আপনি কি নিজের সম্বন্ধে ১০০টা কথা লিখতে পারবেন?
আপনি কি নিজের সম্বন্ধে ১০০টা কথা লিখতে পারবেন?
Add Comment
নিজের সম্বন্ধে আমি ১ হাজার টা কথাও লিখতে পারব।
- বইপোকা। বই আত্মার খাবার।
- লেখালেখি করতে ভালোবাসি।
- ভূত দেখার খুব ইচ্ছা। ভূতের সাথে কথা বলতে চাই। তবে ভূতে ভয় করি কিন্তু বিশ্বাস করি না।
- একা ভ্রমণ করতে পছন্দ করি।
- কবিতা সবচেয়ে প্রিয়। কবিতাপ্রেমী। কবিতা আবৃত্তি করতে ভালোবাসি।
- কবিতা ও ছোটগল্প লিখতে ভালো লাগে।
- ডান হাতে লিখি, তবে বাম হাতে ছবি আঁকি।
- অসম্ভব রকমের প্রকৃতিপ্রেমী।
- রিকশাওয়ালা আর রাস্তার পাগল প্রিয় বন্ধু।
- আকাশের মেঘ দেখতে ভাল্লাগে। বাহিরে বের হলেই দেখি।
- রাতের তারা, চাঁদ প্রিয়।
- সবর্দা একা থাকতে পছন্দ করি।
- অন্যের কথামতো একটি কাজও করি না।
- অন্যকে অপমান যেমন করি না, তেমনি অন্যের অপমান সহ্য করতেও পারি না।
- দিন আমার কাছে মর্ত্যলোকের, তবে রাত সুরলোকের।
- কারো সাথে মেসেজে কথা বলতে পছন্দ করি না। তবে ফোন কলে কথা বলতে একটু আধটু পছন্দ করি। তবে তা শুধু হোয়াটসঅ্যাপে।
- কবি, লেখক, বিজ্ঞানীদের নিয়ে চিন্তা করি। তাদের জীবনী পড়তে ভাল্লাগে।
- বিয়ে করব কিনা তা নিয়ে প্রচন্ড সন্দেহের মধ্যে থাকি সর্বদা।
- নিজের সিদ্ধান্তে অবিচল থাকি।
- কোনোকিছুর দ্বারা প্রভাবিত হতে অপছন্দ করি।
- দুনিয়ার কাউকে অন্ধভাবে অনুকরণ করি না।
- সকল ধর্ম, কালচার, ভিন্ন মত, জাতি কে সমান ভাবে শ্রদ্ধা করি ও ভালোবাসি।
- একজন ইউটিউবার। তবে বলতে লজ্জা করে।
- লোকচক্ষুর আড়ালে থাকতে স্বাচ্ছন্দবোধ করি।
- ফেসবুক ব্যবহার করি না। যদিও এখনও কিছু অ্যাকাউন্ট আছে। তবে অতি শীঘ্রই ডিলিট হয়ে যাবে।
- নেটফ্লিক্সে মুভি, টিভি শো দেখি প্রচুর।
- রবীন্দ্রসঙ্গীত আমার নিত্যদিনের সঙ্গী।
- বই উপহার দিতে ভালোবাসি।
- কারো সাথে বাংলা সাহিত্য নিয়ে কথা বলতে ভাল্লাগে।
- বই পড়ুয়া একটা প্রেমিকা/বউ পাওয়ার তীব্র ইচ্ছা পোষণ করি।
- ভবিষ্যতে উপন্যাস লেখার ইচ্ছা আছে। প্রেমের উপন্যাস দিয়ে শুরু করব।
- একটা কবিতার বই প্রকাশ করতে চাই।
- অডিও বুক শুনতে প্রচন্ড ভালোবাসি। গল্পকথন বাই কল্লোল প্রিয়।
- প্রচুর বই কিনি। হাতে টাকা থাকলেই বই কেনার নেশা।
- বই কিনে দেউলিয়া হতে আনন্দ লাগে।
- কোনো বড় মানুষের সাথে কথা বলার সময় চড় দিতে ইচ্ছা করে। জানি ইচ্ছাটা অপরাধ। তবে কেন হয় জানি না।
- বৃষ্টিতে ভিজতে অসম্ভব ভালোবাসি। রাত ৩টায় বৃষ্টিতে ভিজতে ভাল্লাগে।
- তেলাপোকা ভয় করি; যা খুব লজ্জার।
- ছোট বাচ্চাদের কাঁদাতে ভালোবাসি।
- আলাদা কল্পনার জগত আছে বলে একা একা থেকেও কোনোসময় একা অনুভব করি না।
- বই পড়ে, মুভি দেখে কাদঁতে ভালো লাগে।
- বিরহ একটা সুখ। বিরহ সৃষ্টিশীল করে।
- ক্লাবিং, কনফারেন্স এখন আর পছন্দ করি না।
- মাঝে মাঝে হিমু হতে ভাল্লাগে, তবে হিমুর মতো এত মিথ্যা বলতে অপছন্দ করি।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম আর বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের চরম ভক্ত।
- প্রেমের উপন্যাস পড়তে সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি।
- ছবি তুলতে অপছন্দ করি।
- আত্মার চারটা অংশ। আত্নায় এক অংশে প্রেমের বসতি। দ্বিতীয় অংশে জ্ঞান সাধনা করার সুতীব্র প্রয়াস। তৃতীয় অংশে সতত সত্য পথে চলার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা। আর শেষ অংশে দুনিয়াকে কিছু দেয়ার প্রবল ইচ্ছা।
- কফি প্রিয়; চা অপছন্দ করি।
- রেস্তোরায় শুধু বার্গার খেতে ভালো লাগে; কাচালঙ্কায় ভাত খেতে ভাল্লাগে।
- মৌমাছি হয়ে জগতের সবকিছু থেকে সুখের মধু আহরণ করি। তাই সর্বক্ষণ সুখে থাকি।
- বেদনা, দুঃখ-কষ্টকে উপভোগ করি যার ফলে আত্মার উন্নতি হয়।
- দেহের চেয়ে আত্মার খাবারের প্রতি বেশি যত্নশীল।
- বিচিত্র অভিজ্ঞতা, তীব্র প্রেম, গভীর অনুভূতি আত্মার প্রিয় খাবার এবং এসব খাবার প্রতিদিন খেতে ভালোবাসি।
- হুমায়ূন আহমেদের বই পড়তে মাঝে মাঝে বিরক্ত লাগে তবুও পড়িও। কেন পড়ি? রহস্য আছে! বলব না।
- বর্তমান প্রজন্মের চোখ দিয়ে নিজেকে দেখি।
- বর্তমান প্রজন্মকে বই পড়তে ও লেখালেখি করতে উৎসাহিত করি।
- সোশ্যাল মিডিয়ার ক্ষতিকর প্রভাব এবং এর ভবিষ্যত পরিণতি নিয়ে খুব চিন্তিত। এ বিষয়ে লিখতে হবে প্রচুর। সচেতন করতে হবে সবাইকে।
- গল্পের বইয়ের পোকা করার ইচ্ছা নতুন প্রজন্মকে। ছোট মনে; বড় ইচ্ছা।
- চোখ দিয়ে ভবিষ্যত প্রজন্মকে স্বপ্নে দেখি। তারা বিজ্ঞানের পাশাপাশি সাহিত্যের চর্চা করছে। ছোট বাচ্চারা পড়ছে হুমায়ুন আজাদের লাল নীল দীপাবলি, কতো নদী সরোবর।
- ‘তাহা’ প্রিয় নাম।
- ‘শব্নম্’ উপন্যাসের প্রিয় নায়িকা চরিত্র।
- ‘ত্রিস্তান’ উপন্যাসের প্রিয় নায়ক চরিত্র।
- ‘আরণ্যক’ প্রিয় উপন্যাস।
- ‘কবি’ প্রিয় প্রেমের উপন্যাস।
- ‘দেশে বিদেশে’ প্রিয় ভ্রমণকাহিনীমূলক উপন্যাস।
- সবচেয়ে বেশি কেঁদেছি ‘সোনালী দুঃখ’ বই পড়ে।
- সবচেয়ে বেশি হেসেছি ‘নাট-বল্টু বই পড়ে।
- ‘সুখ’ জীবনে গভীর প্রভাব ফেলা বই।
- স্কুল লাইফে হলের কোনো সিনেমা মিস যেতো না। একই সিনেমা দুই-তিনবার দেখতাম।
- স্কুলের সেরা ভন্ড ছাত্র ছিলাম। শ্রেষ্ঠ টিফিন চোর।
- স্কুলে পড়াকালীন আমার মতো বেতের বাড়ি আর মাইর কেউ খায়নি।
- ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করি; তবে ফুটবল অপছন্দ করি।
- অতি অবেগী; মায়ার মোহে পড়ে যাই। খুব সমস্যা।
- টাকা-পয়সা হিসেব করে খরচ করতে পারি না।
- শুটকি মাছ,মাছ ভর্তা আর বেগুন ভাজি প্রিয় খাবার।
- কবুতরের মাংস খেতে ভালো লাগে।
- ১০ ভাইয়ের হাত ভাঙ্গতে ইচ্ছে করি। রহস্য!!!
- ক্লাসের সবাই আলাদা চোখে দেখে। খুব অস্বস্তিকর ব্যাপার।
- দুধ, ডিম সহ্য করতে পারি না।
- ইন্টারনেট খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারি। স্ক্রিন টাইম খুব কম।
- ফোনে কোনো সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ ব্যবহার করি না।
- টাইম ম্যানেজমেন্ট আর সাইকোলজি খুব প্রিয়।
- কল্পনায় একজন প্রেমিকা আছে। নাম তার ‘তাহা’।
- ‘তাহা’ কে কল্পনায় বিয়ে করব কিছু বছর পর। বাস্তবে সুযোগ থাকলেও করব না।
- ‘তাহা’ কে নিয়ে প্রচুর গল্প, কবিতা লিখি ডাইরিতে।
- ছবি আঁকা শেখার খুব ইচ্ছা। তবে বারবার শুধু ব্যর্থ হচ্ছি। ভালো ছবি আঁকতে পারছি না। চেষ্টা অব্যাহত থাকবে আজীবন।
- শুদ্ধ উচ্চারণে সুমধুর কণ্ঠে কবিতা আবৃত্তি করার চেষ্টা করে বারবার ব্যর্থ হচ্ছি। চেষ্টা অব্যাহত থাকবে আজীবন।
- প্রিয় রঙ নেই। কালার ব্লাইন্ড।
- প্রিয় ফুল বকুল।
- প্রিয় মাছ ইলিশ।
- প্রিয় মুভি ‘ইনটু দ্য ওয়াইল্ড’।
- প্রিয় টিভি শো ‘ব্রেকিং ব্রেড’।
- প্রিয় নন-ফিকশন বই ‘ডিপ ওয়ার্ক(Deep Work)’.
- প্রিয় ইউটিউব চ্যানেল ‘গল্পকথন বাই কল্লোল’।
- প্রিয় বাংলাদেশি লেখক ‘জহির রায়হান’।
- প্রিয় গান ‘আকাশ ভরা সূর্য তারা’।
- প্রিয় কবিতা ‘আকাশ ও মানুষ’।
- প্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ‘কোরা বাংলা’।
- প্রিয় মানুষ ‘আম্মা’।
বাহ! লিখে ফেলছি। এখন আমার সম্বন্ধে জেনে গেছে সবাই।
তবে নিজেকে জানা শেষ হয় না কোনোদিন। আমি প্রতিনিয়ত নিজেকে জানছি। নিজেকে জানা হল জ্ঞানীদের কাজ। আর অপরকে জানা হল শিক্ষিতদের কাজ।
জ্ঞান ছাড়া শিক্ষা কি কোনো কাজে আসে !!!