আপনি জীবনে খুব দেরিতে কী শিখেছেন?
আপনি জীবনে খুব দেরিতে কী শিখেছেন?
আমরা হাজার হাজার বই পড়েও কিছু জানতে পারব না। পুরো পৃথিবী ভ্রমণ করেও কিছু শিখতে পারব না। যদি না নিজেকে জানতে না পারি। সবকিছুর শুরু এবং শেষ শুধু নিজেকে জানার মধ্যেই। আর নিজেকে জানারও কোনো শেষ নেই। তবুও শুধু নিজেকে জানতে হবে। সেলফ নলেজের সাগরের বিন্দু বিন্দু জলকে জানতে হবে জীবনভর।
নিজেকে জানার মধ্যেই হ্যাপিনেস। নিজেকে জানার মধ্যেই যাবতীয় সার্থকতা। যদিও আমাদের সকলের নিজেদের সম্বন্ধে জ্ঞান অগভীর ও অসম্পূর্ণ। এমনকি ইউভাল নোয়া হারারিরও।
তাই শুধু নিজের গভীরে ডুব দিতে হবে। নিজের একান্ত নিজস্ব জগতের সাথে বোঝাপড়া করতে হবে, ধূসর জগতটাকে ধীরেসুস্থে আলোকিত করতে হবে। কল্পনা আর পর্যবেক্ষণ শক্তি প্রগাঢ় করে নিজের অন্তরের কোষগাছের ফুলে ফুলে মৌমাছি হয়ে মধু আহরণ করতে হবে।
তো নিজেকে জানার উপায় কী হতে পারে!
শিল্প-সাহিত্য-কবিতা-সংগীত-চিত্রকলা-চলচ্চিত্র-প্রকৃতির সাথে সহবাস করতে করতে একসময় নিজেকে জানার রাস্তা আমরা পেয়ে যাব। তবে গন্তব্য হবে অজানা-অনিশ্চিত। আঁকাবাঁকা রাস্তায় অনেক চৌরাস্তা-ছয়রাস্তা মোড় থাকবে। সঠিক গন্তব্য না জেনে পথ চলতে হবে আমাদের। এভাবে চলতে চলতে নিজের সম্বন্ধে খানিকটা জানতে পারব। তবে যেহেতু জরা-মৃত্যু অনিবার্য সেহেতু সম্পূর্ণ না জেনেই মৃত্যুর ডাকে সাড়া দিয়ে প্রকৃতি হয়ে যাব কোনো এক বিষণ্ণদিনে।
তাই নিজেকে জানার রাস্তাটা আবিষ্কার করে সেই গোলকধাঁধাময় রাস্তায় পথ চলতে হবে নিরন্তর। রাস্তার খোঁজ পেয়েছেন তো! যদি পেয়ে থাকেন তবে নির্ভীক চিত্তে পথচলা আরম্ভ হোক। আর যদি রাস্তা থাকে অজানা, তবে অনুসন্ধানে বেরিয়ে পড়ুন নিজের একান্ত ব্যক্তিগত অলীক জগতের মরুভূমিতে পথ চলতে।