প্রথমে আপনার একাকিত্বের জন্য সমবেদনা জানাচ্ছি।

কারণ এই একটা বিষয় যা মানুষকে কিছুটা অসামাজিক করে দেয়। সেটা নিজের ইচ্ছাতে হোক বা পারিবারিক পরিস্থিতির কারণে হোক। আর আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে অনেকে এটাকে সাধারণত অন্যভাবে দেখেন। অনেক কিছু নেগেটিভলি নেন বা ভাবেন।

এবার উত্তরে আসি। একটা পুরনো কথা আছে। মানুষ অভ্যাসের দাস। তাই বলে সেই দাসত্বকেও পরিস্থিতি অনুযায়ী ভেঙ্গে ফেলা যায়। আবার প্রবল ইচ্ছা, অথবা পরিস্থিতি অনুযায়ী নতুন কোন অভ্যাস গড়ে তোলা যায়।

যেহেতু ছোটবেলা থেকেই একা একা বড় হয়েছেন সেহেতু আপনি সম্ভবত কিছুটা অন্তর্মুখী হয়ে গিয়েছেন। তবে এক্ষেত্রে অনেকে কিছু কিছু বিষয়ে বেশ সেন্সিটিভ হয়ে পড়েন। আর এর ফলে অনেকের মতের সাথে তার মতামত বা বক্তব্য বা নীতির সামঞ্জস্য না হলে সে ধীরে ধীরে এসব এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টায় অনেক সময় বন্ধুমহল বা জনতা এড়িয়ে চলেন। যদিও উচিৎ ছিল অন্যের মতামতের সাথে নিজের মতামতকে মিলিয়ে ভাল মন্দকে যাচাই করে অন্যের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করা।

এবার বলি লাইফ পার্টনারের বিষয়টা।যেকোনো সম্পর্ক মানুষকে পরিবর্তন করতে বা হতে সাহায্য করে। আর লাইফ পার্টনারের বিষয়টা আরো জটিল অথচ অপরিহার্য। এটা এমনই একটা মায়ার বাঁধন যা অনেকেই এড়াতে পারেননা। তবে এই বাঁধনটা শক্ত করতে হলে অবশ্যই উভয়ের মিলিত প্রচেষ্টা এবং সম্মান ও শ্রদ্ধা একান্ত জরুরি। আপনার একাকিত্বের সমুহ সমস্যাগুলো আপনার লাইফ পার্টনারের সাথে শেয়ার করুন। তার সাথে আলোচনা করে আপনার ত্রুটিগুলো শুধরানোর চেষ্টা করুন।

এই জীবনটা আসলে জৈবিক চাহিদার পাশাপাশি আত্মিক মেলামেশার একটা অনন্য বৈধ সুযোগ। সুযোগটাকে সৎভাবে কাজে লাগান। অবশ্যই সবকিছু সফলভাবে এড়াতে পারবেন।

হ্যাঁ প্রথম প্রথম আপনার সাথে তার অনেক বিষয়ে অমিল বা সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সৃষ্টিকর্তা এই সংসার ব্যবস্থাটা এমনভাবে সৃষ্টি করে রেখেছেন যে কয়েকদিনের মাঝেই একে অপরের মধ্যে অসাধারণ একটা ভালোবাসার বন্ধন গড়ে উঠে। আর হ্যাঁ, আপনি আপনার মানসিকতার যদি পরিবর্তন না চান তাহলে এই অবস্থার পরিবর্তন খুব জটিল হয়ে পড়বে। একে অপরকে বুঝতে চেষ্টা করতে হবে। নিজের কিছু কিছু অবস্থান থেকে সরে আসতে হবে। কম্প্রোমাইজিং মাইন্ড তৈরি করতে হবে।