আপনি জীবনে খুব দেরিতে কী শিখেছেন?
আপনি জীবনে খুব দেরিতে কী শিখেছেন?
প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর পর চারপাশ থেকে নিজেকে ডিসকানেকটেড করেছি। বন্ধু বান্ধব, সোশালমিডিয়া সব জায়গা থেকে সরে গিয়েছিলাম। সোশালমিডিয়া ছাড়া নিয়ে আফসোস নেই, তবে বন্ধুবান্ধবের সাথে যোগাযোগ কমিয়ে ফেলাটা ঠিক হয়নি…
ভালোবাসার মানুষকে সবসময় আগলে রাখতে চেয়েছি। আমার জীবন মানেই ছিলো পরিবার, পড়াশোনা আর সে। দুই পরিবারও জানতো সম্পর্কের ব্যাপারে। তাই, কিছুটা নির্ভার ছিলাম আর নির্ভর করতেও দ্বিধাবোধ করিনি। অত্যন্ত পরিপাটি সম্পর্ক ছিলো, বন্ধুত্বপূর্ণ। সম্পর্কের প্রতিটাদিন যোগাযোগ রেখেছি। ঝগড়াঝাটির পর দেখা করেছি এবং আবার দুজন পাশাপাশি হেঁটেছি। আমার ধারণা ছিলো যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এতে করে যেটা হয়েছে, তাকে ছাড়া আমার জীবনটাই আমি ভুলে গিয়েছি। আমাকে না জানিয়েই যখন সে জীবনের পথ আলাদা করে নিলো, আমি হঠাৎ মহাসমুদ্রে পড়লাম! কারন ১২৬৫দিনের পথ চলায় আমি ১২৬৫দিনই তাকে নিজের একটা অংশ হিসেবে মনে প্রানে বিশ্বাস করে এসেছিলাম। বিচ্ছেদ সবসময়ই কষ্টের। আমি জানি অপর পাশের মানুষটার ও কষ্ট হয়েছে। তবে আমার জন্য এই ধাক্কাটা হুট করে ছিলো এবং আমি নিজেকে সামলে নিতে পারিনি। প্রচুর পাগলামি করেছি দিনের পর দিন। এখনো নিজেকে পুরোপুরি সামলাতে পারিনি।
এই বিশ্বাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ যে আপনার জীবনে আপনিই constant, বাকিদের বিষয়ে কিছু বলা যায় না… আর যে সিদ্ধান্ত নিয়েই নিয়েছে আপনার সাথে চলবে না, তাকে সে ডিসিশন থেকে যদি কেউ সরাতে পারে সেটা সে নিজে আর সৃষ্টিকর্তা। তাই, কারো উপর এতোটাও নির্ভরশীল হইয়েন না, অন্ততঃ আমার মতোন তো না ই 😛
যাই হয়ে যাক, আপনাকেই কিন্তু নিজের দায়িত্ব নিতে হবে। নিজেকে সামনে এগিয়ে নিতে হবে।