লাগলেও বিশ্বাস করেন এটাই সত্য। চিরসত্য।

      আপনার চেহারা নাই, গায়ের রঙ নাই, উচ্চতা নাই- এগুলোর কোনোটাই নাই মানে আপনি একদম সমাজের একটি অকেজো ও অচল মানুষ নয় বরং পণ্যে পরিণত হবেন। আপনি একদিকে যেমন পরিবারের জন্য বোঝা, তেমনি আবার সমাজ ও নিজের জীবনেরও বোঝা।

      একটা মেয়ে অসুন্দর হওয়া মানে তার ফ্যামিলিতে সে অবহেলায় জীবন কাটাবে। পরিবারের প্রত্যেকটা সদস্যের মাথায় ও মস্তিষ্কে তাকে নিয়ে অগণিত চিন্তার জন্ম হবে।

      এরপর যদি তার বয়সি অন্যান্য সদস্যরা বা তার কাজিন জাতীয় আত্মীয় গুলো তার চাইতে সুন্দর হয়, তবে তার আর শান্তি বলতে কিছুই থাকবে না।

      সে হবে সকলের কাছে অবজ্ঞার পাত্র।

      প্রতিনিয়ত তাকে পরিবারে, স্কুল-কলেজে, কোচিং-এ, উচ্চশিক্ষায় এমনকি কপাল ও মেধার জোরে পাওয়া চাকরি ক্ষেত্রেও সবচে বেশি হীনমন্যতার শিকার হতে হবে।

      সে কখনো তার মনের মতো বন্ধু পাবে না। কারো বন্ধুও হওয়ার সাহস তার থাকবে না। আর আমরা যে কথায় কথায় বলি,” মনের মতো একজন মানুষ পেলে মেয়েদের এই দুনিয়াতেই বেহেস্ত।“

      একজন অসুন্দর মেয়ের জীবনে সেই মনের মতো মানুষটাও থাকে না। কারণ সে যখনি কারো দিকে তাকাবে, কাউকে মন থেকে চাইতে যাবে, তখনি কেউ না কেউ তাকে আঙ্গুল চোখে দেখিয়ে দিবে,” ঐ যে ছেলেটার দিকে তুমি তাকাচ্ছো, তুমি তার যোগ্য নয়। এই মানুষটা তোমার জন্য নয়।“

      অথচ এই অসুন্দর মেয়েটার মনেও হয়তো ছেলেটার জন্য এক অদ্ভুত মায়ায় জড়ানো ভালোবাসার মতো মন রয়েছে। আর এই ভালোবাসা আর ভালো মনের জন্যই অসুন্দর মেয়েটি যখন কোনো রিলেশনে যায়, তখন তাকে চূড়ান্ত লেভেলের অপমান সহ্য করতে হয়।

      এই অসুন্দর মেয়েটিকে প্রচুর খাটতে হয়। জীবনযুদ্ধে প্রতিটি ক্ষেত্রে মেয়েটিকে নিজের যোগ্যটার সর্বোচ্চ প্রমাণ দিতে হয়। তার মেধা ও সৃজনশীলতার এক কঠিন যুদ্ধে অন্যদের হারানোর জন্য তাকে প্রাণপণ লড়াই করতে হয়। অথচ তারই মতো কিন্তু অন্যদের চোখে প্রবল সুন্দরী মেয়েটা হয়তো আনায়াসে এগিয়ে যায় লাফিয়ে লাফিয়ে।

      এটা যেমন অসুন্দরী মেয়েদের জন্য সত্য তেমনি যারা আর্থিক দিক দিয়ে দুর্বল তাদের জন্যও সত্য। তারা নিজেদের জীবন নিয়ে যেমন ভাবতে হয় তার চাইতে ভাবতে হয় পরিবারের অন্যদের নিয়ে।

      এই অসুন্দর মেয়েগুলোর দিকে সবাই তাকায়, তবে বড্ড অবহেলা আর অবজ্ঞার চোখে। তাদের চোখ জুড়ে থাকে করুণা। মুখে থাকে এক শয়তানি হাসি। তারা কথা বলে, কিন্তু কথায় কথায় অসুন্দর মেয়েগুলোর জন্য প্রচুর আফসোসের বাণী মুখ দিয়ে উগড়ে দিবে।

      আপনার কাছের পরিচিত মানুষগুলোর দিকে তাকান। তাদের কার্যাবলী লক্ষ্য করুন। দেখুন অন্যদের সাথে কী করে আর আপনার সাথে কী করে। অনেকদিন পর যখন কারো সাথে আপনার দেখা হয়, সে হয়তো টুকটাক কথা বলবে, তারপর বিদায় জানিয়ে দিবে।

      সেই একই লোকের (ছেলে/মেয়ে) সাথে অন্য কারো দেখা হয়, কথা হয়, দেখবেন সেদিন তার ফেসবুকেও পোস্ট চলে আসছে। হাসিমুখে স্পাউট করা সেলফি।

      এরা আপনার কাছের লোক। এরা আপনাকে সরাসরি বলবে না। তবে এদের কাজেকর্মে আপনি নিজেই প্রমাণ পাবেন এরা আপনাকে কতটা এড়িয়ে চলতে চাইছে।

      শুধু বড়রা নয় অনেকে ছোট ছোট পিচ্চিরাও আপনাকে নিয়ে হাসবে, কৌতুক করবে। আপনি কিছুই করতে পারবেন না। আপনি হয়তো উপরে আল্লাহর ভরসায় তাকাবেন, অখন সেখান থেকেও আপনার জন্য বানী আসবে“ যে নিজে চেষ্টা করে, আমি তাকে সাহায্য করি। ”

      আমার পুরো লেখাটা পড়ে হয়তো আপনি ভাবছেন,” এখানে আমার ভুল কী?” উত্তর জানতে নিচের উপদেশটি পড়েন। তারপর লেখাটা আবার পড়েন। বুঝবেন আমার ভুল কী ছিলো?

      তাই আজ থেকে ৫ বা ১০ বছর পরে মানুষের কথা শুনার চাইতে যা করার এখনই করেন। সময়টা সৌন্দর্যে মুগ্ধ হওয়ার। আপনার যোগ্যতা বা গুণের নয়।

      Loud and Clear

      Professor Answered on October 28, 2024.
      Add Comment
    • RELATED QUESTIONS

    • POPULAR QUESTIONS

    • LATEST QUESTIONS

    • Your Answer

      By posting your answer, you agree to the privacy policy and terms of service.