আপনি আমাকে ২০টা পয়েন্ট বলবেন কি যার দ্বারা আমি বুঝবো যে আমি ম্যাচিউরড বা পরিপক্ক হয়েছি?
আপনি আমাকে ২০টা পয়েন্ট বলবেন কি যার দ্বারা আমি বুঝবো যে আমি ম্যাচিউরড বা পরিপক্ক হয়েছি?
Add Comment
- অন্যকে পরিবর্তন করার চিন্তা বাদ দিয়ে নিজের প্রতি দৃষ্টি রেখে বাস্তব্ধর্মী সিদ্বান্ত গ্রহণ করার মাধ্যমে নিজের উন্নতি সাধন করা এবং পাশাপাশি সকলের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলাটাই হল প্রকৃত অর্থে ম্যাচুরিটি..
- নিজের স্বপ্নগুলো মেরে ফেলে পরিস্থিতিকে মুখ বুজে সহ্য করাই বোধ হয় ম্যাচুরিটি। কিছু মানুষের কাছে এটাই কঠিন বাস্তব।
- নেতিবাচক সবকিছুকে উপেক্ষা করে ‘ডোন্ট কেয়ার’ মুডে চলা,কে কি ভাবলো বা বলল ; সেগুলিকে গুরুত্ব না দিয়ে এগিয়ে চলাই হল পরিপক্কতা বা ম্যাচিউরিটি।
- জীবনে কে আসলো; কে গেলো তাতে অামল না দিয়ে কষ্ট না পাওয়াই হল প্রকৃত ম্যাচিউরিটি।
- দেহের নয়; মনের বয়স যখন বাড়ে তখনই আসে আসল ম্যাচিউরিটি, কষ্ট পেলে লুকিয়ে সিগারেটের ধোঁয়ায় কষ্টকে উড়ানো; সে তো দুঃখ বিলাসিতা; পরিপক্কতা নয় !!
- যেদিন সন্তানের চিন্তায় মায়ের ঘুম নষ্ট হবে না, বরং সেই সন্তানই চিন্তা করবে যে তার মা ঘুমিয়েছে কিনা; মা নিজের যত্ন নিচ্ছে কিনা; ম্যাচিউরিটি তখন থেকেই তৈরি হয়।
- খারাপ লাগলেও খুশি মনে তা মেনে নেওয়া; সামনের লোকটিকে বুঝতে না দেওয়া নিজের খারাপ লাগাটাকে…সেই সূক্ষ্ম চেতনা ই মানুষকে ম্যাচিওরড করে তোলে।
- ম্যাচিউরিটি বা পরিপক্বতা আসে অভিজ্ঞতা অর্জন করার সাথে সাথে; শুধুমাত্র বয়সের সাথে নয় ।
- ম্যাচিওরড তারাই হয় যারা নিজের বড়াই নিজে করে না।
- ক্ষমা করতে পারা হলো ম্যাচিউরড বা পরিপক্ব হওয়ার অন্যতম একটি শর্ত ।
- নিজের দুঃখের কথা রাষ্ট্র করে মানুষের কাছে সমবেদনা পাওয়ার মনোভাব একপ্রকার ছেলেমানুষি । যে দিন থেকে ব্যক্তি নিজের কষ্ট ,নিজের দুঃখকে নিজেই সামলাতে পারবে সেদিন থেকে সে ম্যাচুউরড !!
- ভালোবাসার মানুষকে সর্বদা আঁকড়ে ধরে থাকলেই ভালোবাসা বাড়ে না বরং তা সময়ের ফেরে একঘেয়ে হয়ে যায়! ম্যাচিওরিটি সেটাই যখন দুজন দুজনাকে প্রয়োজনীয় স্পেস দিতে পারে; ভালোবাসাকে আরও উপভোগ্য করে তোলে!!
- কেউ তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করছে; ক্ষতি করার চেষ্টা করছে .সে জন্য হঠাৎ করে রেগে না নিয়ে ; তার ওপর প্রতিশোধ স্পৃহা না জাগিয়ে হাসি মুখে এড়িয়ে যাওয়া এবং মাফ করার মনোভাব তোমার মধ্যে যে দিন তৈরি হবে সে দিন নিজেকে তুমি ম্যাচুউরড ~”জেনে রেখো”…
- ” না “বলতে শেখা, যেটা তোমার জন্য খারাপ, তোমার যা পছন্দ নয় তা
শুধু মানিয়ে না নিয়ে ,নিজেকে কষ্ট না দিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে নিজের বক্তব্যকে বলতে জানা টা ও ‘ম্যাচুউরিটি’।. - প্রত্যেকটি কাজের পর যে ব্যক্তি নিজেকে মূল্যায়ন করার ক্ষমতা রাখে ; এবং ভুল হলে তা শুধরে নিতে জানে সে -ই প্রকৃত পরিপক্ব ব্যক্তি ।
- প্রশংসা তো সবার ই প্রিয় ..ক’ জন পারে সমালোচনা শুনতে ? তিনি ই প্রকৃত ম্যাচিউরড ব্যক্তি যিনি নিজের সম্পর্কে সমালোচনার দ্বারা নিজেকে আরও সমৃদ্ধ করতে পারেন ।
- দেহের বয়স বাড়ে প্রাকৃতিক নিয়মে; আর মনের বয়স সাড়ে অভিজ্ঞতার কারণে…অভিজ্ঞতা থেকে মানুষ শিক্ষাপ্রাপ্ত করে যখন তার নিজের জীবনে প্রয়োগ করে সেটাই হলো আসল ম্যাচিউরিটি ।
- সংখ্যা, অর্থ, ক্ষমতার বিচারে হিসেব না করে আনুগত্যের দিক দিয়ে বন্ধুত্বের পরিমাপ যেদিন তুমি করতে পারে সেদিন তুমি প্রকৃত ই একজন ম্যাচিওরড ব্যক্তি হিসেবে সাব্যস্ত হবে।
- যখন তুমি বুঝবে, সব ভালোই তোমার জন্যে ভালো নয়।
যখনি তুমি, মানুষের ভিতর ইতিবাচক বৈশিষ্ট্য খুজে পাওয়া শুরু করবে ,
অন্যকে বিচার করার আগে নিজেকে বিচার করবে,
কথা কম বলে, আদর্শ শ্রোতা হবে,
সব পরিস্থিতিতে নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে,
সেদিন থেকেই জেনো তুমি পরিপক্ব ও তোমার মধ্যে এসেছে যথার্থ ম্যাচিউরিটি। - যখনি বুঝবেন, আবেগী নয়, বাস্তববাদী হতে হয়।
বিশ্বাস করবেন ভাগ্যে নয়, পরিশ্রমই সফলতার আসল রহস্য।
যেদিন বুঝবেন , আপনি কারোর প্রিয়জন নাকি প্রয়োজন।
সেদিনই জানবেন আপনি ম্যাচিউরড একজন !!!